স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে শুক্রবার বিকেলে যাত্রীবাহি নৌকা ডুবির ঘটনায় জামিলা খাতুন (৬৫) নামে আরও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ দাঁড়িয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

মৃত জামিলা খাতুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে বৃদ্ধা জামিলা খাতুন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিজয়নগরের চম্পকনগরের নৌকাঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার জন্য নৌকায় উঠেন। নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে আসার পর একটি বালুবাহি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। এতে জামিলা বেগম মারা গেলে পরিবারের লোকজন সাথে সাথে প্রশাসনের অগোচরে তার লাশ নিয়ে যায়। এজন্য সরকারিভাবে জামিলার নাম নিহতের তালিকায় প্রকাশ পায়নি, তার পরিবার জেলা প্রশাসনের ২০ হাজার টাকাও পায়নি।

রোববার সকালে জামিলা খাতুনের পুত্রবধূ আখি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে নৌকা ডুবিতে তার শ্বাশুড়ি জামিলা খাতুন মারা গেছেন জানালে সাংবাদিকরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জামিলা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, জামিলা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ দাঁড়িয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে শুক্রবার সন্ধ্যায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় নৌকার মাঝিকেই দায়ী করেছেন ওই নৌকার যাত্রী মোঃ জামাল মিয়া (৫০)। নৌকাটি ডুবে তিনি কোন রকমে প্রাণ বাঁচান ।

জামাল মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অয়েল মিলের (সরিষার তেল ভাঙ্গানির মেশিন) মেশিন সংস্কার ও ফিটিংয়ের কাজ করেন। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কান্দিপাড়ায়।

শনিবার দুপুরে লইস্কার বিলে উদ্ধার কাজ দেখতে গিয়ে জামাল মিয়া বলেন, শুক্রবার তিনি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে একটি অয়েল মিলে কাজ শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার চম্পকনগর নৌকা ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আসার জন্য নৌকায় উঠেন। তিনি বসেন নৌকার ছৈয়ার উপরে (নৌকার ছাদে)। তিনি বলেন, নৌকাটিতে তখন নারী, শিশু মিলিয়ে প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিলো।
তিনি বলেন, নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার লইস্কার বিলে প্রবেশ করার সময় আমি নৌকার উপর থেকে দেখতে পাই বিলে বালিবাহী দুইটি ট্রলার। এ সময় আমি ও নৌকার ছাদে থাকা কয়েকজন যাত্রী মাঝিকে নৌকাটি বিলের বাম পাশ দিয়ে নিয়ে যেতে বলি। কিন্তু নৌকার মাঝি মাঝি আমাদের কথা না শুনে মাঝ বিল দিয়ে নৌকাটি চালাতে থাকে। এক সময় নৌকাটি গিয়ে ট্রলারের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। সাথে সাথে নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়।

জামাল মিয়া আরও বলেন, নৌকাটি ডুবার সাথে সাথে তিনি সাতরে উপরে উঠার চেষ্টা করলে ট্রলারের দুইজন কর্মচারী তাকে টেনে উপরে তুলেন। পরে তিনি ট্রলারে উঠে নৌকায় থাকা আরেকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। জামাল মিয়া দাবি করেন নৌকার মাঝির ভুলের কারণেই এতোগুলো মানুষ মারা গেছে।

জামাল মিয়া বলেন, চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু দেখেছি। মানুষের আহাজারি শুনেছি। তাই শনিবার উদ্ধার কার্যক্রম দেখতে ঘটনাস্থলে এসেছি। উল্লেখ্য নৌকা ডুবিতে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নৌকা ডুবির ঘটনায় মাঝিকে দায়ী করলেন যাত্রী জামাল মিয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রবাসী ভাইকে দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বিজয়নগর উপজেলার আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জলী বিশ্বাস (৩০) ও তার শিশু কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাস (আড়াই বছর)। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে নৌকা ডুবির ঘটনায় মা-মেয়ের সলিল সমাধি হয়।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মা-মেয়ের লাশ বিজয়নগরে নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়। শিশু ত্রিদিবা বিশ্বাসের মুখটি দেখে অনেকের চোখেই পানি দেখা যায়।
লাশ নিতে আসা অঞ্জলী বিশ্বাসের দেবর সুমন বিশ্বাস জানান, তার বৌদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে। তাদের বাড়ি উপজেলার আদমপুর গ্রামে। তিনি বলেন, বৌদির ভাই হরিপদ বিশ্বাস প্রবাসী। তিনি গত কয়েক মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে হরিপদ বিশ্বাস আবার বিদেশ চলে যাওয়ার কথা।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে ভাই হরিপদ বিশ্বাসকে দেখতে অঞ্জলী বিশ্বাস তার ছেলে সৌরভ বিশ্বাস (১৭), কন্যা মন্দিরা বিশ্বাস (৬) ও আড়াই বছরের শিশু কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাসকে নিয়ে নৌকায় করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছিলেন।পথিমথ্যে সন্ধ্যায় নৌকাটি বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর ইউনিয়নের লইস্কার বিলে ডুবে গেলে শিশু কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাস সহ মা অঞ্জলী বিশ্বাস মারা যান।
তিনি বলেন, তার ভাতিজা সৌরভ ও ভাতিজি মন্দিরাকে নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পরপরই তাদেরকে বিজয়নগরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য নৌকা ডুবির ঘটনায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত নারী শিশুসহ ২২জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রবাসী ভাইকে দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অঞ্জলী ও তার মেয়ে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হাতের মেহেদীর রঙ শুকানোর আগেই সলিল সমাধি হয়েছে নববধূ শারমীন আক্তারের (১৮)।  শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কার বিলে নৌকা ডুবিতে মারা যায় শারমীন।

শনিবার সকাল ৮ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামো শারমিন আক্তারের দাফন সম্পন্ন হয়। নববধূ শারমীন আক্তার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার কণ্যা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত ২০ আগস্ট বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজারের জহিরুল ইসলাম (২৭) সাথে শারমীনের বিয়ে হয় । বিয়ের পর এই প্রথম নববধূকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসছিলেন জহির। শুক্রবার নৌকা ডুবিতে স্ত্রীকে হারান জহির। নবপরীণিতা স্ত্রীকে হারিয়ে স্বামী জহির পাগল প্রায় ।

শনিবার সকাল ৯টায় ভাটপাড়ার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় জহিরের আহাজারিতে ভারী হয়েছে ওই বাড়ির পরিবেশ। তার কান্না দেখে উপস্থিত সকলের চোখেই ছিলো পানি। জহির বলেন তিনি শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে নৌকায় উঠেন। মাঝিকে বারণ করা সত্বেও প্রতি ঘাট থেকে নৌকায় যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীরা মাঝিকে নিষেধ করলেও সে কর্ণপাত করেনি। এসময় নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীতে বোঝাই হয়ে যায়।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ঠিক মতো চলতে পারছিলোনা। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে লইস্কার বিলে একটি বালিবাহী ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে তাদেরকে বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। তিনি বলেন, আমি সাতরিয়ে কোন রকমে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও শারমীন পানিতে তলিয়ে যায়। রাতের বেলা তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য শুক্রবারের নৌকা ডুবিতে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান আপাতত সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

হাতের মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই নববধূ শারমীনের সলিল সমাধি

নাসিফ জাবেদ নীলয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বর্তমানে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। অসচেতনতার  ফলে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এই প্রকোপ থেকে বাঁচতে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে ৫দিন ব্যাপি ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে “এখনই সতর্কতা, নতুবা ভয়াবহতা” নামক স্লোগানকে সামনে রেখে এই কার্যক্রমটি শুরু হয়।

উক্ত কার্যক্রমে ভিবিডি জেলা শাখার সকল ভলান্টিয়াররা তাদের নিজ নিজ বাড়ি/এলাকার আশ-পাশগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য৷ সেই সাথে ভলান্টিয়াররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের কাছে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে৷

এ ব্যাপারে ভিবিডির জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, কারো একার পক্ষে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে দায়িত্বশীলভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই এ প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত থাকতে “এখনই সতর্কতা, নতুবা ভয়াবহতা” স্লোগানকে সামনে রেখে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিনিয়ত নিজ নিজ বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিছন্ন ও মেশিন দিয়ে স্প্রে করার পাশাপাশি আশেপাশের মানুষদের সচেতনতমূলক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়াও আপনাদের ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে দিনে ও রাতে যখনই ঘুমাবেন, মশারি টানিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে এই প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

এ ব্যাপারে ভিবিডির জেলার সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ বলেন, ভিবিডির জেলার স্বেচ্ছাসেবকরা সব সময় জনগণের সেবা নিয়ে কাজ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ভিবিডি জেলা শাখার উদ্যোগে “এখনই সতর্কতা, নতুবা ভয়াবহতা” নামক স্লোগানকে সামনে রেখে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হয়। আমরা নিজ নিজ এলাকার আশ পাশ পরিষ্কারের পাশাপাশি মানুষদেরও সচেতন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমান সময়টা খুবই ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। একদিকে যেমন মহামারি করোনা তেমনি আরেক দিকে বাড়ছে ডেঙ্গু ভয়াবহতা। এই ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে হলে হতে হবে সচেতন। সেই লক্ষেই ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালু বোঝাই ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কা বিলে এ ঘটনা ঘটে।

এতে নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২১ জন যাত্রী মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। আহতদের মধ্যে প্রথমে ৮ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।

আহতরা হলেন, আইয়ূব মিয়া (৪০), ইব্রাহিম (১২), আহমদউল্লাহ (১৩), মুরাদ মিয়া (৩৫), তানজির (১০) ও ফারুক মিয়া (৪৫)। বাকিদের পরিচয় যাচাই চলছে৷

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দেখতে আসেন।

নৌকার যাত্রী সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আঁখি আক্তার বলেন, তিনি তার স্বামী মুরাদ মিয়া, দুই ছেলে, শ্বাশুড়ি, ভাসুরের তিন ছেলে সহ বিজয়নগরের চম্পকনগর ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ বাজার ঘাটে আসতে নৌকায় উঠেন। নৌকায় প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি পথিমধ্যে লইস্কা বিলে এসে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পানিতে তলিয়ে যান। তিনি তার স্বামী ও একটি শিশু পুত্রকে নিয়ে সাতরে বিলের কিনারে আসতে পারলেও তার আরেক ছেলে, শ্বাশুড়ি ও ভাসুরের তিন ছেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

হাসপাতালে আহত মুরাদ মিয়া বলেন, হঠাৎ ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তারপর অনেক কষ্টে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সাতরে উপরে উঠেছি। আমার ১ ছেলে, মা ও তিন ভাতিজা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

নৌকায় থাকা যাত্রী মোহাম্মদ রাফি বলেন, আমি নৌকার ছাদে বসে ছিলাম। বিজয়নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় নৌকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দ বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। নৌকাটি লইস্কার বিলে আসলে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। আমি ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ে সাতরে উপরে উঠি। রাফি আরো বলেন, নৌকার নিচে ও উপরের শতাধিকের মতো যাত্রী ছিলো।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এ পর্যন্ত ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এখনো নৌকাটি উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

বিজয়নগরে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবি, ২১ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক 


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রসূতি মায়েদের কাছে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠছে সদর উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো। সদর উপজেলার ১১টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গত বছরও মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার ছিলো শুন্য। গত কয়েক বছর ধরেই এটা অব্যাহত আছে। সদর উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত পরিবেশ ও সেবার মান অন্যান্য হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকের চেয়ে অনেক উন্নতমানের। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়।

গত এক বছর আগ থেকে ক্লিনিকগুলোতে সেবার মান পাল্টাতে থাকে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সমন্বিত প্রয়াসে প্রসূতি মায়েদের সেবার ধরণ পাল্টাতে শুরু করে। মূলত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকিব উদ্দিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। তবে কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক না থাকায় অন্যান্য সব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। দ্রুত এসব কেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানান এলাকাবাসী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অন্যরকম পরিবেশ। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোহছেনা আক্তার বলেন, জুলাই মাসে তালশহর ইউনিয়নে প্রসূতি মায়ের সংখ্যা ছিলো ২৮ জন। এর মধ্যে এই কেন্দ্রে ১৪ জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি হয়। তিনি বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি সকল গর্ভবতী মাকে আমাদের এখানকার সেবা দেয়ার জন্য। কিন্তু অনেকেই শহরমুখী হয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চলে যান।

সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের সাকিনা বেগম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের সাকিনা বেগম নামে দুই প্রসূতি নারী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুনামগঞ্জের সকিনা বেগমের মা মর্জিনা বেগম জানান, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে সব ধরণের সুবিধা থাকায় গর্ভবতী মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি থেকে এখানে নিয়ে এসেছি। এখানকার সুযোগ সুবিধা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খুবই ভালো।

কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, এখানে ডপলার মেশিন, পালস অক্সিমিটার, অক্সিটক্সি ইনজেকশন, স্ট্রিপ, প্রেশার মাপার যন্ত্র, হিমোগ্লবিন পরীক্ষার যন্ত্র, ওজন মাপার যন্ত্র, নেবুলাইজার, বেবি ম্যানেজম্যান্ট টেবিল, অক্সিজেন সিলিন্ডার, থেকে শুরু করে মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব ধরণের সুবিধা রয়েছে। এখানে রক্তদাতাদেরও একটি তালিকাও সংরক্ষণ করা হয় যেন প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা যায়। আছে মায়েদের জন্য একটি ব্যাংক। যেটি গর্ভধারণের পর দরিদ্র মায়েদেরকে দেয়া হয় অনাগত সন্তান্তের জন্য সঞ্চয় করতে। আছে সৌর বিদ্যুৎ ও আইপিএস এর ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২১ সালের প্রথম সাত মাসে এখানে ২৫৫ জন মা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে একজনের বেশি মা এখানে সন্তান জন্ম দেন। তবে সেবাগ্রহিতা মায়ের সংখ্যা আরো বেশি।

কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ফরিদা আক্তার খানম জানান, তাঁর জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনের উপর তলায় থাকার ব্যবস্থা আছে। যে কারণে তিনি দিন-রাত এখানে কাজ করতে পারেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রে যদি একজন চিকিৎসক দেয়া হয় তাহলে মানুষের আস্থা আরো বাড়বে। প্রসূতি মায়েদের সেবার পাশাপাশি অন্যান্য সেবাও দেয়া যাবে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আকিব উদ্দিন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর আমি চেষ্টা করি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে প্রসূতি মায়ের সেবা বাড়ানোর জন্য। ইউএনও মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় সেবার মান বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, সদর উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ২০১৮-২০১৯ সালে ৫৬০টি, ২০১৯-২০২০ সালে ৭৫৪টি ও ২০২০-২০২১ সালে ১২৬১টি নরমাল ডেলিভারী হয়। এসব ডেলিভারীতে একজন শিশু ও মা মারা যায়নি। যে কারণে প্রতিনিয়তই এখানে সেবা গ্রহিতা প্রসূতি মায়ের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা মহামারির এই সংকট কেটে গেলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক দেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে এসব কেন্দ্রগুলোকে গড়ে তুলতে চাই। সহযোগিতার জন্য যখন যেখানে বলেছি সাড়া পেয়েছি। এতে করে এখানে আগের চেয়ে সেবার মান অনেক বেড়েছে। কেন্দ্রগুলো সারাদেশে মডেল হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রগুলো প্রসূতি মায়েদের নির্ভরতার প্রতীক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখা ও জেলা সিপিবির উদ্যোগে ফুলবাড়ি দিবস পালিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার সকালে পৃথকভাবে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ফুলবাড়ি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ মিনারের পাদদেশে শহীদদের স্মরণে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন কমিটির জেলা আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ জামালের সভাপতিত্বে ও তেল-গ্যাস- বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান প্রমুখ ।

সভায় বক্তারা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চুক্তি মোতাবেক ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে তার অঙ্গীকার পূরণের দাবি জানান। একই সাথে উন্নয়নের নামে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ প্রাণপ্রকৃতি বিরোধী সব প্রকল্প বন্ধেরও দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি দিবস পালিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নদীপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের দাবিতে নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন “নোঙর” উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় নবীনগর লঞ্চঘাট টার্মিনালের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

“নোঙর” নবীনগর উপজেলার আহবায়ক সাংবাদিক মিঠু সূত্রধর পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলার কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আবদুর রৌফ, নোঙর কর্মী মোজাম্মেল হক, প্রভাষক আইনুল হক, শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা নৌ-পথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের জন্য যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট, বয়া সহ নৌযানে অভিজ্ঞতাপূর্ণ চালক নিশ্চিতের দাবি জানান।

নদীপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের দাবিতে নবীনগরে নোঙরের মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু হয়েছে।
বুধবার থেকে এই প্লান্টের মাধ্যমে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা পুরোদমে অক্সিজেন সেবা পাচ্ছেন।

সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালুর ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় একধাপ অগ্রগতি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই সিস্টেমের ফলে একসাথে ২৫০ জন রোগীকে অক্সিজেনের আওতায় আনা যাবে। সেই সাথে দেয়া যাবে অধিক অক্সিজেন চাহিদা সম্পন্ন রোগীদের হাই ফ্লো ন্যাজলের ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন সেবা।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ জানান, লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে সেন্ট্রাল সিস্টেম চালু হওয়ায় করোনার চিকিৎসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আরো একধাপ এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এই সিস্টেমের ফলে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সেবা নিশ্চিত হবে।

উল্লেখ্য, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবার তেমন কোন সুযোগ-সুবিধে নেই। হাসপাতালে নেই পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ বেড। ছিল না সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশী কমে গেলে ওই রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতো।

এ অবস্থায় জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালুর জন্য মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিগ্রেডসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও সামাজিক সংগঠন।

প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ১৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬১৭। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬৪ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু

ফেসবুকে আমরা..