স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিভিন্ন সময়ে বিজিবি সদস্য ও কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হওয়া বিভিন্ন ধরনের মালামাল ধংস করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশক্রমে আজ দুপুর ১২টায় কাস্টমস কম্পাউন্ডের ভেতরে এসব মালামাল ধ্বংস করা হয়। ধংসকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে বিড়ি, সিগারেট, বাজি, কসমেটিকস্ সামগ্রী, কয়েল, কারেন্ট জাল, তামাকের গুড়া, বিস্কুট, প্লাস্টিক সামগ্রী, কার্পেট, শাড়িসহ প্রায় ৯শ প্রকারের বিভিন্ন পণ্য।

এসব মালামাল গত প্রায় ২০ বছর ধরে কাস্টম্স এর গুদামে রক্ষিত ছিল। ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিভিন্ন সময়ে বিজিবি সদস্য ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব মালামাল আটক করে। পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়ের হলে জব্ধকৃত মালামাল আলামত হিসেবে কাস্টম্স এর গুদামে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব মালামাল গুদামে থাকায় নস্ট হয়ে যাওয়া এবং গুদামের স্থান সংকুলান না হওয়ায় গুদামের পরিচ্ছন্নতার জন্য এগুলো ধংস করা হয়েছে।

মালামাল ধংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস ভ্যাট ও কমিশনারেট কুমিল্লার অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ আব্দুল হাকিম, সহকারী কমিশনার মোঃ ছালাউদ্দিন রিপন, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাহিদ হাসান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-কমিশনার মোঃ ফখরুল আমিন চৌধুরী, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এ ব্যাপারে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-কমিশনার মোঃ ফখরুল আমিন চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব পণ্যসামগ্রী আটক করে। আদালতের আলামত হিসেবে পণ্যগুলো কাস্টম্স এর গুদামে রাখা হয়। সম্প্রতি আদালতের আদেশক্রমে গুদাম পরিস্কার করার জন্য এগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

আখাউড়ায় কাষ্টমসের এর মালামাল ধংস


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর হামলা নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে প্রেরনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বিকেলে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- সহসভাপতি জুলকার নাঈন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ইব্রাহিম, সাহিত্য সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, সাংবাদিক মোহাম্মদ বদর উদ্দিন ও মোঃ মুরাদ খান প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করছেন। তাই রোজিনার উপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন যুগ্ম সচিব জৈবুন্নেছা। এর জেরেই পেশাগত দায়িত্ব পালনে জৈবুন্নেছা তার অফিসের কর্মচারিদের নিয়ে রোজিনার উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। রোজিনার গলা চিপে ধরেন। পরে মন্ত্রণালয়ে ৬ ঘন্টা আটকে রেখে রোজিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কারো শত্রু নয়, বরং সহায়ক শক্তি। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রোজিনার বিরূদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তির দাবি জানান।

সরাইল প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা ॥ মুক্তি দাবি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একটি মার্কেটের ১০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। গত রোববার গভীর রাত দুইটায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারের ছিদ্দিক মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কসবা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীদেরকে তাৎক্ষনিক ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সঠিকভাবে নিরূপন করার জন্য বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়াকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, রোববার গভীর রাতে নয়নপুর বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিলিন্ডার গ্যাস বিষ্ফোরনের বিকট শব্দে ও আগুনের লেলিহান শিখায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আগুনে বাজারের একটি ডিজেল -মবিলের দোকান, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, পোল্ট্রি ফিডের দোকান, ফার্নিচারের দোকানসহ ১০টি দোকান ভস্মীভূত হয়।
বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রোববার গভীর রাতে মার্কেটে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে কসবা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বে থাকা লিডার সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডে বাজারের ১০টি দোকান পুড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল-আলম বলেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্থ বাজারটি পরিদর্শন করেছেন ও বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ ১০ দোকানীর প্রত্যেককে তাৎক্ষনিক ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সঠিকভাবে নিরূপন করার জন্য বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়াকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি দোকানের ক্ষয়-ক্ষতির বিবরনী জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কসবায় অগ্নিকান্ডে ১০ দোকান ভস্মিভূত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছ থেকে আম পাড়ার সময় গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মোঃ নাসির উদ্দিন-(৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন দামচাইল গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত নাসির উদ্দিন একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন ও দামচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
নিহতের ভাতিজা কামরুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার চাচা নাসির উদ্দিন বাড়িতে থাকা ধান কাটার শ্রমিকদের খাওয়ানোর জন্য আম পাড়তে গাছে উঠেন। আম পাড়া অবস্থায় তিনি হঠাৎ গাছ থেকে ছিটকে বাড়ির দেয়ালে পড়েন। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। আহতবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শফিউল্লাহ আরাফাত তাকে সার্জারী বিভাগে ভর্তি দেন। দুপুর ১টায় তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আম গাছ থেকে পড়ে ১ ব্যক্তি নিহত

 


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে চারদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার ফের সচল হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম। আজ সকালে মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে পুনরায় স্থল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে গত ১৩ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানী বন্ধ রাখেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বলেন, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে স্থল বন্দরের আমদানি বন্ধ থাকলেও এ সময় বিশেষ ব্যবস্থায় উভয় দেশের আটকেপড়া পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল ছিলো।

ফের সচল হয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর মাতা প্রতিমা চৌধুরী পরলোকগমন করেছেন।

গত শনিবার দুপুর পৌনে তিনটায় তিনি বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নিজবাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। শনিবার রাত ৯টায় মির্জাপুর গ্রামের পারিবারিক শ্বশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সাংবাদিক নেতা দীপক চৌধুরী বাপ্পীর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মাতার পরলোকগমন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাহারাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার উপজেলার কে.এম. রুহুল রাব্বী-(৪৮)সহ তিন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে বাহারাইনের জাল্লাক মহাসড়কের বাহারাইন ইউনিভার্সিটির কাছে দুটি গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারান তারা।

কে.এম. রুহুল রাব্বী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের মরহুম রকিব উদ্দিনের ছেলে। চলতি বছরের শেষ দিকে রাব্বীর দেশে ফেরার কথা ছিলো। নিহতের স্বজনরা দ্রুত তার লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাব্বীর মা- বাবা গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। ৭ ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বী দ্বিতীয়। বিগত ২০১৭ সালে রাব্বী বাহারাইনে পাড়ি জমান। সেখানকার একটি কোম্পানীতে তিনি সুপারভাইজারের চাকুরী করতেন।

রাব্বীর ভাগ্নে আরাফাত হোসেন জানান, তার মামা ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তার কোন সন্তান ছিলনা। মামির সাথে মামার কোন সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিলনা। চলতি বছরের শেষ দিকে মামার দেশে ফেরার কথা ছিলো। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে মামা বাহারাইন যাওয়ার আগে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাহারাইনে যাওয়ার পর তিনি আর দেশে আসেন নি। স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে (রাব্বীর স্ত্রী) বনিবনা না হওয়ায় তাঁর সাথেও যোগাযোগ ছিলনা রাব্বীর।

তিনি বলেন, রোববার ভোর রাতে তার মেজো মামা মাসুদ খন্দকার ফোন করে তার মাকে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বীর নিহত হওয়ার ঘটনাটি জানান। রাব্বী ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে সেখানকার সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বীসহ তিনজন মারা যান। আরাফাত হোসেন তার মামা রাব্বীর লাশ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ-উল আলম জানান, নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। লাশ আনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।

বাহারাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় রাব্বী নিহত, দ্রুত লাশ দেশে আনার দাবি স্বজনদের


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আকস্মিক ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে মোজাম্মেল হক (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোজাম্মেল হক বিটঘর বটতলা সুপার মার্কেটের মালিক ও বিটঘর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে নবীনগর পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙ্গে যায়। ছিঁড়ে যায় বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার। ঝড়ে বিটঘর গ্রামে বটগাছের একটি ডাল ভেঙ্গে পড়লে তার নীচে চাপা পড়ে মোজাম্মেল হক নামে এক ব্যক্তি মারা যান।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক জানান, দুপুরে নবীনগর পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হঠাৎ ঝড় হয়। ঝড়ে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও কিছু গাছপালা ভেঙ্গে যায়। ঝড়ে বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘড় গ্রামে একটি বটগাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে মোজাম্মেল হক (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ঝড়ে নিহতের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

নবীনগরে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে বৃদ্ধ নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে গত ২১ দিনে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ৬২৭ যাত্রী। তাদের মধ্যে ৬১২ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৫ জন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ভারতের নাগরিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) ইমতিয়াজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিয়ে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাবের করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
সেই নির্দেশনা মোতাবেক গত ২১ দিনে ৬২৭জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গতকাল রোববার ২৭জন দেশে ফিরেছেন। ৬২৭ জনের মধ্যে ৬১২ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৫ জন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ভারতের নাগরিক।

মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন, গত ২৬ এপ্রিল থেকে গতকাল রোববার (১৬ মে) পর্যন্ত এসব যাত্রীরা বাংলাদেশে আসেন। অপরদিকে এই সময়ে বাংলাদেশে আটকা পড়া ১৮৫ জন ভারতীয় পাসপোর্টধারী নাগরিকও তাদের নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

আখাউড়া স্থল বন্দর পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আবদুল হামিদের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন, গত শনিবার ১২ জন যাত্রী বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে তিন জনকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও ৯ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ফিরে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৭৩ জন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

এদিকে ভারত থেকে আসা একজন যাত্রীর করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

২১ দিনে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ৬২৭ যাত্রী

ফেসবুকে আমরা..