স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী চলাকালে (গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ) মাদরাসার ছাত্র ও হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নারকীয় তান্ডবে ধ্বংসপ্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি দ্রুত সংস্কার করে ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করা ও তান্ডবের ঘটনায় ইন্ধনদাতা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খাঁন, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, রিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ পাটোয়ারী, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারন সম্পাদক সানিউর রহমান, কার্যকরী সদস্য মুহুয়ী শারদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা তান্ডবের ইন্ধনদাতা জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রয়লব্দ অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জাতীয় সম্পদ সংস্কারের দাবি জানান এবং তান্ডবের ঘটনায় আপীল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সুপারের ভূমিকাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের সকল বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কার করে আগামী ২০ জুনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করার দাবি জানান। জেলার সর্বস্তরের জনগনকে নিয়ে রেল পথ অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে হুশিয়ারি দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন, রেলপথ অবরোধের হুমকি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বিয়ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার।

তামাকের কুফল বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য প্রমুখ।

কর্মশালায় তামাকের কুফল বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিকে মাঠ পর্যায়ে আরো জোরদারের পাশাপাশি আইনটি আরো কঠোর করার জন্যে সরকারের চিন্তা ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি ধুমপানের কুফল বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোসহ আইনটি বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অভিমত ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ গ্রহন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তামাকের কুফল বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তানজিনা (২২) নামের এক গৃহবধূকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী সুহেল মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর আগে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় আইয়ুব আলীর ছেলে সুহেল মিয়ার সাথে কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে তানজিনার বিয়ে হয়। দুই লাখ টাকার কাবিননামায় পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের তিনবছরের একটি ছেলে বাচ্চা আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে যৌতুকের টাকা ও নানান সমস্যার নিয়ে মিল-ঝিল হচ্ছিল না। প্রায়ই শ্বাশুড়ি ও ননদরা তাকে মারধোর করতেন। ধারনা করা হচ্ছে এরই জেরে সুহেল তার স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন৷ হত্যা চেষ্টার পর আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তানজিনা যখন মারা যান তখন তার স্বামী সুহেলসহ পরিবারের সবাই নিহতের লাশ হাসপাতালে মর্গে রেখে পালিয়ে যায়।

তানজিনার মা স্বপ্না জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুহেল মিয়া তাদেরকে মোবাইল ফোনে জানায় তানজিনা ফাঁসি লাগছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরে তানজিনা মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে রেখে সোহেলসহ সবাই পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন কারন নিয়ে তানজিনাকে শ্বাশুড়ি ও ননদ মারধোর করতেন। সুহেল এর আগে সামিয়া নামের অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তাদের ঘরে ৭বছর একটি ছেলে সন্তান ছিল। তারা জানতেন না যে সুহেল আগে বিয়ে করেছে। একই কারনে তার ওই বউও চলে যায়। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়ছিল। সুহেলের ব্যাপারে এত কিছু জেনেও মেয়েকে সংসার করিয়েছেন। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বলেন, হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোঃ শাহীন উদ্দিন-(৫৫) নামে এক বিদ্যুৎ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় পৌর শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহীন উদ্দিন পৌর এলাকার বণিক পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিতরণ বিভাগে হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয় স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মোঃ সালাউদ্দিন খাঁন জানান, সকালে শিমরাইল কান্দি এলাকায় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তার মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস চাপায় আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অটোরিকসার দুই যাত্রী আহত হন। তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নামজুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে পুলিশ লাইন এলাকায় দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস পিছন দিক থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে বাসের নীচে চাপা পড়েন অটোরিকশার চালক। অন্য দুই যাত্রী অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয় কয়েক যুবক আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোরিকসা চালককে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা চালক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পঁচা খাবার বিক্রির দায়ে “ ভাই ভাই হোটেল” নামে এক হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকবাল হাসান নবীনগর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকবাল হাসান বলেন, নবীনগর বাজারের ভাই ভাই হোটেলে পঁচা মাছ ও বাসি তরকারি রান্না করে বিক্রি করে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় হোটেল মালিক তার অপরাধ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং হোটেলে থাকা পঁচা ও বাসি তরকারি ধ্বংস করা হয়।

নবীনগরে পঁচা খাবার বিক্রির দায়ে এক হোটেলকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জাতীয় ভিটামিন“এ”প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে আজ সকালে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়। অবহিতকরণ সভায় সরকারি কর্মকর্তা,চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ইপিআই) শাখাওয়াত হোসেন সভায় জানান, ৫ জুন থেকে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৩১৩টি টিকাদান কেন্দ্র থেকে (৬মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত) ৪৮ হাজার ৯‘শ ৭৪ জন শিশুকে ভিটামিন‘এ’ ক্যাপসুল খায়ানো হবে। এজন্য উপজেলায় টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীসহ ৬২৬ জন সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন।

জাতীয় ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে নাসিরনগরে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটকে শিক্ষা বিরোধী ও বাজেটকে শিক্ষা বিরোধী ও বাজেটকে শিক্ষাকে পণ্য এবং শিক্ষার্থীদেরকে ভোক্তা বানানোর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ, জিডিপির আট শতাংশ বরাদ্দ দেয়া এবং বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের দাবিও জানানো হয়। আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খাঁন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব কমরেড ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর কার্যকরি সদস্য মুহুয়ি শারদ, তানিয়া সুলতানা ঊষা, আয়াসুল ইসলাম আসিফ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রূপম ধর, মেহেদী, হোসাইন ইসলাম জয় প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার বানিজ্যিকরণ বন্ধ করতে হবে। বাজেটে শিক্ষা খাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা জাতীয় বাজেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানানো হয়।

শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রমৈত্রীর মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি বে-সরকারি হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার আহমেদ হাসপাতালে এই চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া শিশুর নাম ওবায়েদ। তার বয়স ৪৭ দিন। শিশু ওবায়েদ নবীনগর উপজেলার মাঝিকাড়া গ্রামের কাউসার মিয়ার ছেলে।

শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে শিশু ওবায়েদকে নিয়ে আহমেদ হাসপাতালে যান শিশুর মা সাবিনা আক্তার। চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার বলেন। সাবিনা আক্তার তার ছেলে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে ঢোকার আগে শিশুটিকে তার পাশে বসা অপরিচিত এক মহিলার কোলে দিয়ে যান। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষ থেকে বেরিয়ে দেখেন ওই মহিলা সেখানে নেই। হাসপাতাল ও আশপাশে অনেক খোঁজ করেও ওই মহিলাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ বলেন, শিশু চুরি হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।

নবীনগরে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১১টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ চোরাই মোটর সাইকেল চোরচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই মোটর সাইকেল কেনা-বেচার নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার ৮শত টাকা, ১০টি মোটর সাইকেলের নাম্বার প্লেট এবং ৪টি ওয়াটার পাম্প মোটর উদ্ধার করা হয়। গত ৪৮ ঘন্টায় (শনিবার ও রোববার) সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা, সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের খানপাড়ার মোঃ নাছির-(২৩), তার সহযোগী পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার সুমন মিয়া-(২৭), আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর হাজী বাড়ির ওমর সানি প্রকাশ শিমুল-(২৫), সদর উপজেলার শিলাউর গ্রামের মোঃ নাঈম-(২০), সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের আলমগীর চৌধুরী-(৩০), একই এলাকার নূরুল আমিন ওরফে রুহুল আমিন চৌধুরী-(২৯) একই ইউনিয়নের দক্ষিণ জগতসার গ্রামের মিজান মিয়া-(২৮) ও মাওলানা মোঃ কাউছার মিয়া-(৫০) ও সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উড়শিউড়া গ্রামের হোসেন মিয়া-(৪০)।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে পৌর এলাকার কান্দিপাড়া থেকে মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোর চক্রের মূল হোতা নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং নাসিরের কাছ থেকে ৬টি চোরাই মোটর সাইকেল, ১০টি মোটর সাইকেলের নাম্বার প্লেইট এবং ৪টি পাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে নাসিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় (সুলতানপুর, বাসুদেব ও মাছিহাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম) অভিযান চালিয়ে আরো ৫টি মোটর সাইকেলসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে সহযোগীদের নিয়ে মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে সেগুলো স্বল্পমূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। জেলায় মোটর সাইকেল চোর চক্রের আরও কয়েকটির সন্ধান আমরা পেয়েছি। তাদেরকেও দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ চোরাই মোটর সাইকেলসহ ৯ চোর গ্রেপ্তার 

ফেসবুকে আমরা..