botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের উপজেলার বগইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকেলে বগইর গ্রামের মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রীর সাথে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম ঠাকুরের ছেলে জিএম ঠাকুরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

বিয়ে উপলক্ষে কনে বাড়িতে গেইটসহ প্যান্ডেলও নির্মান করা হয়। দুপুরে বরযাত্রীসহ বর উপস্থিত হন কনে বাড়িতে। এরপর শুরু হয় খাবারের পর্ব।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা। তিনি তাৎক্ষনিক গিয়ে হাজির হন কনে বাড়িতে। তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে কনের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা কনেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা দেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরে মৌসুমী বাইন হীরা দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খানের জিম্মায় কনেকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
###

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পাচারের অভিযোগে ট্রাকসহ চারশ’ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই সার পরিবহনকারিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দকৃত সার নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এ সময় সার ভর্তি এসএ পরিবহন ও নোমান পরিবহনের দুইটি ট্রাক আটক করা হয়। নোমান পরিবহনে বোঝাই সারের কাগজপত্র থাকায় এগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে এসএ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
রাতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহীনা আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত ট্রাক সংশ্লিষ্ট এনামুল মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জব্দকৃত সার গতকাল সোমবার নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আলম তালুকদার বলেন, ‘সারগুলো অবৈধভাবে এক জায়গার বদলে অন্য জায়গায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাকসহ সার আটক করে মনিটরিং কমিটির কাছে তুলে দেয়া হয়। পরে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেন।
###

আশুগঞ্জে পাচারের অভিযোগে সার জব্দ

botvনিউজ:

দীর্ঘ ১ বছর ২ মাস গ্যাস সংকটের কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানারর উৎপাদন বন্ধ থাকার পর  সোমবার থেকে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সোমবার ভোর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১২শ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
সেচ মৌসুমে দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে গত বছরের ১৯ এপ্রিল আশুগঞ্জ সার কারখানার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

জানা গেছে কারখানাটি পুরো মাত্রায় চালু রাখতে প্রয়োজন হয় ৪৮ থেকে ৫২ এম.এম সিএফ গ্যাস। তবে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়।

এদিকে কারখানার উৎপাদর বন্ধ করার পর থেকেই পুনরায় গ্যাস সরবাহের দাবিতে একাধিকবার কারখানায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।পরে গত ১৩ জুন কারখানায় পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। কয়েকদিন চেষ্টার পর সোমবার ভোর থেকে উৎপাদনে ফিরে সার কারখানা।

এ ব্যাপারে বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলী মোঃ আলী আক্কাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ ১৪ মাস গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার ভোর থেকে কারখানার উৎপাদন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানায় সারের বর্তমানে মজুদ শুন্যের কোঠায় থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি করা সার দিয়ে কারখানার কমান্ড এরিয়াভুক্ত ৭জেলায় সার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। বতর্মানে কারখানায় বিদেশ থেকে আমদানি করা সারের মজুদ ৩০ হাজার মেট্রিকটন।
###

১৪ মাস বন্ধ থাকার পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় ফের উৎপাদন শুরু

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুতে ট্রেনের সামনে সেলফি তুলতে গিয়ে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে ব্রীজের প্রথম স্পেনের কাছে এ ঘটনাটি ঘটে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, ওই যুবক দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতুতে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে সেলফি তোলার চেষ্টা করছিল। এ সময় ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
###

সেলফি তুলতে গিয়ে আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

botv নিউজ:

আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বহাল থাকা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস কমিটি গত বুধবার প্রকাশ হলে  আশুগঞ্জ উপজেলার অধীনস্ত লালপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তীব্র সমালোচনা করে যাচ্ছে।

তাদের দাবী কোন ধরণের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগকে না জানিয়ে, এছাড়া লালপুর ইউনিয়নের আগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা না করে সরাসরি জেলা থেকে প্রেস কমিটি দেওয়া হয়। তা ও আবার অস্ত্র মামলার আসামীকে।

২০১৬ সালের ১২ আগস্ট নবীনগর উপজেলার “বীরগাঁও ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজের ” গভর্নিং বডির নির্বাচনে জোবায়ের হোসেন একটা পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়। জোবায়েরের অস্ত্রসহ গ্রেফতার বিষয়টি তখন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়। অস্ত্রধারী সন্তাসীকে কেন গঠনতন্ত্র লংঘন করে ছাত্রলীগের পদ দেওয়া হল, তার জন্য ছাত্রলীগ  নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়।

গঠনতন্ত্র বহির্ভূত  ও  বিতর্কিত এ কমিটি বাতিলের দাবি করছে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ । বিষয়টি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কোন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর জায়গা হতে পারে না ।

জেলা ছাত্রলীগের নিজস্ব প্রভাব দেখিয়ে  গঠনতন্ত্র লংঘন করে জেলা ও প্রতিটি উপজেলাতে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সমালোচনাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক মামুন মনে করেন।

###

লালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটি গঠনে গঠনতন্ত্র লংঘন হয়েছে বলে দাবী উপজেলা ছাত্রলীগের

 

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দুইজন- আল-আমীন শাহীন ও কাউছার এমরান।

সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন  জাবেদ রহিম বিজন  ও দীপক চৌধুরী বাপ্পি ।

botv নিউজ:

বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি সহ ৯ পদপ্রার্থী নির্বাচিত ॥ সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আজ ভোট গ্রহণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি পদ সহ ৯ পদপ্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন । নির্বাচনে সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদে ভোটগ্রহণ হবে । এর মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আল আমীন শাহীন এবং আ ফ ম কাউসার এমরান , সাধারণ সম্পাদক পদে দীপক চৌধুরী বাপ্পী এবং জাবেদ রহিম বিজন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন সভাপতি পদে খ আ ম রশিদুল ইসলাম,

সহ সভাপতি পদে মফিজুর রহমান লিমন ,

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা,

কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল ইসলাম শাহজাদা,

দপ্তর সম্পাদক পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,

পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোশাররফ হোসেন বেলাল,

সাংস্কৃতিক ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে শিহাবউদ্দিন বিপু ,

কার্যকরী সদস্য পদে শাহজাহান সাজু ও মজিবুর রহমান খান।

৭মে-২০১৮ইং প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

###

৭মে নিবার্চন, কে হবে প্রেসক্লাব সম্পাদক/সহ-সভাপতি।

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মাইক্রোবাস চাপায় উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র সাইমন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও মাইক্রোবাস চালকের শাস্তির দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যরা।

গতকাল দুপুরে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত মানবন্ধন চলাকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক সামসুজ্জামান, ইব্রাহিম খলিল, শিরিনা আক্তার, আল-আমিন, স্কুল ছাত্র নয়ন সাবিনা আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী সাইমনের অকাল মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত মাইক্রোবাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করে।

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা এলাকায় একটি বেপরোয়া গতির মাইক্রোবাস ওভারটেক করতে গিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থী সাইমনকে চাপা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
###

মাইক্রোবাস চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আশুগঞ্জে মানববন্ধন

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। গত রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হিরা উপজেলার তারুয়া গ্রামে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বর ও কনের পরিবারের সদস্যদের আটক করেন তিনি। পরে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার তারুয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ির ফারুক মিয়ার মেয়ে ও তারুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মুর্শিদার সাথে একই গ্রামের বাউল বাড়ির ছফিউল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গতকাল সোমবার দুপুরে।

গত রবিবার রাতে ছিল গায়ে হলুদ। মুর্শিদার সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হিরা রবিবার রাতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন কনের বাড়িতে। গিয়ে দেখেন গায়ে হলুদের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাড়িতে পৌছা মাত্রই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মুর্শিদার বাবা। কনের বাড়িতে অভিযান চলার কথা শুনে একই গ্রামে অবস্থিত বরের বাড়িতে থেকে পালিয়ে যায় বর সহ বরের পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ কনের মা শিরিনা বেগম এবং বরের চাচা হাবিবুল্লাকে আটক করে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যায়।
পরে কনের পরিবারের দায়িত্ব নেন তারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস হাসান এবং বরের পরিবারের দায়িত্ব নেন তারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদল সাদির। পরে তাদের জিম্মায় দুই পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হয়।

বরের চাচা হাবিবুল্লাহ মিয়া জানান, বাল্য বিবাহ অপরাধ, আমরা না জেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।
কনের মা শিরিনা বেগম জানান, আমি আমার ভূল বুঝতে পেরেছি। আমার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবো না।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হিরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

###

আশুগঞ্জে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নিখোঁজের দুদিন পর মেঘনা নদী থেকে আমজাদ আলী-(৬০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১টায় মেঘনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। আমজাদ আলীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার চিলিপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার পূর্ববাজার এলাকায় বসবাস করতেন।

পরিবারের লোকজন ও পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে নিখোঁজ হন আমজাদ। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তার ছেলে খোকন মিয়া আশুগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।

শুক্রবার সকালে মেঘনা নদীতে আমজাদের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মেজবাহ্ আহমেদ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
###

নিখোঁজের দুদিন পর আশুগঞ্জে মেঘনা নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

 

botv-নিউজ:

আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ও চর-লালপুর চরে ইজারাদারদের ড্রেজিংয়ের কারনে দেড়শ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মেঘনা নদীতে বালু মহালের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও মালিকানাধীন ফসলি জমিতে একাধিক ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। মাটি কেটে নেওয়ায় কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলেও ড্রেজার মালিকরা তাদের বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগকারীরা জানান, ইজারাদাররা বালু উত্তোলনে মানা হচ্ছে না বালু মহালের কোন নিয়ম কানুন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পাশের চর-চারতলা, চর-লালপুর, রায়পুরা ও বেগমাবাগ এলাকার বালু মহাল ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য ছাত্রদল নেতা সেলিম পারভেজ, চর-চারতলা গ্রামের জয়নাল মিয়া, লালপুরের ডা. ফারুক, রফিক ও

নরসিংদীর চানপুরের সুলতান মিয়া ইজারা নেয়। প্রভাবশালী ইজারাদাররা বালু মহালের নির্ধারিত জায়গায় ড্রেজিং না করে বালু মহালের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে বিএস খতিয়ানের নক্সাভুক্ত মালিকানাধিন চরে রাতের আধাঁরে ড্রেজিং করে। এতে প্রায় ১’শ ৫০ একর ফসলি জমি কেটে নিয়ে যায় প্রভাবশালীরা। এতে করে জমির মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছেন। অতিরিক্ত গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় প্রতিনিয়ত ভাঙছে ফসলী জমি।

এতে করে প্রতিদিন ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। ইজারাদারদের সাথে বিষয়টি কথা বললেও তারা বিষয়টি আমল দিচ্ছেননা। এতে করে যেকোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী। তাই ভুক্তভোগী ৮০ জন কৃষক প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বর্তমানে সততা, ফাইভস্টার, মৌসুমী, মায়ের দোয়াসহ কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজিং করার সময় আশপাশে সতর্কতা চিহ্ন দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। নদীর তীর থেকে প্রায় ৩’শ ফুট দূরে মাটি ড্রেজিং করার কথা থাকলেও সেটিও মানছেনা ইজারাদাররা। বালু মহালের নির্দিষ্ট সীমানা দেয়া থাকলেও এর কোন তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে মাটি ড্রেজিং করা হচ্ছে।

সকাল সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাটি কাটার কথা থাকলেও রাতের অন্ধকারে মাটি কাটা হচ্ছে। তারা বলেন, এতে করে মেঘনা নদীর চরলালপুর ও চরচারতলা মৌজাসহ কয়েকটি এলাকার ফসলি জমি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হতে চলেছে।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষ করেছেন ড্রেজার মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় তাদেরকে। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেননি তারা।

লালপুরের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন জমি মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে যখন নদীতে পানি বেশী ছিল তখন আমরা বিষয়টি টের পাইনি। পানি কমার সাথে সাথে আমরা বুঝতে পারি আমাদের ফসলি জমি কেটে নেয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে তাদের সাথে কথা বললেও তারা আামাদের কোন পাত্তাই দেয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই অভিযোগ করেছি।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক খলিলুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগ দেয়ার পর তড়িঘড়ি করে ড্রেজার মালিকরা আমাদের সাথে আপোষ করার জন্য প্রভাবশালীদের নিয়ে শালিসে বসে। তারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক মোঃ সেলিম পারভেজ ও জয়নাল মিয়া জানান, আমরা বালু মহালের ইজারার নিয়ম অনুযায়ী নদীতে ড্রেজিং করেছি। সব ধরনের নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে। ফসলি জমি আমরা ড্রেজিং করি নাই। যে অংশে ভাঙ্গনের সৃস্টি হয়েছে তা সরকারী জায়গা। তবে এলাকাবাসীর অনুরোধে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জমি যেন ঢেউয়ের কারনে ভেঙে না যায়

সেজন্য মাটি ফেলে আমরা একটি বাধঁ দিয়ে দিচ্ছি। বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের কাছে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। আমরা আমরা একটি তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি।
###

অবৈধ বালু উত্তোলনের দেড়শ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন

ফেসবুকে আমরা..