স্টাফ রিপোর্টার ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

করোনা পরিস্থিতি ও আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকার পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। গত প্রায় ১০দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে লিচু বেচা-কেনা হচ্ছে। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় বেচা-বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিজয়নগর উপজেলার লিচু মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এই লিচুর সুনাম ও খ্যাতি। এ বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিজয়নগরে লিচুর ভালো ফলন হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চাষীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগর উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর, আখাউড়ায় ৯০ হেক্টর ও কসবা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। বাকী ৬ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে বিজয়নগর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে লিচুর আবাদ করা শুরু হয়। কম পরিশ্রমে বেশী লাভ হওয়ায় এখানকার ধানি জমিগুলোকেও লিচু বাগানে পরিনত করতে থাকেন চাষীরা।

বর্তমানে উপজেলার পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমোড়া, নুরপুর, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, চান্দপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, রূপা, শান্তামোড়া, কামালপুর, কচুয়ামোড়া, ভিটিদাউপুর এলাকায় প্রায় চার শতাধিক লিচুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানে দেশী লিচু, এলাচি লিচু, চায়না লিচু, পাটনাই লিচু ও বোম্বাই লিচু চাষ করা হয়।

এছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই একটি লিচু গাছ আছে। যাদের বাড়িতেই একটু জায়গা আছে, তারা প্রত্যেকেই বাড়িতে অন্যান্য ফলের গাছের সাথে লিচু গাছ লাগান।

এলাকাবাসী ও চাষীরা জানান, লিচু গাছে মুকুল আসার পর থেকে কয়েক দফা বাগান বিক্রি হয়। গাছে মুকুল ও গুটি আসার পর প্রথমে বাগান কিনেন স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলার মহাজনরা। গুটি একটু বড় হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় গাছ বিক্রি হয়। লিচু আকার ধারণ করলে তৃতীয় দফায় বিক্রি হয়। লিচু বড় হলে চতুর্থ দফায় বাগান বিক্রি হয়।

বিজয়নগর উপজেলার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার হচ্ছে আউলিয়া বাজার। এছাড়াও উপজেলার মেরাশানী, মুকুন্দপুর, কাংকইরা বাজার, চম্পকনগর, সিঙ্গারবিল বাজার, আমতলী বাজারসহ আরো কয়েকটি বাজারে পাইকারীভাবে লিচু বেচা-কেনা হয়।
প্রতিদিন ভোর রাত ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এসব বাজারে লিচু বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন উপজেলার আউলিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকার লিচু বেচা-কেনা হয়। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা লিচু কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার আউলিয়া বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি হাজার দেশী লিচু দেড় হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, প্রতি হাজার এলাচি ও চায়না লিচু ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা, পাটনাই ও বোম্বাই লিচু ২ হাজার ২০০ থেকে ২৫০০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লা জেলা থেকে লিচু কিনতে আসা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, বাজারে বিজয়নগরের লিচুর বিশেষ চাহিদা থাকায় আমি প্রতি বছরই এখান থেকে লিচু কিনে কুমিল্লায় নিয়ে পাইকারী বিক্রি করি। এখানকার লিচু মিষ্টি ও সু-স্বাদু হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা বেশি। তিনি বলেন, এখান থেকে প্রতি একশ লিচু পাইকারী ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় কিনে কুমিল্লায় নিয়ে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করি।


হবিগঞ্জ জেলার ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন জানান, গত তিনদিন ধরে তিনি আউলিয়া বাজারে আসছেন। প্রতিদিন তিনি গড়ে প্রায় লাখ টাকার উপরে লিচু কিনেন। তিনি বলেন, লাভ একটু কম হলেও এখানকার লিচু অনেক ভালো ও মিষ্টি হওয়ায় চাহিদা থাকে বেশি।

বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের শেখ সায়মন জানান, তিনি তার প্রতিবেশী কৃষকের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য দুইটি বাগান সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কিনেছেন। দুইটি বাগানে ৩২টি লিচু গাছ আছে। পরিচর্যায় খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। দুইটি বাগানে যে পরিমাণ লিচু আছে, তা বিক্রি হবে আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামের লিচু চাষী আক্তার হোসেন বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে আমার লিচুর বাগান। এবার বোম্বাই জাতের লিচু চাষ করেছি। আগে মৌসুমের শুরুতে বাগান বিক্রি করে দিতাম। কিন্তু এবার বিক্রি করিনি। আশা করছি খরচ মিটিয়ে আড়াই লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারব।

একই এলাকার অপর চাষি মহসিন জানান, ১২০ শতাংশ জমিতে তার তিনটি লিচুর বাগান রয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার খরার কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তিনি তিনটি বাগানের লিচু ৩ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারনা করছেন।

এ ব্যাপারে আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, লিচু বাজার ও বাগানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন যাতে সুন্দরভাবে লিচু ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন সেদিকে পুলিশের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, লিচুর ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমপক্ষে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হবে। আর ১০/১২ দিন বাজারে লিচু পাওয়া যাবে।

বিজয়নগরে লিচুর ভালো ফলন হওয়ায় কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশাবাদ

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে জেলা পর্যায়ে চার ক্যাটাগরিতে চারজনকে শুদ্ধাচার পুরষ্কার-(২০১৯-২০২০) প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন চার ক্যাটাগরিতে চারজনের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

শুদ্ধাচার পুরষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভিন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পেশাগত জ্ঞান, সততা, উদ্ভাবন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ও অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগীতাসহ শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক স্বীকৃতিস্বরুপ চার ক্যাটাগরিতে চারজনকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পুরষ্কার স্বরুপ প্রত্যেককে তাদের এক মাসের মূল বেতনের সমান সম্মানী, ক্রেস্ট এবং সনদ প্রদান করা হয়। পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেলেন চার কর্মকর্তা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করার দুইদিন পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বদলি করে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন নিজেই তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনিয়ে হেফাজতি তান্ডবের ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারি পুলিশ সুপার, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত), সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন), সদর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (মিডিয়া) পুলিশের ২১জন অফিসারকে বদলি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর গত ২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সে, সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে গাজীপুরে বদলি করা হয়।

গত ৯ মে পুলিশ সদর দফতরের আরেকটি আদেশে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমদেকে বরিশাল রেঞ্জে, ১১ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদকে নাসিরনগর থানার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে, ১৯ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পদায়ন করা হয়।

গত ২৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করা হয়। আদেশে ১০ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও বাকি তিনজন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লে¬খ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের খুনের রহস্য উদঘাটনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন এবং দোষিদের আইনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিক্ষুব্দ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার সকালে স্থানীয় স্বাধীনতা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সাংবাদিক মোঃ সোলেমান খানের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক নেপাল চন্দ্র সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড.মুহাম্মদ ইদ্রিস ভুইয়া, কসবা পৌর সভার প্যানেল মেয়র মো.আবু জাহের, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার, কসবা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট লেখক মোঃ জহিরুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও ঢাবি’র ছাত্র নিহত হাফিজুর রহমানের বন্ধু সোহান মাহমুদ।

মানববন্ধনে বক্তারা হাফিজুর রহমানের খুনের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির সহযোগিতা কামনা করেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ নেন।

কসবায় বিক্ষুব্দ নাগরিক সমাজের মানববন্ধন-প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত ১ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন ১ হাজার ৭৪জন যাত্রী। গত ২৬ এপ্রিল থেকে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) পর্যন্ত তারা আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার দেশে এসেছেন ৩৪ জন। এদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৭৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২৫৯ জনকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য কুমিল্লা জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন ৩১৬ জন।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোটেল অবকাশে ২৮ জন, হোটেল তাজ এ ৩০ জন, হোটেল গ্র্যান্ড মালেকে ২৮ জন, হোটেল আশিক প্লাজায় ৩২ জন, হোটেল তিতাস ভিউতে ৪৬ জন ও হোটেল নিউ ইন্টারন্যাশনালে দুইজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৬ জন, আখাউড়ার হোটেল নাইন স্টারে ২০ জন, হোটেল রজনীগন্ধায় ২৩ জন অবস্থান করছেন।
এছাড়া ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে ৪৫৩ জন যাত্রীকে অবমুক্ত করা হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ৪৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারতফেরত যাত্রীদের বিষয়ে সরকারি যে নির্দেশনা দেয়া আছে সেগুলো কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ মাসে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ১০৭৪ জন যাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের তান্ডব ও সহিংসতার দুইমাসের মধ্যেই ১৩ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কারনে বদলি করা হয়েছে। জনস্বার্থে ১০ জন এসআইকে ও বাকি ৩ জন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে।

আগামী ২৯ মে এর মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৩০ মে থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রথম একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) একযোগে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে করা বদলির আদেশটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন ১৩ এসআইয়ের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদলিকৃত এসআইদের মধ্যে বিউটি রানী দাস, বজলুর রহমান খাঁন, মো. হুমায়ূন কবির, মো. আমির হামজা ও এস. এম. আতিকুজ্জামান এবং মো. তোফাজ্জল হোসেনকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায়, তপু সাহা ও মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এবং মো. মতিউর রহমান ও মো. শাহ সাব খাঁনকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও এসআই মো. শফিকুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর, মো. মিজানুর রহমানকে চাঁদপুর এবং মো. নুরুল আমিনকে নোয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শফিকুল, মিজানুর ও নুরুল আমিনের বদলির ধরন প্রশাসনিক কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকিদের বদলি জনস্বার্থে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন বলেন, বদলির ধরনে জনস্বার্থে হলো- নিয়মিত বদলির অংশ। এক জায়গায় দীর্ঘদিন হয়ে গেলে নিয়মিত বদলি হিসেবে জনস্বার্থে বদলি করা হয়। আর প্রশাসনিক কারণে বদলি হলো- নিয়মিত বদলির সময় হয়নি। কিন্তু প্রশাসনিক স্বার্থে মনে হচ্ছে- তার এখানে থাকার যোগ্যতা নেই, তাকে অন্য জায়গায় বদলি করাটাই শ্রেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংসতার ২মাসের মধ্যেই ১৩ এসআই বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রপচার ছাড়াই এক প্রসূতি মা মস্তিকবিহীন (মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া) একটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন। গত সোমবার বিকেল ৫টায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এই শিশুটি জন্ম নেয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত ও তার মা সুস্থ্য আছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার বলেন, এই ধরনের শিশু জন্মগতভাবে ত্রুটি নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেন। এই ধরণের শিশুর মাথার খুলি ও মগজ থাকে না। এই ধরনের শিশুকে এনেনসেফালি বা মস্তিষ্কবিহীন শিশু বলে। এই ধরনের শিশুকে বাঁচানো ইতিহাস নেই। শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে তবে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটির অভিভাবক তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়নি।
হাসপাতাল ও নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সাথে গত দুই বছর আগে একই উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। প্রায় ১ বছর আগে তানজিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন গাইনি চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তানজিনা যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন গাইনি চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। তখন তাকে জানানো হয় যে, গর্ভে থাকা শিশুটি জন্মের পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হবে এবং তার মাথার খুলি হবেনা। কিন্তু চিকিৎসকের সেই কথা তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিশ্বাস করেননি। গত সোমবার দুপুরে তানজিনার প্রসবজনিত ব্যাথা উঠে। পরিবারের লোকজন তাকে দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বিকেল পাঁচটার দিকে গাইনি বিভাগের মাহফিদা আক্তারের তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিকভাবে তানজিনা মস্তিষ্ক বিহীন কন্যা শিশুটি জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার বলেন, তানজিনা আট মাসের অন্তঃসত্ত্ব ছিলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশুগুলো সচরাচর ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকে। শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে শিশুটিকে এতোদিন গর্ভে রেখে এতদূর আনার কোনো দরকার ছিল না। আমাদের কাছে আসলে ১৪ সপ্তাহ গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ে তানজিনার একটা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে শিশুটির অবস্থা জানতে পারতাম। তখনই কোনো পদক্ষেপ নেয়া যেত। তিনি বলেন, ‘শিশুটির এই জন্মগত ত্রুটি বা বিকলাঙ্গের অন্যতম কারণ হলো ফলিক অ্যাসিডের অভাব। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে থেকেই মায়েদের ফলিক অ্যাসিডের বড়ি খাওয়া শুরু করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেনের সাথে মঙ্গলবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে তবে শিশুটিকে তার অভিভাবকরা ঢাকায় নিয়ে যায়নি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত আছে। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশু ১/২ দিনের বেশী বাঁচেনা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলিবিহীন কন্যা শিশুর জন্ম লাভ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শেফা আক্তার-(৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শেফা আক্তার পৌর শহরের পুনিয়াউট গ্রামের কাসেম মিয়ার মেয়ে। সে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।
পারিবারিক সূত্র জানায়, অসুস্থ্য নানীকে দেখতে মঙ্গলবার সকালে শেফা তার মায়ের সাথে গোকর্ণঘাট নানার বাড়িতে যায়। দুপুরে নানা বাড়ি এলাকার অন্যান্য শিশুদের সাথে পুকুরে গোসল করার সময় হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যায় সে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা পুকুরে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পানির নীচ থেকে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরতদ চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন,শেফাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নোমান মিয়া-(২২) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল (২৫ মে) রাতে এলাকাবাসী নোমানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এ ঘটনায় নোমানের মাতা হনুফা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত নোমান মিয়া সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কালীশিমুল গ্রামের আবদুল জাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোমান মিয়া গত তিন-চার বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করে আসছে। নেশার টাকার জন্য নোমান প্রায়ই পরিবারের সদস্যদেরকে শারিরীক নির্যাতন করতো।
গত সোমবার রাতে নোমান নেশার টাকার জন্য তার বাবাকে চাপ দেয়। বাবা আবদুল জাহের টাকা দিকে অপারগতা প্রকাশ করায় বাবাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে।
আবদুল জাহেরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাম হাতে ২২ টি সেলাই দেয়া হয়। রাতেই গ্রামবাসী মাদকাসক্ত নোমানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা সরাইলে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেপ্তার

ফেসবুকে আমরা..