স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাজার জিয়ারতগামী যাত্রীবাহি একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে খোদেজা বেগম-(৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার মনকশাইর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত খোদেজা বেগম নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মরহুম মনজুরুল আলমের স্ত্রী।

খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ৫ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও বাকীদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫ জন হলেন, নয়ন মিয়া-(৪৯), মদিনা বেগম-(২৭), তিশামনি-(৬), রিনা বেগম-(৩৭) ও সাইদুর রহমান–(৫২)। তাদের সবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে। তারা সবাই দিন-মজুর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাইদুর রহমান জানান, চট্টগ্রামের মাইজভান্ডারীর মাজারে যাওয়ার জন্য তারা ৪৩ জন নেত্রকোনা থেকে একটি ট্রাকে করে রওয়ানা দেন। ট্রাকটি শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কসবা উপজেলার মনকশাইর এলাকায় পৌছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধা খোদেজা বেগম মারা যান। আহত হন ৩৫ জন।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজালাল আলম বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানার এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

কসবায় গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কা বৃদ্ধা নিহত, আহত ৩৫

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কুতুব উদ্দিন ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ ভোরে নিজ বাড়িতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। শনিবার বাদ যোহর অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ অরুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয়। নামাজের জানাযায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

এদিকে সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কুতুব উদ্দিন ভূঁইয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন ও অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। পৃথক পৃথক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

সরাইলের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিনের ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি বছর কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কাঁঠাল চাষীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এর বিশেষ কদর। জেলায় নরম, রসালো ও চাওলা এই ৩ ধরনের কাঠাল চাষ করা হয়। চলতি বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি বছর ৯৪৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ৩১৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২২৫ হেক্টর ও আখাউড়া উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান রয়েছে। জেলার বাকী ৬ উপজেলার রয়েছে ২৯৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৪২৫টি কাঁঠালের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিজয়নগর উপজেলাতেই রয়েছে তিন শতাধিক কাঁঠালের বাগান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুইশত বছর আগে বিজয়নগরে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের চাষ শুরু হয়। উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় আস্তে আস্তে কাঁঠাল চাষে উদ্ধুদ্ধ হয় এখানকার চাষীরা।
বর্তমানে উপজেলার কালাছড়া, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, মেরাশানী, কামালমোড়া, নুরপুর, কাশিমপুর, হরষপুর, ধোরানাল, মুকুন্দপুর, সেজামুড়া, নোয়াগাঁও এবং পত্তন এলাকায় রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক কাঠাল বাগান।

চাষীরা জানান, বাগান থেকে দুই-দফায় কাঁঠাল বিক্রি হয়। প্রথম দফায় গাছে মুকুল ও গুটি আসার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে গাছ কিনে নেয়। পরবর্তীতে গাছে কাঁঠাল মাঝারি হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে গাছের কাঁঠাল বিক্রি করেন।

উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক বাগান ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই প্রত্যেকের বাড়িতেই রয়েছে ৪ /৫টি করে কাঁঠাল গাছ। যাদের বাড়িতে সামান্য জায়গা আছে তারাই বাড়িতে কাঁঠাল গাছ রোপন করেন।

উপজেলার সবচেয়ে বড় কাঠালের বাজার বসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাংকইরা বাজার, সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজারে। এছাড়াও উপজেলার মুকুন্দপুর, চম্পকনগর, ছতরপুর বাজারে পাইকারীভাবে কাঠাল বেচা-কেনা হয়। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা¬, নরসিংদী, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভী বাজার, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন কাঠাল কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ টাকার কাঠাল বেচা-কেনা হয়।

উপজেলার হরষপুরের কাঁঠাল চাষী রেনু মিয়া বলেন, তার বাগানে ৬০টি কাঠাল গাছ আছে। তিনি প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ টাকার কাঠাল বিক্রি করেন।
চম্পকনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কাঁঠাল বাগানের মালিক কাউছার মিয়া বলেন, এ বছর কাঠালের দাম ভালই তবে কাঁঠালের সাইজ অন্যান্য বছরের চাইতে একটু ছোট। উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আমির আলী ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা বাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন জানান, তারা ফলের মৌসুমে ফলের ব্যবসা করেন। কাঁঠালের সময় বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, পাহাড়পুর ও সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাগান থেকে কাঁঠাল কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।

বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের কাঁঠাল ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলেন, বিজয়নগরের কাঁঠালের স্বাদই আলাদা। ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও বেশী। তিনি বলেন, তিনি বিজয়নগর থেকে কাঁঠাল কিনে সরাইল, বিশ্বরোড, মাধবপুর, ভৈরব সহ বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার খিজির হোসেন বলেন, এবছর উপজেলার মোট ৩১৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ করা হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ ও সঠিক পরিচর্ষা করায় এবছর কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলার নরম, চাওলা ও রসালো এই ৩ ধরনের কাঠাল চাষ হয়। প্রতিদিন বিজয়নগরের বিভিন্ন বাজারে প্রায় দুই লাখ টাকার কাঁঠাল বেচা-কেনা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,, আশাকরি এ বছর বিজয়নগরে প্রায় ৪ কোটি টাকার কাঠাল বিক্রি করা হবে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৪৫ হেক্টর জমিতেহ কাঁঠালের চাষ করা হয়েছে। কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন ২৫ কোটি টাকা বিক্রির আশাবাদ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দায়িত্ব পালনকালে পিকআপের ধাক্কায় মোস্তফা কামাল-(৫৭) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। গতকাল (১৭ জুন) ১১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তফা কামাল ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পৈহারা গ্রামের মরহুম হাজী আলী আজমের ছেলে। তিনি কসবা থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত মোস্তফা কামাল দুই সন্তানের জনক। তার ছেলে রিফাত উল্লাহ সৈকত-(২২) ঢাকায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে এবং মেয়ে মাহফুজা ইয়াসমিন চম্পা-(২৫) বিবিএ অধ্যয়নরত।

জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস.আই মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় ফোর্স নিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করার সময় দ্রুতগামী একটি পিকআপ এস.আই মোস্তফা কামালকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পান।
আহতবস্থায় সাথে থাকা কনস্টেবলরা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাত ১২টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মোহাম্মদ সাঈদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত এসআইয়ের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আছে। তিনি বলেন ঘাতক পিকআপটি চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, এসআই মোস্তফা কামাল দায়িত্ব পালন কালে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব।

কসবায় পিকআপের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামবাসী ও যুব সমাজের উদ্যোগে হরিণবেড় মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ -এর ফাইনাল খেলা গতকাল (১৭ মে) বিকেলে হরিণবেড় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ফারুক মিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অরুন জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিদুজ্জামান টিটু, দুলন খান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রভাষক নির্মল চৌধুরী, ইউপি সদস্য প্রফুল্ল দাস, মোহন লাল দাস, অ্যাডভোকেট অনতুষ দাস, আয়োজক কমিটির সদস্য আশুতোষ দাস, রসরাজ দাস, পল্টন দাস প্রমুখ।

ফাইনাল খেলায় হরিণবেড় সিনিয়র একাদশ দল ও জুনিয়র একাদশ দল মুখোমুখী হয়। খেলায় হরিণবেড় জুনিয়র একাদশ টাইব্রেকারে ২-১ গোলে সিনিয়র একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন দলকে এলইডি টিভি প্রদান করেন। উল্লেখ্য এই ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ১০ টি দল অংশ গ্রহন করে।

নাসিরনগরে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) বাস্তবায়নাধীন “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প”-এর উদ্যোগে উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মেহেদী মাহমুদ আকন্দের সভাপতিত্বে ও উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.মেহেদী মাহমুদ আকন্দ এর সভাপতিত্বে ও সফল উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, বিডা ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ-আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। বর্তমানে বিডার প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর সারাদেশে ১ হাজার কোটি টাকার উপর বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭শত উদ্যোক্তা ২৩ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, চাকুরী প্রত্যার্শীর সংখ্যা কমে উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই আমরা উন্নত বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে পারবো। তিনি বলেন, প্রশিক্ষনার্থীরা যাতে সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা সব সময় তাদেরকে সহযোগীতা করবো। আলোচনা সভা শেষে ৯০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হুরল বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার জেঠাগ্রামের দক্ষিণপাশে হুরল বিলের মাঠে দেশীয় প্রজাতির মাছের ৪৭০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন এসব পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ হৃতুল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারহানা খন্দকার, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজিব কুমার চৌধুরী, ক্ষেত্র সহকারী শরীফা বেগম, ইউপি সদস্য তসু দাসসহ প্রমুখ।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি গ্রোগ্রাম ফেজ-২ এর আওতায় উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

নাসিরনগরে জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেছেন, করোনার পরিস্থিতিতে ভারতে লকডাউনের কারণে রেললাইনের স্লিপার আনতে সময় লাগছে। তবে দ্রুতই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর ২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আজ ঢাকা থেকে মহানগর ট্রেনে রওয়ানা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় রেলসচিব আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছেন।
আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতেই রেলসচিব আখাউড়ায় আসেন। পরে তিনি একই ট্রেনে লাকসামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগে সাংবাদিকের সাথে তিনি কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে রেললাইনের স্লিপার আনতে হয়। ভারতে এখন লকডাউন শুরু হয়েছে। ভারতের সাথে কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য স্লিপার আনতে সময় লাগছে। করোনার পরিস্থিতির কারণেও সময় লাগছে। সবগুলো প্রকল্পই দ্রুততার সাথে শেষ করতে সবাই চেষ্টা করছে ।

রেলসচিব বলেন, করোনার পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের মতো আমরাও অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ ও আখাউড়া লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণসহ রেলের সকল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আমরা শেষ করতে পারবো।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রেল সচিব বলেন, দ্রুত আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করব। ইতিমধ্যেই আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেওয়া শুরু করেছি। পুরো উদ্দ্যোমে কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, রেল সম্পূর্ণ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সরকারি যে বিধি-বিধান আছে সেই অনুযায়ী চলতে হয়। আমাদের স্বাস্থ্যের দিকটি আগে ভাবতে হবে। আপনারা জানেন করোনার কারণে সারা বিশ্বে কি অবস্থা হয়েছে। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি আসন ফাঁকা রেখে আরেকটা আসনে বসে যাত্রীদের যাতায়ত করতে হয়। কেউ যদি নিয়ম না মানে তাহলে রেলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মাঠ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। করোনার এই সময়ে অন্য যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে রেলবিভাগ অনেক ভালোভাবে নিয়ম-কানুন মেনে চলছে।
তিনি বলেন, আমি চলন্ত ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তাঁরা আরামদায়কভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী রেলকে একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে গড়ে তুলতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।

এসময় রেলসচিবের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর আলম, রেলওয়ের ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান, ডিটিও মোঃ খায়রুল কবির, ডিসিও মোঃ সৈকত জামিল, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে স্টেশন সুপার মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন আরো ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

“ আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমি নেই, ঘর নেই তাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হচ্ছে এসব ঘর।

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পাবেন সরকারি এই ঘর। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘরগুলোর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০ জুন ৬৮১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার এসব পাকা ঘর।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণ কাজ ও নির্মাণের কাজের গুনগত মান তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্মান কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির উপর আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সবগুলো ঘরই একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে জেলায় ১ হাজার ৯১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার

ফেসবুকে আমরা..