স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৪জন আহত হয়। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন, সেলিম মিয়া-(৪৫), ছয়দাবুর রহমান-(২৫), জাকির মিয়া- (৩৫) ও নওয়াব মিয়া-(৬০)। আহতদের মধ্যে ৩জন আর্জেন্টিনার সমর্থক ও একজন ব্রাজিল সমর্থকের চাচা।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কোপা আমেরিকার ব্রাজিল ও পেরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়। খেলা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামচাইল গ্রামের ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সাথে একই গ্রামের আর্জেন্টিনার সমর্থক মোঃ জীবন মিয়ার প্রথমে তর্কবির্তক ও পরে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে দামচাইল বাজারে একা পেয়ে মারধোর করে আর্জেন্টিনার সমর্থক মোঃ জীবন মিয়া ও তার সহযোগীরা। আহত নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাজিলের সমর্থকরা আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবনের সহযোগীদেরকে মারধোর করেন। এতে সেলিম মিয়া, ছয়দাবুর রহমান ও জাকির মিয়া আহত হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদেরকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পাল্টা-পাল্টি হামলায় আহত-৪


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। তবে এই বন্দর দিয়ে আমদানি কিছুটা কমেছে। যে কারণে রাজস্ব আয়েও কিছুটা কমতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া যাত্রী পারাপার অনেকটাই বন্ধ থাকায় ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আয়েও বেশ প্রভাব পড়েছে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের এক হিসেব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আখাউড়া স্থল বন্দরের ব্যবসায়িরা জানান, মূলত ওপারে আভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ত্রিপুরা ও এর আশেপাশের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মাছের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিও আয়ে এর প্রভাব পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এই বন্দর দিয়ে মাছের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় প্লাস্টিক সামগ্রী, জুস, নির্মাণ সামগ্রী রপ্তানি হয়। তবে ভারত থেকে আসে শুধু শুঁটকি আর আদা। তবে স্বাভাবিক সময়ে ১৫-২০ ধরণের পণ্য রপ্তানি হতো। বন্দরটি মূলত রপ্তানি নির্ভর।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে প্রাপ্ত এক তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২১-২০২১ অর্থ বছরে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ৬৯৭ কোটি ৭০ লাখ এক হাজার ৭৫৮ টাকার পণ্য। এর আগের অর্থ বছরে রপ্তানি হয় ৫৪২ কোটি ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৩০ টাকা। যা সর্বশেষ অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা কম।

সূত্র মতে, সর্বশেষ অর্থবছরে আমদানি হয় এক কোটি নয় লাখ ৯২ হাজার ২১৮ টাকার পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি হয় এক কোটি ১৭ লাখ চার হাজার ৬৩৯ টাকার পণ্য। সর্বশেষ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৮ টাকা ও এর আগের বছর রাজস্ব আয় হয় ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৫ টাকা।

দুই অর্থ বছরের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত তিনমাস ধরে রপ্তানি বেশ বেড়েছে। সর্বশেষ অর্থ বছরের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৭ কোটি, মে মাসে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা ও জুন মাসে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের এপ্রিল মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকা, মে মাসে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ও জুন মাসে প্রায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।

সর্বশেষ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি গত ডিসেম্বর মাসে প্রায় ৯০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। এর আগের অর্থবছরে একই মাসে ৮৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে বিশেষ করে গত কয়েকমাস ধরে ভারতে আভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে। পণ্য পরিবহনে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও মাছসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস ত্রিপুরাতে আসছিলো না। যে কারণে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্য আমদানি বাড়লে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায় গতি ফিরবে। এ বন্দর দিয়ে নতুন কয়েকটি পণ্য আমদানির বিষয়টি অনুমতির অপেক্ষায় আছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫০ কোটি টাকা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস মহামারীতে সাধারন মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে পন্য সামগ্রী সরবরাহের লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পন্য সামগ্রী বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। টিসিবির পন্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, মসুর, ডাল ও সয়াবিন তেল।

টিসিবির পন্য বিক্রয় তদারকিকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে ইমামা বানিন জানান, জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিসিবির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৫৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রথমদিনে তিনটি স্থানে দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাড়িয়ে টিসিবির পন্য কিনছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পন্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লকডাউন দেখতে ঘুরতে গিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনলেন তিন যুবক। সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে. এম ইয়াসির আরাফাত ভ্রাম্যমান আদালতে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম ইয়াসির আরাফাত জানান, সোমবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে তিন যুবক প্রাইভেটকার দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে লকডাউনে প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, তারা সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে একটি সুন্নতে খৎনার দাওয়াতে যোগ দিতে বিজয়নগরের চম্পকনগর যাচ্ছেন।

পরে তিনি তাদের কথামতো চম্পকনগরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে কোন সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান নেই। পরে তারা জানান, তারা লকডাউন দেখতে বেরিয়েছেন।

পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তিনি তিন যুবককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও লকডাউনে অহেতুক ঘুরাঘুরি করবে না এই মর্মে মুচলেকা আদায় করেন।

বিজয়নগরে জরিমানা গুনলেন তিন যুবক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জন্য আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠাকিতা শেষে ২০টি কার্টুনে করে ৩০০ কেজি আম পাঠানো হয়।

জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও কাস্টম সুপারিটেনডেন্ট মোহাম্মদ আলী। ভারতের পক্ষে আম গ্রহণ করেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারি হাই কমিশনার মোঃ জোবায়ের হোসেন, ফার্স্ট সেক্রেটারি রেজাউল হক চৌধুরী, ভারতের আগরতলা হাই কমিশনের সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান, বন্দরের ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী।

আমগুলো আগরতলা বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।

লকডাউনের চতুর্থদিনে গত রোববার দিনব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৪৫ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪৫ জনকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনগনকে বার বার বলা হচ্ছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলাতে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লংঘনের অপরাধে ৩৪৫ জনকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধি-নিষেধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ হাজার ৩ শত ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮ শত ২৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন।

কঠোর লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৪৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “৩৩৩”- এ কল পেয়ে খাদ্য নিয়ে কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।  সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর এলাকার মধ্যপাড়া, কাজীপাড়া ও পুনিয়াউট গ্রামের ৫২টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য হিসেবে এক প্যাকেট গুড়ো দুধ, নুডলস ও পেঁয়াজ দেয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের ফলে সাময়িক কর্মহীন মানুষজন খাদ্য সহায়তার জন্য “৩৩৩”- এ আবেদন করলে আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সোমবার ৫২টি পরিবার ও রোববার ২৭টি পরিবারের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে।

খাদ্য বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এস.আর ওসমান গনি সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি বাড়ি খাদ্য নিয়ে যাচ্ছেন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে “রণাঙ্গণ” নামে একটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পত্রিকা বের করেছে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী।

এ উপলক্ষে রোববার সকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমের সভাপতিত্বে ও পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পত্রিকাটি উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জমসেদ শাহ্।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবদুল মমিন বাবুল, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারহানা নূর স্বর্ণা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম।

অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার ভূইয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জুটন বনিক, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সঙ্গীত শিক্ষক দিলীপ কুমার দেবনাথ, রক্তদানের সংগঠন আত্মীয় এর প্রতিষ্ঠাতা সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে লেখকসহ সার্বিক সহযোগিতাকারিদের সম্মাননা দেয়া হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারনে অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র লেখক ও বিজ্ঞাপন দাতাসহ ২২ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরষ্কার পাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমকে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

আখাউড়ায় “ রণাঙ্গন” এর প্রকাশনা উৎসব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

“৩৩৩” এ খাদ্য সহায়তা চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার দুপুরে তিনি শহরের মেড্ডা, পাইকপাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৭টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য এক প্যাকেট, গুড়ো দুধ, নুডলস ও পেয়াজ দেয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৯ জনকে ৪৯হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১৩টি মামলায় ১৯ জনকে ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৯ জনকে জরিমানা

ফেসবুকে আমরা..