স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় (জাইকা-বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায়) উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউ জিডিপি) মাধ্যমে উঁচু-নীচু বেঞ্চ বিতরণ করা হয়। আজ দুপুরে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে বেঞ্চ হস্তান্তর করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বেঞ্চ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, আল আমিনুল হক পাভেল, মোঃ তাজুল ইসলাম, এনামুল হক ওসমান, জাইকার প্রকল্প প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ১২টি বিদ্যালয়ে ১৩৫ জোড়া বেঞ্চ হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও বেঞ্চ প্রদানের জন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে জাইকা আগামীতেও আমাদের পাশে থাকবেন।

জাইকা-বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একশত পুরোহিত (ব্রাহ্মণ) এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী মন্দিরে পুরোহিতদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন পুরোহিতদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সোয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আটা, ১কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি সাবু, ২০ গ্রাম ঘি, ২০০ গ্রাম দুধ, ২০০ গ্রাম চা পাতা ও ২টি সাবান।

আনন্দময়ী কালী মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আশিষ পালের সভাপতিত্বে ও ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশঙ্কর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম, এনডিসি সঞ্জিব সরকার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুমেশ রঞ্জন রায়, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট রাকেশ রায় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল আমীন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে অনেকের জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। পুরোহিতরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, একজন ইমাম যখন মসজিদে কথা বলেন তখন তার অনুসারীরা তার কথা শোনেন, তেমনি, একজন ব্রাহ্মণ যখন পূজা দিতে যান তখন ভক্তরা তার কথা শোনেন।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব দিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের মধ্যে সেই খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়া হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একশত পুরোহিতের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত মাহবুবুল আলম স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে দৌলতপুর দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গনে মাহবুবুল আলম স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাজী মোঃ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও নবীনগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ. কাজল, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ রাশেদ, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ মলাই মিয়া প্রমুখ।

আলোচনা সভায় মাহবুবুল আলমের রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নবীনগর মনতুলি টু সিতারামপুর নির্মিতব্য সেতুটি “মাহবুবুল আলম সেতু” নামকরনের জন্য মাহবুবুল আলম স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এম. নাঈমুর রহমান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন পত্র তুলে দেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে প্রয়াত জননেতার রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং মাহবুবুল আলম স্মৃতি সংসদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুবুল আলম সেতু নামকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দেন।

জননেতা মাহবুবুল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নবীনগরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা ও প্রজননক্ষম মাছ রক্ষার্থে অভিযান পরিচালনা করেছে সদর উপজেলা মৎস্য অফিস। অভিযানকালে ১২ জেলেকে আটক ও ১ লাখ ৩৫ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সামছু উদ্দিনের নেতৃত্বে শনিবার (১২ জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর এলাকার তিতাস নদী সংলগ্ন আনন্দ বাজার, কাউতলী বাজার ও মেড্ডা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পরে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে তিতাস নদী থেকে ৯০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে জেলেদের দেয়া তথ্য মতে শহরের জগত বাজারের একটি দোকান থেকে ৪৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে জব্দ করা অবৈধ কারেন্ট জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।


এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সামছু উদ্দিন বলেন, অভিযানকালে শহরের তিনটি বাজারে অভিযান চালিয়ে দেড় মন (৬০ কেজি) আফ্রিকান মাগুর মাছ উদ্ধার করে এতিম খানায় বিতরণ করা হয় ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত জেলিযুক্ত ২৫ কেজি চিংড়ি জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট এবং মিশ্রিত ৪ মন চাষের কই ও শিং মাছ উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, শোল, টাকি ও গজারের পোনা বিক্রির দায়ে ১২ জন জেলে কে করে তাদের কাছে থাকা পোনা নদীতে অবমুক্ত করা হয় ও আটক জেলেদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাছের পোনা ও প্রজননক্ষম মাছ রক্ষার্থে অভিযান পরিচালনা, জব্দ সোয়া লাখ মিটার কারেন্ট জাল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজত ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের দ্রুত সংস্কার করে রেলসেবা চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদদ্বা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্বা ওয়াসেল সিদ্দিকী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সপাতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সস্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, ওয়াকার্স পার্টির নেতা নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন, প্রেস ক্লাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল আমিন শাহীন,খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, বৈশাখী শিল্পী গোষ্টির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, ছাত্রমৈত্রির সভাপতি ফাহিম মুস্তফাফিন প্রমুখ।

জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা রতন কান্তি দত্ত।

উক্ত মানবন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, বীর মুক্তিযোদ্বা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, আশুগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চের সমন্বয়কারী আবদুন নুর, অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, সাংবাদিক কাউসার এমরান, মোহাম্মদ আক্রাম ,মোহাম্মদ শাহজাদা, মফিজুর রহমান লিমন, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, মজিবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আযম, নারীনেত্রী মুক্তি খান, সাংবাদিক মনির হোসেন টিপু, চেম্বার পরিচালক আবদুল মালেক প্রমুখ।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। আর সেই স্টেশনটির কার্যক্রম আড়াইমাস যাবত বন্ধ রয়েছে। এ স্টেশনে কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি করছে না। এতে করে প্রতিদিন এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

মানববন্ধন থেকে আগামী ২০ জুনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলসেবা চালু না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। মানবন্ধনে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জুনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলসেবা চালুর দাবি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পিকআপ চাপায় জাহাঙ্গীর আলম-(৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটো রিকশার যাত্রী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।

গতকাল (১০ মে) বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার ধরখার সাতপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে। আহতরা হলেন, হারিছ মিয়া- (২৮), জুমেল মিয়া- (২৬) ও আশিকুর রহমান- (৩০)।

নিহতের মামা সুজন মিয়া জানান, জাহাঙ্গীর আলম আলম রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। কসবা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে রঙয়ের কাজ করতে সহযোগীদের নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকসা দিয়ে যাওয়ার পথে ধরখারের সাতপুকুর এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ অটোরিকসাটিকে চাপা দিলে জাহাঙ্গীর সহ ৪জন আহত হয়।

আহতবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, পিকআপটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যায়। তার লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ক্যাশ ট্রান্সফার মর্ডানাইজেশন (সিটিএম) প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের জন্য ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে পৌর এলাকার মেড্ডায় অবস্থিত সমাজসেবা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাকে এ সব বিতরণ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজেসবা অধিদপ্তরের সিটিএম প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী।

ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ আল মাহমুদ হোসেন, শহর সমাজসেবা অফিসার শারমিন রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নরুল মাহমুদ ভূইয়া, রেজিষ্ট্রেশন অফিসার রিপা আক্তার সহ জেলার ৯টি উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তাগন।

অনুষ্ঠানে ৯টি উপজেলাসহ জেলা কার্যালয়ে মোট ১১টি ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে রফিজ মিয়া-(৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল ৫টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাঁত মন্ডল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিজ মিয়া ওই গ্রামের মালা মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বিকেলে গরুর জন্য হাওরে ঘাস কাটার সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে রফিজ মিয়া অচেতন হয়ে জমিতে পরে থাকেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে রফিজ মিয়ার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাসিরনগরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাড় ভাঙ্গা রোগীদের চিকিৎসা সেবার লক্ষৌ যাত্রা শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গতকাল (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের পাইকপাড়া সিলভার ফর্ক কনভেনশন হলে আলোচনা সভা ও উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনষ্ঠিত হয়।

এতে অতিথি হিসেবে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মোঃ এমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম সারোয়ারের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা ডা.এ.জেড এম দস্তগীর, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ফখরুল আলম আশেক, ডাঃ মাজহারুল ইসলাম সোহেল, ডাঃ খোকন চন্দ্র দেবনাথ, ডাঃ ফাইজুর রহমান ফায়েজ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একমাত্র ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেন্টারের সেবা চালু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসার সুযোগ পাবে। আর ঢাকা কিংবা কুমিল্লায় যেতে হবেনা। এই হাসপাতালটি চালু হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রমা হাসপাতালের যাত্রা শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্রের মধ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রথম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করা ৫০টি মডেল মসজিদের মধ্যে বিজয়নগরের মডেল মসজিদটি রয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানবীর ভূইয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণীসহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মুসলিম জনগোষ্ঠীর যে ধর্মীয় কর্মকান্ড আছে, ধর্মীয় যে আচার-আচরণ আছে, তার একটি কেন্দ্র হিসেবে এই মসজিদটিকে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। আমরা আশা করছি এখান থেকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হবে। ৪৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মসজিদটির নির্মানে ব্যায় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মডেল মসজিদের উদ্বোধন

ফেসবুকে আমরা..