স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল, মাদক বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বেলাল মিয়া (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোলচত্ত্বর যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোঃ বেলাল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গনকিরপাড় গ্রামের আকছির মিয়ার ছেলে।

শনিবার দুপুরে র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরের যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে মাদক ব্যবসায়ী বেলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত বেলাল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করতেন।

আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিম্নমানের কাজের কারণে এক মাসের মধ্যেই একটি স্কুলের চিলিকোঠার ছাদ ভাঙতে হয়েছে ঠিকাদারকে। শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে ফেলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নাসিরনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। স্কুলটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৬৮ লাখ টাকা। জমির জুলিয়া টেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায়।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) আওতায় নাসরিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের জন্য চলতি বছরের গত ১৩ জানুয়ারি ঠিকাদারের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হয়। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরকে অবহিত না করেই চিলিকোঠার ছাদ ঢালাই করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ রয়েছে মিকচার মেশিন ছাড়াই হাতে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়, নির্মাণস্থলে ভাইব্রেটর মেশিন ছিল না ও ঢালাইয়ে নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার করা হয়।

গত ২৩ আগস্ট উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে সময় তিনি নির্মাণ কাজে কয়েকটি ত্রুটি দেখতে পান। গত ২৪ আগস্ট উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ছাদ ঢালাই দ্রুত অপসারণ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জমির জুলিয়া ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী জমির উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী নতুন এসেছেন। প্রায় এক মাস আগে ওই বিদ্যালয়ের তিন তলার ছাদের উপর প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রায় ১২ ফুট প্রস্থের চিলিকোঠার ছাদ ঢালাই দেয়া হয়। ঢালাইয়ের সময় তাদের লোকজন উপস্থিত ছিল না।

গত মাসে ছাদ ঢালাই ভেঙ্গে ফেলতে উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে চিঠি দেন। তাই শনিবার সকালে শ্রমিকরা ছাদ ভেঙ্গে ফেলে। তিনি দাবি করেন কাজে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেন, ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও তৃতীয় তলায় চিলিকোঠার ছাদ নির্মাণের কাজ পাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, কয়েকদিন আগে ঢালাইয়ের সেন্টারিং খোলা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের গিয়ে তিনতলার চিলিকোঠার ছাদের ঢালাই দেবে গেছে দেখেছি। পরে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি। ছাদটি উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, বিদ্যালয়ের তিনতলার উপরে ঢালাইয়ের পর চিলিকোঠার ছাদ প্রায় চার ইঞ্চি পরিমাণ ডেবে যায়। বিষয়টি জানতে পরে উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আমাদেরকে না জানিয়ে এবং আমাদের অনুপস্থিতিতেই ওই বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের তিনতলার চিলিকোঠা ছাদের ঢালাই দিয়েছে। তাই ছাদটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি। ঠিকাদার শনিবার সকালে চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে ফেলে। ছাদ ধসে পড়ার অভিযোগ সত্য না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, ঢালাইয়ের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় উপজেলা প্রকৌশলীর চিঠির প্রেক্ষিতে ঠিকাদার শনিবার চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে অপসারণ করে। ছাদ ধসে পড়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

নাসিরনগরে নিম্নমানের ঢালাইয়ের দায়ে ভাঙ্গা পড়ল স্কুলের চিলিকোঠার ছাদ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পরিবেশ রক্ষা ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানের সৌন্দর্য্যবর্ধনে কাজ করা সামাজিক সংগঠন “ভোরের সাথী” এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হক ও সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চন্দনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) উত্তর পাড়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুুুষ্ঠিত হয়৷ এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহাঙ্গীর কবির খাঁন দুলাল।

সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ভূইয়া, জেলা নাগরিক সমাজ এর সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক বাবুল মিয়া, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক চৌধুরী, সমাজসেবক মাঈন উদ্দিন খাজা, এম.এ. নাসের বাহার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর খবির উদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে নাজমুল হক ও ইকবাল হোসেন চন্দনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন লোকনাথ উদ্যান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শহরের বিশিষ্টজন সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোঃ নাজমুল হক (৬৫) ও মোঃ ইকবাল হোসেন চন্দন (৫৭) গত কয়েক মাস আগে মারা যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “ভোরের সাথীর” দুই নেতার স্মরণে দোয়া মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, গত চার মাসে দুই দেশের বাণিজ্য বেড়েছে। এই সময়ে রেলপথে আমদানি- রপ্তানি বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথ উন্নত করা হচ্ছে।বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াস্থল বন্দর দিয়ে নিজ দেশ ভারত যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে তিনি এ কথা বলেন।

ট্যুারিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের ট্যুারিস্ট ভিসা বন্ধ আছে। ফ্যামেলি ভিজিট, ব্যবসা, চিকিৎসাসহ অনেক ভিসা চালু আছে। বিমান যোগাযোগ শুরু হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ট্যুারিস্ট ভিসা চালু সম্ভব হবে।

ভ্যাকসিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন বেড়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে টিকা দেয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, কোভিট পরিস্থিতির কারণে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ গতি হারিয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বুধবার দুপুরে সড়কপথে ঢাকা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারত গমণ করেন।
এর আগে বিক্রম দোরাইস্বামী স্থলবন্দরে পৌছলে তাঁকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানা আক্তার, সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাহিদ হাসান, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান সহ দুই দেশের কর্মকর্তারাগণ।

কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ট্যুারিস্ট ভিসা চালু – বিক্রম দোরাইস্বামী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়।

র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেযারম্যান মোঃ মনির হেসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছিমা আক্তার, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী।

আলোচনা সভায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

কসবায় আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে ২২টি নৌযানকে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার থেকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাটের নৌপথে অভিযান চালান নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীর নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস নদীতে চলাচলকারী কোনো নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ, চালকের নিবন্ধন, নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রাখা হয় না। ওই নৌপথটিও অনুমোদিতও নয়।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসানের নেতৃত্বে শহরের আনন্দবাজার ঘাট থেকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট পর্যন্ত যৌথভাবে অভিযান চালায় নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করাসহ নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ, চালকের নিবন্ধন এবং নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে দুটি ড্রেজার (খননযন্ত্র), ১০টি ট্রলার (বাল্কহেড) সহ ২২টি নৌযানকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা হয়।

অভিযান চলাকালে আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান ও সার্ভেয়ার বাস্তুব ফকির এবং র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্প ও ভৈরব নৌপুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ বলেন, অভিযান চালিয়ে ড্রেজারসহ ২২টি নৌযানকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আনন্দবাজার-চম্পকনগর নৌপথের তিতাস নদীর লইস্কা বিলে যাত্রীবাহী নৌকাডুবে ২৩জনের মৃত্যু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে পৌরসভার উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের শহরের পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ ও পৌর সভার কর্মকর্তাগণ প্রমুখ৷

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মেয়র মিসেস নায়ার কবির ফগার মেশিন এবং স্প্রে-মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

মেয়র নায়ার কবির বলেন, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রতিরোধে মশক নিধন অভিযান উদ্বোধন করা হয়েছে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের সকল রাস্তায় মশক নিধন করার জন্যে ফগার মেশিন এবং স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে কার্যক্রম চলবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহি বাসের চাপায় উজ্জ্বল মিয়া (২৭) নামে এক রিকসা চালকের মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা শরীফপুর এলাকায় শহর বাইপাস সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত উজ্জ্বল মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামের হাসান মিয়ার ছেলে।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের হাজী মাহবুবুর রহমানের গ্যারেজের রিকসা চালাতেন। পুলিশ ঘাতক বাসটিসহ এর চালককে আটক করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উজ্জ্বল মিয়া পীরবাড়ি এলাকা থেকে খালি রিকসা নিয়ে শহরে আসার পথে কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের একটি যাত্রীবাহি বাস রিকসাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে উজ্জ্বল রিকসা থেকে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বাসের চাপায় রিকসা চালক উজ্জ্বল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘাতক বাস ও তার চালককে আটক করেছে। নিহত উজ্জ্বল মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস চাপায় রিকসা চালক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি এই ঘোষণায় স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় সরকারি ঘোষণায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐহিত্যবাহি অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শ্রেণীকক্ষের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চ এবং দেয়ালে জমে থাকা মাকড়াসার জাল অপসারণ করা হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বস্থি প্রকাশ করেছে। নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রভাতি চৌধুরী বর্ষা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর আমাদের স্কুল খুলবে। আমরা খুব খুশি। অনেকদিন পরে আবার স্কুলে আসতে পারব। ক্লাস করতে পারব, আমাদের পড়ালেখাও ভালো হবে। স্কুল খুলে দেওয়াতে আমাদের অনেক ভাল লাগছে।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর আমাদের স্কুল খুলবে। আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হবে। সবাই এক সাথে ক্লাস করতে পারবো।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আলহামদুল্লিাহ অবশেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলেটাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলেটা বাসায় তেমন পড়াশুনা করেনা। স্কুলে গেলেতো পড়াশুনা হবে।

শ্রেনীকক্ষ পরিষ্কার কার্যক্রম সর্ম্পকে নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের একটি অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পর আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা পেয়েছি। এই নির্দেশনার আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আড়াই শতাধিক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। তাই আমরা শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হবে।

তিনি আরও বলেন, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাশ করানো হবে। স্কুলে রুটিন করে অন্যান্য ক্লাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। শ্রেণীকক্ষগুলোতে চলছে ধোঁয়া মোছার কাজ। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন এস.এস.সি পরীক্ষার্থী, দশম শ্রেণী, নবম শ্রেণী, পঞ্চম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাবো। অন্যান্য ক্লাশের বিষয়ে রুটিন করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম বেঞ্চে ২জন, দ্বিতীয় বেঞ্চের মাঝখানে ১জন ও তৃতীয় বেঞ্চে ২জনকে বসানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অগ্নিকান্ডে ১০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের গুচ্ছগ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হয়নি।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফয়েজ চিশতি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গুচ্ছগ্রামের শহিদ মিয়ার ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ব্যারাকে থাকা অন্যান্য ঘরে। এতে ১০টি ঘর ও ঘরের ভেতরের আসবাপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার পরপরই স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।

নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে কোন হতাহত হয়নি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি চাল, নগদ ১ হাজার টাকা ও তিনবান ঢেউটিন প্রদান করা হবে।

নাসিরনগরে আগুনে পুড়ে ১০ ঘর ছাই

ফেসবুকে আমরা..