botv-নিউজ:

আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ও চর-লালপুর চরে ইজারাদারদের ড্রেজিংয়ের কারনে দেড়শ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মেঘনা নদীতে বালু মহালের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও মালিকানাধীন ফসলি জমিতে একাধিক ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। মাটি কেটে নেওয়ায় কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলেও ড্রেজার মালিকরা তাদের বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগকারীরা জানান, ইজারাদাররা বালু উত্তোলনে মানা হচ্ছে না বালু মহালের কোন নিয়ম কানুন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পাশের চর-চারতলা, চর-লালপুর, রায়পুরা ও বেগমাবাগ এলাকার বালু মহাল ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য ছাত্রদল নেতা সেলিম পারভেজ, চর-চারতলা গ্রামের জয়নাল মিয়া, লালপুরের ডা. ফারুক, রফিক ও

নরসিংদীর চানপুরের সুলতান মিয়া ইজারা নেয়। প্রভাবশালী ইজারাদাররা বালু মহালের নির্ধারিত জায়গায় ড্রেজিং না করে বালু মহালের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে বিএস খতিয়ানের নক্সাভুক্ত মালিকানাধিন চরে রাতের আধাঁরে ড্রেজিং করে। এতে প্রায় ১’শ ৫০ একর ফসলি জমি কেটে নিয়ে যায় প্রভাবশালীরা। এতে করে জমির মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছেন। অতিরিক্ত গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় প্রতিনিয়ত ভাঙছে ফসলী জমি।

এতে করে প্রতিদিন ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। ইজারাদারদের সাথে বিষয়টি কথা বললেও তারা বিষয়টি আমল দিচ্ছেননা। এতে করে যেকোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী। তাই ভুক্তভোগী ৮০ জন কৃষক প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বর্তমানে সততা, ফাইভস্টার, মৌসুমী, মায়ের দোয়াসহ কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজিং করার সময় আশপাশে সতর্কতা চিহ্ন দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। নদীর তীর থেকে প্রায় ৩’শ ফুট দূরে মাটি ড্রেজিং করার কথা থাকলেও সেটিও মানছেনা ইজারাদাররা। বালু মহালের নির্দিষ্ট সীমানা দেয়া থাকলেও এর কোন তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে মাটি ড্রেজিং করা হচ্ছে।

সকাল সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাটি কাটার কথা থাকলেও রাতের অন্ধকারে মাটি কাটা হচ্ছে। তারা বলেন, এতে করে মেঘনা নদীর চরলালপুর ও চরচারতলা মৌজাসহ কয়েকটি এলাকার ফসলি জমি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হতে চলেছে।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষ করেছেন ড্রেজার মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় তাদেরকে। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেননি তারা।

লালপুরের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন জমি মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে যখন নদীতে পানি বেশী ছিল তখন আমরা বিষয়টি টের পাইনি। পানি কমার সাথে সাথে আমরা বুঝতে পারি আমাদের ফসলি জমি কেটে নেয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে তাদের সাথে কথা বললেও তারা আামাদের কোন পাত্তাই দেয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই অভিযোগ করেছি।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক খলিলুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগ দেয়ার পর তড়িঘড়ি করে ড্রেজার মালিকরা আমাদের সাথে আপোষ করার জন্য প্রভাবশালীদের নিয়ে শালিসে বসে। তারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক মোঃ সেলিম পারভেজ ও জয়নাল মিয়া জানান, আমরা বালু মহালের ইজারার নিয়ম অনুযায়ী নদীতে ড্রেজিং করেছি। সব ধরনের নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে। ফসলি জমি আমরা ড্রেজিং করি নাই। যে অংশে ভাঙ্গনের সৃস্টি হয়েছে তা সরকারী জায়গা। তবে এলাকাবাসীর অনুরোধে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জমি যেন ঢেউয়ের কারনে ভেঙে না যায়

সেজন্য মাটি ফেলে আমরা একটি বাধঁ দিয়ে দিচ্ছি। বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের কাছে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। আমরা আমরা একটি তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি।
###

অবৈধ বালু উত্তোলনের দেড়শ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন

botvনিউজ:

ভারতের কলকাতা থেকে আসা স্টিল পাইপের চালান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌছেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাইপের সর্বশেষ চালান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় যায়। স্থল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সাতদিনে ৫৫৬.৯৭ টন স্টিল পাইপ ত্রিপুরায় যায়।
এর আগে ভারতের কলকাতার খিদিরপুর নৌ-বন্দর থেকে ৫৫৭ মেট্রিক টন স্টিল পাইপ নিয়ে এমভি-৩ নামের একটি ভারতীয় জাহাজ গত ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে নোঙ্গর করে।
পরে ত্রিপুরার বিধান সভার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাসহ নানা জটিলতায় এসব পাইপ ত্রিপুরায় নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। গত ১৪ মার্চ থেকে টেইলর (লরি) দিয়ে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় এই স্টিল পাইপ পাঠানো শুরু হয়।

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সর্বশেষ চালানটি আখাউড়ার স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় পৌছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আক্তার হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে স্টিল পাইপের সর্বশেষ চালানটি ভারতের ত্রিপুরায় পৌছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্টীল পাইপের সর্বশেষ চালান ত্রিপুরার আগরতলায় পৌছেছে।
উল্লেখ্য, ট্রানজিট পণ্যের আওতায় বিনা শুল্কে এসব পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছে। তবে এসব পণ্য পরিবহনে সাধারন পণ্যের মতো বন্দরের চার্জসহ আনুষাঙ্গিক খরচ দিতে হচ্ছে।

আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেছে ৫৫৭ টন ভারতীয় পাইপ

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ ও মুজরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

গতকাল রবিবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে সেক্টর কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মানববন্ধনে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা অংশ নেয়।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কারখানার প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাইফুদ্দিন ফারুকী, সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জাহিদুর রহমান, সহ-সাধারন সম্পাদক শামীম আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে সরকার। দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় কারখানার শ্রমিকরা ঠিকমতো বোনাস ও লভ্যাংশ পাচ্ছে না। বক্তারা সর্বনি¤œ ৮৭৫০টাকা মুজরি নির্ধারন করে প্রস্তাবিত জাতীয় মুজরি স্কেল বাস্তবায়নসহ ১৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান। তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করা হলে কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের  হুমকি দেওয়া হয়।

###

গ্যাস সরবরাহসহ ১৯ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে মানববন্ধন

botvনিউজঃ

সরকারী যায়গায় অবৈধভাবে দখল করা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে বদলি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার। বৃহস্পতিবার বিকালে চট্্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বান্দরবন পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। তাকে বদলির আদেশটি আশুগঞ্জ আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সাধারণ লোকজন তাকে বদলির বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি এবং ক্ষোভ জানিয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০১৬ সালে ১২ জুন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন আমরুল কায়ছার। যোগদানের পর থেকে আশুগঞ্জে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ রোধ, আধুনিক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন নির্মাণ, বিভিন্ন রাস্তাঘাট নির্মাণ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মান উন্নয়ন, প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় গুলোতে মিড ডে মিল চালু, উপজেলা পরিষদে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পার্ক স্থাপনসহ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। এতকিছু করলেও আশুগঞ্জ উপজেলার সরকারি কাচারি পুকুরে পার্শ্বে র্দীঘ দিন দখলে থাকা সরকারি জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে প্রভাবশালিদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাকে। একটি সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে কাচারি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করলেও তিনজন প্রভাবশালীর অবৈধ স্থাপনা তাদের ক্ষমতার জন্য অপসারণ করা যায়নি।

২০১৭ সালের ১৫ জুলাই স্থানীয় জনগণের সুবিধা ও শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধণের জন্য কাচারীপুকুরের চার পাশে রাস্তা তৈরী করার জন্য অবৈধভাবে স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু করে। এসময় র‌্যাব, পুলিশ, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উপজেলা প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম স্বপন, আবুল খায়ের, আবুল হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন খান এর বহুতল ভবন সহ অর্ধশতাধীক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার চেষ্ট করেন ইউএনও।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার রোষানলে পড়েছিলেন দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ধান চাল ব্যবসায়ি সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভুইয়া ও বিএনপি চেয়ারপ্যার্রসন খালেদা জিয়া সাথে বিমান ক্রয় দুর্নীতি মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আমলা ও বিএনপি নেতা আব্বাস উদ্দিন খান এর। দ্রুত অপসারণ না করার কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসন থেকে পরপর তিনবার শোকজও করা হয়। সর্বশেষ ইউএনও অবৈধ স্থাপনা অপসারন করতে গেলে বাধাঁ দেয় দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার র্শীষ কর্মকর্তার কথিত আত্তীয়। এই সময় তাকে তাদের কথা শুনতে বলেন নতুবা বান্দরবন যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

এর পরই এই আত্বিয় র্শীষ কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আমিরুল কায়ছার এর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এই প্রতিবদেন এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাকে বান্দরবন পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। কথিত রয়েছে তাদের তিনজনের মদদেই এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আশুগঞ্জ থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই বদলির আদেশ আশুগঞ্জে আসার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই সময় নানান প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কাছে সততার এমন হার ভবিষ্যতে আশুগঞ্জে বিরুপ প্রভাব পড়বে।

এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছারকে বদলীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি প্রভাশালী গোয়েন্দো প্রতিবেদনের কারনে তাকে বদলী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়া তিনি সরকার বিরোধী কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বদলির সাথে সাথে তাৎক্ষনিক স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এড. মো. জিয়াউল হক মৃধা তাকে স্ব-পদে রাখার জন্য ডিও লেটার (আধা সরকারিপত্র) প্রদান করেছে।

এই বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা এমপি জানান, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার সাথে শুরু থেকে আমার সাথে সুসস্পর্ক ছিল এবং বর্তমানেও আছে। এছাড়া এই মিথ্যা প্রতিবেদন যারা তৈরি করেছে আমি তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

সরকার বিরোধী কাজে ব্যস্ত থাকেন এই বিষয়টি নিয়েও উপজেলা আ.লীগ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদে তারা জানান, সরকারের প্রতিটি কর্মসূচিতে তিনি আমাদেও সহায়তা করে যাচ্ছেন। এই দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিবদ জানিয়েছেন। এক প্রতিবাদে তারা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।

এবিষয়ে দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, কাচারী পুকুর পাড়ে আমাদের বিল্ডিং ভাংগা বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে বন্ধ আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে যখন ভাঙতে আসে তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তবে তাকে কোনপ্রকার হুমকী দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল। অন্য বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্থ আছেন বলে ফোনটি কেটে দেন।

সরকারী আদেশ অমান্য করেন বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মো. ছফিউল্লাহ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার একজন ভাল মানুষ। সে সরকারী কোন আদেশ অমান্য করেছেন এমটি আমার জানা নাই। আমরা তার কাছ থেকে এলাকার উন্নয়নে সকল সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। প্রতিবেদনে যদি উল্লেখ করা হয় সে সরকারী আদেশ মানে নাই। তাহলে তা পুরোটাই মিথ্যা।

বদলির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার বলেন, বদলির আদেশ হাতে পেয়েছি। বদলি সরকারী চাকরীতে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে অন্যকিছু আছে কিনা আমি জানি না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ানুর রহমান আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আশুগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে বদলি হলেন ইউএনও

botv নিউজ:

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ও খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ  ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন,  দেশের  ১৬১ আসনেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট যে কোন দলের বিজয়ের জন্য নিয়ামক হিসেবে প্রমানিত। নির্বাচন এলেই টার্গেটে পরিণত হয় দেশের সংখ্যালঘুরা। তিনি আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বুধবার রাতে ব্রহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরে সপ্তাহব্যাপী শ্রী শ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের (রাম ঠাকুর) মহোৎসবের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা সুহাস দাস চৌধুরীর সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও জয়ন্তী রায়, ঢাকা সবুজবাগ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু নাসের আহমেদ, লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল খায়ের এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদ মাস্টার প্রমুখ। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পপতি শ্যামল দাসকে (সি আই পি) সংবর্ধনা দেয়া হয়।

###

নির্বাচন এলেই টার্গেটে পরিণত হয় সংখ্যালঘুরা : রানা দাশ গুপ্ত

botvনিউজ:

শান্তিবাগ বয়েজ ক্লাব আয়োজিত নোমান স্মৃতি ব্যাটমিন্টন প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে ভাদুঘর টু স্টার বনাম শান্তিবাগ টু স্টার ফাইনাল খেলার খেলার মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাটি সম্পূর্ন হয়।

শান্তিবাগ বয়েজ ক্লাব সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা  আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষানুরাগী আবু কাউসার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মীর মোহাম্মদ শাহীন, দলীল লেখক সফিকুল হক শাকিল, প্রবাসী আসাদুল্লাহ সিকদার আশা, ঠিকাদার নুরুল আমীন।

এছারা সংগঠনের সদস্য সুমন আহমেদ, হেলাল আহমেন, নজরুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, আশিকুর রহমান পিয়াস, ইয়াসীন চৌধুরী, বিপ্লব হোসেন, জনি, আশিক সহ অন্যান সদস্যরা ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছাত্রনেতা শেখ রাসেল।খেলায় চ্যাম্পিয়ন কে এলসিডি টিভি ও   রানার্সআপকে ২০ ইঞ্চি ট্রপি  পুরস্কার দেওয়া হয়।

###

নোমান স্মৃতি ব্যাটমিন্টন প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় শান্তিবাগ চ্যাম্পিয়ন

Botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের চন্ডারখিলের রহিমপুরে যুবকের হত্যা রহস্যের ঘোর কাটেনি।এলাকায় থমথমে পরিবেশ। হত্যা মামলা আসামীরা এলাকা ছাড়া । সাত বছর আগে স্বামী আর এখন উপযুক্ত ছেলে হারিয়ে ছোট ছোট ৬ ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিশাহারা মা’র আকুল আবেদন।

১৫ জানুয়ারি রোজ সোমবার রানা-১৮ কে ডিস লাইনের কাজ করার সুযোগ করে দিবে বলে সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে নিয়ে যায় সেলুনের কর্মচারী জাহাঙ্গীর।

দুইদিন পার হলেও রানার কোনো খোজ পাওয়া যায়নি। ১৭ জানুয়ারি বিকাল বেলায় জাহাঙ্গীর রানার চাচাত ভাই বিল্লাকে ফোন করে জানতে চাই রানা কোথায়। বিল্লাল বিষয়টা রানার মাকে জানায়। রানা মা জাহাঙ্গীরকে ফোন করে বলে রানা তো সোমবারে সন্ধ্যায় তুমি ডিসের কাজ দিবে বলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গেলা । আমার ছেলেকে তো তুমি নিয়ে গেছ এখন দুই দিন পর আমাকে ফোন দিয়ে বল আমার ছেলে রানা কয়..? তুমি আমার ছেলেকে নিয়া গেছ তুমিই আমার ছেলে খোয়জা বাইর কইরা দেও। কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর বলে কথা বরখেলাপ করলে এমনই হয়।এই কথা বলে ফোন কেটে দেয় । তারপর আ ফোনে জাহাঙ্গীকে পাওয়া যায় না। এরপর রানার মা সহ এলাকাবসী রানাকে পাগলের মতো খোজতে থাকে।

এই ঘটনার একদিন পর ১৯জানুয়ারি রোজ শুক্রবার চন্ডারখিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে এলাকাবাসী রানার লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে । এই ব্যাপরে রানার মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘনটার দুই সপ্তাহ হলেও কোনো আসামী ধরা পরেনি।

অন্য দিকে মামলা প্রধান আসামী মাদক ব্যবসায়ী মনির ও তার স্ত্রী চম্পার বসতবাড়ী ভেঙ্গে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করে।

এই ব্যপারে সদর থানার অফিসার ইন্চার্জ মে: নবীর হোসেন জানান, মামলা তদন্ত চলছে।

রানা হত্যা – ছেলেহারা মায়ের করুণ আর্তনাদ – একালায় শোকের ছায়া


botvনিউজ:

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২৪ জনিুয়ারি বুধবার উদ্বোধন হচ্ছে আশুগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

২০১০ সালের ১২ মে আশুগঞ্জের একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুগঞ্জে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চালু হয়।
পরে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের পাশে পাঁচ একর জমিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর নির্মানকাজ বাস্তবায়ন করেন ঢাকা মার্কেন্টাইল কর্পোরেশন লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতাল কমপ্লেক্সটির নির্মানকাজ শেষে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ঠিকাদার স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১০টি পদ থাকলেও বর্তমানে চারটিপদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণির ৪৬টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ৪০জন।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরোয়ার মাহবুব বলেন, ৫০ শয্যা নামে হলেও মূলত এটি ৩১ শয্যার হাসপাতাল। এখানে এক্স-রে মেশিন পাওয়া গেলেও আল্ট্রাসনোগ্রাফ ও ইসিজির কোনো মেশিন এখনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। চিকিৎসক স্বল্পতার কথা তিনি স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ নিশিত নন্দী মজুমদার জানান, আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে অবহিত করবো।
###

৫০ শয্যা বিশিষ্ট আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন

botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে স্থানীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জেলার ৯টি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানে সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।
###

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উন্নয়ন বিষয়ে কর্মশালা

আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক

আশুগঞ্জ উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠান

ফেসবুকে আমরা..