botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সামাজিক সংগঠন “আলোর প্রত্যাশা” এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল শাহবাজপুর তিতাস মডেল কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম. মোসা।

শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজীব আহম্মেদ রাজ্জির সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য ইখতিয়ারুল ইসলাম খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সরাইল সার্কেল) মনিরুজ্জামান ফকির, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সংগঠনের উপদেষ্টা আহমেদ জামাল।

পরে প্রধান অতিথি শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩জন প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের হাতে ফুল, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
###

সরাইলে ৩৩জন প্রাক্তন শিক্ষককে সংবর্ধনা

botvনিউজ:

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য মনোনীত হয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ।

তিনি সরাইলের মাটি ও মানুষের নেতা, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ প্রয়াত এ.কে.এম ইকবাল আজাদের স্ত্রী।
বিগত ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন সাদা মনের এই মানুষটি।

এরপরই রাজনীতির মাঠে নামেন শিউলী আজাদ। স্বামীর রাজনৈতিক জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে দ্রুত দলের মধ্যে একটা ইমেজ সৃষ্টি করেন। পরে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ লাভ করেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিউলী আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। পরে মহাজোটের স্বার্থে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-( সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু সেখানে জোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

সর্বশেষ দলীয় কর্মকান্ড ও ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৌটায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
এদিকে মহান স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য পেয়ে আনন্দে ভাসছে সরাইল। সর্বত্র চলছে মিষ্টি বিতরণ। প্রবাসীরাও উৎসবে মেতে উঠেছেন।
ইকবাল আজাদ ও শিউলী আজাদের নানা ছবি, কমেন্টেস-এ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ যেন এক বিশাল প্রাপ্তি। ধন্যবাদ জানিয়ে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সরাইলবাসী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের এক সময়ের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আবদুল খালেকের ছেলে এ কে এম ইকবাল আজাদ। ১৯৮৭ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমেই প্রথম হাতেখড়ি তার। ৯০ এর দশকের প্রথম দিকে সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দলের জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ শুরু করেন। এক সময় ইকবাল আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেন। ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। সততা ও দক্ষতার সাথে দলকে পরিচালনা করে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। এক সময় হয়ে যান সরাইলের মাটি ও মানুষের নেতা। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে ইকবাল আজাদ ২০০১ সালে এবং ২০০৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। ২০০৮ সালে তার মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ছিল আলোচিত বিষয়। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে খুন হন জনপ্রিয় এই নেতা।

এদিকে প্রয়াত আজাদ ইকবালের সহধর্মীনি শিউলী আজাদ সংরক্ষিত আসনে এমপি মনোনীত হওয়ায় শনিবার সকালে সরাইল সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে সরাইলে আওয়ামীলীগের একজন প্রতিনিধি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমরা চাই সকল ভেদাভেদ ভুলে দল ও জনগনের কল্যাণে তিনি কাজ করবেন। শিউলী আজাদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দল ও জনগনের জন্য আমার স্বামী ২২টি বছর সততা স্বচ্ছতার সাথে রাজনীতির মাঠে কাজ করেছেন। সরাইল নিয়ে তার অনেক ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করে সকল স্বপ্ন ধূঁলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। চিরতরে আমাকে বিধবা ও দুই সন্তানকে করেছে এতিম। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ত্যাগ ও কাজের মূল্যায়ন করেছেন। সেই সাথে হাসি ফুটিয়েছেন সরাইলের লাখো মানুষের মুখে। আমি তাঁর কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। সকলের সহযোগীতায় ইকবাল আজাদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকার উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য।

###

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর সরাইলে সংরক্ষতি মহলিা এমপি হলনে শউিলী আজাদ

botvনিউজ:

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত সিমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় সরাইল থানাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১০/০২/২০১৯ ইং তারিখ রাত ০৩.০০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন শাহবাজপুর গ্রামস্থ জমাদার পাড়া মোড়ে মন্টু স্টোরের সামনে পাকা রাস্তার উপড় পৌছলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১। উত্তম চন্দ্র কর (৩৭), পিতা-হরিধন চন্দ্র কর, ২। ইসতিয়াক আহম্মেদ খাঁন (৩৩),

পিতা-মৃত গোলাপ খাঁন, উভয় সাং-শাহবাজপুর, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩। মোঃ জাবেদ আলী(২৫), পিতা-মৃত হোসেন আলী, সাং-চিৎকা, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার’দেরকে মাদকদ্রব্যসহ হাতে-নাতে আটক করেন। আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ তল্লাশী করে ২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির ৩,৬৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১,০৩,৬৫০/- টাকা। ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

###

শাহবাজপুর এলাকা থেকে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বলে পরিচিত অরুয়াইল এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের প্রতিদিন স্থানীয় ছেতরা নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে ৬৫০ ফুট লম্বা একটি বাঁশের সাঁকো। শুষ্ক মৌসুমে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও নদীর ওপর কোন ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে না।

একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও তারা কোন আশার আলো দেখছেন না। তবে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রকল্প প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন আগেই পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর, কাকুরিয়া, চর-কাকুরিয়া, সিঙ্গাপুর, রাণীদিয়া, বানিয়ারটেক, পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর, ষাটবাড়িয়া, হরিপুর, ফতেপুরসহ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অরুয়াইল বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করে।

বিশেষ করে এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাদিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অরুয়াইল আবদুস সাত্তার কলেজ ও অরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। আসা-যাওয়া করতে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহায়।

অরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম আদনান, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবদুল হাকিম, দশম শ্রেণীর হুমায়রা ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি জানায়, তাদের সবার বাড়ি রাণীদিয়া ও বানিয়ারটেক গ্রামে।

তারা বলে, এই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই পায়ে পেরেক ঢুকে যায়। বৃষ্টির মধ্যে চলতে গিয়ে পা পিচলে যায় আবার অনেক সময় পা তরজার ভেতর ঢুকে যায়। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।

কাকুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম আলী ক্ষোভ ও হতাশার সাথে বলেন, এমন অবহেলিত আর কোন এলাকা আছে বলে আমার জানা নাই। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও পাস করার পর তারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভুলে যান।

এলাকাবাসী জানান, এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। তবে এই সাঁকো নির্মাণে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কোন ভূমিকা নেই। রাণীদিয়া গ্রামের ১৭টি দরিদ্র পরিবার যৌথভাবে তাদের নিজেদের অর্থে এ সাঁকো নির্মাণ করেন। বিনিময়ে সাঁকো ব্যবহারে তারা জনপ্রতি ২টাকা করে টোল আদায় করেন। ৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এই সাঁকো নির্মানে প্রথমে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয় বলে দাবি করেন নির্মাতাদের একজন রহমত আলী। তিনি জানান, এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে তারা নিজেদের অর্থে এই সাঁকো নির্মাণ করেন। তিনি বলেন, কার্তিক মাসে তারা সাঁকো বসান এবং জৈষ্ঠ মাসে সাঁকো খুলে ফেলেন। প্রতিদিন দেড়-দু’হাজার টাকা আয় হয় বলে তিনি জানালেও প্রকৃতপক্ষে দৈনিক আয় আরো বেশি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসিফ ইকবাল খোকন বলেন, এলাকার হাজার হাজার মানুষের কথা বিবেচনা করে ছেতরা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী। বিশেষ করে এলাকার শত শত শিক্ষার্থীর দুর্ভোগের জন্য হলেও এখানে ব্রীজটি হওয়া খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান জানান, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিমের সহায়তায় উল্লেখিত স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব আমব্রেলা প্রকল্পভূক্ত করিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন করাতে পারেননি। সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল মৃধাও প্রকল্পটি নিয়ে ডিও লেটার দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও সফল হতে পারেন নি।

তিনি আরো জানান শুধু অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের ৮/১০ গ্রামের মানুষজনই নয় এপথ দিয়ে পাশ্ববর্তী ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার ১০/১৫টি গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে চলাচল করে থাকেন। ছেতরা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ব্রীজটি খুবই জরুরী। অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। মানুষের কষ্টের শেষ নাই। এখানে একটি ব্রীজ হলে অরুয়াইল বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যের এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ছেতরা নদীতে ব্রীজ নির্মাণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী ইমদাদুল হক বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা প্রজেক্টে এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
###

সরাইলে ১০ গ্রামবাসীর চলাচলে ভরসা ৬৫০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো !

botvনিউজ:

সরাইলের অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপণা পরিষদকে বাতিল ঘোষণা করেছেন বিদ্যালয় পরিদর্শক। কমিটির বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক অনিয়ম, দূর্নীতি,

স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি বিধি বিধান লঙ্ঘন ও উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি ওই কমিটিকে বাতিল করে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। সেই সাথে জরুরী ভিত্তিতে একটি এডহক কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনিয়ম সহ সরকারি নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না যাচ্ছে তাই করে চলেছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

স্থানীয় অভিভাবকদের কোন অভিযোগকেও কমিটি পাত্তা দিচ্ছিল না। অবশেষে কমিটির সকল অনিয়ম দূর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রতিকার চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা-এর চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহের উদ্দিন। বোর্ড অভিযোগ সমূহের যথাযথ তদন্তের পর সত্যতা খুঁজে পান। গত বছরের ৪ নভেম্বর কমিটির সভাপতিকে কারন দর্শানো নোটিশ শিক্ষা বোর্ড। সভাপতির দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৩৮ (১) ধারার বিধান মতে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করেন।

তবে বিদ্যালয় পরিচালনার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে একটি এডহক কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কমিটি বাতিলের বিষয়টি আমার জানা নেই। কমিটির মেয়াদ আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। অভিযোগ হয়েছিল। তদন্তও হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদ খালিদ জামিল খান বলেন, কমিটির বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বোর্ডে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি শিক্ষা বোর্ডের ৬ নং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অরুয়াইল স্কুলের বর্তমান কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

###

অনিয়ম দূর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার দায়ে অরুয়াইল স্কুল কমিটি বাতিল

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চলছে বালুর ব্যবসা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই বালুর ব্যবসা চললে পুলিশ নির্বিকার। এতে করে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিজিপি ক্যাম্পের প্রধান গেইট এলাকায় প্রভাবশালীরা সড়কের উপর রেখে দীর্ঘদিন ধরে বালির ব্যবসা করে আসছে। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বাড়িউড়া মহাসড়কে রেখে অবাধে বালির ব্যবসা করছেন আরেকটি সিন্ডিকেট।

এছাড়াও সরাইল-নাসিরনগর সড়কের জিল্লুকদার পাড়া ব্রীজের দু’পাশে সড়কের উপর বালু রেখে ব্যবসা করছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এতে করে সড়কে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসা বলেন, সড়কের উপর বালু রাখা সম্পূর্ণ বে-আইনি। এমনকি সরকারি জায়গায় ও কোন কিছু বৈধ অনুমতি ছাড়া রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হবে।
###

সরাইলে মহাসড়কের উপর অবৈধ বালুর ব্যবসা

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অটোরিকশার সড়ক দখল, মাদক ও জুয়ার ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। সে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ ধরে সিজারিয়ার অপারেশন বন্ধ থাকা এবং ১ বছর ধরে চালকের সমস্যার কারনে এ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করতে না পারায় রোগীদের চরম হতাশার কথা ও ওঠে আসে আলোচনায়।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা।

সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খরচে নির্মিত দুটিষ্ট্যান্ড থাকা সত্বেও সরাইল সদরের বকুলতলা ও শহীদ মিনার এলাকায় যত্রতত্র ভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা গুলো পার্কিং করিয়ে রাখা হয়। সড়কের উপর অঘোষিত ষ্ট্যান্ড তৈরী করা হয়েছে। ফলে নিয়মিতই এ সড়কে যানজট লেগে থাকে। অটোরিকসার চালকরা কারো কথা শুনেন না, উল্টো পথচারীদের সাথে অশোভন আচরন করে।

সভায় বক্তারা বলেন, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ঋষিবাড়িতে নিয়মিত চোলাই মদ উৎপাদন করা হচ্ছে। এই মদ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সরাইলে বিভিন্ন ওরস ও মেলার নামে জুয়া ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জুয়ার টাকাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উপজেলার শাহবাজপুরে সাকিব নামের এক কিশোর খুন হয়েছে।

সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এস.এম মোসা এবং সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নূরুল হক চোলাই মদ ও জুয়ার বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
###

সরাইলে আইনশৃঙ্খলা সভায় অটোরিকশা মাদক জুয়া নিয়ে উদ্বেগ

 

botvনিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদে মাত্র ৭টি আসন পাওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আরেকটি আসনে জয় পেলো।আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের পর বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ নিয়ে এ রাজনৈতিক জোটের আসন দাঁড়ালো আট এ।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীকে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীকের  মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
গত ৩০ ডিসেম্বর এ আসনের মোট ১৩২ কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। তবে এ তিনটি কেন্দ্র ছাড়াই বেশ এগিয়ে ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি পান ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট আর কলার ছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন কলার পান ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। ফলে স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর আগ্রহ বেড়ে যায়।
বুধবার স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তিন কেন্দ্রের ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে সাত্তার পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ ভোট আর কলার ছড়ি প্রতীকে মঈন পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ ভোট।
কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ ভোটে তিন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৩৩৯ জন পুলিশ সদস্য, ৩৬ জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন র‌্যাব সদস্য।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে এ আসনের সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য ৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)
                                                            ###

অবশেষে বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার বিজয়ী

botvনিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি স্থগিত কেন্দ্রের পুনঃ ভোট গ্রহণ আগামিকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।

তিনটি ভোট কেন্দ্র হচ্ছে উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তিনটি কেন্দ্রের মোট ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪টি।

এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস। সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে ৩৩৯জন পুলিশ, ৩৬জন আনসার, দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। তিনটি কেন্দ্রে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

এ ব্যাপারে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনটি কেন্দ্রে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ৩৩৯জন পুলিশ, ৩৬জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।আজ  মঙ্গলবার পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ভোট কেন্দ্রে পৌছে গেছে।

উল্লেখ্যঃ- এই আসনটি মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগ। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টি, বিএনপি, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১৩জন প্রার্থী। জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয়, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা জাতীয় পার্টির বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রতীক বরাদ্ধের দিন জামাতা রেজাউল পান লাঙ্গল প্রতীক এবং শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা পান সিংহ প্রতীক। নানা নাটকীয়তার পর নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান।

নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূইয়া (ধানের শীষ প্রতীক) নিয়ে ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন (কলার ছড়া প্রতীকে) ভোট পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট এবং অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (সিংহ) পান ৩৯,৩০৫ ভোট।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনের তিনটি কেন্দ্রে আগামিকাল পুনঃ ভোটগ্রহণ ॥ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

botvনিউজ:

টঙ্গীর বিশ্ব ইসতেমা মাঠে তাবলীগ জামাতের লোকদের উপর সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে সাদপন্থীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার দুপুরে উপজেলার উচালিয়াপাড়া মাদরাসা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

মাওলানা জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- আল্লামা আবু সাঈদ, হাফেজ যুবায়ের, মুফতি রায়হান উদ্দিন, মাওলানা জসিম উদ্দিন আরেজি, মাওলানা ফারুক খান জেহাদী, মাওলানা হোসাইন আহমেদ, মাওলানা মোঃ ফারুক, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আবদুল হান্নান ও নূরুল ইসলাম লাল বাদশা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি মাওলানা সাদের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাবলীগ জামাতে দ্বিধা বিভক্তি ও দাঙ্গা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইসতেমা মাঠে সাদপন্থীরা তাবলীগ জামাতের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এর আগে গত ৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মার্কাজেও হামলা করে স্থানীয় সাদ পন্থীরা।

বক্তারা ঢাকায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাবলীগ জামাতের শান্তি প্রিয় সাথীদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সাদের অনুসারিরা যাতে সরাইলসহ দেশের কোথাও যেন কোন ধরণের কর্মকান্ড সভা সমাবেশ না করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পরে তারা সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
###

সাদপন্থীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরাইলে বিক্ষোভ মিছিল-ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি

ফেসবুকে আমরা..