সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ সাগর চৌধুরী-(২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় পৌর এলাকার পূর্ব পাইকপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাগর চৌধুরী বিজয়নগর উপজেলার চতুরপুর গ্রামের হিরন চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাগর চৌধুরী একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###

২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সোহাগ মিয়া-(৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আউলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ মিয়া উপজেলার কেশবপুর গ্রামের এলাই মিয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়জুল আজীমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
###

বিজয়নগরে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে জোৎস্না বেগম-(২৬) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোৎস্না স্থানীয় রেলওয়ে কলোনীর শামীম মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূ রেললাইন পারাপারের সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
###

আখাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১৮টি চাইনিজ কুড়ালসহ মোঃ আলমগীর হোসেন-(৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় কসবা পুরাতন বাজারের আনন্দ গ্লাস হাউজ থেকে এই কুড়ালসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর কসবা পৌর এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের মরহুম আবদুল মালেকের ছেলে ও আনন্দ গ্লাস হাউজের মালিক। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় কসবা পুরাতন বাজারের আনন্দ গ্লাস হাউজে অভিযান চালিয়ে ১৮টি চাইনিজ কুড়ালসহ দোকান মালিক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন নাশকতার জন্য কুড়ালগুলো এখানে আনা হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
###

কসবায় ১৮ চাইনিজ কুড়ালসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত ও বিকেলে পৃথক অভিযানে পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এবং সদর উপজেলার মজলিশপুর বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জেলার নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া গ্রামের মোঃ রাজিব মিয়া-(২৭), একই উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ মামুন-(২০), জুবায়ের-(২০), ]

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডা গ্রামের মোঃ বসির আহমেদ মারুফ-(২৮), একই এলাকার মোঃ সাফি মিয়া-(৩১) এবং সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার মোঃ শাহ আলী প্রকাশ এন্তা-(৩২)।

পুলিশ জানায়, বুধবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৌরতলা বাসস্ট্যান্ডে মাদক বিক্রির সময় ১১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী রাজিব মিয়া, মামুন মিয়া, জুবায়ের, বসির আহমেদ মারুফ এবং মোঃ সাফি মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপর দিকে বুধবার বিকেলে পৃথক অভিযানে সদর উপজেলার মজলিশপুর বাজার থেকে মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলী প্রকাশ এন্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
###

২৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বুধবার ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে গতকাল বুধবার সকালে হাসপাতালের অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহ আলম।

ডাঃ কাওছার হাবিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকিব উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন মা-মনি’র উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ সামছুল আলম, স্বাস্থ্য সহকারি শরিফুল রহমান, শফিউল আলম, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হুমায়ুন কবির খান ও ওয়ার্ড ইনচার্জ আসমা আক্তার।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, এডিস মশার আক্রমনের ফলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তার ঘটে। তাই ডেঙ্গু রোগের এডিস মশার বংশ বিস্তার ও ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত না হয়ে ব্যক্তি,পরিবার ও সমাজকে এ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। কর্মশালায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ এনজিও’র প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
###

নাসিরনগরে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা

সুমন আহম্মেদঃ
‘বিশ্বজুড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পথ চলার বছরপূর্তি হয়েছে অনলাইন টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি’র। আর এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের। আর এতে প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তি,সাংবাদিক,সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতি কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো: শামসুজ্জামান। অতিথি হিসেব আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার প্রশান্ত বৈদ্য,ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম,সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন,অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি আবদূন নূর,প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি।অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ড্রিম ফর ডিজএ্যাবেলিটির মো: হেদায়েতুল আজিজ মুন্না। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির কর্নধার সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ সুবীর। একবছর আগে যাত্রা শুরু করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এরই মধ্যে দর্শক-শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন অনলাইন ভিত্তিক এই টেলিভিশন এলাকার মানুষের সংবাদ চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখছে। সংবাদ পরিবেশনায় নতুনমাত্রা যুক্ত করা ছাড়াও সংবাদের বিষয়-বৈচিত্র্যের কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি এগিয়ে গেছে। আগামীদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা-সংস্কৃতি,ঐতিহ্য,উন্নয়ন-অগ্রগতির খবর তুলে ধরা ছাড়াও এই জেলার মানুষের সুখ-দুখের খবর তুলে ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দৈনিক প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদত হোসেন। আলোচনা সভার পর কেক কাটেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা,সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মো: সাদেকুর রহমান ও আ ফ ম কাউসার এমরান,দৈনিক মানবজমিনের ষ্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজন,বাংলাভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশিকুল ইসলাম,বাংলাদেশ প্রতিদিন’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলাল,এনটিভি’র ষ্টাফ রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন বিপু,যমুনা টিভি’র শফিকুল ইসলাম,৭১ টিভির জালাল উদ্দিন রুমি,সংবাদ প্রতিদিন’র প্রতিনিধি মজিবুর রহমান খান,আরটিভি’র আজিজুর রহমান পায়েল,নিউজ টুয়েন্টি ফোরের মাসুক হ্নদয়,একুশে টিভি’র মীর মো: শাহীন,এসএ টিভি’র মনিরুজ্জামান পলাশ,মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের আশেক মান্নান হিমেল,জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর প্রতিনিধি আজিজুল আলম সঞ্চয় ও দৈনিক নবচেতনার শফিকুল আলম স্বপন।
###

বিশ্বের দরবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তুলে ধরছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি বছরপূর্তির আলোচনায় বক্তারা

সুমন আহম্মেদঃ
অবশেষে সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার ঐতিহাসিক বধ্যভূমিতে “ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার স্থান, এই স্থানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হইল”। এধরনের লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত সোমবার বিকেলে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে দখলকৃত ওই জায়গায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গণহত্যার স্থানের স্বীকৃতির সাইনবোর্ডটি স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা,

মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। এ সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া অনাপত্তিপত্রের প্রতিবেদনটিও তিনি বাতিল ঘোষণা করেন। ফলে দখলমুক্ত হয়েছে বধ্যভূমি ও সওজের জায়গা। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ছাড়াও স্থানটি নৌঘাট হওয়ায় নিয়মিতই অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করত।

এদের মধ্যে চুন্টার সংখ্যালঘু সমাপ্রদায়ের এক পরিবারের ২২ জন হত্যার ঘটনাটি ছিল চাঞ্চল্যকর। এসব কারনে এ জায়গাটি বধ্যভূমি হিসাবে স্বীকৃত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে’ও এর দালিলিক প্রমাণসহ উল্লেখ করেছেন অনেক লেখক। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় একটা কিছু করার চেষ্টা করে আসছিলেন। সওজের খাল সংলগ্ন পশ্চিম পাশে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ মৌজার ৪৭৩৬ দাগের ২২ শতাংশ ভূমির মালিক ছিলেন চাকসার গ্রামের আবদুস সাত্তার ও তার ভাতিজা আবদুল আহাদ ছিলেন ৮৮৩১ দাগের ১২ শতক জায়গার মালিক। জায়গাটির ৪০-৫০ গজের মধ্যে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি।

১০ বছর আগে ওই দুইদাগের ৩৪ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন ফরহাদ রহমান। পরে তিনি পানি নিষ্কাশনের খাল ধর্মতীর্থ নৌঘাট, ধর্মতীর্থ বধ্যভূমি ও সওজের জায়গা পর্যন্ত মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সহায়তায় ওই বধ্যভূমিতে ১২ ফুট উচ্চতা ও ৪ ফুট প্রস্থের লোহার তৈরী একটি ফলক স্থাপন করেন। ফলকে ৪৬ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকাযুক্ত সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এক বছর পরই সাইনবোর্ডটি চুরি হয়ে যায়।

২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বধ্যভূমিটি সরজমিনে পরিদর্শনও করেছেন। গত ১৮ জুন ওই জায়গায় ‘এম আবদুল্লাহ ফরহাদ ফিলিং ষ্টেশন’ নামে একটি পেট্রোল পাম্প করার অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অনাপত্তির আবেদন করেছেন ফরহাদ রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ ফরহাদ। ৪ জুলাই জেলা প্রশাসক ২০৪ নং স্বারকে তদন্ত করে অনাপত্তি প্রতিবেদন চেয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। ইউএনও দেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকাকে। সহকারি কমিশনারের মৌখিক নির্দেশে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করেন সার্ভেয়ার ও কাননগো মো. ইব্রাহিম খান। সহকারি কমিশনার প্রতিবেদনটি ৯ জুলাই প্রেরণ করেন ইউএনও’র কাছে। ইউএনও ওই প্রতিবেদনটি গত ১০ জুলাই প্রেরণ করেছেন জেলা প্রশাসকের দফতরে। আর ১০ জুলাই রাতেই বধ্যভূমি থেকে উধাও হয়ে যায় ৪৬ জন শহীদের নাম সম্বলিত ফলকটি। তবে প্রতিবেদনের সাথে বাস্তবতার কোন মিল না থাকার বিষয়টি চাওর হতে থাকে গোটা সরাইলে। এ ঘটনায় ২০ জুলাই জাতীয় একটি দৈনিকে “নেপথ্যে সওজের জায়গা দখল, সরাইলে বধ্যভূমি থেকে ৪৬ শহীদের নাম ফলক উধাও” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের। ঘটনার ১ মাস ২৩ দিন পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ‘ধর্মতীর্থ গণহত্যা’ নামক স্থানটিতে ছুটে যান সরাইলের ইউএনও এএসএম মোসা। এর আগে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলকে উপস্থিত থাকার আহবান জানান। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে যান ওই বধ্যভূমিতে।

উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, কালিকচ্ছ ইউপি কমান্ডার রমেশ চন্দ্র দেব সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক এমপি মৃধা বধ্যভূমির স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত একটি ফেনা লাগানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এএসএম মোসা বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য লোকদের সহায়তায় মূল বধ্যভূমিটি চিহ্নিত করেছি। পরে সেখানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি।
###

অবশেষে সরাইলের বধ্যভূমিতে প্রশাসনের সাইনবোর্ড ॥ অনাপত্তিপত্র বাতিল ঘোষণা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরে অবশেষে থানায় বিয়ে হয় প্রেমিক-প্রেমিকার। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে সোমবার দুপুরে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামীর উপস্থিতিতে আলোচিত প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে পড়ান আখাউড়া পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) মাওলানা কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি।

পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করান। নব-দম্পতি উপস্থিত সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের বাছির খন্দকারের ছেলে তোফাজ্জল খন্দকার-(২১) এর সাথে একই ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে মাইশা মনি মেঘলার-(১৮) দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

গত কয়েকদিন আগে মেঘলা একই গ্রামে তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় তোফাজ্জল মেঘলার সাথে দেখার করতে যায়। রাতে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে স্থানীয়রা।

পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন তাদেরকে বিয়ের ব্যাপারে রাত ১১টা পর্যন্ত উভয় পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে। বিয়ের বিষয়ে মেঘলার পরিবার সম্মতি দিলেও বেঁকে বসেন তোফাজ্জলের পরিবার। অবশেষে রাতেই প্রেমিক যুগলকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

সোমবার দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে হয়। পরে থানার ওসি রসুল আহমদ নিজামী উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করান।

এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এবং উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে সোমবার দুপুরে তাদের বিয়ে হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) মাওলানা কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি বলেন, সোমবার দুপুর দুইটায় থানার ভেতরে উভয়পরিবারের সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চার লাখ টাকা দেন মোহরে প্রেমিক যুগলের বিয়ে পড়ানো হয়েছে।
###

আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরে অবশেষে আখাউড়া থানায় প্রেমিক যুগলের বিয়ে

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অগ্নিকান্ডে নগদ ত্রিশ হাজার টাকাসহ একটি বসতঘর সম্পূর্ন ভস্মীভূত হয়েছে। গত রোববার বিকেলে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামের রুবেল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সকালে এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে জেলা প্রশাসকের জিআর ক্যাশ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত রোববার বিকালে চাপরতলা গ্রামের রুবেল মিয়ার ঘরে আগুন লাগে । আগুনে রুবেল মিয়ার ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, মেশিন, ধানসহ ঘরটি সম্পূর্ন পুড়ে যায়। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত রুবেল মিয়া জানান।
###

নাসিরনগরে অগ্নিকান্ডে বসতঘর ভস্মীভূত

ফেসবুকে আমরা..