স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভিজিডি কর্মসূচীর চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের সময় হ্যান্ড ট্রলিসহ ১৩শ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। আজ সকালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নৌকা ঘাট থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা ১৩ কেজি চাল জব্দ করার কথা বললেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে ভিজিডি কর্মসূচির তিন হাজার আটশ কেজি চাল বিতরণ করার কথা ছিলো। কিন্তু এসব চালের মধ্যে ১৩শ কেজি চাল কালোবাজারির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়।
বুধবার সকালে গোয়ালনগর নৌকা ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া এইসব চাল সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় ভরার সময় স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা নৌকা ঘাটে গেলে পাচারকারি মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া পালিয়ে যায়। এ সময় একটি হ্যান্ড ট্রলিসহ ৪৪ বস্তা (১৩শ কেজি) চাল জব্দ করে স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এসব চাল জব্দ করে।
গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক মিয়া জানান, নৌকা ঘাটে প্রকাশ্যে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে চাল অন্য বস্তায় ভরে পাচার করার সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে সবাই মিলে চাল আটক করি। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ এসে চাল জব্দ করে।
এ ব্যাপারে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, ১৩শ কেজি নয়, ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়টি ফোন করে আমাকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply