সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া-(৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল মিয়া ওই গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে।

নিহতের বড় ভাই মুছা মিয়া জানান, বাবুল মিয়া চট্টগ্রামে চাকুরী করেন। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তিনি বাড়িতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাবুল মিয়া বাড়ির একটি গাছের ঢাল কাটতে গাছে উঠলে হঠাৎ গাছ থেকে নিচে পড়ে আহত হন। আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই বাবুল মিয়া মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যরা তার লাশ নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শোক র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে একটি শোক র‌্যালি স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোঃ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

পরে পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে বাদ জোহর জেলা জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
###

বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি বড় পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে র‌্যাব। ওই মেশিনের মাধ্যমে কোরবানীর পশু ক্রেতা-বিক্রেতারা বিনামূল্যে জাল নোট শনাক্ত করতে পারবে। এ মেশিনকে কেন্দ্র করে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

র‌্যাব-১৪-এর কিশোরগঞ্জের ভৈরব ক্যাম্প সূত্র জানায়, শুক্রবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর, সুহিলপুর, নবীনগরের শিবপুর ও সরাইলের দুইটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দেয়া হয়েছে। হাটের পাশেই জাল নোট শনাক্ত করার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় একই ধরণের মেশিন দিয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জাল নোট শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, কোনো চক্র যাতে বাজারে কোনোভাবেই জাল নোট ছড়াতে না পারে সে জন্য কড়া নজরদারি রয়েছে। প্রতিটি পশুরহাটে র‌্যাবের নজরদারি রয়েছে। ঈদের পূর্বরাত পর্যন্ত পশু ক্রেতা বিক্রেতাদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে র‌্যাব

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিজুর রহমান ৩৬ বছর ধরে চাকুরী করে এখন তিনি “ অতিরিক্ত শিক্ষক” বনে গেলেন।

তিনি ১৯৮৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চাকরি করছেন। এ অবস্থায় মনিজুর রহমান যে কোনা সময় সরকারিভাবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা বন্ধের শঙ্কায় আছেন।

মনিজুর রহমানের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলে তথ্য বিবরণীতে তার স্বাক্ষর জাল করে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বদলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য শিক্ষকও নিয়োগ দিয়ে ফেলেছেন। এ বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি সরাইল থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি) করেছেন।
তবে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘মনিজুর রহমান মিথ্যুক। তথ্য বিবরণীতে তাঁর স্বাক্ষরের ঘর খালি আছে। এখন তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কয়েকজন শিক্ষকের বেতন ভাতা আটকে রেখেছেন। অথচ মনিজুর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি সব বেতন-ভাতা এমনকি পেনশন পাবেন। নিয়ম অনুসারে আমরা এনটিআরসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষককে যোগদান করিয়েছি মাত্র।

মনিজুর রহমান বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়ে আসছি। হঠাৎ করে আমি ও ফারহানা বেগম নামে দুই শিক্ষকের জায়গায় অন্য দুই শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে আমরা অতিরিক্ত শিক্ষক। ওই তথ্য বিবরণীতে আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যে কোনো সময় আমাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিতে পারেন।
###

৩৬ বছর ধরে চাকরি করে এখন ‘অতিরিক্ত শিক্ষক’

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে শহরতলীর বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানী লিমিটেড (বিজিএফসিএল) এর প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজিএফসিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম তপু।

বিজিএফসিলের মহাব্যবস্থাপক (কম্প্রেসার ও জেনারেটর) আমির ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, বিজিএফসিলের অফিসার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আলী মোক্তেজার, জিএম (এডমিনিস্ট্রেশন) এটিএম শাহ আলম, বিজিএফসিলের এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন সভাপতি তৌফিক বেলাল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাৎ বরণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট এদেশের বিদেশী মালিকানাধীন শেল ওয়েল কোম্পানির ৫টি গ্যাস ফিল্ড নামমাত্র ১৭.৮৬ কোটি টাকায় ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন। জাতির পিতার এই যুগান্তকারী দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে আজ অবধি আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশে ও জ্বালানী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্যাস ক্ষেত্র গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। জ্বালানি খাতে জাতির পিতার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রথম বারের মতো ২০১০ সালের ৯ আগস্টকে “জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানিক মিয়া (৩০) নামে এক রং মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় জেলা শহরের র্পূব মেড্ডা এলাকার মোশারফ মিয়ার বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রং মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়।

নিহত মানিক শহরের মধ্যমেড্ডা (বনানীপাড়া) এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় রং মিস্ত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে র্পূব মেড্ডা এলাকায় মোশারফ মিয়ার বাড়িতে সাইড দেয়ালের রঙের কাজ করার সময় টিনের চালে পড়ে যায়, টিনের নিচে থাকা তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় মানিক মিয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান- খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল র্মগে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রং মিস্ত্রীর মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
চাঁদা না দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকায় নির্মানাধীন বাড়ির মালিক এক হিন্দু ব্যবসায়িকে মারধর করেছে প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই ব্যবসায়ির বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে বাঁশের বেড়া দিয়ে পাশ্ববর্তী আরো দুই বাড়ির যাতায়তের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় গত সোমবার (০৫ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই হামলকারির নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি সঞ্জয় দত্ত।

মামলায় অভিযুক্ত দুই হামলাকারি হলেন, কালাইশ্রীপাড়ার বাসিন্দা সুব্রত দেব ও একই এলাকার মনির হোসেন দুলাল।

মামলার এজাহারে বাদি সঞ্জয় দত্ত বলেন, তার পৈত্রিক ভিটিতে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ অবস্থায় গত শনিবার (০৩ আগস্ট) রাত অনুমান ১০টার দিকে উপরিল্লিখিত দুইজনসহ তাদের আরো কয়েকজন সহযোগী বাদির ঘরে ঢুকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সুব্রত দেব তাকে কিল-ঘুষি মেরে ও শার্ট-প্যান্ট ছিড়ে অপদস্ত করে। এসময় মনির হোসেন দুলাল বাদি সঞ্জয় দত্ত’র প্যান্টের পকেট থেকে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এসময় তাদের সহযোগীরা বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট ও ভাংচুর করে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পাওয়ার ক্ষোভে ব্যবসায়ি সঞ্জয় দত্তের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় এবং সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে পাশ্ববর্তী আরো দুই বাড়ির যাতায়তের পথ বন্ধ করে দেয়।

এ অবস্থায় তারা অব্যাহত হুমকি-ধামকির ভয়ে বাড়িতে যেতে পারছেন না।
মামলা দায়েরের পর আদালত বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে নির্মাণাধীন এই বাড়ি ঘেঁষা জায়গায় যেন কেউ অনধিকার প্রবেশ করে কোন প্রকার বিঘন্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ১৪৪ ধারা জারি করে সুব্রত দেবের নামে সমন জারি করেছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।
###

চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়িকে মারধর বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে যাতায়তের পথ বন্ধ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) বিতরন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে কার্ড দেয়ার স্থান পরিবর্তন করায় স্মার্ট কার্ড না পেয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এমপির নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্থান পরির্বতন করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ হওয়ার কথা ছিলো।

এ উপলক্ষে গত ৩ আগষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয়, ৬ আগষ্ট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলার দূর্গারামপুর, তিলোকিয়া, শোভারামপুর, হরিপুর ও কিশোরপুর গ্রামের লোকদের স্মার্ট কার্ড বিতরন করা হবে। এজন্য তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়। বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ সহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগে উপজেলার বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজে স্মার্ট কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনেই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। এদিকে হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন হওয়ায় অনেকেই তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে স্মার্ট কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

তিলোকিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবুল কাশেম বলেন, শুনেছি এমপি সাহেবের নির্দেশে স্মার্ট কার্ড বিতরনের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। বুড়া বয়সে নদী পাড় হয়ে বীরগাঁও কলেজে কি যেতে পারব?

এ ব্যাপারে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মেদ বলেন, রোববার রাতে তাকে স্থান পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচটি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লোকের স্মার্ট কার্ড বিতরনের কথা ছিলো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে স্থান পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। নদী, নালা, খাল বিল পাড়ি দিয়ে ৫ গ্রামের মানুষ বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে যেতে চাচ্ছেনা। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের নির্দেশে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমপি স্যার জনপ্রতিনিধি, জনগনের সুখ-দুঃখতো তিনিই ভালো বুঝেন। এছাড়া বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসটি বড় হওয়ায় সেখানে স্মার্ট কার্ড বিতরনে সুবিধা হবে। তিনি বলেন, সোমবার সেখানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তিনদিন পর্যন্ত এই স্থানে স্মার্ট কার্ড বিতরন করা হবে।
###

এমপির নির্দেশে নবীনগরে স্মার্ট কার্ড বিতরনের স্থান পরিবর্তন করায় জনগনের মধ্যে ক্ষোভ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন স্কুল ছাত্রী মোমিনা বেগম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছাত্রী নিজে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই চিঠি পৌঁছে দেয়। এর আগে গত সোমবার একই চিঠি আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও পৌঁছায় সে।

মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বইগর গ্রামের মরহুম নুরুল আমীনের মেয়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারদ্বয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, সে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার রোল নম্বর দুই। গত চার বছর আগে তার পিতা নূরুল আমীন দুস্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে তার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করে আসছে।

আশুগঞ্জ উপজেলার বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূইয়ার ছেলে উছমান ভূইঁয়া প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে। এ ঘটনায় তার পরিবারের কাছে নালিশ দিলে বখাটে উছমান তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। কয়েকদিন আগে উছমানের পহ্মে গ্রামের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম, সজিব ভূইঁয়া, আকবর ভূইঁয়াসহ কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে চাপ সৃষ্টি করে উছমান ভূইঁয়ার সাথে তার বিয়ের কথা রফাদফা করেন।

এদিকে এই বিয়ের খবর পেয়ে মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে তার ভগ্নিপতি জাবেদ মিয়ার বাড়ি আশ্রয় নেয়। গত ৩ আগস্ট উছমান ভূইঁয়া সেখানে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, তা বিয়ের বয়স হয়নি। সে পড়ালেখা করতে চায়। এছাড়া তার এক বড় বোনের এখনো বিয়ে হয়নি। সে বোন আশুগঞ্জ উপজেলার তিন্নি আনোয়ার মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মোমিনা আক্তার বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দেব বলেন, মোমিনা আক্তার মেধাবি ছাত্রী। মোমিনার দেয়া একটি চিঠি পড়ে আমরা জানতে পেরেছি তাকে বাল্য বিয়ের দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সে এই বিয়েতে রাজি নয়। এ জন্য সে গত ৮ দিন ধরে স্কুলে আসছে না।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, স্কুলছাত্রী মোমিনা বেগমের চিঠি আমি পেয়েছি। উছমানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ডেকে পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা বলেন, মোমিনাকে এ বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে তিনি কথা বলবেন।
###

বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ইউএনওকে স্কুল ছাত্রীর চিঠি

 

সুমন আহম্মেদঃ
সম্প্রতি দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মাহামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে এডিস মশা নিধনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে গত রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন একটি পুজাপুকুর (পাকা ঘাটলা) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়।

 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নেতৃত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুরাদ খান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলুসহ জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। জেলা ছাত্রলীগ নেতারা জানান, তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা ছাত্রলীগের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

ফেসবুকে আমরা..