স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাইক্রেবাসের চাপায় সজীব দেবনাথ-(২৩) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত ও অপর দুইজন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আখাউড়া উপজেলার তন্তর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সজীব দেবনাথ উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের শংকর দেবনাথের ছেলে। সজীব দেবনাথ তন্তর বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সাড়ে ১০টার দিকে সজীব তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাজারের কয়েকজন বাড়ি যাওয়ার সময় তন্তর বাজারের রাস্তা পারাপার হওয়ার দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় অপর দুই ব্যক্তি আহত হন।
এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার এএসআই হাছন আলী বলেন, আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাতক মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।

আখাউড়ায় মাইক্রোবাসের চাপায় ব্যবসায়ী নিহত

 

রওনক মাহমুদ সৌরভঃ

কেমন করে রং বদলায় অপরাহ্ন আকাশের? ভোরের সবুজ পাতার ফাঁক গলে কীভাবে দেখা দেয় দিনের প্রথম আলো? ঘাসফুলের মাঝে ভৃঙ্গরাজ ফুলের দৃশ্যইবা দেখতে কেমন? বর্ষায় কচুপাতার উপর বৃষ্টির ফোটা পড়ার অপার্থিব সৌন্দর্য ওরা কি দেখতে পায়? এমন অনেক কিছুই অজানা, অদেখা থেকে যায় রাজধানীর কংক্রিটের দেয়ালে বেড়ে ওঠা শিশুদের।

আপাদমস্তক যান্ত্রিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে আগামীর বড় একটা প্রজন্ম। প্রকৃতি সম্পর্কে তাদের যতটুকু জ্ঞান, তা কেবল পাঠ্যবই আর ইন্টারনেটের কল্যাণেই। এভাবে কম্পিউটার গেমস, ট্যাব আর স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে থাকা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অতিমাত্রায় প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে শিশুসহ বয়স্করাও মুখোমুখি হচ্ছেন ক্ষতিকর রেডিয়েশনের। প্রকৃতি থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করে বিনোদন আর অবসর কাটানোর যে আত্মঘাতী বিকল্প গ্রহণ করেছেন শহুরে অভিভাবকবৃন্দ, তা শিশুদের নানাভাবে ক্ষতি করছে। চোখের সমস্যা, স্থূলতা সহ বাড়ছে শারীরিক নানা ব্যাধি। অ্যাপার্টমেন্ট কালচারে বেড়ে ওঠা এসব ছেলেমেয়ে শৈশব থেকেই নিমজ্জিত হচ্ছে বিষণ্নতা আর একাকীত্বের মতো জটিলতায়।

স্মার্টফোনের কল্যাণে শিশুদের লালন-পালনের কাজ এখন অনেক সহজ ও স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। তাদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে বর্ণমালা শেখানোর জন্য অভিভাবকরা প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছেন। শিশুরা এভাবেই দিনে দিনে স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। একসময় এটা স্ক্রিন আসক্তিতে রূপ নেয়। ইটকাঠের চার দেয়ালই তখন হয়ে ওঠে তাদের জীবন। আজকের শিশুরা একদিকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন, অপরদিকে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রযুক্তি আসক্তি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। এদেশে ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে সাইবার অপরাধ ও পর্নোগ্রাফি। পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, মমতা ক্রমাগতভাবেই হ্রাস পাচ্ছে।

তাহলে সমাধান কী? সমাধান অবশ্যই আছে। সেটা প্রযুক্তিকে নিয়েই। প্রকৃতি ও প্রযুক্তির যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর তা শুরু করতে হবে পরিবার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। স্কুলগুলোকে ব্যাঙের ছাতার মতো না করে প্রকৃতিবান্ধব করতে হবে। পরিবার থেকে শিশুদের ফোনে বা ক্যামেরায় প্রকৃতির ছবি তুলতে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। এতে শিশুদের প্রকৃতির সাথে সখ্যতা গড়ে উঠবে। প্রযুক্তিরও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে। শিশুরা বড়দের দেখে শিখে। তাই শিশুদের সামনে বেশি মোবাইলে সময় না দিয়ে বই নিয়ে বসতে পারেন অভিভাবকরা। এতে অভিভাবকদের দেখাদেখি শিশুরাও বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে। মোবাইল না, বাচ্চাদের হাতে বই দিন। ছিঁড়ে ফেলুক, তাও দিন।

 

লেখকঃ

রওনক মাহমুদ সৌরভ

শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

কেমন করে দেখবে ওরা এসব – রওনক মাহমুদ সৌরভ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় “ স্বপ্নতরী” নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে চারশত রিকসা চালকের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। গতকাল (শুক্রবার)  সকালে পৌর শহরের শহরের সড়ক বাজার, উপজেলার আজমপুর, গাজীরবাজার, কর্ণেল বাজার, ধরখার, তন্তর এলাকায় এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। ঈদ উপহারের মধ্যে ছিলো সেমাই, চিনি, নারিকেল, চিনি, বাদাম, কিচমিচ।

ঈদ উপহার বিতরণকালে পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া স্বপন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল মমিন বাবুল, স্বপ্নতরীর সভাপতি মাকসুদুল আলম, সাধারন সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, এসবি লিটন, মো. মোস্তাকিম, বিএম ফরহাদ, মো. মিনহাজুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বপ্নতরীর সাধারন সম্পাদক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে মানুষ খুবই অসহায় অবস্থায় আছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো কিছু করার চেষ্টা করেছি।

আখাউড়ায় চারশত রিকসা চালকের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার সময় ৮ জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২৩ হাজার ১৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কলামুড়ি গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ ওয়াসিম মিয়া, মোঃ আল-আমিন, মোঃ আকিবুর রহমান, সোলেমান মিয়া, শাহাজাহান মিয়া, মোঃ শাওয়াল মিয়া, রেনু মিয়া ও মোঃ ইয়াছিন মিয়া। তারা সকলেই সুহিলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার সকালে র‌্যাব থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুহিলপুর ইউনিয়নের কলামুড়ি গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির পাশে জুয়া খেলার সময় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার নগদ ২৩ হাজার ১৭০ টাকা ও তাস উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার সময় ৮ জুয়ারি গ্রেপ্তার

আশুগঞ্জের ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের একজনকে আটক করা হয়েছে। গত (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি হলেন মোঃ মারুফ (৩৫), পিতা-মোঃ বোরহান, থানা-মোহাম্মদপুর। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ০২ টি আইপিএস, ০১ টি ল্যাপ্টপ, ০১ টি প্রাইভেটকার, ০১ টি কার চার্জার উদ্ধার  করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মারুফ এবং পলাতক আসামীরা বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রামীন ফোনের টাওয়ারের আইপিএস চুরি করে বিক্রয় করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে চোর চক্রের ০১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি:

“আমাদের বন্ধুত্ব রইবে নির্ভর” সেই প্রতিপাদ্য নিয়ে আবরনি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে হাসপাতালের রোগীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন আবরনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পারভেজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্ত, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়, এটিএন নিউজের চিত্র সাংবাদিক সুমন রায়, বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী নুর পরশ, ডেইলী ট্রাইব্যুনালে জেলা প্রতিনিধি ইফতেহার রিফাত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আক্তার, কৃত্তি বিলাস এর সিও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন প্রমূখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীসহ গরীব ও অসহায় মানুষ করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে ইফতারসামগ্রী পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে ছিল আবরনি। আগামী সময়ে আবরনির এমন প্রচেষ্ঠা অব্যহত থাকবে।

 আবরনি সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. কাজল, হেলাল আহমেদ, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজিজ সোহেল, মো: সুহেল মিয়া, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিল্লাল হোসেন, সোহরাফ মিয়া, শিশা শিপন, জয়নাল আবেদীন বিপ্লব, ইয়াসিন রোমান প্রমূখ।

এসময় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি ২০০ শতাধিক রোগী ও স্বজনদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

হাসপাতালের রোগীদের ইফতার করালো আবরনি

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ও ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এই রোজায় যেন আপনারা কষ্ট না পান সে জন্য প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন। আপনারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন তিনি যেন আমাদেরকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১ হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সুবিধাভোগীরা খাদ্য সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। এরই মধ্যেই করোনার ঝুঁকি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশী যাত্রী প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

পরিদর্শন কালে তিনি আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিস ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালেতিনি ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো মেডিকেল টিমের সদস্য ও ভারত থেকে আসা রোগীর স্বজন সহ যাত্রীদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে এ আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন অফিসার আবদুল হামিদ। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, সম্প্রতি সময়ে আখাউড়া স্থল বন্দর হয়ে ভারত থেকে যাত্রী প্রবেশের হার বেড়েছে। এ অবস্থায় ভারত ফেরত যাত্রীদেরকে বর্তমানে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। ভারত থেকে ফেরা নাগরিকদের সংখ্যা যদি বাড়তে থাকে তাহলে পাশের জেলায় কোয়ারেন্টাইনে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় নাগরিক ব্যতিত সব ধরনের বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৬০ জন আজ বৃহস্পতিবার শতাধিক যাত্রী আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ বেড়েছে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুটি হত্যা মামলাসহ অর্ধডজনেরও অধিক মামলার আসামী বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার কাটানিসার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ এ্যাসল মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তারকৃত বকুল ইউপি সদস্য মিজান মিয়ার প্রতিপক্ষের অন্যতম নেতা। তিনি আনোয়ারা হত্যা মামলার প্রথম আসামী। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ২৯ এপ্রিল জামিনে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার একদিন পরই ১ মে গভীর রাতে বকুলের নেতৃত্বে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের জমির আধা কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়। এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে বকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সরাইল থানা সূত্র জানায়, বকুল মিয়া শুধু আনোয়ারা হত্যা মামলার প্রধান আসামী নন। তিনি ২০১৫ সালে তার ভাগিনা হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামী (জিআর-৪৬৭/১৫)। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা অস্ত্র মামলারও (জিআর-২০৫/২০) আসামী তিনি। পুলিশ এ্যাসল মামলা, দাঙ্গা ও সংঘর্ষের মামলার আসামীর তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।

সরাইলে মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।

গতকাল (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ ও রাত ৮:৩০ এ পৃথক অভিযান চালিয়ে সদর থানাধীন বিশ্বরোড ও শেরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এরশাদ মিয়া (৩৩), পিতা-মৃত জিলু মিয়া, সাং-গোকর্ণ, থানা- নাসিরনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মোঃ সাইফ খান (২৫), পিতা-মোঃ কাওছার খান, সাং-শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে দুই যুবক গ্রেপ্তার

ফেসবুকে আমরা..