সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোথে মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছে শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়য়নের অর্থায়নে ও উপজেলার দেওড়া মিতালী সমাজ কল্যাণ সমিতির সহায়তায় এই র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহনে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের হয়ে র‌্যালিটি এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিলাত খাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন। ম্যাপ সদস্য মেহেদি হাসান রজতের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও মিতালীর সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুবুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ ইউনুছুল হক, শিক্ষার্থী মোঃ ইয়াছির আরাফাত।

আলোচনা সভায় বক্তারা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, বাল্যবিয়ে দেশ ও জাতির জন্য বিরাট হুমকি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদের খুতবায়, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তারা।
###

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরাইলে শিক্ষার্থীদের র‌্যালি-মানববন্ধন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিজুর রহমান ৩৬ বছর ধরে চাকুরী করে এখন তিনি “ অতিরিক্ত শিক্ষক” বনে গেলেন।

তিনি ১৯৮৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চাকরি করছেন। এ অবস্থায় মনিজুর রহমান যে কোনা সময় সরকারিভাবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা বন্ধের শঙ্কায় আছেন।

মনিজুর রহমানের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলে তথ্য বিবরণীতে তার স্বাক্ষর জাল করে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বদলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য শিক্ষকও নিয়োগ দিয়ে ফেলেছেন। এ বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি সরাইল থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি) করেছেন।
তবে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘মনিজুর রহমান মিথ্যুক। তথ্য বিবরণীতে তাঁর স্বাক্ষরের ঘর খালি আছে। এখন তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কয়েকজন শিক্ষকের বেতন ভাতা আটকে রেখেছেন। অথচ মনিজুর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি সব বেতন-ভাতা এমনকি পেনশন পাবেন। নিয়ম অনুসারে আমরা এনটিআরসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষককে যোগদান করিয়েছি মাত্র।

মনিজুর রহমান বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়ে আসছি। হঠাৎ করে আমি ও ফারহানা বেগম নামে দুই শিক্ষকের জায়গায় অন্য দুই শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে আমরা অতিরিক্ত শিক্ষক। ওই তথ্য বিবরণীতে আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যে কোনো সময় আমাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিতে পারেন।
###

৩৬ বছর ধরে চাকরি করে এখন ‘অতিরিক্ত শিক্ষক’

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পৃথক অভিযানে ১৮ জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। গত সোমবার সরাইল সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তারের ৮ ঘন্টা পর অদৃশ্য কারনে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরাইল সদরে হাসপাতাল মোড়ে একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। সোমবার রাত ১০টার দিকে সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ মগবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ নগদ ১১ হাজার ৮০৪ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওয়াসিম- (৩৫), কাউছার মিয়া-(৪০), আল-আমিন-(৪০), নজিব মিয়া-(২৫), মোঃ ইউসুফ-(৫০), মোঃ ইদ্রিস খাঁ, মাহমুদ মিয়াজ আলী-(২৫), রতন মিয়া-(৫৫), শাহ আলম-(৪৫), আল-আমিন-(৩০), আঃ মতিন- (৪৮), মোঃ হাকিম-(৩২), মনির-(৩৫), মোঃ হোসেন-(৪০) এবং ছায়েদুল হক (২৫)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওদিকে সোমবার বিকেলে উপজেলার নোয়াগাঁও দরগামাঠে জুয়া খেলার সময় কালন, জহিরুল ও ফয়সল নামের তিন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গভীর রাতে অদৃশ্য কারনে তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নুরুল হক বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তদবিরে আমরা অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ি। তিনি বলেন, ১৫জনকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ মগবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খেলার খবর পেয়েই অভিযান চালিয়ে ১৫ জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি বলেন, জুয়া ও মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই।
###

সরাইলে ১৮ জুয়ারী গ্রেপ্তার ॥ অদৃশ্য কারনে তিনজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ

সুমন আহম্মেদঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার কাল্পনিক বক্তব্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সম্মিলিত সচেতন যুব সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি রওশন আলী ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সরাইল রাহমাতুল্লিল আলামিন দাখিল মাদ্্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু আক্কাস হায়দার, উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি মজিদ বক্স, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ও মোঃ দুলাল মিয়া প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হিন উদ্যেশ্যে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে আয়োজকরা মনে করেন। তারা প্রিয়া সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
###

প্রিয়া সাহার বক্তব্যের প্রতিবাদে

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ধর্মতীর্থ এলাকার বধ্যভূমি থেকে শহীদদের নামফলক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকুলে এলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৮ অক্টোবর উপজেলার চুন্টা সেনবাড়ির ২২ জনসহ সরাইল থানায় ও কালিকচ্ছ ক্যাম্পে আটক শতাধিক লোককে ধর্মতীর্থ নৌ ঘাটে লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে বর্বর পাকবাহিনী। তবে সবার পরিচয় মেলেনি। পরবর্তীতে ধর্মতীর্থ বধ্যভূমি হিসেবে জায়গাটি পরিচিতি পায়।

২০১৭ সালের মার্চ মাসে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সহায়তায় ওই বধ্যভূমিতে ১২ ফুট উচ্চতা এবং ৪ ফুট প্রস্থের লোহার তৈরি একটি ফলক স্থাপন করা হয়। ফলকে ৪৬ জন শহিদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা লাগানো হয়। পরবর্তীতে ফলক থেকে নামের তালিকাটি চুরি হয়ে যায়।

২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানসহ অনেকে বধ্যভূমিটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। গত বুধবার রাতে বধ্যভূমির ওই নাম ফলকটির নিচের ঢালাই করা পিলারের লোহার তৈরি খুঁটি ভেঙ্গে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। বধ্যভূমির জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এমন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বধ্যভূমি সংলগ্ন চাকসার গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ (৫৫), আবদুল মতালিব মিয়া (৫৩) ও জনাব আলী (৫৬) বলেন, ‘রাসেল ও বাবু মুন্সিসহ বেশ কয়েকজন মিলে ফলকটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা এটা করেছে।’
সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জায়গাটি বধ্যভূমি হিসেবে অনেক আগেই চিহ্নিত হয়েছে।

অতীতেও এমন ঘটনা সেখানে ঘটেছে। এবার চিনতে পেরেছি। বুধবারের ঘটনা ঘটিয়েছে মুসা চেয়ারম্যানের ছেলে রাসেল ও বাবু মুন্সি নামের একটি ছেলে। আমরা এ ঘটনার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আবহাওয়া ভাল হলে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি দিব।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এ এস এম মোসা সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘নামফলক ভাঙ্গার বিষয়টি আমি শুনেছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
###

সরাইলে বধ্যভূমি থেকে শহীদের নাম ফলক উধাও

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের সখ্যতার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি চেয়ারম্যান।

সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জনপ্রতিনিধিগন এই অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীরা বলেন, পুলিশ নিরীহ ও নিরপরাধ যুবকদের আটক করে তার পকেটে মাদক ঢুকিয়ে বাণিজ্য করেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা।

সভায় উপজেলার শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন অভিযোগ করে বলেন, শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এ.এস.আই গোপী সরকার স্থানীয় মাদক ব্যবসায়িদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। ইউনিয়নের মলাইশ, নিয়ামতপুর, ধাউরিয়া ও শাহজাদাপুর গ্রামে তাঁর অনেক আত্মীয় আছেন। ওইসব আত্মীয়দের কয়েকজনকে তিনি সোর্স নিয়োগ করেছেন। এসব সোর্সদের সহায়তায় তিনি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আটক করেন। পরে সোর্সদের মাধ্যমেই চুক্তি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। তিনি গোপী সরকারকে ওই ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার করার দাবি করেন।

সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, মাদকের বিষয়টিকে পুঁজি করে থানার কতিপয় পুলিশ নিরীহ যুবকদের হয়রানি করছে। কৌশলে বাণিজ্য করছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে কিছু পুলিশ সদস্য যাকে সামনে পাচ্ছেন তাকেই (ছাত্র, যুবক) আটক করেন। পরে কৌশলে ছেলেদের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট বা ফুরিন্দা ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ি বা সেবনকারী সাজিয়ে চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য করে তাদেরকে ছেড়ে দেন। এভাবে চলতে পারে না। তিনি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা সভায় উপস্থিত পুলিশের প্রতিনিধির উদ্যেশ্যে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে তদন্ত দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরুল হক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এ.এস.আই গোপী সরকার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
###

সরাইলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক ব্যবসায়িদের সাথে পুলিশের সখ্যতার অভিযোগ

সুমন আহম্মেদঃ
নির্মান কাজ পুরোপুরি শেষ না করেই ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর নির্মিত নতুন ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। ব্রীজের অনেক কাজ বাকী ও ব্রীজের এ্যাপ্রোচ না করেই ব্রীজটি খুলে দেয়া হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাবি পুরানো ব্রীজের ঝুঁকি এড়াতেই পুরো কাজ শেষ না করে নতুন ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে নতুন ব্রীজটি খুলে দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা।

নব-নির্মিত ব্রীজের উপর দিয়ে আসা মোটর সাইকেল চালক শাকিল মিয়া বলেন, ব্রীজটি চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে পুরানো ব্রীজটি বিকল হওয়ায় আমরা খুবই দুর্ভোগে পড়েছিলাম।

সিলেট থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস চালক শাহআলম জানান, নতুন ব্রীজটি চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। তিনি বলেন, ব্রীজের এ্যাপোচ এখনো তৈরী না হওয়ায় ব্রীজে চলাচলকারী যানবাহনকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

এনা পরিবহনের বাস চালক আব্দুল সালাম বলেন, ব্রীজটি চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশী হয়েছি। তিনি বলেন, এতোদিন ঝুঁকিনিয়েই পুরাতন ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতাম।

বাসযাত্রী মনির হোসেন বলেন, নতুন ব্রীজটি চালু হওয়ায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি ও ভোগান্তি কমেছে। তিনি বলেন, এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মান কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হোসেন সরকার বলেন, পুরাতন ব্রীজের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই সড়ক বিভাগ পুরো কাজ শেষ না করেই নতুন ব্রীজটি যান চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বলা যায় এটা পরীক্ষামূলক।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামীম আল-মামুন বলেন, নতুন ব্রীজের মূল অবকাঠামোসহ প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন ব্রীজের এ্যাপোচসহ অন্যান্য কাজ চলমান। তিনি বলেন, পুরাতন ব্রীজের ঝুঁকি কমাতে ও যাত্রী এবং যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার সন্ধ্যার পর নতুন ব্রীজটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ব্রীজের পুরো কাজ শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন পুরাতন ব্রীজের চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেলে সারাদেশের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় বিকল্প দুটো সড়ক দিয়ে কোন রকমে যান চলাচল চালু রাখা হয়। পুরাতন ব্রীজটির মেরামত শেষে ১ সপ্তাহপর পুরাতন ব্রীজটি পুনরায় চালু করা হয়। তবে ব্রীজের উপর দিয়ে ২২টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উল্লেখ শাহবাজপুর তিতাস নদীর উপর নির্মিত নতুন ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ২৫৪ মিটার এবং প্রস্থ ১৬ মিটার। ২০১৮ সালে ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু হয়।
###

নির্মান কাজ অসমাপ্ত রেখেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে শাহবাজপুরের নতুন ব্রীজ

সুমন আহম্মেদঃ
ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর তিতাস নদীর উপর থাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। গত শনিবার বিকেল থেকেই ব্রীজের উপর বেইলী বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নদীর পাশে চলছে ফেরিঘাট নির্মানের কাজ।

গতকাল রবিবারও চলে পুরানো ব্রীজের উপর বেইলী বসানোর কাজ। বেইলী ব্রীজ নির্মান কাজ শেষ হলে ব্রীজের উপর দিয়ে হালকা যানবাহন ও বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে বাস পারাপার করা হবে। অপর দিকে ভারী যানবাহন চলাচল করবে ফেরী দিয়ে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন গতকাল রবিবার বিকেলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের উপর ষ্টিলের বেইলী ব্রীজ নির্মান কাজ চলছে পুরোদমে। নির্মান কাজ শেষ হলে ব্রীজের টেস্টিং কাজ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রীজটি হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে বাস পারাপার করা হবে।

তিনি বলেন, বিকল্প হিসেবে ভারী যানবাহন পারাপারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ফেরি আনা হচ্ছে। আগামী ৬/৭ দিনের মধ্যে ফেরি চলে আসবে।
এদিকে শাহবাজপুর ব্রীজ বিকল হওয়ায় মহাসড়কের দু’পাশে ৬দিন ধরে আটকা আছে ভারী যানবাহন। পন্যবাহী ট্রাকের চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
বিকল্প সড়ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই সড়ক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দুটোতে এখনো রয়েছে যানজট। সড়ক দুটি অপ্রশস্ত এবং ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় সড়ক দুটি দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হোসেন সরকার বলেন ব্রীজটি বিকল হওয়ার পর থেকে সড়কের যানজট নিরসন ও শৃঙখলা ধরে রাখতে কাজ করছি।

উল্লেখ্য গত ১৮ জুন বিকেলে শাহবাজপুরের তিতাস নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। ফলে যে কোনো মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় এই ব্রীজ দিয়ে দিয়ে সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেয় সওজ বিভাগ।

যানবাহন গুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়।
###

মঙ্গলবার খুলে দেয়া হচ্ছে শাহবাজপুর ব্রীজ চলবে সীমিত আকারে গাড়ি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর থাকা জরাজীর্ণ ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রীজটি দিয়ে সীমিত আকারে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।

ফলে ভারী ও মাঝারী আকারের যানবাহনগুলো চলাচল করছে বিকল্প পথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর-সরাইল ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে। এতে করে আঞ্চলিক সড়ক দুটোতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহনে থাকা যাত্রীরা সীমাহীন দুভোর্গের শিকার হচ্ছেন।

ঢাকা থেকে বৃহত্তর সিলেটগামী যানবাহনগুলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর-সরাইল ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক দিয়ে এবং বৃহত্তর সিলেট থেকে আসা ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী যানবাহনগুলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এদিকে আঞ্চলিক সড়ক দুটো সরু এবং ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর-সরাইল ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ সড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড থেকে নাসিরনগরের ধরন্তিঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা থেকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর থাকা পুরানো ও জরাজর্ণ ব্রীজটির পূর্বদিকের রেলিং ভেঙ্গে সেতুর একাংশসহ নদীতে পড়ে যায়। এরপর থেকে ব্রীজটির উপর দিয়ে ভারী এবং মাঝারি আকারের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরু ও আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে অত্যন্ত ধীরগতিতে ভারী ও মাঝারী আকারের যানবাহন চলাচল করছে। সড়ক দুটোতে যানজট। বিশেষ করে সরাইলের বিশ্বরোড থেকে শাহবাজপুর ব্রীজের গোড়া পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে ভারী যানবাহন ( ট্রাক) পার্কিং করা আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, রাতের বেলা টাকার বিনিময়ে পুলিশ এসব ভারী যানবাহন শাহবাজপুর ব্রীজের উপর দিয়েই পারাপার করছে। আবার কিছু ভারী যানবাহন রাতের বেলা সড়কে চাপ কমে আসলে বিকল্প সড়ক দিয়েই চলাচল করে।

বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি সরু হওয়ায় এবং সড়কের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় সদর উপজেলার বিশ্বরোড থেকে নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক পর্যন্ত অত্যন্ত ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জি অভিযোগ করে বলেন, শাহবাজপুর ব্রীজটি অত্যন্ত পুরানো ও জরাজীর্ণ। এই ব্রীজের পাশেই তিতাস নদীতে আরেকটি ব্রীজ নির্মান করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন ব্রীজটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করে জরাজীর্ন ব্রীজ দিয়ে অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় ব্রীজটি বিকল হয়। ব্রীজের রেলিংসহ একাংশ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়।

এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হোসেন সরকার জানান, ব্রীজটি বিকল হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তিনি বলেন, দুটো আঞ্চলিক মহাসড়কেই তীব্র যানজট। তবে তা শুক্রবার চাপ একটু কম ছিলো।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ যদি পুরানো ও জরাজীর্ন শাহবাজপুর ব্রীজটির সঠিকভাবে তদারকি করতো তাহলে আজকের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতোনা।

রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, বিকল্প সড়ক সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি সরু হওয়ায় এবং এর ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় প্রতিদিনই এই সড়কে যানজট হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে যানজট প্রথম দুদিনের তুলনায় শুক্রবার কম ছিল বলে তিনি জানান।

রফিক উদ্দিন ঠাকুর দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের সংস্কার কাজ শেষ করে ব্রীজটি যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের পাশে নির্মাণাধীন নতুন ব্রীজের নির্মান কাজ শেষ করার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল আমীন বলেন, ব্রীজটির মেরামত কাজ পুরোদমে চলছে। তিনি বলেন, মেরামত কাজ শেষ হতে আরো ১১দিন লাগবে। তিনি বলেন, বিকল্প সড়ক দুটো সরু হওয়ায় এবং সড়ক দুটোর ধারন ক্ষমতা কম থাকায় কিছু যানজট আছে।
###

শাহবাজপুর ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিকল্প সড়ক দুটোতে যানজট

সুমন আহম্মেদঃ
সরাইলের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বাণিজ্য। লাখ লাখ টাকার চুক্তিতে সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এক শ্রেণির ঠিকাদার এ কাজ করছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল গ্রামের হাবিব মিয়ার বাড়িতে দেয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। এ ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন। গতকাল নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সংযোগ দেওয়ার ৫ দিন পরই এ লাইনটি সহ আরো ২৫ টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন প্রশাসন। গাঁ ঢাকা দিয়েছেন অবৈধ সংযোগে সহায়তাকারী রাঘব বোয়ালরা।

সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্র জানায়, মাটির নিচের খনিতে আমাদের গ্যাস অফুরান নয়। ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে গ্যাসের মজুদ ও কমে আসছে। এ লক্ষ্যে সরকার গত প্রায় ৩-৪ বছর আগেই দেশের সকল আবাসিক সংযোগ স্থাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছেন। সুযোগে কিছু ঠিকাদার অর্থের লোভে জালজালিয়াতির মাধ্যমে সরাইলের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। এ জাতীয় কিছু সংযোগ অভিযানের মাধ্যমে আগে বিচ্ছিন্নও করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানীর (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) প্রকৌশলী মো. শফিকুল

ইসলামকে সাথে নিয়ে পুলিশ সহ অভিযানে নামেন। প্রথমেই চলে যান নিজসরাইল গ্রামের বহুতল ভবনের মালিক হাবিব মিয়ার বাড়িতে। গত শুক্রবার গভীর রাতে দেওয়া সংযোগের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। কোন ধরনের বৈধতা না থাকায় ওই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। একই গ্রামের মো. আলমগীর মিয়া সাড়ে ছয় বছর ধরে বিল দেন না। তাকে ৭৮ হাজার টাকা বিল প্রদানে বাধ্য করেন। সেই সাথে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সদরের পাশে সাঘরদীঘি পাড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে বসতবাড়ির ২৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অভিযান চলাকালে কিছু ঠিকাদারকে উপজেলা সদর ও আশপাশে অস্বস্থিতে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল গ্রামের হাবিব মিয়ার সদ্য নির্মাণকৃত বহুতল ভবনে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য রাস্তার মাটি কাটতে শুরু করে শ্রমিকরা। নিজ সরাইল গ্রামের কার্পেন্টিং করা সড়ক থেকে হাবিবের বাড়ির দূরত্ব দেড় শতাধিক গজ হবে। আর উপজেলা চত্বর থেকে আধা কিলোমিটার। থানা তো আরো কাছে। স্থানীয় লোকজন দেখে এ কাজকে অবৈধ বলে বাঁধা দেন। মুহুর্তের মধ্যে মাটি কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঠিকাদার ও লেবাররা। থানা থেকে ছুটে আসেন পুলিশ সদস্য। রাত ১টার দিকে অতি গোপনে প্রথমে সড়কের পাশের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও পরে কার্পেন্টিং করা সড়কটি কেটে ফেলেন। লোকাল মিস্ত্রি দিয়ে বাখরাবাদ গ্যাস লাইনের পাইপ ছিদ্র করে সংযোগ স্থাপন করেন। কাজ চলাকালে চারিদিকে চলে বিশেষ পাহারা।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এ কাজে পুলিশের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। কেউ অভিযোগ করে থাকলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, এই সড়কটি কাটার অনুমতির জন্য পরিষদে কেউ কোন আবেদন করেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুর রেজা বলেন, সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি উপায়ে এ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবাসিক সংযোগ দেওয়া বা অন্য জায়গার সংযোগ স্থানান্তরের কোন বিধান নেই। এ জাতীয় অবৈধ কাজের দায়ে জেল জরিমানা দুটিই হতে পারে। সরজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বলেন, হাবিব মিয়া সম্পূর্ণ অনিয়ম ও বেআইনি কাজ করেছেন। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান– সরাইলে ২৬ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ফেসবুকে আমরা..