সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় নওশীন আহমেদ দিয়া নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গত সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার বিকেলে আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে গভঃ মডেল হাই স্কুল ও সাবেরা সোবহান সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আদনান হোসেন উজ্জলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গার্লস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মারজিয়া আক্তার, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোহিনুর আক্তার, প্রিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে দোষী চিকিৎসকদের গ্রেফতার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে ভুল চিকিৎসায় মৃত শিক্ষিকা দিয়ার শিশু পুত্র সায়ান ইসলাম তিয়ান-(৬) অংশ নেয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর পৌর এলাকার খ্রীস্টিয়ান মোমোরিয়াল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহমদ দিয়ার-(২৯) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর নওশীন আহমেদ দিয়ার বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু মিয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার ক্লিনিকের দুই চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল এবং মোঃ শাহাদাৎ হোসেন রাসেলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গত শুক্রবার দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দিয়ার লাশ কবর উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে দাফন করা হয়।
###

ভুল চিকিৎসায় শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণকাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামে পৃথক তিন পরিবারের তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পরিবারের লোকজন ওই তিন শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ভর্তি করে। ধর্ষণের স্বীকার তিন শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

শিশুগুলোর পরিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ার পূর্ব পাড়ার শাহীন ভূইয়ার ছেলে ইমন (১৭) ওই এলাকাতেই একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শেণীতে পড়াশোনা করে।

গত রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাড়ির পাশে উঠানে কয়েকটি শিশু খেলাধূলা করছিল। এসময় তাদের মধ্য থেকে ৮বছরের দুইটি শিশুকে পাশের খলিল ভূইয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘরে ওই দুই শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই ঘরে শিশুদের এক সহপাঠি ডুকে এই অবস্থা দেখে স্থানীয়দের জানালে তারা ইমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। এই অবস্থায় স্থানীয় মাতবররা এই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আপোষ করার কথা বলে।

এর আগে গত শুক্রবার (১৫নভেম্বর) দুপুরে একই এলাকার ৯বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এই ইমনের বিরুদ্ধে। ওই শিশুর মা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানায়, ওই শিশুটির বাবা প্রবাসে থাকেন। শুক্রবার দুপুরে শিশুর মা বাড়িতে রান্না করছিলেন। রান্নার সময় শিশুটিকে পাশের দোকানে পাঠায় তার মা। এসময় একই এলাকার ইমন শিশুটিকে ফুসলিয়ে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সে বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন জানান, শিশুদের ডাক্তারী পরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে আসলে কি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
###

স্কুল ছাত্রের বিরুদ্ধে তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুমন আহম্মেদঃ
আজমপুর, টানপাড়া রেল ক্রসিং এ ট্রেনের নিচে পড়ে বৃদ্ধ মহিলা পা কাটা পড়েছে।
আজ বিকালে ঢাকা অভিমুখী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে পড়ে গুরুত্ব ভাবে আহত হয়েছে ফুলচান বেগম(৭৫)। তখন দুর্ঘটনায় মহিলাটির ডান পা শরীল থেকে আলাদা হয়ে যায়। তিনি আখাউড়া উপজেলার টানপাড়া গ্রামের মৃত কমল মিয়ার স্ত্রী।

আহত ফুলচান এখন অসুস্থ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপিডিক্স বিভাগে ভর্তি আছে।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সাইদুর রহমান বলেন- রোগীর অবস্থা আশংকাজনক, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে রোগির। তাই এখন রোগিকে রক্ত দিলে তাকে বাচানো সম্ভব হবে।
###

ঢাকামুখী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের চাপায় পা হারিয়েছে বৃদ্ধ মহিলা–

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলেকে নেশার টাকা না দেওয়ায় মাকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
আজ ১৭ই নভেম্বর দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে শাহিদা বেগম(৫৫) নামের এক মহিলাকে নেশার টাকা জন্য মারধর করেন তারই বড় ছেলে মুরাদ মিয়া(২৫)। শাহিদা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উত্তর মৌড়াইলের মৃত জামাল মিয়ার স্ত্রী।

শাহিদা বেগম বলেন- প্রায় ৮ বছর আগে তার স্বামী জামাল মিয়া স্টোক করে মারা যায়। তারপর থেকে তার বখাটে ছেলে মুরাদ মিয়াকে নিয়ে ছোট ছেলের থেকে আলাদা হয়ে যায়। নিজের মেয়েদের টাকায় সংসার চালায়। প্রায় সময় টাকার জন্য আমাকে মারধর করে, টাকা না পাইলে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করেন। আমি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- শাহিদা বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। মেয়েদের টাকায় কোন মতে সংসার চলে।নেশা করার জন্য মুরাদ টাকা না পেলে সে মা’কে টাকার জন্য মারধর করে। তার বখাটে ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।এ নেশামুক্ত সমাজ থেকে কবে রক্ষা পাবে অসহায় ও অবাগী মা।
###

নেশার টাকা না দেওয়ায় মা’কে মারধর-

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা অন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুসহ বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচায্রের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার, জেলা জাসদের সভাপতি আক্তার হোসেন, নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলাম, ওয়ার্কার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাখার সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এখানে যতগুলো আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করে যাত্রীর তুলনায় সেটি অপ্রতুল। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন অন্তঃনগর ট্রেনে জেলাবাসী যাত্রা করে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের অনেক আসন কেটে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে যাত্রীদের দুভোর্গ দিন দিন বাড়ছে।

বক্তারা আরো বলেন, ঢাকা-চট্রগাম রেলপথে ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস নামে একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু কারার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন এর যাত্রাবিরতি ও যাত্রাবিরতি দেওয়া অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর আসন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধন শেষে জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের কাছে জমা দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন ট্রেন চালু ও দুটি ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় সফিকুল ইসলাম-(২৬) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বৈষ্ণবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিকুল ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই যুবককে আটক করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বৈষ্ণবপুর গ্রামের আবুল খায়েরের গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে একই গ্রামের জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কিছুদিন আগে স্থানীয়ভাবে সালিশ করে এই বিরোধের নিষ্পত্তি করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আবুল খায়েরের গোষ্ঠীর রুবেল মিয়ার বাড়িতে যায় জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর ইমাম হোসেন। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে রুবেলের স্ত্রীকে ইমাম হোসেন ঝাপটে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় বাকপ্রতিবন্ধী সফিকুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিবাদ করে।

পরে রুবেল বাড়িতে এসে ইমাম হোসেনকে আটক করে। রুবেল রাতেই বিষয়টি এলাকার কয়েকজনকে অবহিত করেন।
এক পর্যায়ে ইমাম হোসেন সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তার গোষ্ঠির লোকজনকে জানায়, রুবেলের বাড়ির লোকজন তাকে আটকে রেখে মারধর করেছে। ইমাম হোসেনের কাছে একথা শুনে জামাল মিয়ার গোষ্ঠির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাকপ্রতিবন্ধী সফিকুল ইসলাম দোকানে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সংঘর্ষে সিরাজ মিয়া-(৫০), আহাম্মদ আলী-(৬৫), আশেক মিয়া-(২৪), বাদশা মিয়া-(১৮), ইসমাইল মিয়া-(৩০), রুবেল মিয়া- (২৮), তাজুল ইসলাম-(৫৬), আহাদ মিয়া-(৩৮), শাবলু মিয়া-(২২), মুসা মিয়া-(২৮) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। তিনি বলেন, মেয়েলী ঘটনার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
###

গৃহবধূকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা ॥ আটক-২

সুমন আহম্মেদঃ
কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার (১১ নভম্বের) এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটে।এখন পর্যন্ত ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে।আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা- চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে ওই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ইউএনও মাসুদ উল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ৯টি লাশ রয়েছে, এরমধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চার জন নারী। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জন ভর্তি হন, তারমধ্যে দুজন মারা গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। কুমিল্লায় ৯ জন ভতি হন, তারমধ্যে একজন মারা গেছেন, তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। উদ্ধার কাজ চলছে। আমরা কন্ট্রোল রুমও খুলেছি। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন,প্রায় ১০০ লোক আহত হতে পারেন।’

ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রসাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসন হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলো ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত কওে প্রত্যকে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতদেরকে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ.নিহত ১৭

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি “ ভাঙ্গারির” দোকান থেকে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষার ২৯৪টি উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। খাতাগুলো বিএ এবং বিএসএস ২০১৮ এর সমাজতত্ব- ২এর।

শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন রোডের একটি ‘ভাঙ্গারির’ দোকান থেকে বিপুল পরিমান এই উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।

গত ৭ নভেম্বর জেলার কসবা উপজেলার সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্মের প্রভাষক মোঃ ছায়েদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় খাতাগুলো হারিয়ে ফেলেছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি নিজেই খাতাগুলো খুঁজে পান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন ও প্রভাষক ছায়েদুর রহমান উত্তরপত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে কসবা উপজেলা সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া বিষয়টি জানে না বলে জানান। তিনি জানান, প্রভাষক ছায়েদুর রহমান বিষয়টি তাঁকে জানান নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় প্রভাষক ছায়েদুর রহমানের দায়ের করা জিডিতে বলা হয়, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বণিকপাড়ায় বসবাস করেন। গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র কুমিল্লা থেকে বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষার ২০১৮ এর উত্তরপত্র নিয়ে কুমিল্লা থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। দুপুর দেড়টার সময় তিনি ট্রেন থেকে নেমে রিকশা ডাকতে যান। পরে এসে দেখেন খাতা ভর্তি বস্তাটি নেই।

এ ব্যাপারে প্রভাষক ছায়েদুর রহমান খাতা খোঁজে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টোকাইয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেই খাতাগুলো খুঁজে পেয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি স্টেশন রোড এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকান থেকে খাতাগুলো উদ্ধার করেন। সব খাতাই অক্ষত আছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, শনিবার এ বিষয়ে থানায় জিডি হয়। থানা পুলিশ ও ওই ব্যক্তি স্টেশনের আশপাশ এলাকায় খাতার খোঁজে নামেন। বিকেলে স্টেশন রোডের একটি ভাঙ্গারির দোকান থেকে খাতাগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই প্রভাষক রিক্সা আনতে যাওয়ার সুযোগে টোকাইরা খাতাগুলো নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কসবা সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। প্রভাষক ছায়েদুর রহমান বিষয়টি তাঁকে জানান নি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “ভাঙ্গারির” দোকানে মিলেছে বিএ,বিএসএস’র ২৯৪ উত্তরপত্র!

সুমন আহম্মেদ ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশীদের ১৪তম প্রয়াণ দিবসে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে স্মরন সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এস.আর. ওসমান গনি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রা, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশীদ-এর লেখা ছড়াগান ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধ্যাপক হারুনুর রশীদের প্রয়াণ দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ ২০১৯-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ- দৌলা খান প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধন করেন।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ কবীর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ আয়োজন কমিটির আহবায়ক মোঃ আবুল কাশেম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী।

এবারের জেলা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে ৮টি দল অংশ গ্রহণ করবে। উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখী হয় বিজয়নগর উপজেলার রূপসী বাংলা ক্রীড়া চক্র বনাম সদর উপজেলার সুলতানপুর রাজা মিয়া একাদশ।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধন

ফেসবুকে আমরা..