সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ( আখাউড়া ও বিজয়নগরের অংশ বিশেষ) উপ-নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আতাউর রহমান নাজিম হাতি মার্কায় ও মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
এদিকে নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে বিজয়নগর উপজেলার তিনজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০জন জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) মারধোরের শিকার হয়েছেন। অপরদিকে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোটারদেরকে মারধোরের অভিযোগ এনে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ধ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া (তালা প্রতীক) নির্বাচন বর্জন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খন্দকার, সিঙ্গারবিল ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল হক ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, বিজয়নগর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ৪১জন ভোটার গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে গেলে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল তাদের কয়েকজনের হাত থেকে ব্যালেট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নিজেই নির্বাচনের প্রার্থী আতাউর রহমান নাজিমের (হাতি) মার্কায় সীল মারেন।
এতে তারা প্রতিবাদ করলে মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেনসহ তাদের অনুসারীরা তাদের উপর চড়াও হয় ও তাদের বেধরক মারধোর করে। তাদের মারধোরে তিন ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে মনিরুল হক ভূইয়া, জামাল উদ্দিন, খন্দকার আবুল কালাম আজাদ খন্দকারসহ ১০জন মেম্বার আহত হয়। পরে তারা নিরাপত্তার কারনে ভোট না দিয়েই পুলিশের সহায়তা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জন করা প্রার্থী ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বিজয়নগর উপজেলার ১০/১২জন ভোটারের হাত থেকে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে হাতি মার্কায় সীল মারেন। এর প্রতিবাদ করায় মেয়র কাজল ও তার অনুসারীরা বিজয়নগরের তিনজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০জন ভোটারকে মারধোর করেছেন। তিনি বলেন, শুধু বিজয়নগরের চেয়ারম্যান, মেম্বারই নয়, মেয়র কাজল তাকে ও তার স্ত্রীকেও মারধোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন।
মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদ আলী ভূইয়া আরো বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের কারনে তিনি দুপুর ১২টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামুন মেম্বার, বাচ্চু মেম্বার, জালাল মেম্বার, ফাতেমা মেম্বার, কাকলী মেম্বার, ছায়েদ মেম্বার, বাছির মেম্বার, হুমায়ূন মেম্বার, রশিদ মেম্বার, আক্তার মেম্বার, হারিজ মেম্বারসহ ২৫জন সদস্য।
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মোহাম্মদ আলী ও তার অনুসারীরা মিথ্যা কথা বলেছেন।
###
Leave a Reply