স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফাতেমা খাতুন-(২১) নামে এক যুবতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (৩ জুন) রাত নয়টার দিকে পৌর এলাকার দাতিয়ারা ওয়াপদা কলোনীর ভেতরের পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত ফাতেমা জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের কুদরত আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফাতেমা পৌর শহরের উত্তর মৌড়াইলের একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে শহরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ওয়াপদা কলোনীর ভেতরের পুকুর পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করে। তিনি বলেন, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আর্ন্তজাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষে হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেষ্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে যোগদানকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার দেওয়ান বাড়ির সন্তান, ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহবুব আলী কুতুব মিয়ার ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাহবুব আলী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।

দেওয়ান মাহবুব আলী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শরীফ উদ্দিনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেওয়ান মাহবুব আলী স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান রওশন আরা লাকী।
বক্তব্য রাখেন সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খান, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মাহবুব খান, ত্রিতাল সংগীতের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা ন্যাপ সভাপতি দেবদাস রায়, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহম্মদ মৃধা প্রমুখ।

শোক সভায় বক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর দেওয়ান মাহবুব আলীর নামে একটি সড়কের নামকরণ সহ তার একটি ম্যুরাল ও একটি দৃষ্টিনন্দিত তোরণ নির্মানের ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি দেওয়ান মাহবুব আলী ৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আদমজী জুটমিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষে তিনি হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেষ্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগদান করেন। ৭১ সালের ৪ জুন বিশ্ব শান্তি সম্মেলন থেকে ফেরার পথে দিল্লী বিমানবন্দরে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন।

দেওয়ান মাহবুব আলীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরাইলে নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তান্ডবের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার নেপথ্য নায়ক হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন নাগরিক সমাজ।

এরই অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টায় বিক্ষুদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ব্যানারে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি ও সাংবাদিক জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খাঁন লাভলু, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ, জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মনির হোসেন, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের ঘটনার নেপথ্য নায়ক হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। নতুবা কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দেন। পরে মুক্ত স্বাক্ষর খাতায় গণস্বাক্ষর করেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়নের এই কর্মসূচী পালন করা হবে বলে, অনুষ্ঠান থেকে ঘোষনা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

জেলা হেফাজতের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ লক্ষাধিক শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ  সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে সাংবাদিকদের এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ।

উক্ত কর্মশালায় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমূখ।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইতিপূর্বে দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা বাড়িয়ে এখন ৮ কর্মদিবস করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার ২ হাজার ৪০২টি কেন্দ্রে আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে।

চলতি বছর ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৫৪৬ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৮ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লক্ষাধিক শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বোনের বাড়িতে পাভেল মিয়া (২২) নামের এক ভাই ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল (২ জুন) দুপুরের উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজ দুপুরে সরাইল পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করেন। নিহত পাভেল সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের আলামিন মিয়ার ছেলে।

জানাগেছে, বুধবার দুপুরে দিকে বোনের বাড়িতে পাকা ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় কাপড় পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুঁলে পাভেল আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাভেল আত্মহত্যা করেছে।

তিনি জানান, পাভেল গত পাঁচ মাস যাবত বোনের বাড়িতে থাকতেন। তার বোনের জামাইয়ের বাড়ির কাজ চলছিল। ওইখানে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। গতকাল দুপুরে কারও সাথে মোবাইলে কথা বলার পর ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেন। পরে তার বোন তা দেখে সবাইকে জানালে দরজা খুলে দেখেন পাভেলের লাশ ঝুলছে। এব্যাপারে সরাইল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে৷

সরাইলে বোনের বাড়িতে ভাইয়ের আত্মহত্যা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বুধবার “সর্বস্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর” উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ চত্ত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাউতলী মোড়ে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহআলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহর নির্দেশে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা শহরজুড়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। এ সময় এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

এসব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় ৫৬টি মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার নেপথ্যের নায়ক মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মোবারক উল্লাহকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বক্তারা অবিলম্বে হেফাজতের শীর্ষ এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, নতুবা কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের কাছে হেফাজতের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।

হেফাজতের নেতাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, বিশিষ্ট কলামিষ্ট অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মোহাম্মদ বদর উদ্দিনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি জুলকার নাঈন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ কামরূজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ইব্রাহিম, সাহিত্য সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুলতানা জেসমিন মুসা ও সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথ।

অ্যাডভোকেট মৃধা ও সাংবাদিক বদর উদ্দিনের রোগমুক্তি কামনায় সরাইল প্রেসক্লাবের দোয়ার মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদাৎ হোসেনকে হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম। সেই সাথে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ভা রতন কান্তি দত্ত এক বিবৃতিতে জানান, গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্লাটফরমে মানববন্ধনের কর্মসূচি চলাকালে সংঘঠিত ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পুনরায় চালুর দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। এতে আওয়ামী লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ নেয়।

জেলার অন্য সাংবাদিকদের সাথে তিনিও সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। শাহাদৎ অভিযোগ করেছেন, “মানববন্ধন চলাকালে স্টেশনের গেইট কিপার মুরাদুল ইসলামকে রোমান নামের এক যুবক মারধর করেন। “মুরাদুল বিষয়টি তাকে জানালে তিনি যুবলীগ নেতা ভিপি হাসান সারোয়ারকে জানান। কেন হাসানকে জানালেন এ কারণে রোমান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে রোমান এবং তার ভাই সৈনিক লীগের নেতা জুম্মান কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে।”

এ ঘটনায় সাংবাদিক শাহাদৎ বাদী হয়ে রোমান ও জুম্মনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।

সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় জেলা নাগরিক ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিলেট-কুমিল্লা মহাসড়কে ট্রাক ও ব্যাটারি চালিত সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে কিসমত মিয়া (৪০) নামের একজন রেলওয়ে স্টেশনের কর্মচারী নিহত হয়েছে। গতকাল (১ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘর এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত কিসমত মিয়া জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার মৃত আইনাল মিয়ার ছেলে। তিনি  ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের পয়েন্টম্যানের পদে কর্মরত ছিলেন।

এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, আখাউড়া উপজেলার খরমপুর এলাকার জহর লালের ছেলে কালিপদ (৩০) ও সিএনজি চালক কাউসার (৩৫)। সে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের জরু মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আখাউড়া থেকে ব্যাটারি চালিত একটি সিএনজি জেলা শহরের দিকে আসছিল। পথিমধ্যে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে কিসমত মিয়া মারা যায় ও সিএনজি চালকসহ আরও দুইজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ঘটনাস্থল থেকে মালবাহী ট্রাক ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক চাপায় রেলওয়ে স্টেশনের কর্মচারী নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অপরাধে আব্দুল লতিফ (৫২) নামে এক ইজিবাইক চালককে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল (১ জুন) দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মইনর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। বর্তমানে সে আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে যান। কেনাকাটা শেষে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরী আব্দুল লতিফের ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে উঠে। ইজিবাইকটি গ্রামের রাস্তা ধরে কিছু দুর যাওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এই সুযোগে ফাঁকা রাস্তায় চালক লতিফ ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার শুরু করলে লতিফ দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে ওই কিশোরীর আরেকটি অটোরিকসা ভাড়া করে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি তার পরিবারকে খুলে বললে কিশোরীর পিতা ইজিবাইক চালক আব্দুল লতিফকে কলেজপাড়া থেকে আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে উপজেলা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। পরে আবদুল লতিফ দোষ শিকার করায় তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আব্দুল লতিফকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন।

আখাউড়ায় কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অটোরিকসা চালকের কারাদন্ড

ফেসবুকে আমরা..