সরাইলে কাল বৈশাখীর ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত শনিবার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক বাড়ি-ঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনার পর পরই ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদেরকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করে বলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত তারা কোন ধরনের সাহায্য-সহযোগীতা পাননি।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম, চাঁন্দপুর, গলানিয়া, ধর্মতীর্থ, মনিরভাগ, কালিকচ্ছ মধ্যপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যায়। এসময় শিলা বৃষ্টিও শুরু হয়। কালবৈশাখীর তান্ডবে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভেঙ্গে যায় এলাকার গাছ পালা।

ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবারের লোকজন তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন।
কালীকচ্ছ নন্দীপাড়ার ক্ষতিগ্রস্থ সুবল দাস ও সুমন দাস বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে নন্দীপাড়ার ১২টি ঘর পড়ে গেছে। কিন্তু রোববার দুপুর পর্যন্ত তারা কোন ধরনের সাহায্য সহযোগীতা পাননি। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন চাঁন্দপুর গ্রামের ফুলচান বিবি। তিনিও বলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত কোন ধরনের সাহায্য -সহযোগীতা পাননি।

এ ব্যাপারে কালীকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরাফত আলী বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই তীব্র গতিতে দমকাসহ ঝড়ো-বাতাস শুরু হয়। পরে কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয়। সাথে সাথে শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। তিনি বলেন, ঝড়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ছোট-বড় মিলিয়ে কমপক্ষে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের পর পরই তিনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন, রোববার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি তাদেরকে সব-ধরনের সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা শেষ হলেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের টিন ও আর্থিক সহযোগীতা করা হবে।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..