botv নিউজ:

১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপনসূত্রে সংবাদ পায় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন চারগাছ বাজারে আমির হোসেন শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন ভূয়া চিকিৎসক অসহায় মানুষকে হয়রানি করে। বেশ কিছুদিন ধরে ভূয়া চিকিৎসাপত্র দিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত ভূয়া চিকিৎসকদের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকে এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখ বিকাল ০৩.৩০ ঘটিকার সময় ভৈরব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এবং এএসপি জোনাঈদ আফ্রাদ এর নেতৃত্বে কসবা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার জোবাইদা আক্তার ও উপজেলা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডঃ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া’কে নিয়ে চারগাছ বাজারে উক্ত হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ রেজাউল করিম (৪০), পিতা-মৃত আমির হোসেন এবং ২। কুলসুম আক্তার (২৪) স্বামী- মোঃ গিয়াস উদ্দিন, উভয় সাং- দেলী, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণাড়িয়া আটক করা হয়।

পরবর্তীতে হাসপাতাল ও তাদের দেহ তল্লাশী করে তাদের ভূয়া ভিজিটিং কার্ডসহ সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে তাদের দেয়া ভূয়া চিকিৎসাপত্র জব্দ করা হয়। এই ভূয়া চিকিৎসকদের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ সিজারকৃত রোগী, আলট্রাসনোগ্রাম করা ভুক্তভোগী রোগীদের কাছে অপকর্মের কথা জানা যায়। এরই প্রেক্ষিতে তাদের রিরুদ্ধে ভূয়া চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে কসবা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার জোবাইদা আক্তার তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।

দুই ভূয়া চিকিৎসককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে র‌্যাব-১৪

botv-নিউজ:

১৯৭৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেও শুধু নামের গুনে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন আবু হানিফ।
আবু হানিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাইতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। গতকাল রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফের ভাতা বাতিলসহ সমস্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, একই গ্রামের মৃত আব্দু মিয়ার ছেলে মোঃ হানিফ ১৯৭১ সালে পুলিশে চাকুরী করাকালীন অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তার এফ.এফ নং-৪৫৬, ভারতীয় তালিকা নং-৩৩১১২। তাদের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফের মৃত্যুর পর কথিত মুক্তিযোদ্ধা তার চাচাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নানের যোগসাজশে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মৃত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফের স্ত্রী নবীনগর থানায় জালিয়াতির মামলা করেন।

তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দাখিলকৃত কাগজপত্র অনুসারে বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিষ্টার অনুসারে কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফের জন্ম তারিখ ১০/০৩/১৯৭৪।

এ মামলায় নবীনগর থানা তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এছাড়াও আবু হানিফের দাখিলকৃত সদর উপজেলার হাবলাউচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র এবং একই উপজেলার কাছাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সনদপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগন দেননি বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

এদিকে মৃত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফের স্ত্রীকে ভাতার ব্যবস্থা করার শর্তে অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়ে যান কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ। কিন্তু পরবর্তীতে এক মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র দিয়েই শুধুমাত্র নামে মিল থাকায় এখন দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফসহ সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা আসরারুন্নবী মোবারক, মোঃ আবু জাহের মেম্বার প্রমুখ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু হানিফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে মহল বিশেষের গভীর ষড়যন্ত্র। তার কাগজপত্রের সাথে অপর মুক্তিযোদ্ধা হানিফের কাগজপত্রের মিল নেই দাবি করে বলেন, তার গেজেট নম্বর হচ্ছে ৪৯১৬, মুক্তি বার্তা লাল বই নং-০২১২০৩১৩৫৫। অপর দিকে মোঃ হানিফের গেজেট নং-৩৩৯৫ এবং ভারতীয় তালিকা নং-৩৩১১২।
###

১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা, সনদ জালিয়াতির মাস্টার

botv নিউজ:

এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষার পদ্ধতি বাতিল করে, পরীক্ষার্থীদের মানসিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জেলা সদরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
মানববন্ধন চলাকালে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র ইকরামুল আলম ইশানের সভাপতিত্বে ও মুহীয় শারদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আরেফিন জান্নাত শোভা, গভঃ মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমৃতা দাস, গ্যাস ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন রাফাত সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, অ্যাডভোকেট নূর মুহাম্মদ জামাল।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বক্তারা বলেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে ব্যর্থ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বারবার পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে দেয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করে ১০টি সৃজনশীল প্রশ্নের উওর দেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তারা আগের নিয়মে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পদ্ধতি চুড়ান্ত করার দাবি জানান।
###

আগের নিয়মে পরীক্ষা পদ্ধতি চুড়ান্ত করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

botvনিউজ:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ উপলক্ষে
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বক্তাগণ
বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনাদর্শ থেকে আমাদের সকলকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ উপলক্ষে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস মিনারা আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এড. মোঃ কাউছার আহমেদ, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. শাহনুর ইসলাম, শহর আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি মোঃ কামাল মিয়া। সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি সাদেকা বেগম, নিলুফা ইয়াসমিন, যুগ্ম সম্পাদক মারহুমা আক্তার কল্পনা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছরিন হাওলাদার শিশির, মোফেজা বেগম, আকলিমা রহমান, শ্রম সম্পাদক নাছিমা বেগম, অর্থ সম্পাদক আনারকলি, আশুগজ্ঞ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফেরদৌসী জাহান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী মনোয়ার বেগম, মাজেদা বেগম ফেন্সী, বিথি আক্তার, রহিমা বেগম, তাহেরা বেগম, লুৎফা বেগম, শহর আওয়ামীলীগ সদস্য বশির আহমেদ ছুট্টু মিয়া, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ আশেক আহমেদ, যুবলীগ নেতা শাহাদাত মোঃ সাইম, উত্তর পৈরতলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হক পুতুল, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক এ এম আকছির খান, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মোঃ ফোরকান আহমেদ, যুবলীগ নেতা রেফাতুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, বাঙ্গালীজাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। তিনি কেবল বাঙ্গালী জাতির নন, তিনি বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু আমাদের সকলের প্রেরণার উৎস। তাঁর কর্ম ও আদর্শ থেকে আমাদের সকলকে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। আসুন সবাই মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি এবং দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের জাতির পিতার আর্দশে গড়ে তুলি। সভায় বঙ্গবন্ধুর ও তারঁ পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে অতিথিবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্ম বার্ষিকীর কেককাটেন ও সকলকে মিষ্টমুখ করান। উক্ত কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী অংশ গ্রহন করেন।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

botv-নিউজ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন, র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল ৯টায় পৌর ভবনের সামনে থেকে এক র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
পুষ্পস্তক অর্পন শেষে স্থানীয় সুর সম্্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তেন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
###

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা

botvনিউজ:

ভৈরব র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার বৈসামোড়া এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এবং এএসপি জোনাঈদ আফ্রাদ এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ আভিযানিক দল ১৫/০৩/২০১৮ ইং তারিখ রাত ০৮.৪০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার বৈসামোড়া এলাকার রাজা মারিয়া কান্দি হতে সূবর্ন ব্রিক ফিল্ডের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সাধন মিয়া (২২), পিতা- মোঃ কুদ্দুস মিয়া, সাং- চাওরখলা, থানা- বিজয়নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া’কে আটক করেন। আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ২৯৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ০১ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১,১৭,৬০০/- টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী ।

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সাংবাদিকদের জন্য দু’দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল বৃহষ্পতিবার শুরু হয়।
সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব ক্লাব সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র সিনিয়র প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান, এটুআই প্রশিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম স্মরন, প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিক এমদাদুল হক তুহিন।

প্রশিক্ষনে প্রিন্ট ও ইলেকট্্রনিক মিডিয়ার ২৮জন সাংবাদিক অংশ নেয়। আজ শুক্রবার সমাপনী দিনে পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর প্রধান অতিথি থেকে প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সনদ-বিতরন করবেন।
###

পিআইবি’র আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালার শুরু

botv-নিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পঞ্চম শ্রেণীর এক প্রতিবন্ধী ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ১২ মার্চ ওই ছাত্রের মা এবং সদর উপজেলার গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা বিলকিছ জাহান রিমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে সহকারি শিক্ষিকা বিলকিছ জাহান রিমি বলেন, তার প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ আল সিফাত মেধাবী ছাত্র। সে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তার রোল নং-৩। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাশে তার রোল নং ছিল ১ থেকে ৩ এর মধ্যে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে আশীষ চন্দ্র দেব এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ আল সিফাতের উপর মানসিক, নির্যাতন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। প্রধান শিক্ষক প্রায়ই আবদুল্লাহ আল সিফাতকে আবুইল্লা বলে ডাকে। সম্প্রতি তিনি সিফাতকে নৌকা থেকে ফেলে প্রাননাশের হুমকি দেন।
অভিযোগে গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা বিলকিছ জাহান রিমি আরো বলেন, চলতি বছরের শুরুতে সিফাতের ওপর প্রধান শিক্ষক আশীষের নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি সহকারী শিক্ষিকা শিরিন আক্তারের ক্লাস চলাকালে শ্রেণীকক্ষে ঢুকে হাতে লেখার জন্য সিফাতকে কটাক্ষ করেন। এরপর সিফাতকে ১৫ দিনের মধ্যে হাতে লেখা সুন্দর করার জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে তাকে চতুর্থ শ্রেণিতে নামিয়ে দিতে বলেন। এ ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায় সিফাত। সিফাতের মা প্রধান শিক্ষক আশীষকে তার মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কথা একাধিকবার জানালেও গত ৬ মার্চ প্রধান শিক্ষক আশীষ সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তারের মাধ্যমে সিফাতের মাকে জানিয়ে দেন, সে আর এই বিদ্যালয়ের পড়ালেখা করতে পারবে না। পরদিন সিফাতকে জোরপূর্বক বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেন ওই প্রধান শিক্ষক।

এ ব্যাপারে গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ চন্দ্র দেব অভিযোগটি উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে বলেন, আমি যদি ছয় বছর ধরে সিফাতকে নির্যাতন করে থাকি তাহলে এতদিন পরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলো কেন?। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক এবং ভিত্তিহীন। সিফাতের মা আমাদের বিদ্যালয় থেকে শহরে বদলি হয়ে যাবেন বলে আমাকে নিজেই বলেছেন সিফাতকে ছাড়পত্র দিতে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধী শিশুকে স্কুল থেকে থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ

botvনিউজ:

আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের উপ-নির্বাচন। উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের তিনজন প্রার্থী। এরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা), জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত রেজোয়ান আহমেদ (লাঙ্গল) এবং ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মাওলানা এ.কে.এম আশরাফুল হক (মিনার)। ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা) এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে জাপা প্রার্থী রেজোয়ান আহমেদ (লাঙ্গল) এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন জাপার কো-চেয়ারম্যান ও সাবেকমন্ত্রী জি.এম. কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ। পুরো নির্বাচনী এলাকায় বর্তমানে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ।
এক সময়ের জাতীয় পার্টির (এরশাদ) দূর্গ হিসেবে পরিচিত নাসিরনগর আসনটি বর্তমানে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তিনবার এবং আওয়ামীলীগ প্রার্থী ৫বার বিজয়ী হন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপ-নির্বাচনে মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যেই এখানে মূল লড়াই হবে। দুই দলের জন্যই ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বিএনপি সমর্থকদের ভোট। স্থানীয়দের ধারণা বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ভোট নির্বাচনের জয় পরাজয়ের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। যে কারণে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ওইসব ভোটারদের নজর রাখছেন। তাদেরকে ভোটের দিনে কেন্দ্রে আনার জন্য বিশেষ করে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদেরকে তৎপর থাকতে বিভিন্ন পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগে প্রকাশ্য বিরোধ না থাকলেও ভেতরে ভেতরে বিরোধ রয়েছে জানা গেছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে দলের প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলার একাধিক টিম প্রার্থীর পক্ষে প্রচার- প্রচারণা চালিয়েছে।
এদিকে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী না থাকায় ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের পিছিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য জাতীয় পার্টির রেজওয়ান আহমেদ একাধিকবার প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা তার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, যেহেতু দেশে বর্তমানে ভোটের পরিবেশ নেই, তাই আমাদের দল নির্বাচনে অংশ নেয় নি। আমাদের সমর্থকরা কেউ যদি উৎসাহী হয়ে ভোট দিতে যায় তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজোয়ান আহমেদ নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল যদি কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপি না করে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে যদি নির্বাচন হয় তাহলে তিনি বিজয়ী হবেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, জনগন উন্নয়ন চায়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগন নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করবেন বলে তিনি আশা করেন।
উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘সকল বিরোধীদলও যদি এক হয়ে যায় তবু আমাদের প্রার্থীকে হারাতে পারবে না। উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরই জয় হবে। তিনি বলেন, নাসিরনগর ছিল এক সময়ের অবহেলিত জনপদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দেয়া যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেসব বাস্তবায়ন করে নাসিরনগরকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। প্রয়াত নেতা ছায়েদুল হক মন্ত্রী থাকাকালে এলাকায় বেশ উন্নয়ন করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এম.পি বলেন, ‘যুগ যুগ ধরেই আমরা দেখে এসেছি কোনো দল নির্বাচনে না এলে তাদের সমর্থিত ভোটাররা সমমনা দলকে বেছে নেয়। সেই ক্ষেত্রে আমরা বিএনপি’র ভোট পাব বলে আশা করছি। বিএনপি’র অনেক নেতা-কর্মীই আমাদেরকে ফোন করে পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জিতবে বলে আমি আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদের ২৪৩ নং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ৪শ ১০ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩ হাজার ৫শ ৯৯ জন। উপ-নির্বাচনে ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের ৩৬৪টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ জন্য ৭৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩৬৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৭২৮জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কর্মকর্তাদেরকই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে গত ৮ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা নাসিরনগরের উপ-নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনশৃংখলা সভা ও নাসিরনগরে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য হয়। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর তিনি মারা গেলে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে। ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সালে তিনি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

লড়াই হবে নৌকা-লাঙ্গলের মধ্যে

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত। অস্বাভাবিক হারে কুকুরের বংশ বিস্তার ও উৎপাত বৃদ্ধি পেলেও বন্ধ রয়েছে কুকুর নিধন অভিযান। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌর এলাকার প্রতিটি পাড়া ও মহল্লাবাসী ।
দিনের বেলা শহরের কুকুরের সংখ্যা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই বেওয়ারিশ কুকুর বিভিন্ন মহল্লা থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে কুকুরের সংখ্যাও উৎপাত।
পৌর এলাকার ভাদুঘর বাস টার্মিনাল, মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, কাউতলী মোড় চৌরাস্তা, কালীতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে, কালীবাড়ি মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, কান্দিপাড়ার মোড়, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মওলা ভবনের সামনে, সদর থানা কম্পাউন্ড, মঠের গোড়া, সদর হাসপাতালের সামনে, কুমারশীল মোড়, জেলরোড মোড়, পৌর ভবনের সামনে, সুপার মার্কেটের সামনে, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, খৈয়াসারের মোড়, সড়ক বাজার গোলচত্বর, মহাদেবপট্টিসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলা দলবেঁধে কুকুর হাটাহাটি করে। কোন পথচারীকে একা পেলে তার উপর হামলে পড়ার চেষ্টা করে। এছাড়াও রাতের বেলা পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় কুকুরের উৎপাতে মহল্লাবাসী বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পায়।

গত মাসখানেক আগে মধ্যপাড়া এলাকায় দুলাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি কুকুরে কামড় দেয়। পৌর এলাকার কাজীপাড়ার বাসিন্দা মোরশেদ মিয়া বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ সময় মতো কুকুর নিধন না করায় বর্তমানে শহরে কুকুরে উপদ্রব বেড়েছে। তিনি বলেন, কুকুরের উপদ্রবে রাতের বেলা শহরে চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। রাতের বেলা কুকুরের দল কাউকে একা পেলে তার উপর আক্রমন করার চেষ্টা করে। অনেক সময় কুকুর রিকসাযাত্রীকেও লাফিয়ে কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে।
মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, ভোরে কুকুরের উপদ্রবে বাসাবাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুল, কোচিংসহ চলাচলে চরম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কখন কুকুর কাকে কামড় দেয় সেই আতংকে থাকি। শহরবাসী অবিলম্বে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে ॥ আতঙ্কে শহরবাসী

ফেসবুকে আমরা..