সুমন আহম্মেদঃ
সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় থেকে প্রাতঃবাজার পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। সাধারণ মানুষের স্বস্থিতে চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। সরাইলের প্রধান সড়কটিকে যেকোন উপায়ে যানজট মুক্ত করতেই হবে। আইনশৃঙ্খলা সভার সম্মানিত সদস্যকে লাঞ্জিত করার বিষয়টিও কঠোরভাবে দেখতে হবে। বিএডিসি মোড়কে সিএনজি অটোরিকশা ষ্ট্যান্ডমুক্ত করে নির্বাচনের কেন্দ্র পুনরায় সেখানে স্থানান্তর করার জোর প্রস্তাবও এসেছে। সরাইল-অরুয়াইল সড়কটি নির্মাণ করতে সাবেক এমপি মৃধা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সড়কটির কাজের অনিয়মরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করার আহবান জানিয়েছেন রফিক ঠাকুর।

গতকাল নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরাইল উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন বক্তারা। এ ছাড়াও অবৈধভাবে সরকারি জায়গা/খাল দখল, জুয়া মাদক ও আটক বাণিজ্য নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

বক্তব্য রাখেন-সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, রফিকুল ইসলাম খোকন, মো. শাহজাহান মিয়া,

মো, রাজিবুর রহমান রাজ্জি, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. দ্বীন ইসলাম, মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মো, সরাফত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম কানু। কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন,

সড়কের পাশ ও সড়ক দখল করে যত্রতত্র দোকান, দোকানের মালামাল সড়কে, হোটেলের ছুলা সড়কে এভাবে একটা উপজেলা চলতে পারে না। অতিদ্রুতই এসব দখলদারদের উচ্ছেদ করে সড়কটিতে যানজট মুক্ত করা হবে। কোন অনুরোধ ও তদবির কেউ করবেন না। এসব কোন কাজেও আসবে না।
###

মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বক্তারা– সরাইলের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে


সুমন আহম্মেদঃ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় তিতাস নদীর উপর থাকা ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই পথে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী ও মাঝারি যানবাহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভারী ও মাঝারী যানবাহন গুলোকে বিকল্প পথ হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় বিকল্প সড়কটিতে থেমে থেমে যানজট দেখা দিচ্ছে। ফলে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই সেতু মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। সেতুটি ঠিক করতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ধারণা পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাজপুরের পুরোনো ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙ্গে পড়ে। একপাশ দিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেতুর অবস্থা ভালো না হওয়ায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে বিকল্প হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম-সিলেট পথের যানবাহনকে আখাউড়া-চান্দুরা সড়ক ব্যবস্থার করতে বলা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনের ছোট ছোট যান একপাশ দিয়ে চলতে পারবে।
এদিকে বিকল্প পথটিতে এখন থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সরাইল থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ওই সড়কটি সরু হওয়া এ ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, তাঁর এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হোসেন সরকার জানান, যানজট যেন বড় আকার ধারণ না করে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ।
###

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সরাইলের শাহবাজপুর ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যান চলাচলে বিঘিন্নত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মহিষে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিঁতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপোটা ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আখিঁতারা গ্রামের ফহেত মিয়ার একটি মহিষ গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশি রাশেদ মিয়ার জমির ধান খেয়ে ফেলে। এ অবস্থায় রাশেদ মিয়া ওই মহিষটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

আহতদের মধ্যে রেজাউল-(২৬), জাশেদুল-(৪৩), ফয়সাল-(৩২), রুকন উদ্দিন-(৪২), আরিফ-(২৭), আশরাফুল-(৩৫), বোরহান-(২০), শেফাউল-(২৭), জিয়া-(৩৫), মুরশেদুল-(৫০), রাজু-(২২), আমিন-(২৮), শামীম-(২৫), ছুট্টু মিয়া-(৬০), আশরাফুল-(২০), মেরাজুল-(১৮), জহির-(১৮), খাদেম-(২৯), কামাল-(৩৪), আহাদ-(৩২) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষ থামাতে ২৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়তে হয়। সংঘর্ষে আহত তিন পুলিশ কনস্টেবল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয় নি। কাউকে গ্রেপ্তার করাও যায় নি বলে তিনি জানান।
###

মহিষে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সরাইলে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত-৩০

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কাবিখা কর্মসূচীর (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ কর্মসূচী (টিআর) এর বরাদ্দ দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে শাহবাজপুর ফাস্ট গেইটে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া তার বরাদ্দকৃত কাবিখা কর্মসূচীর চাল থেকে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের জমাদ্দারপাড়ার বিএনপির সমর্থক জুনায়েদ-(২৮) কে কাবিখার চাল বরাদ্দ দেন।

জুনায়েদ উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এমপির সমর্থক।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থক শাহবাজপুর ইউনিয়নের ফাস্ট গেইট এলাকার যুবদল নেতা জুয়েল- (৩০)।
শনিবার বিকেলে যুবদল নেতা জুয়েল ফাস্ট গেইট এলাকায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার সমালোচনা করলে সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক জুনায়েদ এর প্রতিবাদ করে।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকরা সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক ব্যবসায়ী বাবুল মিয়াকে মারধোর করে। এ ঘটনার জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে দু’দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যেই ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এসময় মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মহসড়কে বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা।

খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্প থেকে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মহাসড়ক থেকে দাঙ্গাবাজদের সরিয়ে দিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এমপি তার নির্বাচনী এলাকার জন্য ১৬৬ মেট্রিক টন চাল কাবিখা কর্মসূচীর জন্য এবং ৫০ লাখ টাকা গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী (টিআর) হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই এমপির নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানের জন্য প্রকল্প জমা দেয়া হলেও কাবিখা ও টিআর এর টাকা বা চাল এখনো ছাড় দেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুবই লজ্জার।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঞা বলেন, বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মহাসড়কে কিছু সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০/১২জন আহত হয়েছে।
###

টিআর এবং কাবিখার বরাদ্দ নিয়ে সরাইলে বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূইয়া চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন।

গত সোমবার চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক পিপিএম(বার) আনুষ্ঠানিকভাবে মফিজ উদ্দিনের হাততে সম্মাননা স্বারক ও ক্রেষ্ট তুলে দেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন, বিপিএম (বার), পিপিএম উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর সরাইল থানায় যোগদান করেন মফিজ উদ্দিন। এর আগে তিনি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিচারে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন।
###

সরাইলের ওসি মফিজ উদ্দিন চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ৪/৫ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের লোকেরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ রাউন্ড টিয়ার সেল এবং ৩১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তেরকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয়পক্ষের বিভিন্ন মামলা চলমান।
পুরানো বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফজলু মেম্বারের লোকজন প্রতিপক্ষ নাজিম উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে।

পরে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ৫টি বাড়ি ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৩১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে এবং ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
###

জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত-৩০

 

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, সরাইল উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানপদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং নাসিরনগর উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে একাধিক প্রার্থী না থাকায় জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ( আনারস প্রতীক) ৬৮ হাজার ২৩৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ( নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯০৭ ভোট।

 

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাফি উদ্দিন আহম্মদ (নৌকা প্রতীক) ৫৯ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম, মনিরুজ্জামান সরকার ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।

সরাইল উপজেলা পরিষদঃ-
সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর (ঘোড়া প্রতীক) ৩১ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ শের আলম মিয়া ( মোটর সাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৮ ভোট।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদঃ-
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ হানিফ মুন্সী (নৌকা প্রতীক) ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৫ ভোট।

 

নবীনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (দোয়াত- কলম প্রতীক) ৪৯ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯০ ভোট।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কসবা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও আইনমন্ত্রীর সাবেক সহকারি একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

###

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গত বুধবার রাত ৩টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সরাইল উপজেলার বিশ্বরোডের লালশালুক হোটেলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম মোঃ সাহেদ আলী। তার বাড়ি সরাইল উপজেলায়।

গনমাধ্যমে পাঠানো র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা বুধবার রাত ৩টার দিকে লালশালুক হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ৪৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

দুই লাখ টাকার মাদকসহ সরাইলে মাদক ব্যবসায়ী আটক

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগীতা।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতায় বিচারক মন্ডলীর আহবায়ক ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল।

বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান ও ত্রিতাল সঙ্গীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ। বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ইসমত আলী ও ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন।

প্রতিযোগীতায় উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। পরে তিন গ্রুপের ৯ বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান।
###

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে সরাইলে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদী, খাল, বিল, জলাশয় ও জলাধার অবৈধ দখলের মহোৎসব চলছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নির্দেশে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরাইল উপজেলা ভূমি অফিস (স্মারক নং-৩১.৪২.১২১৩.০০০.০০১.১৯-১২১) উপজেলার ১২১ জন দখলবাজের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। এই তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের প্রভাবশালী হাজী নূরুল ইসলাম প্রকাশ নূরু মিয়ার নাম। তিনি ওই গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে। তিনি শাখাইতি মৌজার ৭১৫ দাগের সরকারি খালের উল্লেখযোগ্য পরিমান ভরাট করে বহুতল বিশিষ্ট সুরম্য অট্টালিকা নির্মান করেছেন। এর ফলে খালের স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়াসহ জলাবদ্ধতার কারনে এলাকার শতশত কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

এ ঘটনায় প্রভাবশালী নূরুল ইসলামকে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা গত ১৬ জানুয়ারি এক নোটিশে তিনদিনের মধ্যে খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন নি। তবে নূরুল ইসলাম দাবি করেছেন তিনি সরকারি খাল দখল করেন নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলা ভূমি অফিস সম্প্রতি অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন করেছে। তালিকায় ১২১ জনের নাম রয়েছে। যারা নদ, নদী, খাল, বিল ও জলাশয়-জলাধার অবৈধভাবে দখল করে জনস্বার্থ বিঘ্নিত করেছেন। এই তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের হাজী নূরুল ইসলাম প্রকাশ নূরু মিয়া।

স্থানীয় প্রশাসন হাজী নূরুল ইসলাম নুরু মিয়াকে খালটির দখল ছেড়ে তিন দিনের মধ্যে খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ দিলেও নুরু মিয়া তা আমলে নেয়নি।এদিকে খাল ভরাটের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এলাকার শতশত কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন নূরুল ইসলাম নূরুকে তিনদিনের মধ্যে খাল দখল মুক্ত করার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ দেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি খালের অবৈধ দখলদার নূরুল ইসলাম নূরুকে তিন দিনের মধ্যে খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ দিলেও তিনি নোটিশ আমলে নেননি। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কানুনগোর মাধ্যমে খালটি মাপঝোক করা হয়। কিন্তু মাপঝোকের রিপোর্ট এখনো পাইনি।

এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এস.এম মোসা বলেন, মাপে সরকারি খাল দখলের প্রমান মিলেছে। তার বিরুদ্ধে উচ্ছেদের মামলা প্রক্রিয়াধীন। নালিশা জায়গার নকশা প্রণয়নসহ উচ্ছেদের মামলা দায়ের শেষে সমস্ত কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে খালের অবৈধ দখলদার হাজী নূরুল ইসলাম নূরু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভূমি অফিসের কানুনগো, নায়েব, সরাইল থানার ওসিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি খালটি মাপঝোক করে অস্থায়ী খুটি দেওয়া হয়েছে। যাতে আমার দখলে সরকারি খালের কোন অংশ নেই। আমি খাল ভরাট করিনি।
###

পানিশ্বরে খাল দখল করে সুরম্য অট্টালিকা জলাবদ্ধতায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

ফেসবুকে আমরা..