সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশুগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে শনিবার দুপুরে শহরের স্থানীয় রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলত্বর আর জে টাওয়ারের হল রুমে এসে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো,মাসুদ আলম এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো.হানিফ মুন্সি,আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমুল হায়দার,উপজেলা পুলিশিং কমিটির আহবায়ক হাজী মো.শফিউল্লা মিয়া,উপজেলা (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.ইকবাল হোসেন,আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু,হাজী.সাইদুর রহমান,রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রেজাউল আজাদ, পুলিশিং কমিটির সদস্য মো.শাহিন সিকদার,আতাউর রহমান কবির প্রমুখ।

তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিং এর নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা আশুগঞ্জ কে মাদক মুক্ত করার ঘোষনা দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের যাত্রীসেবার মান অবনমনের প্রতিবাদ ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দাবিতে মত বিনিমিয় ও প্রতিবাদ সভা করেছে “জাগ্রত আশুগঞ্জবাসী” নামে একটি সংঠন।

বুধবার বিকালে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানবিক আশুগঞ্জসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি সংগঠন একাত্বতা পোষণ করেন।

জাগ্রত আশুগঞ্জবাসী সংগঠনের আহবায়ক হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজি ছায়েদুল রহমান, মোবারক আলি চৌধূরী, উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শাহীন শিকদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান কবির, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ আহমেদ রনিসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন।

সভায় বক্তারা আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্টেশনের সমস্যাগুলো সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুসিয়ারি দেন তারা।
###

আশুগঞ্জ রেলস্টেশন অবনমনের প্রতিবাদে সভা

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মুহাম্মদ আলগীর হোসেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্রগ্রাম রেঞ্জে আগষ্ট মাসে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে চট্রগ্রাম রেঞ্জ কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ ও পর্যালোচনা সভার সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশ চট্রগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম এর কাছ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এই পদকটি গ্রহন করেন।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান বিগত আগষ্ট মাসে মামলা ব্যবস্থাপনায় সার্বিক সাফল্য এর জন্য চট্রগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে মুহাম্মদ আলমগীর হোসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
###

চট্রগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুহাম্মদ আলগীর হোসেন

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবীর হাত থেকে নিজের শিশু কন্যাকে বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন অসহায় এক মা। নিজের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যাকে ওই মাদকসেবীর সাথে বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় মাদকসেবী আবদুল্লাহ তার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চায়। বিয়ে না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার ও মেয়ের সাথে আবদুল্লাহর ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় তিনি (মেয়ের মা) গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে তার মেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে ও ওই নারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার দুই মেয়েকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

ওই নারীর বড় মেয়ে ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে সে তার শিশু কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু আব্দুল্লাহ আল-মামুন মাদকাসক্ত হওয়ায় ও তার মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তিনি বিয়ে দিতে রাজি হন নি।

এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ’র হুমকি-ধামকির মুখে মেয়েটি স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এতেও পিছু ছাড়ে নি আব্দুল্লাহ। বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কোন অবস্থাতেই ওই মেয়ের মাকে রাজী করাতে না পেরে আবদুল্লাহ তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

এমনকি গত ১০ অক্টোবর আব্দুল্লাহ তার মোবাইল ফোন থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর মায়ের মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি পাঠায়।

এ ঘটনায় মেয়ের মা গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আব্দুল্লাহ, তার বাবা ও মা, সহযোগি অনিক, অয়ন এবং ওই নারীর বোন নুপুর বেগমসহ সাতজনকে আসামী করা হয়। তবে গতকাল শনিবার দুপুর নাগাদ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় নি।

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী ওই মেয়ের মা বলেন, মাদক সেবীর কাছে আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না। এছাড়া আমার মেয়ের বিয়ের বয়সও হয় নি। কিন্তু তারা (ছেলে পক্ষ) আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করিয়ে নিতে চায়। বিয়ে না দিলে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, মেয়েকে নিয়ে বিপাকে আছি। মেয়ের সাথে ওই ছেলের (আবদুল্লাহ) ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি।

তিনি বলেন, এর আগে তার মেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছেলেপক্ষকে ডেকে এনে সতর্ক করে দেন। ছেলেপক্ষ আর বাড়াবাড়ি করবেনা বলে ইউএনওকে আশ্বস্থ করেন। এর পরেও ওই ছেলে আমার মেয়েকে আবার বিরক্ত করায় তিনি পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গেলে নির্বাহী অফিসার তাকে এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন ও থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে বলে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই মেয়ের সাথে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ের আলাপ চলছিল। মেয়ের পরিবার ১০ লাখ টাকা কাবিন করানোর কথা বলায় বিয়ে হয় নি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন শনিবার দুপুরে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এক এস.আই কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবীর হাত থেকে শিশু কন্যাকে রক্ষায় মায়ের আকুতি

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার ও নাসিরনগর শিশু কাননের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব হওয়ায় তাকে সংর্বধনা দিয়েছে নাসিরনগর শিশু কানন।শনিবার দুপুরে শিশু কানন প্রাঙ্গণে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিশু কাননের সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএমটিডি‘র অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর, স্কুলের সাবেক শিক্ষক শারমিন বেলায়েত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান । বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আবদুল হক, সাংবাদিক সুজিত কুমার চক্রবর্তী, আকতার হোসেন ভুইয়া, শিক্ষক সাদিকা আশরাফ ও শিক্ষার্থী রুকিয়া মাহমুদ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি এই এলাকার মানুষের কথা কখনো ভুলবো না। আমি আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবো। এর আগে তিনি শিশু কাননের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ কাজের ও নবনির্মিত শ্রেণী কক্ষের উদ্বোধন করেন। পরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
###

নাসিরনগরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সংবর্ধনা

সুমন অহম্মেদঃ
চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করেছে ওষধু কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস্ রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া), জেলা শাখার উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা ফারিয়ার সভাপতি জাহিদুল হক রেজার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা ফারিয়ার সাধারণ সম্পাদক আবু মনসুর, সংগঠনের নেতা আবু মুসা, জাহাঙ্গীর আলম ও ম্যাক ফাহিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমারা আমাদের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমেছি। আমাদের এই আন্দোলন সরকার বিরোধী নয়। আমরা আত্মসম্মান নিয়ে সমাজে বাঁচতে চাই। তারা বলেন, তারা সরকারি নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী সপ্তম গ্রেড সমপরিমাণ বেতন র্নিধারণ, বর্তমান মূল্যস্ফিতির সাথে সামঞ্জস্য নেখে টি.এ/ডি.এ ও অন্যান্য ভাতা প্রদান, চাকরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বিধানসহ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, ফারিয়াকে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান এবং সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল সরকারি ছুটি ভোগের বিধান চান। মানববন্ধনে বিভিন্ন ওষধু কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
###

চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফারিয়ার মানববন্ধন

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিয়েছে “সহযোগিতার হাত” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার আহরন্দ মহিউদ্দিননগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭৫ জন শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করে দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাহিদুল হোসেন জানান, আমার রক্তের গ্রুপ জানা ছিলনা। আজ (শনিবার) বিনে পয়সার জানার সুযোগ পেলাম তাও স্কুল ক্যাম্পাসে। বিষয়টি খুবই ভাল লেগেছে।

একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আগে রক্তের গ্রুপ কখনো পরীক্ষা করিনি। শনিবার “সহযোগিতার হাত” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ বিনামূল্যে পরীক্ষা করে দেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, স্কুল পর্যায়ে এমন আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কোনো শিক্ষার্থীর রক্তের প্রয়োজন হলে তারা সহজে রক্ত দিতে পারবে। অসহায় মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে পারবে। তিনি আয়োজকদের সাধুবাদ জানান।

এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “সহযোগিতার হাত” এর প্রতিষ্ঠাতা প্রমীলা দাস জানান, মানুষকে রক্তদান সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের রক্তের গ্রুপ সর্ম্পকে জানতে পারে এবং রক্ত দানের মানসিকতা গড়ে উঠে এজন্যেই তাদের এই প্রয়াস। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে গ্রামের প্রতিটি স্কুলে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৫৪ বছরের যেকোনো সুস্থ-সবল মানুষ রক্তদান করতে পারে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মান কাজের জন্য গভীর খনন কাজের ফলে নির্মানাধীন ভবনের পাশে থাকা একটি মসজিদের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে মসজিদে আগত মুসল্লিসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত মদিনা মসজিদ সংলগ্ন ১ নং খতিয়ান ভুক্ত ১৮১৯ দাগে ১৫ শতক ডোবা শ্রেণীর ভূমি ২০১৪ সালের ১৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্প ও বণিক সমিতির নামে অস্থায়ী বন্দোবস্ত দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন।

পরে পুকুর ভরাট করে ২০১৮ সালের ১৫ মে চেম্বারের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে চেম্বার কর্তৃপক্ষের সাথে চেম্বারের সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীরের চুক্তিও হয়। বন্দোবস্তে অহস্তান্তরযোগ্য ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে চেম্বার কর্তৃপক্ষকে এ ভূমি দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও ডেভেলপারের সাথে ৬০/৪০ শতাংশে চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চেম্বার কর্তৃপক্ষ বন্দোবস্তের শর্ত লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ দিকে, অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের জন্য গভীর খনন কাজ করায় সেখানে থাকা মদিনা জামে মসজিদে একাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে মসজিদের মুসুল্লি ও আশপাশের ভবন মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মসজিদে ফাটল দেখা দেয়ার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে মদিনা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন সাংবাদিকদের জানান, নানাভাবে আইনি পদক্ষেপ নিয়েও আমরা চেম্বার কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে পারছি না। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, সকল আইন ও শর্ত মেনেই আমরা নির্মাণ কাজ করছি। তবে বন্দোবস্তের ভূমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণের কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, মসজিদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্যও তার জানা নেই।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মসজিদে ফাটলের বিষয়টি জানতে পেরে চেম্বার কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেম্বারের ভবন নির্মান কাজে মসজিদের দেয়ালে ফাটল

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক (৪২) গতকাল শুক্রবার ভোরে তারাগনের নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—-রাজিউন)।

বাদ জুমা তারাগন মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি জানাজার সময় মোবাইল ফোনে বক্তব্য রাখেন। আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তান, স্ত্রীসহ আত্মীয়-স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
###

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ওমর ফারুকের ইন্তেকাল

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে “ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস” পালিত হয়েছে।শুক্রবার সকালে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিংয়াকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেনসহ আরো অনেকে বধ্যভূমিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে কালীকচ্ছ ইউনিয়ন শাখা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার রমেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিংয়াকা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে ধর্মতীর্থ এলাকায় রাজকারদের সহায়তায় উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষকে একত্র করে (যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু) হত্যা করা হয়। এটি ধর্মতীর্থ গণহত্যা নামে পরিচিত।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উপজেলার কালীকচ্ছ ধর্মতীর্থ এলাকায় স্থানীয় রাজাকার প্রধান ও সরাইল থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মুসলীম লীগ নেতা আবদুল মন্নাফ ঠাকুর ও তার দোসর পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) এ রহমান খানসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করেন। এর কয়েকদিন পর ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে নাসিরনগর সদর ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও নাসিরনগর থানা শান্তি কমিটির আহবায়ক সৈয়দ সওয়াব মিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করে অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এসব ঘটনার প্রতিশোধ ১৮ অক্টোবর পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকার খন্দকার ফয়েজ আহমেদ ও এমদাদুল হক টাক্কাবালীর নেতৃত্বে ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে গণহত্যা চালায়।
###

সরাইলে ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস পালিত

ফেসবুকে আমরা..