সুমন আহম্মেদঃ
আখাউড়া যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজনকে হত্যার হুমকি এবং দৈনিক মানবজমিন আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষুব্দ সাংবাদিকরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকগন অংশ নেন। প্রতিবাদ সমাবেশে কসবা-আখাউড়ার(ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) সংসদ সদস্য এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হককে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়ারও আহবান জানান জেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহিন,টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, দৈনিক সমকালের ষ্টাফ রিপোর্টার আব্দুন নূর, মাই টিভির আ.ফ.ম কাউছার এমরান,সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম,দেশরূপান্তরের মো: মনির হোসেন,এনটিভি’র শিহাব উদ্দিন বিপু,সময় টিভি’র ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী,

যমুনা টিভি’র শফিকুল ইসলাম, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, দৈনিক করতোয়ার শাহজাহান সাজু,জিটিভি’র জহির রায়হান,আখাউড়া টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাসুক হ্নদয় প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মোহনা টিভির নজরুল ইসলাম শাহজাদা। এছাড়াও মানবন্ধনে অংশ নেন নাগরিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত,বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলাল,দৈনিক প্রথমআলোর শাহাদত হোসেন,প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি মজিবুর রহমান খান,আজকালের খবর প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক চৌধুরী,আরটিভি’র আজিজুর রহমান পায়েল,এশিয়ান এজ’র আশিকুর রহমান মিঠু,এটিএন বাংলার ইসহাক সুমন,এসএটিভি’র মনিরুজ্জামান পলাশ,জাগোনিউজ টুয়েন্টি ফোরের আজিজুল আলম সঞ্চয়,মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের আশেক মান্নান হিমেল,ডিবিসি’র খন্দকার রায়হান,বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোরের মেহেদী নূর পরশ।

এতে বক্তারা বলেন, মেয়র কাজলের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিক বিজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তারা বিজনের হাত-পা কেটে নেয়ার জন্যে দেড় কোটি টাকা বাজেটও ঘোষনা করেন। কয়েক’শ মানবজমিন পুড়িয়ে ফেলেন। সন্ত্রাসীদের এই তৎপরতা পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য উদ্বেগজনক জানিয়ে তারা বলেন-ঘটনার ১১দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত হত্যার হুমকিদাতা এবং পত্রিকা পুড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের প্রতি সন্ত্রাসীদের প্রতি আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়ারও আহবান জানান।

তারা বলেন মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কাজল নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার ভয়ে আখাউড়ার মানুষ তটস্থ। পরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। বিক্ষোভ মিছিলে ‘সন্ত্রাসীরা মুক্ত কেন,প্রশাসন জবাব দাও’-বলে স্লোগান দেন সাংবাদিকরা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ,আইনমন্ত্রীর প্রতি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়ার আহবান-

সুমন আহম্মেদঃ
ক্যারামবোড খেলা নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের নাড়িভূঁড়ি বের করে ফেলেছে ফাইজুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবক।

সন্ধ্যা ৬.০০ ঘঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরায় ক্যারামবোর্ড খেলা নিয়ে তর্কাতর্কি হওয়ার পর বাপ্পী (২২) নামে যুবককে ছুরিকাঘাত করে নাড়িভূঁড়ি রাস্তায় বের করে ফেলেন একই এলাকার তিন ভাই। গুরুত্ব আহত বাপ্পী সদর উপজেলার ঘাটুরা, গৌতমপাড়ার জরু মিয়ার ছেলে। সে ট্রাক ড্রাইভার হিসাবে কাজ করতো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- গতকাল বিকালে ক্যারামবোর্ড খেলা নিয়ে রাইজুল ইসলামের(১৮) সাথে বাপ্পীর তর্কাতর্কি হওয়ার পর ফাইজুল ইসলাম(২০) বাপ্পীর পেটে ছুরিকাঘাত করে তারপর তার নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে যায়। হামলাকারী ফাইজুল ইসলাম(২০), রাইজুল ইসলাম(১৮), সাইফুল ইসলাম(৩২) একই এলাকার মোহাম্মদ উল্লার ছেলে।

গরুত্ব আহত অবস্থায় বাপ্পীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগরে চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান ফায়েজ বাপ্পীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়য়ায় ক্যারামবোর্ড খেলা নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের নাড়িভূঁড়ি বের করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ –

ফেসবুকে আমরা..