botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি ভ্যানে করে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার পৌঁছে দিতে আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

“শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর সাব-জোনাল অফিসের উদ্যোগে উপজেলা সদরের কুলিকুন্ডা গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালার উদ্বোধন করা হয়। নাসিরনগর সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় প্রকৌশলী আবদুল্লাহ বাকী, ওয়ারিং পরিদর্শক মোঃ মানিক মিয়াসহ সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন থেকে বিদ্যুৎ অফিসে না গিয়ে এই ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা থেকে মিটার সংযোগসহ সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থিত থাকলেই তাৎক্ষণিকভাবে মিলবে এই সেবা।

এজিএম মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে বিদ্যুৎ এলাকা ও বাড়ি ঘরে স্বল্পসময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য কাউকে কোনো টাকা প্রদান না করার জন্য তিনি গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ করেন।
###

নাসিরনগরে আলোর ফেরিওয়ালার কার্যক্রম শুরু

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মিরহাটি এলাকায় বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার গফুর মিয়ার ছেলে সাবু মিয়া (২৫) ও একই এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে সাচ্চু মিয়া (৩৫)।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন।
দুপুরে দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। নিহত দুইজনই পুরুষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
                                                            ###

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কে প্রান গেল অটোরিকশার ২ যাত্রীর

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের বাসিন্দা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ টিমের সদস্য, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা ও আশুগঞ্জ আলাল শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমরেড ঈসা খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজেউন)।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।
###

কমরেড ঈসা খানের ইন্তেকাল ॥ আজ জানাযা

 

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাজিয়াতলী সীমান্তের শূন্য রেখায় টানা ৪দিন অবস্থানকারী শিশুসহ ৩১ রোহিঙ্গা নর-নারীকে অবশেষে ফেরত নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজিয়াতলী সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে তাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মান্নান জাহাঙ্গীর ও বিজিবির সূত্র বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের কাজিয়াতলী সীমান্তের ২০২৯ নং পিলারের কাছ দিয়ে কাটাতারের বেড়া অতিক্রম শিশুসহ ৩১ রোহিঙ্গা নর-নারীকে বাংলাদেশের পাঠানোর চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা তাদের বাঁধা দিলে ৩১ রোহিঙ্গা সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়। গত ৪দিন ধরে প্রচন্ড শীতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে রোহিঙ্গা শিশুরা। বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার বিজিবি ও বিএসএফ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোন সমাধান হয়নি।

সোমবার বিএসএফ’র পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২টি তাবু টানিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া তাদেরকে খাবারও সরবরাহ করা হয়।মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিএসএফ তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মান্নান জাহাঙ্গীর বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভারতীয় সীমান্তের কাটাতারের ভিতর দিয়ে ৫/৬টি গাড়িতে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে শূন্যরেখার কাছে দায়িত্বপালনরত অতিরিক্ত বিজিবি সদস্যদের চৌকিও গুছিয়ে কাজিয়াতলী ক্যাম্পে নিয়ে আসে বিজিবি।

২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ. কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির বিষয়টি মুঠোফোনে সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেছেন।
###

অবশেষে কসবার সীমান্তরেখা থেকে ৩১ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে বিএসএফ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বলে পরিচিত অরুয়াইল এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের প্রতিদিন স্থানীয় ছেতরা নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে ৬৫০ ফুট লম্বা একটি বাঁশের সাঁকো। শুষ্ক মৌসুমে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও নদীর ওপর কোন ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে না।

একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও তারা কোন আশার আলো দেখছেন না। তবে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রকল্প প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন আগেই পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর, কাকুরিয়া, চর-কাকুরিয়া, সিঙ্গাপুর, রাণীদিয়া, বানিয়ারটেক, পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর, ষাটবাড়িয়া, হরিপুর, ফতেপুরসহ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অরুয়াইল বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করে।

বিশেষ করে এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাদিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অরুয়াইল আবদুস সাত্তার কলেজ ও অরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। আসা-যাওয়া করতে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহায়।

অরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম আদনান, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবদুল হাকিম, দশম শ্রেণীর হুমায়রা ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি জানায়, তাদের সবার বাড়ি রাণীদিয়া ও বানিয়ারটেক গ্রামে।

তারা বলে, এই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই পায়ে পেরেক ঢুকে যায়। বৃষ্টির মধ্যে চলতে গিয়ে পা পিচলে যায় আবার অনেক সময় পা তরজার ভেতর ঢুকে যায়। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।

কাকুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম আলী ক্ষোভ ও হতাশার সাথে বলেন, এমন অবহেলিত আর কোন এলাকা আছে বলে আমার জানা নাই। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও পাস করার পর তারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভুলে যান।

এলাকাবাসী জানান, এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। তবে এই সাঁকো নির্মাণে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কোন ভূমিকা নেই। রাণীদিয়া গ্রামের ১৭টি দরিদ্র পরিবার যৌথভাবে তাদের নিজেদের অর্থে এ সাঁকো নির্মাণ করেন। বিনিময়ে সাঁকো ব্যবহারে তারা জনপ্রতি ২টাকা করে টোল আদায় করেন। ৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এই সাঁকো নির্মানে প্রথমে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয় বলে দাবি করেন নির্মাতাদের একজন রহমত আলী। তিনি জানান, এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে তারা নিজেদের অর্থে এই সাঁকো নির্মাণ করেন। তিনি বলেন, কার্তিক মাসে তারা সাঁকো বসান এবং জৈষ্ঠ মাসে সাঁকো খুলে ফেলেন। প্রতিদিন দেড়-দু’হাজার টাকা আয় হয় বলে তিনি জানালেও প্রকৃতপক্ষে দৈনিক আয় আরো বেশি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসিফ ইকবাল খোকন বলেন, এলাকার হাজার হাজার মানুষের কথা বিবেচনা করে ছেতরা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী। বিশেষ করে এলাকার শত শত শিক্ষার্থীর দুর্ভোগের জন্য হলেও এখানে ব্রীজটি হওয়া খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান জানান, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিমের সহায়তায় উল্লেখিত স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব আমব্রেলা প্রকল্পভূক্ত করিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন করাতে পারেননি। সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল মৃধাও প্রকল্পটি নিয়ে ডিও লেটার দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও সফল হতে পারেন নি।

তিনি আরো জানান শুধু অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের ৮/১০ গ্রামের মানুষজনই নয় এপথ দিয়ে পাশ্ববর্তী ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার ১০/১৫টি গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে চলাচল করে থাকেন। ছেতরা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ব্রীজটি খুবই জরুরী। অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। মানুষের কষ্টের শেষ নাই। এখানে একটি ব্রীজ হলে অরুয়াইল বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যের এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ছেতরা নদীতে ব্রীজ নির্মাণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী ইমদাদুল হক বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা প্রজেক্টে এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
###

সরাইলে ১০ গ্রামবাসীর চলাচলে ভরসা ৬৫০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো !

 

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজমুল হক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন জানান। তবে অভিযোগকারীরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হকের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগকারীরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হকের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামের বাসিন্দা শামীম উন বাছিরের বাড়িতে গত রবিবার সন্ধ্যায় ও সোমবার সকালে দুই দফায় এই ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

হামলাকারীরা বাছিরের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফলে, ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে বলে অভিযোগ করা হয়।

শামীম উন বাছিরের ছোটবোন তাহমিনা আম্বিয়া জ্যোতি বলেন, এলাকার একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুলের সাথে তার ভাইয়ের বিরোধ চলে আসছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় তাদের শহরের মৌলভীপাড়াস্থ বাসার সামনে বাছিরের সাথে চেয়ারম্যানের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন তাদের বাড়িতে দু’দফা হামলা-ভাংচুর চালায়।

বাছিরের খালাতো ভাই কামাল উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হকের সাথে বাছিরের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। এসবের জের ধরে চেয়ারম্যান ও তাঁর সমর্থকরা বাছিরের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ঘটনার পর চেয়ারম্যানের সমর্থকরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যায় বাছির আমাকে তাঁর বাড়ির সামনে লাঞ্ছিত করেছে। আমি এ ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছি। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য সে নিজেই তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ভাঙচুরের বিষয়টি এলাকার লোকজনের মাধ্যমে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আপনাদের কাছে আমি ঋনী। আমি আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত। আমি আজীবন আপনাদের সেবক হয়ে বাঁচতে চাই।

তিনি গতকাল রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের বাসুদেব, মাছিহাতা ও সুলতানপুর ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদ, মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ ও সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মোকতাদির চৌধুরী এমপি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আমি আপনাদের সকলের সহযোগীতা চাই। তিনি বলেন, আমি আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য, একটি আধুনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঠনের জন্য কাজ করছি। আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী,

টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদেরকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, প্রতিটি গ্রামকেই শহরে পরিণত করা হবে। আমিও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য কাজ করছি। তিনি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রতিটি কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করার আহবান জানান।

মত বিনিময় সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতা-কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। বাসুদেব ইউনিয়নের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের আলম, সুলতানপুর ইউনিয়নের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও এবং মাছিহাতা ইউনিয়নের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাবেল।

###

তিন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মোকতাদির চৌধুরী এমপি

 

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে উপজেলার সব কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা বিতরণ ও জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলনে গণসচেতনতা সৃষ্টি, জাতীয় সংগীত শুদ্ধ সুরে গাওয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মন্ত্রীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাত্রলীগের দেয়া পতাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মৌসুমী আক্তারের হাতে তুলে দেন। এ সময় মন্ত্রী এই কর্মসূচির প্রশংসা করেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু ও সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন জানান, সম্প্রতি তাদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে একটি ভালো কর্মসূচির চিন্তা করেন তাঁরা। এরই মধ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকির সময় এসে যায়। এ অবস্থায় তাঁরা পতাকা বিতরণ, সঠিকভাবে পতাকা উত্তোলনে গণসচেতনতা,

শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত গাওয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রীর মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পতাকা বিতরণ করা হবে ও গণসচেতনার তৈরির কর্মসূচি শুরু করা হবে।
###

উদ্বোধন করে প্রশংসা আইনমন্ত্রীর আখাউড়ায় জাতীয় পতাকা ও সংগীত নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অসহায় ও দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা।

গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে থাকা অসহায় শীতার্তদের মাঝে তিনি এই কম্বল বিতরণ করেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রঞ্জন সহ উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
###

আশুগঞ্জে শীতার্তদের মাঝে ইউএনওর কম্বল বিতরন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত এবং ৬জন আহত হয়েছে।শনিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার শশই নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন বাসের চালক মোঃ আনোয়ার হোসেন-(৫৫) এবং ট্রাকের হেলপার মোঃ ইউনুস মিয়া-(২৫)।

নিহত আনোয়ার মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে এবং ইউনুছ মিয়া নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহি বাস (ঢাকা মেট্টো- ব- ১৫-৩২১৩) শনিবার ভোর ৫টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণ্যবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্টো-ট-১৮-৬৪৫) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চালক ও ট্রাকের হেলপার মারা যায় ও বাসের ৬ যাত্রী আহত হয়।

তিনি বলেন, পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে এবং আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা ও বাকিদেরকে সিলেটে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘন কুয়াশার কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।
###

বিজয়নগরে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত-২

ফেসবুকে আমরা..