botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে গতকাল সোমবার কারখানার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

সোমবার সকালে কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ চলাকালে প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে কমান্ড এরিয়াভুক্ত ৭ জেলায় এক ঘন্টা সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।

সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি ঘোষনা দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। কতৃপর্ক্ষ সিদ্ধান্ত বদল না করলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হুশিয়ারী দিয়েছেন।

সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈফ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কারখানার প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কারখানার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারনে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। বর্তমানে কারখানায় এলএনজি গ্যাস চালুর পর বর্তমানে কারখানায় গ্যাসের কোন সংকট নেই। চলতি অর্থ বছরে (জুন মাস পর্যন্ত) বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ কারখানাকে দেড় লাখ মেট্টিক টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে দেয়। এ পর্যন্ত কারখানায় উৎপাদন হয় ১লাখ ১৬ হাজার মেট্টিকটন ইউরিয়া সার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার বাকি রয়েছে আরো ৩৪ মেট্টিক টন। এমনি অবস্থায় আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার কুলিং টাওয়ারসহ বিভিন্ন প্লান্টের যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য আড়াই মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, এতে করে কারখানাকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার সুযোগ থাকলেও আড়াই মাস বন্ধের সিদ্ধান্তে চলতি অর্থ বছরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। এ জন্য এই অর্থবছরেও লোকসানের মুখে পড়বে কারখানাটি। এতে করে লভ্যাংশ, বোনাসসহ আর্থিক ভাবে শ্রমিক-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বলেন, অবিলম্বে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি থেকে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, কারখানার বিভিন্ন প্লান্টের ক্রটি থাকায় জরুরি মেরামত না করলে কারখানার বিরাট ক্ষতি হবে। বিসিআইসির পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে মেরামত কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে বিসিআইসি সিদ্ধান্ত নিবে। বিষয়টি বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
###

উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

 

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, সরাইল উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানপদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং নাসিরনগর উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে একাধিক প্রার্থী না থাকায় জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ( আনারস প্রতীক) ৬৮ হাজার ২৩৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ( নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯০৭ ভোট।

 

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাফি উদ্দিন আহম্মদ (নৌকা প্রতীক) ৫৯ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম, মনিরুজ্জামান সরকার ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।

সরাইল উপজেলা পরিষদঃ-
সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর (ঘোড়া প্রতীক) ৩১ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ শের আলম মিয়া ( মোটর সাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৮ ভোট।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদঃ-
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ হানিফ মুন্সী (নৌকা প্রতীক) ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৫ ভোট।

 

নবীনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (দোয়াত- কলম প্রতীক) ৪৯ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯০ ভোট।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কসবা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও আইনমন্ত্রীর সাবেক সহকারি একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

###

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের বাসিন্দা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ টিমের সদস্য, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা ও আশুগঞ্জ আলাল শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমরেড ঈসা খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজেউন)।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।
###

কমরেড ঈসা খানের ইন্তেকাল ॥ আজ জানাযা

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অসহায় ও দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা।

গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে থাকা অসহায় শীতার্তদের মাঝে তিনি এই কম্বল বিতরণ করেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রঞ্জন সহ উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
###

আশুগঞ্জে শীতার্তদের মাঝে ইউএনওর কম্বল বিতরন

 

botvনিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদে মাত্র ৭টি আসন পাওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আরেকটি আসনে জয় পেলো।আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের পর বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ নিয়ে এ রাজনৈতিক জোটের আসন দাঁড়ালো আট এ।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীকে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীকের  মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
গত ৩০ ডিসেম্বর এ আসনের মোট ১৩২ কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। তবে এ তিনটি কেন্দ্র ছাড়াই বেশ এগিয়ে ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি পান ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট আর কলার ছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন কলার পান ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। ফলে স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর আগ্রহ বেড়ে যায়।
বুধবার স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তিন কেন্দ্রের ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে সাত্তার পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ ভোট আর কলার ছড়ি প্রতীকে মঈন পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ ভোট।
কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ ভোটে তিন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৩৩৯ জন পুলিশ সদস্য, ৩৬ জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন র‌্যাব সদস্য।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে এ আসনের সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য ৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)
                                                            ###

অবশেষে বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার বিজয়ী

 

botvনিউজ:

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের নির্দলীয় প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মঈন-(৫৫)সহ ৭জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মহাসড়কের সোনারামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি স্থগিত কেন্দ্রে ভোট পুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আহত অন্যান্যরা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম কবির-(৫২), মাঈন উদ্দিন মঈনের শ্যালক কানন মিয়া (২৮), আওয়ামী লীগ নেতা জব্বার মিয়া (৬০), যুবলীগ নেতা হেবজু মিয়া-(৩২), সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হাফিজুর রহমান-(৩২) ও যুবলীগ নেতা কাপ্তান মিয়া-(৩৫)।

মাঈন উদ্দিন মঈনের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মাঈনউদ্দিন তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে উপজেলার তালশহরের নিজ বাড়ি থেকে আশুগঞ্জ আসার পথে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। পরে ট্রাকটি উল্টে মাঈনউদ্দিনের গাড়ি ও পেছনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলের ওপর পড়ে। এতে প্রার্থী মাঈন উদ্দিনসহ ৭জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে হাফিজ ও কাপ্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকীদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করতে পারলেও এর চালক-হেলপার পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
###

আশুগঞ্জে সড়ক দুঘর্টনায় নির্দলীয় এমপি প্রার্থীসহ আহত-৭

botvনিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি স্থগিত কেন্দ্রের পুনঃ ভোট গ্রহণ আগামিকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।

তিনটি ভোট কেন্দ্র হচ্ছে উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তিনটি কেন্দ্রের মোট ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪টি।

এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস। সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে ৩৩৯জন পুলিশ, ৩৬জন আনসার, দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। তিনটি কেন্দ্রে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

এ ব্যাপারে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনটি কেন্দ্রে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ৩৩৯জন পুলিশ, ৩৬জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।আজ  মঙ্গলবার পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ভোট কেন্দ্রে পৌছে গেছে।

উল্লেখ্যঃ- এই আসনটি মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগ। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টি, বিএনপি, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১৩জন প্রার্থী। জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয়, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা জাতীয় পার্টির বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রতীক বরাদ্ধের দিন জামাতা রেজাউল পান লাঙ্গল প্রতীক এবং শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা পান সিংহ প্রতীক। নানা নাটকীয়তার পর নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান।

নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূইয়া (ধানের শীষ প্রতীক) নিয়ে ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন (কলার ছড়া প্রতীকে) ভোট পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট এবং অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (সিংহ) পান ৩৯,৩০৫ ভোট।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনের তিনটি কেন্দ্রে আগামিকাল পুনঃ ভোটগ্রহণ ॥ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

botvনিউজ:

আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মকসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ চৌধুরী। বুধবার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বরাবর লিখিত ভাবে পৃথক কপিতে স্বাক্ষর করে উপজেলা ছাত্রদলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তারা তিনজন। সেই সাথে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে অনুলিপি দেয়া হয়।

পদত্যাগ পত্রে মকসুদুুর রহমান উল্লেখ্য করেন, তিনি ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আশুগঞ্জ বন্দর ছাত্রদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় পদ পদত্যাগ করেছেন। সেই সাথে ছাত্রদলের সাধারন সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছেন। মকসুদুুর রহমান আগামীদিন বিএনপির কোন প্রকার কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করেন।

পদত্যাগ পত্রে সহ-সভাপতি মামুন মিয়া তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় বিধায় পদ পদত্যাগ করেছি। সেই সাথে ছাত্রদলের সাধারন সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছি। মামুন মিয়া আগামীদিন বিএনপির কোন প্রকার কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করেন।

শুভ চৌধুরী তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় বিধায় পদ পদত্যাগ করেছেন। সেই সাথে ছাত্রদলের সাধারন সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছেন। শুভ চৌধুরী আগামীদিন বিএনপির কোন প্রকার কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করেন।
###

আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেছেন মকসুদুর, মামুন ও শুভ চৌধুরী॥

botvনিউজ:

বিশিষ্ট লেখক, কলামিষ্ট ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য হচ্ছে ‘পথহারা পাখিদের জোট’।

তিনি সোমবার দুপুরে ব্রহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আশুগঞ্জ উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক মোবারক আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা কখনো আলোর পথ দেখেনি। তারা এখন জোট করেছেন। তাদের জোট আলোর মুখ দেখবেনা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন প্রণিত ৭২ সালের সংবিধানে সাম্প্রদায়িক জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। তিনি রাষ্ট্রের মালিক মনে করেন জনগণকে। আর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর আদর্শিক নেতা জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এখন কামাল সাহেব আর বি.চৌধুরী একসাথে জোট করে কে কোনটি মানবেন?

জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করে শাহরিয়ার কবির বলেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে তাই জিয়াউর রহমানকেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১ নাম্বার আসামী করা দরকার ছিল। পাশাপাশি ২১ আগষ্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার কারনে খালেদা জিয়াকেও আসামী করার দরকার ছিল। কারন তিনি তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ দায় তিনি এড়াতে পারেন না।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. নুজহাত জাহান চৌধুরী (শম্পা), জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লিটন দেব, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ ইকবাল হোসাইন, আওয়ামীলীগ নেতা হেবজুল বারী ও শিক্ষক ঈসা খান প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে হাজী মোঃ মোবারক আলী চৌধুরীকে সভাপতি এবং মোশারফ মুন্সিকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়।
###

আশুগঞ্জে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভায় শাহরিয়ার কবির

ফেসবুকে আমরা..