দেশের ক্রমবর্ধমান সফলতা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে অাগামি নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অাবরনি’র উদ্যােগে বিশেষ মোনাজাত ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও অাবরনি’র নির্বাহী পরিচালক সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ব্যাপক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া।

ইফতার অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রতিবেদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ শাহীন, দ্য ডেইলি স্টার’র জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক অাহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সৈয়দ অারাফাত, সহসভাপতি অশেষ রায়, জয়নাল অাবেদীন, তানভীর অাখতার, অাশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক মামুন, সহসভাপতি সজিবুর রহমান, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ, সরাইল ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য অামিন খান, সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল অাসাদ সিজার প্রমুখ।

এছাড়া সংগঠন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শারমিন সুলতানা, সদস্য নুরুল অামিন নুরু, সুমন অাহমেদ, হেলাল অাহমেদ, ইমরান মিয়া, বিপ্লব হোসেন, ফাহিম ও ইসরাত।

ইফতারের সময় বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারকে আগামী নির্বাচনে পূর্ণরায় রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আনার জন্য মহান সৃস্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।মসজিদে  আমীর এর ইমাম এরশাদ হুজুর ও হাফেজ এখলাসুর রহমান।

###

আ ব র নি’র উদ্যােগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

botvনিউজ:

আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইদুল ইসলাম শান্ত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। সাইদুল ইসলাম শান্তÍ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার অহিদ মিয়ার ছেলে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ’র চাচাতো ভাই। তাঁর বুকে দুইটি গুলি লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একটি বিদেশী পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ তিন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অপর দিকে গুলিবর্ষনের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লিমন আল স্বাধীনকে সংগঠন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ও পৌর ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার মেড্ডা ট্রাক টার্মিনালে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন।

ইফতার মাহফিল চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ সেখানে গিয়ে ছাত্রলীগে অনেক বেয়াদব ঢুকে গেছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ নিয়ে তার সাথে উপস্থিত কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। ইফতারের কিছুক্ষণ আগে মোকতাদির চৌধুরী এমপি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার কয়েক মিনিট পর সাইদুল ইসলাম শান্ত গুলিবিদ্ধ হন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লিমন আল স্বাধীন উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটান।

তবে লিমন আল স্বাধীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ইফতার মাহফিলে গিয়ে উচ্চবাচ্য শুরু করলে এ নিয়ে বাগবিতন্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে শান্ত আক্রমণের শিকার হন।

আহত শান্তকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ জিয়াউল হক গতকাল রবিবার বিকেল ৫টায় জানান, এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ডগুলিসহ তিন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
###

আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত ভবনের ইট পড়ে মনির মিয়া-(৩৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর ১২টায় পৌর এলাকার কাউতলী আদালত চত্বরে। এ সময় আনোয়ার হোসেন, জরু মিয়া নামে আরো দুইজন আহত হয়। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আদালত পাড়ায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের ১০ তলার নির্মাণ কাজ চলছে। দুপুরে নির্মান কাজ চলার সময় ইট গাঁথুনির জন্য শ্রমিকদের বানানো মাচা ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়। এ সময় মাচায় থাকা ইট পথচারী মনিরের উপর পড়ে। আশংকাজনক অবস্থায় মনিরকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে কোর্ট পরিদর্শক মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদাল ভতবনের ইট পড়ে পথচারী নিহত

botvdনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সীমা রাণী গোপ-(২৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার দুপুর সোয়া ১টায় উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামের বাবার বাড়ির টয়লেট থেকে তার অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সীমা ওই গ্রামের মতি লাল গোপের মেয়ে ও হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের নান্টু গোপের স্ত্রী।

সীমার স্বজনরা জানান, গতকাল দুপুরে সীমা টয়লেটের ভেতর ঢুকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাইরে থেকে পোড়া গন্ধ পেয়ে টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে সীমার আগুনে পোড়া লাশ দেখতে পান স্বজনরা। খবর পেয়ে পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে সীমা গায়ে আগুন দিয়েছে সেটি জানা যায়নি।
###

সরাইলে আগুনে পুড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আটক ১৭ রোহিঙ্গা নারী- শিশুকে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার সকালে কসবা থানার পুলিশের তত্বাবধানে তাদেরকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার কসবার নয়নপুর বাজার থেকে তাদের আটক করে বিজিবির সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন মোঃ আমানউল্লাহ-(২৭), আছিয়া বেগম-(২৩), মোঃ আলী আহসান- (৬০), জানোয়ারা বেগম-(২৫), মোঃ জোবায়ের হোসেন-(২০), মোঃ নুর মোহাম্মদ-(২৮),

খোরশিদা বেগম-(২০), আঞ্জুমান খাতুন-(৬০), জোবায়ের হোসেন-(১২), মিনারা বেগম-(২১), মোঃ ইমরান-(৮), আছমা বেগম-(৪), মোঃ কালা মিয়া-(৭০), মোঃ রফিক-(১২), সোনা বেগম-(৬০), নুরজাহান-(৪৫) ও মোঃ জুবায়ের-(৭)। বৃহস্পতিবার বিকেলে আটককৃতদের কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারত থেকে অবৈধ পথে কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ওই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। খবর পেয়ে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপজেলার নয়নপুর বাজার থেকে তাদের আটক করে। পরে বিকেলে তাদেরকে কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) আবদুল করিম জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে ১৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে পুলিশের তত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
###

কসবায় আটক ১৭ রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে কুতুবদিয়া শরনার্থী শিবিরে প্রেরণ

botvনিউজ:

জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে পৌর সভার মাহবুবুল হুদা সভাকক্ষে পাঠকনন্দিত দৈনিক যায়যায়দিনের ১৩ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপদেষ্টা ও আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান আরো বলেন, যায়যায়দিন স্বাধীনতার কথা বলে, যায়যায়দিন উন্নয়ন সাংবাদিকতা করে। তিনি বর্তমান সময়ে প্রিন্ট মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে উল্লেখ করে বলেন, ‘আগে দুই দিন পর পত্রিকা এলেও পাঠকের আগ্রহ থাকতো। কেননা, ওই সময়ে পত্রিকাই ছিলো সংবাদ পাওয়ার একমাত্র সূত্র। তিনি দেশপ্রেম ও উন্নয়ন সাংবাদিকতা করে যায়যায়দিন আগামীদিনে আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( তদন্ত) জিয়াউল হক ।

যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সচিব, সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের পরিচলানায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, আ.ফ.ম. কাউছার এমরান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হালিম শাহ লিল মিয়া,

অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু, সময় টিভির ব্যুরো চীফ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিত পাল বাবু ও দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ পাহলভি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল-আমিন শাহীন, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, পাঠাগার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল,

সদস্য শাহজাহান সাজু, মুজিবুর রহমান খানসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। পরে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

###

যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকির আলোচনা সভায় রেজওয়ানুর রহমান বলেন…………..

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জাতীয় পার্টির কোন্দলের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার জেলা জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার গাড়িসহ ৬/৭টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ইফতার মাহফিলের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।
জেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, দল থেকে বহিস্কৃত নেতা ওয়াহেদুল হক ওহাবের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা এই হামলা করেছে। তবে এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারে নি।

এদিকে জেলা জাতীয় পার্টির ইফতার মাহ্ফিলে হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি। গতকাল শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টায় সরাইল-বিশ্বরোডের লালশালুক নামে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন তিনি এই দাবি করেন। তিনি হামলাকারীদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউল হক মৃধা এমপি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার। রাজনৈতিক সহাবস্থানের তীর্থভূমি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিচিত। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতা ওয়াহেদুল হক ওয়াহাবের পাশাপাশি সরকারি দলের এক প্রভাবশালী নেতাও জড়িত।

তিনি বলেন, আমাদের সমর্থনে আওয়ামী লীগ গত ৯ বছর ধরে ক্ষমতায়। কিন্তু সরকারের সমমনা দলের প্রতি এমন বিদ্বেষমূলক আচরণের কারণ আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ দেশ নিয়ে ভাবলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ দেশ নিয়ে ভাবে না। তারা নিজেদের কথা ভাবে।
হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিয়াউল হক বলেন, যখন আমার গাড়িটি ভাঙচুর করা হয় তখন এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এতেই বুঝা যায় এ হামলা পরিকল্পিত। দলের পক্ষ থেকে মামলা নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করছে না। তিনি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলার জড়িতদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি রাজপথ ও নৌপথ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা রেজউল ইসলাম ভূইয়া, সরাইল উপজেলা জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, আশুগঞ্জ উপজেলা জাপার সদস্য সচিব মিরাজ শিকদার প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকনাথ উদ্যান সংলগ্ন পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টি ইফতার মাহফিল গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।

ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে পার্টির মধ্যে আগ থেকেই উত্তেজনা থাকায় আগে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ অবস্থায় ইফতার মাহফিল শুরু হওয়ার মুহুর্তে কমিউনিটি সেন্টার অতর্কিত হামলা চালায় জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা ওয়াহেদুল হক ওয়াহাবের অনুসারীরা। এ সময় হামলাকারীরা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার গাড়ি সহ ৬/৭টি গাড়ি ভাংচুর করে। হামলায় ইফতার মাহফিল পন্ড হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার সরকারি দলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ’আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আনা খুবই হাস্যকর। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারনেই জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নবীর হোসেন জানান, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

জাতীয় পার্টির কোন্দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলা

ফেসবুকে আমরা..