স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোঃ শাহীন উদ্দিন-(৫৫) নামে এক বিদ্যুৎ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় পৌর শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহীন উদ্দিন পৌর এলাকার বণিক পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিতরণ বিভাগে হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয় স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মোঃ সালাউদ্দিন খাঁন জানান, সকালে শিমরাইল কান্দি এলাকায় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তার মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস চাপায় আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অটোরিকসার দুই যাত্রী আহত হন। তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নামজুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে পুলিশ লাইন এলাকায় দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস পিছন দিক থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে বাসের নীচে চাপা পড়েন অটোরিকশার চালক। অন্য দুই যাত্রী অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয় কয়েক যুবক আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোরিকসা চালককে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটকে শিক্ষা বিরোধী ও বাজেটকে শিক্ষা বিরোধী ও বাজেটকে শিক্ষাকে পণ্য এবং শিক্ষার্থীদেরকে ভোক্তা বানানোর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ, জিডিপির আট শতাংশ বরাদ্দ দেয়া এবং বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের দাবিও জানানো হয়। আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খাঁন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব কমরেড ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর কার্যকরি সদস্য মুহুয়ি শারদ, তানিয়া সুলতানা ঊষা, আয়াসুল ইসলাম আসিফ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রূপম ধর, মেহেদী, হোসাইন ইসলাম জয় প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার বানিজ্যিকরণ বন্ধ করতে হবে। বাজেটে শিক্ষা খাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা জাতীয় বাজেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানানো হয়।

শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রমৈত্রীর মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১১টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ চোরাই মোটর সাইকেল চোরচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই মোটর সাইকেল কেনা-বেচার নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার ৮শত টাকা, ১০টি মোটর সাইকেলের নাম্বার প্লেট এবং ৪টি ওয়াটার পাম্প মোটর উদ্ধার করা হয়। গত ৪৮ ঘন্টায় (শনিবার ও রোববার) সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা, সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের খানপাড়ার মোঃ নাছির-(২৩), তার সহযোগী পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার সুমন মিয়া-(২৭), আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর হাজী বাড়ির ওমর সানি প্রকাশ শিমুল-(২৫), সদর উপজেলার শিলাউর গ্রামের মোঃ নাঈম-(২০), সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের আলমগীর চৌধুরী-(৩০), একই এলাকার নূরুল আমিন ওরফে রুহুল আমিন চৌধুরী-(২৯) একই ইউনিয়নের দক্ষিণ জগতসার গ্রামের মিজান মিয়া-(২৮) ও মাওলানা মোঃ কাউছার মিয়া-(৫০) ও সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উড়শিউড়া গ্রামের হোসেন মিয়া-(৪০)।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে পৌর এলাকার কান্দিপাড়া থেকে মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোর চক্রের মূল হোতা নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং নাসিরের কাছ থেকে ৬টি চোরাই মোটর সাইকেল, ১০টি মোটর সাইকেলের নাম্বার প্লেইট এবং ৪টি পাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে নাসিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় (সুলতানপুর, বাসুদেব ও মাছিহাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম) অভিযান চালিয়ে আরো ৫টি মোটর সাইকেলসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে সহযোগীদের নিয়ে মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে সেগুলো স্বল্পমূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। জেলায় মোটর সাইকেল চোর চক্রের আরও কয়েকটির সন্ধান আমরা পেয়েছি। তাদেরকেও দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ চোরাই মোটর সাইকেলসহ ৯ চোর গ্রেপ্তার 


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতের তান্ডবে (গত ২৬ মার্চ) ধ্বংসপ্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কারপূর্বক দ্রুত সংস্কার করে দ্রুত ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিতের জন্য ১৫দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। নতুবা রেললাইন অবরোধ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথ অবরোধ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।

আজ বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই ঘোষনা দেয়া হয়। এ সময় তান্ডবের ইন্ধনদাতা জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবাবর উল্লাহসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রয়লব্দ অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জাতীয় সম্পদ সংস্কারের দাবি জানানো হয়।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বর্দ্ধন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি আবু হোরায়রাহ, জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ ।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, তান্ডবের ঘটনায় আপীল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সুপারের ভূমিকাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের সকল বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন না থামলে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফাতেমা খাতুন-(২১) নামে এক যুবতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (৩ জুন) রাত নয়টার দিকে পৌর এলাকার দাতিয়ারা ওয়াপদা কলোনীর ভেতরের পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত ফাতেমা জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের কুদরত আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফাতেমা পৌর শহরের উত্তর মৌড়াইলের একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে শহরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ওয়াপদা কলোনীর ভেতরের পুকুর পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করে। তিনি বলেন, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তান্ডবের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার নেপথ্য নায়ক হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন নাগরিক সমাজ।

এরই অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টায় বিক্ষুদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ব্যানারে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি ও সাংবাদিক জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খাঁন লাভলু, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ, জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মনির হোসেন, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের ঘটনার নেপথ্য নায়ক হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। নতুবা কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দেন। পরে মুক্ত স্বাক্ষর খাতায় গণস্বাক্ষর করেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়নের এই কর্মসূচী পালন করা হবে বলে, অনুষ্ঠান থেকে ঘোষনা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

জেলা হেফাজতের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ লক্ষাধিক শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ  সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে সাংবাদিকদের এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ।

উক্ত কর্মশালায় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমূখ।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইতিপূর্বে দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা বাড়িয়ে এখন ৮ কর্মদিবস করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার ২ হাজার ৪০২টি কেন্দ্রে আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে।

চলতি বছর ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৫৪৬ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৮ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লক্ষাধিক শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বুধবার “সর্বস্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর” উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ চত্ত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাউতলী মোড়ে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহআলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহর নির্দেশে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা শহরজুড়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। এ সময় এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

এসব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় ৫৬টি মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার নেপথ্যের নায়ক মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মোবারক উল্লাহকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বক্তারা অবিলম্বে হেফাজতের শীর্ষ এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, নতুবা কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের কাছে হেফাজতের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।

হেফাজতের নেতাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদাৎ হোসেনকে হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম। সেই সাথে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ভা রতন কান্তি দত্ত এক বিবৃতিতে জানান, গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্লাটফরমে মানববন্ধনের কর্মসূচি চলাকালে সংঘঠিত ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পুনরায় চালুর দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। এতে আওয়ামী লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ নেয়।

জেলার অন্য সাংবাদিকদের সাথে তিনিও সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। শাহাদৎ অভিযোগ করেছেন, “মানববন্ধন চলাকালে স্টেশনের গেইট কিপার মুরাদুল ইসলামকে রোমান নামের এক যুবক মারধর করেন। “মুরাদুল বিষয়টি তাকে জানালে তিনি যুবলীগ নেতা ভিপি হাসান সারোয়ারকে জানান। কেন হাসানকে জানালেন এ কারণে রোমান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে রোমান এবং তার ভাই সৈনিক লীগের নেতা জুম্মান কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে।”

এ ঘটনায় সাংবাদিক শাহাদৎ বাদী হয়ে রোমান ও জুম্মনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।

সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় জেলা নাগরিক ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ফেসবুকে আমরা..