স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দায়িত্ব পালনকালে পিকআপের ধাক্কায় মোস্তফা কামাল-(৫৭) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। গতকাল (১৭ জুন) ১১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তফা কামাল ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পৈহারা গ্রামের মরহুম হাজী আলী আজমের ছেলে। তিনি কসবা থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত মোস্তফা কামাল দুই সন্তানের জনক। তার ছেলে রিফাত উল্লাহ সৈকত-(২২) ঢাকায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে এবং মেয়ে মাহফুজা ইয়াসমিন চম্পা-(২৫) বিবিএ অধ্যয়নরত।

জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস.আই মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় ফোর্স নিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করার সময় দ্রুতগামী একটি পিকআপ এস.আই মোস্তফা কামালকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পান।
আহতবস্থায় সাথে থাকা কনস্টেবলরা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাত ১২টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মোহাম্মদ সাঈদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত এসআইয়ের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আছে। তিনি বলেন ঘাতক পিকআপটি চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, এসআই মোস্তফা কামাল দায়িত্ব পালন কালে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব।

কসবায় পিকআপের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) বাস্তবায়নাধীন “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প”-এর উদ্যোগে উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মেহেদী মাহমুদ আকন্দের সভাপতিত্বে ও উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.মেহেদী মাহমুদ আকন্দ এর সভাপতিত্বে ও সফল উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, বিডা ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ-আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। বর্তমানে বিডার প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর সারাদেশে ১ হাজার কোটি টাকার উপর বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭শত উদ্যোক্তা ২৩ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, চাকুরী প্রত্যার্শীর সংখ্যা কমে উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই আমরা উন্নত বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে পারবো। তিনি বলেন, প্রশিক্ষনার্থীরা যাতে সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা সব সময় তাদেরকে সহযোগীতা করবো। আলোচনা সভা শেষে ৯০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের দীর্ঘ ৮০ দিন পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে শুরু করেছে ট্রেন। মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে চার জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনে পুনরায় ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়েছে। আজ থেকে একটি আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। হামলাকারীরা স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তারা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন অথবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে চড়তে হতো। আবার অনেকেই বাসে করে যাতায়ত করতো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেশনটির সংস্কার করে পুনরায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ জুন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা না করলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় ।

এদিকে গত ১৩ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটিকে ‘বি’গ্রেড থেকে ‘ডি’গ্রেডে রুপান্তর করে সনাতনি পদ্ধতিতে সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশন থেকে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রাবিরতিতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে কিছুটা সন্তোষ ফিরে আসলেও তারা স্থগিতকৃত অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর দ্রুত যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যদি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও চালানো যাবে। তাই একই পদ্ধতিতে বাকি আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

একই দাবি জানান সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না হলে যাত্রীরা ট্রেন থামার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন না। তিনি দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে পূর্বে যাত্রা বিরতি দেয়া সকল ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৪ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেনে। যাত্রা বিরতর খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসট্রেন যাত্রাবিরতি করেছে। বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।

সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাশ্ববর্তী তালশহর ও পাঘাচং স্টেশনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শোয়েব জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আনন্দ মিয়া-(২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে উপজেলার চাতলপাড় চকবাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আনন্দ মিয়া চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর মধ্যপাড়ার হাসু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, চাতলপাড় চকবাজারে নিহতের বড় ভাই আরাজ উদ্দিনের “মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওর্য়াকশপ” নামে একটি দোকানে স্ট্রীলের নৌকার জ্বালাই দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই আনন্দ মিয়া মারা যায়। এ ব্যাপারে চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাসিরনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাহেরা বেগম-(৪০) নামে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর কান কেটে তার স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গত (১৩ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত জাহেরা বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জাহেরা বেগম সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের স্ত্রী এবং ওই ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি।

আহত জাহেরা বেগম জানান, তিনি রোববার সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শহরের কুমারশীল মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি যাওয়ার সময় অটোরিকসাট বেহাইর গ্রামে পৌছলে অটোরিকসায় থাকা একটি ছেলে তাকে জাপটে ধরে। পরে অটোরিকসাটি দাড় করিয়ে চালকসহ দুইজন তাকে ছুরি ধরে। তিনি ধস্তাধস্তি শুরু করলে ছিনতাইকারীরা তার উরুতে ছুরকাঘাত করে তার দুই কানের লতি কেটে কানের দুল, গলার নেকলেস, হাতের বালা ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর কান কেটে স্বর্ণালঙ্কার লুট


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে তাবাসসুম-(৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত তাবাসসুম মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামের পূর্বপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।

শিশু তাবসসুমের ফুফু তাহমিনা আক্তার জানান, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশু তাবসসুম তার মায়ের সাথে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের এক ফাঁকে তাবাসসুম পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অচেতন অবস্থায় তাকে পানির নীচ থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জামাল ভূঁইয়া তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক জামাল ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, জাতীয় শ্রমিকলীগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর এম.এ মালেক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল মামুন সরকার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে শ্রমিকদের ছিলো মূখ্য ভূমিকা। স্বাধীনতার সংগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে শ্রমিক ও ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যখন শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ ছিলো না তখন নির্মান করা হয়েছে কোকিল টেক্সটাইল মিল। তখন ২২৫ জন শ্রমিককে নিয়ে গঠন করা হয়েছে জেলা শ্রমিকলীগ। কোকিল টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সমাজ এই দুই মিলিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতির বিকাশ ঘটে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য উন্নয়নের জাল বিছিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অগ্রগতি সেই অগ্রগতির মূল কারণ হচ্ছে শ্রমিক সমাজ। তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শ্রমিকদের সফলতা কামনা করেন। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

অবশেষে আগামী ১৫ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি। মঙ্গলবার থেকে তিনটি মেইল ট্রেন, একটি কমিউটার ট্রেন ও পরদিন বুধবার থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশান শাখার উপ-পরিচালক (অপারেশন) মোঃ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত একটি পত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি ক্লাশ’ স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ের চিঠি থেকে জানা যায়, ১৫ জুন ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পথের সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথের নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, আখাউড়া-ঢাকা-আখাউড়া, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা পথের তিতাস কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে। ১৬ জুন (বুধবার) থেকে যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের পারাবত এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ হেফাজতের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। পরদিন ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিরত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে সংস্কার করে পূর্ব নির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি সংগঠনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

আগামী মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রা বিরতি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় (জাইকা-বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায়) উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউ জিডিপি) মাধ্যমে উঁচু-নীচু বেঞ্চ বিতরণ করা হয়। আজ দুপুরে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে বেঞ্চ হস্তান্তর করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বেঞ্চ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, আল আমিনুল হক পাভেল, মোঃ তাজুল ইসলাম, এনামুল হক ওসমান, জাইকার প্রকল্প প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ১২টি বিদ্যালয়ে ১৩৫ জোড়া বেঞ্চ হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও বেঞ্চ প্রদানের জন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে জাইকা আগামীতেও আমাদের পাশে থাকবেন।

জাইকা-বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ প্রদান

ফেসবুকে আমরা..