স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ মার্চ মাদরাসার ছাত্রদের ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসপ্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি দ্রুত সংস্কার করে ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনরায় চালু করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ লাভলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির পরিচালক শাহআলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনে আরা বাবুল বাবুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৬ মার্চ হেফাজতের সন্ত্রাসীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করে স্টেশনের কন্ট্রোল রুমের সিগন্যাল প্যানেল ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়াসহ পুরো স্টেশনটি ভাংচুর করে লন্ডভন্ড করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই, ভবিষ্যতে হেফাজতকে এ ধরনের কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না।

বক্তারা বলেন, গত ২৪ মে থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে কোন ট্রেন যাত্রা বিরতি দিচ্ছেনা। বক্তারা অবিলম্বে ধ্বংসপ্রায় রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কার করে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনরায় চালু করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বলা হয়, একই দাবিতে বুধবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিণত করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার ও ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা দুই যুবক নিহত হয়েছে। আজ বেলা ১১টা দুপুর ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজ রেলক্রসিং ও সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীসীমা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে রেলওয়ে থানার সহকারী পুলিশ সুপার উর্মিদেব জানান, আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে একাধিক ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজ গেইট রেলক্রসিং এলাকায় ১ যুবক এবং একইভাবে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীসীমা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অপর যুবক নিহত হয়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, দুই যুবকের পরিচয় জানান চেষ্টা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবক নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া  
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) নিযুক্ত হয়েছেন ডা. ফখরুল আলম আশেক। গতকাল (৩১ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক পদে নতুন দায়িত্ব শুরু করেন।
তিনি হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ায় ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হোন।
তিনি ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিযুক্ত হন।
এর আগে ২০১৩ সালে তিনি মেডিকেল অফিসার থেকে পদোন্নতি পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অর্থোপেডিক্স বিভাগে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালে একই কর্মস্থলে একই বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতি হন। তবে সোমবার বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের অবসরের কারনে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ডা. ফখরুল আলম আশেক ১৯৬৮ সালে ১ জানুয়ারি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন৷ বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএমএ’র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নতুন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফখরুল আলম আশেক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ সকাল ১০টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র‌্যালি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শহীদ ডাঃ মিলন সভাকক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রুহুল আমিন।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরামউল্লাহ। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ হিমেল খান, এমওসিএস ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, স্বদেশির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজিজুর রহমান, খন্দকার শফিকুর রহমান, নার্সেস নেত্রী ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। সেজন্য সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্র থেকে কাজ করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাথে তিনটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন সুমাইয়া আক্তার-(২৮) নামে এক প্রসুতি মাতা। আজ সকালে পৌর এলাকার লোকনাথ দীঘির (টেংকের পাড়) পূর্ব পাশে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলফ কেয়ারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি মাতা সুমাইয়া আক্তার তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার সুমাইয়া আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেয়া কন্যা শিশুগুলো সুস্থ্য আছে। সুমাইয়া আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের আল-আমিন ভূইয়ার স্ত্রী।

হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার বলেন, সুমাইয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আগেই জানা ছিল তার গর্ভে তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার পর সুমাইয়ার গর্ভে শিশুদের নড়াচড়া কম ছিল ও তার রক্তচাপ বেশি ছিল। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সুমাইয়ার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।

চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার আরো বলেন, শিশুরা সুস্থ্য ও ভালো আছে। তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটির ওজন ১.৯ কেজি এবং বাকি দুইজনের ওজন ২.২ কেজি করে। শিশুটির মাও ভালো আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের আল-আমিন ভূইয়া একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি গত ১১ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের সুমাইয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। তার আরো দুটি কন্যা সন্তান আছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স সাড়ে ৯ বছর ও আরেকজনের বয়স সাড়ে ৪ বছর।
এ ব্যাপারে শিশুদের পিতা আল-আমিন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, একসাথে তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় তিনি খুব খুশী হয়েছেন। তিনি বলেন, আমার আরো দুই মেয়ে আছে। আপনারা আমার মেয়েদের জন্য দোয়া করবেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাথে তিন কন্যা শিশু জন্ম দিলেন এক গৃহবধূ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শামস কবির-(১৫) নামে নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারধোর করে তার সহপাঠীসহ ২০ কিশোর। গতকাল (২৯ মে) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শামস কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।

আহত শামস কবির কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা রোকসানা কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনাম ১৫ কিশোরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে শামস কবির স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে যাওয়ার সময় রিফাত, অন্তর, তানভীর, হাসান, সিয়াম সহ অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০জন শিক্ষার্থী ও কিশোর তাকে মারধোর করে। অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অনতিদূরে তাকে ছুরি, লোহার রড, পাইপ, বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে মারধোর করা হয়। এতে শামস কবির আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত শামস কবির জানায়, তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে তাঁর স্কুলেরই শিক্ষার্থীরা তাকে মারধোর করে। এ সময় তার সাথে থাকা দুই সহপাঠি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। শামস কবিরের মা রোকসানা কবির জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।

এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, বিষয়টি শামস কবিরের মা রোকসানা কবির তাঁকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ। পাশাপাশি ঘটনাটি বিদ্যালয়ের বাইরে হওয়ায় আপাতত আমার পক্ষে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের অনেকেই বহিরাগত। শিক্ষার্থীর মা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আইনগত ভাবেই শেষ হবে বলে আশা করি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তুচ্ছ ঘটনার জের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ২০ কিশোর

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে জেলা পর্যায়ে চার ক্যাটাগরিতে চারজনকে শুদ্ধাচার পুরষ্কার-(২০১৯-২০২০) প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন চার ক্যাটাগরিতে চারজনের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

শুদ্ধাচার পুরষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভিন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পেশাগত জ্ঞান, সততা, উদ্ভাবন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ও অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগীতাসহ শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক স্বীকৃতিস্বরুপ চার ক্যাটাগরিতে চারজনকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পুরষ্কার স্বরুপ প্রত্যেককে তাদের এক মাসের মূল বেতনের সমান সম্মানী, ক্রেস্ট এবং সনদ প্রদান করা হয়। পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেলেন চার কর্মকর্তা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করার দুইদিন পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বদলি করে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন নিজেই তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনিয়ে হেফাজতি তান্ডবের ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারি পুলিশ সুপার, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত), সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন), সদর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (মিডিয়া) পুলিশের ২১জন অফিসারকে বদলি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর গত ২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সে, সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে গাজীপুরে বদলি করা হয়।

গত ৯ মে পুলিশ সদর দফতরের আরেকটি আদেশে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমদেকে বরিশাল রেঞ্জে, ১১ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদকে নাসিরনগর থানার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে, ১৯ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পদায়ন করা হয়।

গত ২৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করা হয়। আদেশে ১০ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও বাকি তিনজন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লে¬খ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদলি

ফেসবুকে আমরা..