সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলা দুটি হচ্ছে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলা এবং অপরটি হচ্ছে কসবা উপজেলার নূরুল হক হত্যা মামলা।

আশুগঞ্জের কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের মোঃ দিদারুল আলম, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ নাহিদ মিয়া, মোঃ আনিসুর রহমান। এবং কসবার নূরুল হক হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়া।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের মাধুরপাড়া গ্রামের মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে ও কলেজছাত্র সাইফুল ইসলামকে হত্যার পর তার লাশ স্থানীয় নতুন চকবাজার এলাকার একটি সেতুর পাশে ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের চাচা মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোঃ মোহন মিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, মোঃ শ্যামল মিয়াকে দুই বছরের কারাদন্ড এবং সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

অপরদিকে, গত ২০০০ সালের ২৮ জুলাই কসবা উপজেলার সৈয়দপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামীরা নূরুল হকের উপর হামলা করে। ঘটনার তিনদিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল হক মারা যান। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং আসামী হনুফা বেগম এবং হেলেনা বেগমকে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের এ.পি.পি মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক হত্যা মামলায় ৫ আসামীর যাবজ্জীবন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নব-গঠিত আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সম্প্রতি সাবেক হয়ে যাওয়া আহবায়ক কমিটির নেতারা। নব-গঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে রোববার দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক কমিটির আহবায়ক মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর তাদের কমিটি অনুমোদন হয়। কমিটির প্রতি নির্দেশনা ছিলো উপজেলার ইউনিয়ন কমিটিগুলোর সম্মেলন করা। তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়নের কমিটিগুলো করে উপজেলা সম্মেলন করার জন্য কাউন্সিলরদের তালিকা কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের কাছে জমা দেই। কেন্দ্র থেকে আমাদেরকে জেলা যুবলীগের সাথে সমন্বয় করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার কথা অবহিত করলে তারা সম্মেলনের তারিখ দিতে গড়িমসি করেন।

মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার আরো বলেন, জেলা যুবলীগ ১৬ বছরেও সম্মেলন করতে পারেনি। তাই আমরা চার বছরে কেন সম্মেলন করতে পারলাম না, এমন অভিযোগে আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করা জেলা যুবলীগের স্বেচ্ছাচারী আচরণ। তিনি বলেন, কোন প্রকার কারণ না দর্শিয়ে আমাদের কমিটি বহাল থাকা অবস্থায় নতুন কমিটি দেয়া সম্পূর্ণভাবে যুবলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার নতুন আহবায়ক কমিটি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি পরিবারের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। তিনি আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এই কমিটি বাতিলের দাবি জানান। কমিটি বাতিল না করা হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহীন আলম বকসী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি কামাল মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা ও যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, জেলা যুবলীগ হচ্ছে একটা নির্বাচিত কমিটি। আর আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটি ছিলো আহবায়ক কমিটি। আহবায়ক কমিটির মেয়াদ থাকে মাত্র তিন মাস।
তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রের নির্দেশে আশুগঞ্জে যুবলীগের নতুন যে আহবায়ক কমিটি দিয়েছি সেটাই বৈধ কমিটি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর তিন মাসের জন্য গঠিত ৩৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি প্রায় পাঁচ বছরেও সম্মেলন করতে না পারার কারণে ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে গত ২৪ জুলাই মোঃ সাইফুর রহমান মনিকে আহবায়ক ও আতাউর রহমান কবিরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
###

আশুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন স্কুল ছাত্রী মোমিনা বেগম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছাত্রী নিজে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই চিঠি পৌঁছে দেয়। এর আগে গত সোমবার একই চিঠি আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও পৌঁছায় সে।

মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বইগর গ্রামের মরহুম নুরুল আমীনের মেয়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারদ্বয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, সে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার রোল নম্বর দুই। গত চার বছর আগে তার পিতা নূরুল আমীন দুস্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে তার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করে আসছে।

আশুগঞ্জ উপজেলার বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূইয়ার ছেলে উছমান ভূইঁয়া প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে। এ ঘটনায় তার পরিবারের কাছে নালিশ দিলে বখাটে উছমান তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। কয়েকদিন আগে উছমানের পহ্মে গ্রামের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম, সজিব ভূইঁয়া, আকবর ভূইঁয়াসহ কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে চাপ সৃষ্টি করে উছমান ভূইঁয়ার সাথে তার বিয়ের কথা রফাদফা করেন।

এদিকে এই বিয়ের খবর পেয়ে মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে তার ভগ্নিপতি জাবেদ মিয়ার বাড়ি আশ্রয় নেয়। গত ৩ আগস্ট উছমান ভূইঁয়া সেখানে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, তা বিয়ের বয়স হয়নি। সে পড়ালেখা করতে চায়। এছাড়া তার এক বড় বোনের এখনো বিয়ে হয়নি। সে বোন আশুগঞ্জ উপজেলার তিন্নি আনোয়ার মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মোমিনা আক্তার বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দেব বলেন, মোমিনা আক্তার মেধাবি ছাত্রী। মোমিনার দেয়া একটি চিঠি পড়ে আমরা জানতে পেরেছি তাকে বাল্য বিয়ের দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সে এই বিয়েতে রাজি নয়। এ জন্য সে গত ৮ দিন ধরে স্কুলে আসছে না।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, স্কুলছাত্রী মোমিনা বেগমের চিঠি আমি পেয়েছি। উছমানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ডেকে পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা বলেন, মোমিনাকে এ বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে তিনি কথা বলবেন।
###

বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ইউএনওকে স্কুল ছাত্রীর চিঠি

সুমন আহম্মেদঃ
আশুগঞ্জ উপজেলা ঈমাম পরিষদের উদ্যোগে দুস্ত ও অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইমাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আযাহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা ঈমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি উবায়দুল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু জামাল, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মুফতি এনামুল,

আড়াইসিধা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, লালপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা হামিদুল্লাহ, তারুয়া ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ওলিউল্লাহ সুবহানী, দূর্গাপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আবুল বাসার, তালশহর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রউফ, শরীফপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুল সোবহান, চর চারতলা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজিজ।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শতাধিক দুস্ত ও অসহায় পরিবারের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিরতন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা ঈমাম পরিষদের সকল সদস্য ও ইউিনয়ন ঈমাম পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটি ২০১৮ সালের ১৬ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।
###

আশুগঞ্জে উপজেলা ঈমাম পরিষদের উদ্যোগে দুস্তদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ॥

সুমন আহম্মেদঃ
নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের এক তরফা কমিটি ঘোষনার প্রতিবাদে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাছির উদ্দিন মুন্সী ও সামসুল আলম। সোমবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলা শহরের পুর্ব বাজারে সভা করে ঘোষনা দিয়ে লিখিত ভাবে যুবদলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তারা।

জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বরাবর লিখিত ভাবে এ পদত্যাগ পত্রটি পাঠিয়েছেন নাছির উদ্দিন মুন্সী ও সামসুল আলম। পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ্য করেন, এক তরফা ভাবে যুবদলের কমিটি ঘোষনা হয়েছে। আর সেই কমিটিকে প্রতিবাদ জানিয়েই আমরা পদত্যাগ করেছি।

সভায় জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মোঃ সাদেকুল ইসলাম, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মোঃ মিজান খান, ইদ্রিস হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজ, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক পারভেজ খা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সজল শিকদার, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল শিকদার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মনির হোসেন, উপজেলা সে¦চ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন জয়সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃ-বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিএনপির নেতৃ-বৃন্দ বলেন, উপজেলা বিএনপির নেতৃ-বৃন্দকে কিছু না জানিয়ে জেলা যুবদল যে কমিটি দিয়েছে তা খুবই দুঃখ জনক। এবং এ কমিটিকে তারা পকেট কমিটি হিসেবে আখ্যয়িত করেছেন। দ্রুত এ কমিটি বাতিল করে নতুন করে একটি শক্তিশালী কমিটি দেয়া দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই বোরবার জেলা যুবদরের সভাপতি শামীম মোল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেলিম পারভেজকে আহবায়ক ও আলমগীর খাকে সদস্য সচিব করে ৫১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে জেলা যুবদল। আর এ কমিটিতে নাছির উদ্দিন মুন্সী ও সামসুল আলমকে যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়েছিল।
###

নবগঠিত আশুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়কের পদ থেকে পদত্যাগ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি এবং অপর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বহুল আলোচিত গৃহবধূ কামরুন্নাহার তূর্না হত্যা মামলায় স্বামী আরিফুল হক রনিকে-(৩০) মৃত্যুদন্ড এবং বেলা সাড়ে ১১টায় একই আদালত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের রিপন মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং রিপন মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমকে-(৩৫) বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

এই মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া-(৪৫), বাতেন মিয়ার ছেলে মোঃ কবির-(৩৪) এবং কাজী মোস্তফার ছেলে মোঃ হাবিব-(২৩)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম আশুগঞ্জের বহুল আলোচিত গৃহবধূ কামরুন নাহার তূর্না হত্যা মামলার রায়ে তূর্নার স্বামী এবং মামলার একমাত্র আসামী আরিফুল হক রনিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রনি আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে। রায় ঘোষনার সময় রনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে আরিফুল হক রনির সাথে তার চাচা মফিজুল হকের একমাত্র কন্যা কামরুন নাহার তূর্নার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিলো। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে তূর্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রনি। পরে তার লাশ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। হত্যার সময় তূর্না তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল তূর্ণার বাবা মফিজুল হক স্বামী রনিকে একমাত্র আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে রনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কয়েক মাস কারাভোগের পর রনি জামিনে মুক্ত হয়ে গা ঢাকা দেন।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তূর্ণার বৃদ্ধ পিতা মফিজুল হক। তিনি বলেন, পলাতক রনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকরের জন্য সরকার প্রধান ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাই।

এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ভারপ্রাপ্ত পিপি এস.এম ইউসুফ। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে আমরা খুশী।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় একই আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের রিপন মিয়া হত্যা মামলার রায়ে উপজেলার ভেলানগর গ্রামের শিপন মিয়া (৪৫), মোঃ কবির (৩৪) ও মোঃ হাবিব (২৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রত্যেককে আরো ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৩৫) বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের রিপন মিয়ার সাথে উপজেলার ভেলানগর গ্রামের শিপন মিয়ার মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাশাপাশি রিপনের স্ত্রী আমেনা বেগমের সাথে শিপনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
এসবের জেরে গত ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির কোনো এক সময় আসামিরা রিপনকে হত্যা করে তার শ্বশুর বাড়ি ভেলানগর গ্রামের একটি জমিতে পুতে রাখে। পরে ১০ জানুয়ারি দুপুরে মাটি খুঁড়ে রিপনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন নিহত রিপনের ভাই বারু মিয়া বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপরোক্ত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আমেনা বেগম জামিনে কারামুক্ত ছিলেন। বাকিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ভারপ্রাপ্ত (পি.পি) এস.এম ইউসুফ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোফাক খায়রুল ইসলাম বলেন, মামলার এক নম্বর আসামি আমেনা বেগমকে খালাস দেয়ায় আমি সন্তুষ্ট। তবে দ-প্রাপ্ত বাকি আসামিদের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড ॥ তিনজনের যাবজ্জীবন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজেদের মনগড়ামতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করার অপরাধে ৪ ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটরকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও মোঃ জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ উপজেলায় পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত ক্যাবল অপারেটররা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের এস.স.বি ক্যাবল নেটওয়ার্ক ও সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকার তুহিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক, আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ইউনিয়নের আশুগঞ্জ ক্যাবল নেটওয়ার্ক এবং একই উপজেলার সোনারামপুর সাগর ক্যাবল নেটওয়ার্ক।

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান কাউসার, সহকারী জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস, বিটিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপকেন্দ্রের ইনচার্জ সালমা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
###

সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের অপরাধে ৪ ক্যাবল নেটওয়ার্কে জরিমানা

সুমন আহম্মেদঃ

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেছেন, স্কুল পর্যায়ে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্টের বিকল্প হতে পারে না। মার্শাল আর্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার শক্তি হিসেবে কাজ করবে। মার্শাল আর্টের বিভিন্ন কৌশল জানা থাকলে একটি মেয়ে প্রাথমিকভাবে যে কোন পরিস্থতির মোকাবেলা করতে পারবে এবং নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।

তিনি গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কে.বি.উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় লোকাল গভর্ণ্যান্স প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) এর কর্মসূচীর আওতায় ছাত্রীদের আত্মরক্ষার কৌশল অর্জনে চার মাসব্যাপী মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০০টি ইউনিয়নের প্রতিটি স্কুলের ছাত্রীদের এই মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

চলতি বছরে জেলার ৫ হাজার ছাত্রীকে এই মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই কৌশলের মাধ্যমে নিজেরা যেন নিজেকে রক্ষা করতে পারে সেই জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দূর-রে-শাহনেওয়াজ, জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রশান্ত বৈদ্য, আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মিয়া প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে প্রশিক্ষকরা উপস্থিতদের মার্শাল আর্টের বিভিন্ন কলা-কৌশল করে দেখান।

কোরিয়ার বিখ্যাত মার্শাল আর্ট সংগঠন তাইকোয়ান্ডো এর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মার্শাল আর্ট সংগঠন তাইকোয়ান্ডো এর কোচ নুজুবা ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে ১৬ জনের একটি টিম আড়াইসিধা কে বি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্রীকে ৪ মাস এই প্রশিক্ষণ দেবেন।
###

আশুগঞ্জে স্কুল পর্যায়ে ছাত্রীদের মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন

সুমন আহম্মেদঃ

মহান মে দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জামাই-শ্বশুর দলের নিয়ে কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার শ্রম কল্যান কেন্দ্রের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতায় জামাই দলকে ১ পয়েন্টে হারিয়ে শ্বশুরদল পক্ষ বিজয়ী হন। খেলায় ৫ পয়েন্ট পান জামাই দল, ৬ পয়েন্ট পান শ্বশুরদল।

আশুগঞ্জের নির্মান শ্রমিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কাবাডি প্রতিযোগীতার আয়োজন করে উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন।

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী দলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সী।

উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বশির মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল হায়দার, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নজরুল, শ্রম কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নব লিলা দাস,

সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক গোলাপ, ফিরোজ মিয়া কলেজের উপাধক্ষ্য আহমদ উল্লাহ খন্দকার, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
###

মহান মে দিবসে আশুগঞ্জে জামাই-শ্বশুরের কাবাডি প্রতিযোগীতা

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একই সময়ে ও একই স্থানে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপ সভা আহবান করায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা সদরের সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। শনিবার দুপুর থেকে আজ রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

আশুগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মুর্শেদ এই ১৪৪ জারি করেন।শনিবার দুপুর থেকে এ সংক্রান্ত মাইকিং শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় সাংগঠনিক অবস্থার জোরদার করার জন্য গত ১ সপ্তাহ আগে উপজেলা সদরের সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে দলের বর্ধিত সভা আহবান করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ। শনিবার বিকেল ৩টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা প্রতিবাদ সভা আহবান করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া।
এনিয়ে উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন শনিবার দুপুর থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং শুরু করেন।

১৪৪ ধারা জারির পর হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়ার গ্রুপ প্রতিবাদ সভা স্থগিত করলেও আবু নাছের আহমেদের গ্রুপ শহরের পূর্ব বাজারে বিওসি ঘাটে বর্ধিত সভা করে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার এটিএম মুর্শেদ জানান, একই স্থানে ও একই সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি বর্ধিত সভা ও প্রতিবাদ সভা আহবান করায় আইন শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশংকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি বহাল থাকবে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় এবং উত্তেজনা ঠেকাতে সভাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ মিয়া বলেন, আওয়ামীলীগের নামে যে বর্ধিত সভা আহবান করা হয়েছে এই সভাকে প্রতিবাদ জানানোর জন্য পাল্টা প্রতিবাদ সভা আহবান করা হয়ছিল। তিনি বলেন, প্রশাসন ১৪৪ জারি করায় আমাদের সভা স্থগিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ বলেন, দলের সাংগঠনিক অবস্থা জোরদার করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা আহবান করা হয়েছিল। আমাদের সভা বানচালের জন্য এখানে পাল্টা প্রতিবাদ সভা আহবান করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।
###

একই সময় ও একটি স্থানে আওয়ামীলীগের পাল্টা-পাল্টি সভা আহবান আশুগঞ্জে ১৪৪ ধারা

ফেসবুকে আমরা..