স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা দুই যুবক নিহত হয়েছে। আজ বেলা ১১টা দুপুর ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজ রেলক্রসিং ও সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীসীমা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে রেলওয়ে থানার সহকারী পুলিশ সুপার উর্মিদেব জানান, আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে একাধিক ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজ গেইট রেলক্রসিং এলাকায় ১ যুবক এবং একইভাবে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীসীমা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অপর যুবক নিহত হয়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, দুই যুবকের পরিচয় জানান চেষ্টা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবক নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া  
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) নিযুক্ত হয়েছেন ডা. ফখরুল আলম আশেক। গতকাল (৩১ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক পদে নতুন দায়িত্ব শুরু করেন।
তিনি হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ায় ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হোন।
তিনি ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিযুক্ত হন।
এর আগে ২০১৩ সালে তিনি মেডিকেল অফিসার থেকে পদোন্নতি পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অর্থোপেডিক্স বিভাগে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালে একই কর্মস্থলে একই বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতি হন। তবে সোমবার বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের অবসরের কারনে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ডা. ফখরুল আলম আশেক ১৯৬৮ সালে ১ জানুয়ারি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন৷ বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএমএ’র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নতুন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফখরুল আলম আশেক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ সকাল ১০টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র‌্যালি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শহীদ ডাঃ মিলন সভাকক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রুহুল আমিন।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরামউল্লাহ। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ হিমেল খান, এমওসিএস ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, স্বদেশির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজিজুর রহমান, খন্দকার শফিকুর রহমান, নার্সেস নেত্রী ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। সেজন্য সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্র থেকে কাজ করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনুর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭)- ২০২১ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টায় কসবা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর ভুইয়া, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, পৌর কাউন্সিলর আবু জাহের, কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

কসবায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্টের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাথে তিনটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন সুমাইয়া আক্তার-(২৮) নামে এক প্রসুতি মাতা। আজ সকালে পৌর এলাকার লোকনাথ দীঘির (টেংকের পাড়) পূর্ব পাশে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলফ কেয়ারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি মাতা সুমাইয়া আক্তার তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার সুমাইয়া আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেয়া কন্যা শিশুগুলো সুস্থ্য আছে। সুমাইয়া আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের আল-আমিন ভূইয়ার স্ত্রী।

হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার বলেন, সুমাইয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আগেই জানা ছিল তার গর্ভে তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার পর সুমাইয়ার গর্ভে শিশুদের নড়াচড়া কম ছিল ও তার রক্তচাপ বেশি ছিল। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সুমাইয়ার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।

চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার আরো বলেন, শিশুরা সুস্থ্য ও ভালো আছে। তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটির ওজন ১.৯ কেজি এবং বাকি দুইজনের ওজন ২.২ কেজি করে। শিশুটির মাও ভালো আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের আল-আমিন ভূইয়া একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি গত ১১ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের সুমাইয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। তার আরো দুটি কন্যা সন্তান আছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স সাড়ে ৯ বছর ও আরেকজনের বয়স সাড়ে ৪ বছর।
এ ব্যাপারে শিশুদের পিতা আল-আমিন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, একসাথে তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় তিনি খুব খুশী হয়েছেন। তিনি বলেন, আমার আরো দুই মেয়ে আছে। আপনারা আমার মেয়েদের জন্য দোয়া করবেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাথে তিন কন্যা শিশু জন্ম দিলেন এক গৃহবধূ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শামস কবির-(১৫) নামে নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারধোর করে তার সহপাঠীসহ ২০ কিশোর। গতকাল (২৯ মে) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শামস কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।

আহত শামস কবির কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা রোকসানা কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনাম ১৫ কিশোরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে শামস কবির স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে যাওয়ার সময় রিফাত, অন্তর, তানভীর, হাসান, সিয়াম সহ অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০জন শিক্ষার্থী ও কিশোর তাকে মারধোর করে। অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অনতিদূরে তাকে ছুরি, লোহার রড, পাইপ, বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে মারধোর করা হয়। এতে শামস কবির আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত শামস কবির জানায়, তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে তাঁর স্কুলেরই শিক্ষার্থীরা তাকে মারধোর করে। এ সময় তার সাথে থাকা দুই সহপাঠি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। শামস কবিরের মা রোকসানা কবির জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।

এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, বিষয়টি শামস কবিরের মা রোকসানা কবির তাঁকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ। পাশাপাশি ঘটনাটি বিদ্যালয়ের বাইরে হওয়ায় আপাতত আমার পক্ষে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের অনেকেই বহিরাগত। শিক্ষার্থীর মা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আইনগত ভাবেই শেষ হবে বলে আশা করি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তুচ্ছ ঘটনার জের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ২০ কিশোর

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৫টি মসজিদ এবং ৩টি মন্দিরে ৩ লাখ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ  বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম মসজিদ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের হাতে এসব অনুদানের চেক তুলে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়েজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার।

অনুষ্ঠানে উপজেলার ৫টি মসজিদ ও ৩টি মন্দিরে ৩ লাখ টাকার অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।

নাসিরনগরে মসজিদ ও মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণ

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে “সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার” উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১ টায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের নুকুল হেয়ার কাটিং সেলুনে ফিতা কেটে পাঠাগারটি উদ্বোধন উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও অরুয়াইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহের উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি মোঃ আবু তালেব, সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মোঃ শফিক, অরুয়াইল প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি প্রফেসর মোঃ এলাই মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম. মনসুর আলী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আসিফ ইকবাল খোকন, সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন, অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মোঃ বোরহান উদ্দিন, শিক্ষক গোপাল চন্দ্র গোপ, ইসমাইল মিয়া, জহরলাল সূত্রধর, খোকন বিশ্বাস, সুজন বিশ্বাস এবং “ সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার” এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হারুন-অর-রশীদ ।

সেলুন ভিত্তিক পাঠাগারের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজনরা বলেন, মাদকমুক্ত ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগার আন্দোলন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পাঠাগারের উদ্যোক্তা, প্রতিশ্রুতিশীল লেখক ও বিশিষ্ট ব্যাংকার হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকার নবাবগঞ্জে সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় এ ধরণের ৬৪ টি পাঠাগার স্থাপন করা হবে।
সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার আন্দোলনের উদ্যোক্তা বইপ্রেমী হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাহ পুরের আসাদুল্লাহ মাস্টারের ছেলে ।

সরাইলে সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

করোনা পরিস্থিতি ও আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকার পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। গত প্রায় ১০দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে লিচু বেচা-কেনা হচ্ছে। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় বেচা-বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিজয়নগর উপজেলার লিচু মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এই লিচুর সুনাম ও খ্যাতি। এ বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিজয়নগরে লিচুর ভালো ফলন হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চাষীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগর উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর, আখাউড়ায় ৯০ হেক্টর ও কসবা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। বাকী ৬ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে বিজয়নগর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে লিচুর আবাদ করা শুরু হয়। কম পরিশ্রমে বেশী লাভ হওয়ায় এখানকার ধানি জমিগুলোকেও লিচু বাগানে পরিনত করতে থাকেন চাষীরা।

বর্তমানে উপজেলার পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমোড়া, নুরপুর, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, চান্দপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, রূপা, শান্তামোড়া, কামালপুর, কচুয়ামোড়া, ভিটিদাউপুর এলাকায় প্রায় চার শতাধিক লিচুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানে দেশী লিচু, এলাচি লিচু, চায়না লিচু, পাটনাই লিচু ও বোম্বাই লিচু চাষ করা হয়।

এছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই একটি লিচু গাছ আছে। যাদের বাড়িতেই একটু জায়গা আছে, তারা প্রত্যেকেই বাড়িতে অন্যান্য ফলের গাছের সাথে লিচু গাছ লাগান।

এলাকাবাসী ও চাষীরা জানান, লিচু গাছে মুকুল আসার পর থেকে কয়েক দফা বাগান বিক্রি হয়। গাছে মুকুল ও গুটি আসার পর প্রথমে বাগান কিনেন স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলার মহাজনরা। গুটি একটু বড় হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় গাছ বিক্রি হয়। লিচু আকার ধারণ করলে তৃতীয় দফায় বিক্রি হয়। লিচু বড় হলে চতুর্থ দফায় বাগান বিক্রি হয়।

বিজয়নগর উপজেলার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার হচ্ছে আউলিয়া বাজার। এছাড়াও উপজেলার মেরাশানী, মুকুন্দপুর, কাংকইরা বাজার, চম্পকনগর, সিঙ্গারবিল বাজার, আমতলী বাজারসহ আরো কয়েকটি বাজারে পাইকারীভাবে লিচু বেচা-কেনা হয়।
প্রতিদিন ভোর রাত ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এসব বাজারে লিচু বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন উপজেলার আউলিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকার লিচু বেচা-কেনা হয়। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা লিচু কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার আউলিয়া বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি হাজার দেশী লিচু দেড় হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, প্রতি হাজার এলাচি ও চায়না লিচু ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা, পাটনাই ও বোম্বাই লিচু ২ হাজার ২০০ থেকে ২৫০০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লা জেলা থেকে লিচু কিনতে আসা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, বাজারে বিজয়নগরের লিচুর বিশেষ চাহিদা থাকায় আমি প্রতি বছরই এখান থেকে লিচু কিনে কুমিল্লায় নিয়ে পাইকারী বিক্রি করি। এখানকার লিচু মিষ্টি ও সু-স্বাদু হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা বেশি। তিনি বলেন, এখান থেকে প্রতি একশ লিচু পাইকারী ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় কিনে কুমিল্লায় নিয়ে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করি।


হবিগঞ্জ জেলার ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন জানান, গত তিনদিন ধরে তিনি আউলিয়া বাজারে আসছেন। প্রতিদিন তিনি গড়ে প্রায় লাখ টাকার উপরে লিচু কিনেন। তিনি বলেন, লাভ একটু কম হলেও এখানকার লিচু অনেক ভালো ও মিষ্টি হওয়ায় চাহিদা থাকে বেশি।

বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের শেখ সায়মন জানান, তিনি তার প্রতিবেশী কৃষকের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য দুইটি বাগান সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কিনেছেন। দুইটি বাগানে ৩২টি লিচু গাছ আছে। পরিচর্যায় খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। দুইটি বাগানে যে পরিমাণ লিচু আছে, তা বিক্রি হবে আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামের লিচু চাষী আক্তার হোসেন বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে আমার লিচুর বাগান। এবার বোম্বাই জাতের লিচু চাষ করেছি। আগে মৌসুমের শুরুতে বাগান বিক্রি করে দিতাম। কিন্তু এবার বিক্রি করিনি। আশা করছি খরচ মিটিয়ে আড়াই লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারব।

একই এলাকার অপর চাষি মহসিন জানান, ১২০ শতাংশ জমিতে তার তিনটি লিচুর বাগান রয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার খরার কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তিনি তিনটি বাগানের লিচু ৩ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারনা করছেন।

এ ব্যাপারে আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, লিচু বাজার ও বাগানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন যাতে সুন্দরভাবে লিচু ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন সেদিকে পুলিশের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, লিচুর ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমপক্ষে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হবে। আর ১০/১২ দিন বাজারে লিচু পাওয়া যাবে।

বিজয়নগরে লিচুর ভালো ফলন হওয়ায় কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশাবাদ

ফেসবুকে আমরা..