স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার সময় ৮ জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২৩ হাজার ১৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কলামুড়ি গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ ওয়াসিম মিয়া, মোঃ আল-আমিন, মোঃ আকিবুর রহমান, সোলেমান মিয়া, শাহাজাহান মিয়া, মোঃ শাওয়াল মিয়া, রেনু মিয়া ও মোঃ ইয়াছিন মিয়া। তারা সকলেই সুহিলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার সকালে র‌্যাব থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুহিলপুর ইউনিয়নের কলামুড়ি গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির পাশে জুয়া খেলার সময় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার নগদ ২৩ হাজার ১৭০ টাকা ও তাস উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার সময় ৮ জুয়ারি গ্রেপ্তার

আশুগঞ্জের ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের একজনকে আটক করা হয়েছে। গত (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি হলেন মোঃ মারুফ (৩৫), পিতা-মোঃ বোরহান, থানা-মোহাম্মদপুর। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ০২ টি আইপিএস, ০১ টি ল্যাপ্টপ, ০১ টি প্রাইভেটকার, ০১ টি কার চার্জার উদ্ধার  করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মারুফ এবং পলাতক আসামীরা বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রামীন ফোনের টাওয়ারের আইপিএস চুরি করে বিক্রয় করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে চোর চক্রের ০১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি:

“আমাদের বন্ধুত্ব রইবে নির্ভর” সেই প্রতিপাদ্য নিয়ে আবরনি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে হাসপাতালের রোগীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন আবরনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পারভেজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্ত, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়, এটিএন নিউজের চিত্র সাংবাদিক সুমন রায়, বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী নুর পরশ, ডেইলী ট্রাইব্যুনালে জেলা প্রতিনিধি ইফতেহার রিফাত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আক্তার, কৃত্তি বিলাস এর সিও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন প্রমূখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীসহ গরীব ও অসহায় মানুষ করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে ইফতারসামগ্রী পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে ছিল আবরনি। আগামী সময়ে আবরনির এমন প্রচেষ্ঠা অব্যহত থাকবে।

 আবরনি সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. কাজল, হেলাল আহমেদ, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজিজ সোহেল, মো: সুহেল মিয়া, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিল্লাল হোসেন, সোহরাফ মিয়া, শিশা শিপন, জয়নাল আবেদীন বিপ্লব, ইয়াসিন রোমান প্রমূখ।

এসময় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি ২০০ শতাধিক রোগী ও স্বজনদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

হাসপাতালের রোগীদের ইফতার করালো আবরনি

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ও ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এই রোজায় যেন আপনারা কষ্ট না পান সে জন্য প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন। আপনারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন তিনি যেন আমাদেরকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১ হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সুবিধাভোগীরা খাদ্য সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। এরই মধ্যেই করোনার ঝুঁকি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশী যাত্রী প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

পরিদর্শন কালে তিনি আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিস ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালেতিনি ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো মেডিকেল টিমের সদস্য ও ভারত থেকে আসা রোগীর স্বজন সহ যাত্রীদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে এ আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন অফিসার আবদুল হামিদ। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, সম্প্রতি সময়ে আখাউড়া স্থল বন্দর হয়ে ভারত থেকে যাত্রী প্রবেশের হার বেড়েছে। এ অবস্থায় ভারত ফেরত যাত্রীদেরকে বর্তমানে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। ভারত থেকে ফেরা নাগরিকদের সংখ্যা যদি বাড়তে থাকে তাহলে পাশের জেলায় কোয়ারেন্টাইনে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় নাগরিক ব্যতিত সব ধরনের বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৬০ জন আজ বৃহস্পতিবার শতাধিক যাত্রী আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ বেড়েছে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুটি হত্যা মামলাসহ অর্ধডজনেরও অধিক মামলার আসামী বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার কাটানিসার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ এ্যাসল মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তারকৃত বকুল ইউপি সদস্য মিজান মিয়ার প্রতিপক্ষের অন্যতম নেতা। তিনি আনোয়ারা হত্যা মামলার প্রথম আসামী। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ২৯ এপ্রিল জামিনে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার একদিন পরই ১ মে গভীর রাতে বকুলের নেতৃত্বে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের জমির আধা কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়। এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে বকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সরাইল থানা সূত্র জানায়, বকুল মিয়া শুধু আনোয়ারা হত্যা মামলার প্রধান আসামী নন। তিনি ২০১৫ সালে তার ভাগিনা হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামী (জিআর-৪৬৭/১৫)। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা অস্ত্র মামলারও (জিআর-২০৫/২০) আসামী তিনি। পুলিশ এ্যাসল মামলা, দাঙ্গা ও সংঘর্ষের মামলার আসামীর তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।

সরাইলে মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।

গতকাল (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ ও রাত ৮:৩০ এ পৃথক অভিযান চালিয়ে সদর থানাধীন বিশ্বরোড ও শেরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এরশাদ মিয়া (৩৩), পিতা-মৃত জিলু মিয়া, সাং-গোকর্ণ, থানা- নাসিরনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মোঃ সাইফ খান (২৫), পিতা-মোঃ কাওছার খান, সাং-শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে দুই যুবক গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকসার মুখোমুখী সংঘর্ষে সেলিম মিয়া-(৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের শশই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম মিয়া উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের চান্দুরা গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে উপজেলার চান্দুরা যাওয়ার পথে শশই এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকসাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সিএনজি যাত্রী সেলিম মিয়া মারা যান ও তিন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রী নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেনী পেশার এক হাজার মানুষের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কসবা টি আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসিয়ে তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

একই অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মধ্যে ধান কাটার ৬টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ও উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে ৫৪০টি সিঙ্গার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

 


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর ভূইয়া প্রমুখ। বিতরনী অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘সারাবিশ্ব করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। আপনাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা যখনই সময় পাবেন আল্লাহ’র কাছে দোয়া করে পানাহ (ক্ষমা) চাইবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই মহামারী থেকে মুক্তি দেন সেই দোয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সকলের দোয়া শুনবেন। আমি নিশ্চিত আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে এই মহামারী থেকে মুক্তি দিবেন।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ কর্মসূচীর আওতায় মানবিক খাদ্য সহয়াতার কার্যক্রমের অধীনে আপনাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া হচ্ছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

কসবায় ১ হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ (৫ মে) সকাল ১০:৩০ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তারা তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। মোঃ রুহুল আমিন খাঁ (৩৬), পিতা-মোঃ ওসমান খাঁ, সাং-গাটিয়ারা, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ উজ্জল মিয়া (২৬), পিতা-মৃত সাদেক মোল্লা, সাং-কাটাগর, থানা-বোয়ালমারি, জেলা-ফরিদপুর, বর্তমান ঠিকানা-কুট্টাপাড়া, (পারুলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩। শামসুল হক (৬০), পিতা-ফুল মিয়া, সাং-মেরাসানি, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৯.৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

 

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

ফেসবুকে আমরা..