সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে তামান্না আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে ওই কিশোরীর ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত তামান্না আক্তার শালগাঁও গ্রামের নোয়াব মিয়ার মেয়ে। সে ওই গ্রামের একটি বিদ্যালয় নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ভগ্নিপতি নাঈম ইসলাম-(২৭) পলাতক রয়েছেন।

তামান্নার বড় বোন ও নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, নাঈম তার বাবা বসু মিয়ার সাথে পৌর শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত সোমবার তামান্নাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন নাঈম। বুধবার রাতে বসু মিয়া কাজে গেলেও নাঈম যাননি। স্মৃতি কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানান তিনি সকালে ঢাকা থেকে তার মাকে আনতে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, রাত সাড়ে নয়টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সাথে সাথে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। পরে তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত।

খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন স্মৃতি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মোহাম্মদ ফিরোজ।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, সদস্য অসিত পাল, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আহমেদ হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ঈদুল ফিতরের আগে ইউনিয়নের গরীব মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরনের জন্য সরকারের দেয়া ভিজিএফ’র চাল ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সঠিকভাবে বিলি না করে তিনি তার মুরগির খামারে নিয়ে যান।
বক্তারা বলেন, টাকা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম কোনো কাজ করেন না। জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে সব কাজেই টাকা নেন তিনি। এছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান কর্মসূচির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। তিনি বলেন, দুই বছর আগে একটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সাথে আমার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। প্রতিবাদ সভায় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
###

ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
সরাইলের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বাণিজ্য। লাখ লাখ টাকার চুক্তিতে সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এক শ্রেণির ঠিকাদার এ কাজ করছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল গ্রামের হাবিব মিয়ার বাড়িতে দেয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। এ ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন। গতকাল নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সংযোগ দেওয়ার ৫ দিন পরই এ লাইনটি সহ আরো ২৫ টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন প্রশাসন। গাঁ ঢাকা দিয়েছেন অবৈধ সংযোগে সহায়তাকারী রাঘব বোয়ালরা।

সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্র জানায়, মাটির নিচের খনিতে আমাদের গ্যাস অফুরান নয়। ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে গ্যাসের মজুদ ও কমে আসছে। এ লক্ষ্যে সরকার গত প্রায় ৩-৪ বছর আগেই দেশের সকল আবাসিক সংযোগ স্থাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছেন। সুযোগে কিছু ঠিকাদার অর্থের লোভে জালজালিয়াতির মাধ্যমে সরাইলের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। এ জাতীয় কিছু সংযোগ অভিযানের মাধ্যমে আগে বিচ্ছিন্নও করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানীর (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) প্রকৌশলী মো. শফিকুল

ইসলামকে সাথে নিয়ে পুলিশ সহ অভিযানে নামেন। প্রথমেই চলে যান নিজসরাইল গ্রামের বহুতল ভবনের মালিক হাবিব মিয়ার বাড়িতে। গত শুক্রবার গভীর রাতে দেওয়া সংযোগের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। কোন ধরনের বৈধতা না থাকায় ওই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। একই গ্রামের মো. আলমগীর মিয়া সাড়ে ছয় বছর ধরে বিল দেন না। তাকে ৭৮ হাজার টাকা বিল প্রদানে বাধ্য করেন। সেই সাথে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সদরের পাশে সাঘরদীঘি পাড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে বসতবাড়ির ২৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অভিযান চলাকালে কিছু ঠিকাদারকে উপজেলা সদর ও আশপাশে অস্বস্থিতে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল গ্রামের হাবিব মিয়ার সদ্য নির্মাণকৃত বহুতল ভবনে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য রাস্তার মাটি কাটতে শুরু করে শ্রমিকরা। নিজ সরাইল গ্রামের কার্পেন্টিং করা সড়ক থেকে হাবিবের বাড়ির দূরত্ব দেড় শতাধিক গজ হবে। আর উপজেলা চত্বর থেকে আধা কিলোমিটার। থানা তো আরো কাছে। স্থানীয় লোকজন দেখে এ কাজকে অবৈধ বলে বাঁধা দেন। মুহুর্তের মধ্যে মাটি কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঠিকাদার ও লেবাররা। থানা থেকে ছুটে আসেন পুলিশ সদস্য। রাত ১টার দিকে অতি গোপনে প্রথমে সড়কের পাশের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও পরে কার্পেন্টিং করা সড়কটি কেটে ফেলেন। লোকাল মিস্ত্রি দিয়ে বাখরাবাদ গ্যাস লাইনের পাইপ ছিদ্র করে সংযোগ স্থাপন করেন। কাজ চলাকালে চারিদিকে চলে বিশেষ পাহারা।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এ কাজে পুলিশের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। কেউ অভিযোগ করে থাকলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, এই সড়কটি কাটার অনুমতির জন্য পরিষদে কেউ কোন আবেদন করেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুর রেজা বলেন, সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি উপায়ে এ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবাসিক সংযোগ দেওয়া বা অন্য জায়গার সংযোগ স্থানান্তরের কোন বিধান নেই। এ জাতীয় অবৈধ কাজের দায়ে জেল জরিমানা দুটিই হতে পারে। সরজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বলেন, হাবিব মিয়া সম্পূর্ণ অনিয়ম ও বেআইনি কাজ করেছেন। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান– সরাইলে ২৬ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

 সুমন আহম্মেদঃ
সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় থেকে প্রাতঃবাজার পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। সাধারণ মানুষের স্বস্থিতে চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। সরাইলের প্রধান সড়কটিকে যেকোন উপায়ে যানজট মুক্ত করতেই হবে। আইনশৃঙ্খলা সভার সম্মানিত সদস্যকে লাঞ্জিত করার বিষয়টিও কঠোরভাবে দেখতে হবে। বিএডিসি মোড়কে সিএনজি অটোরিকশা ষ্ট্যান্ডমুক্ত করে নির্বাচনের কেন্দ্র পুনরায় সেখানে স্থানান্তর করার জোর প্রস্তাবও এসেছে। সরাইল-অরুয়াইল সড়কটি নির্মাণ করতে সাবেক এমপি মৃধা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সড়কটির কাজের অনিয়মরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করার আহবান জানিয়েছেন রফিক ঠাকুর।

গতকাল নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরাইল উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন বক্তারা। এ ছাড়াও অবৈধভাবে সরকারি জায়গা/খাল দখল, জুয়া মাদক ও আটক বাণিজ্য নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

বক্তব্য রাখেন-সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, রফিকুল ইসলাম খোকন, মো. শাহজাহান মিয়া,

মো, রাজিবুর রহমান রাজ্জি, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. দ্বীন ইসলাম, মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মো, সরাফত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম কানু। কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন,

সড়কের পাশ ও সড়ক দখল করে যত্রতত্র দোকান, দোকানের মালামাল সড়কে, হোটেলের ছুলা সড়কে এভাবে একটা উপজেলা চলতে পারে না। অতিদ্রুতই এসব দখলদারদের উচ্ছেদ করে সড়কটিতে যানজট মুক্ত করা হবে। কোন অনুরোধ ও তদবির কেউ করবেন না। এসব কোন কাজেও আসবে না।
###

মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বক্তারা– সরাইলের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে


সুমন আহম্মেদঃ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় তিতাস নদীর উপর থাকা ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই পথে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী ও মাঝারি যানবাহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভারী ও মাঝারী যানবাহন গুলোকে বিকল্প পথ হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় বিকল্প সড়কটিতে থেমে থেমে যানজট দেখা দিচ্ছে। ফলে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই সেতু মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। সেতুটি ঠিক করতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ধারণা পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাজপুরের পুরোনো ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙ্গে পড়ে। একপাশ দিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেতুর অবস্থা ভালো না হওয়ায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে বিকল্প হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম-সিলেট পথের যানবাহনকে আখাউড়া-চান্দুরা সড়ক ব্যবস্থার করতে বলা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনের ছোট ছোট যান একপাশ দিয়ে চলতে পারবে।
এদিকে বিকল্প পথটিতে এখন থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সরাইল থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ওই সড়কটি সরু হওয়া এ ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, তাঁর এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হোসেন সরকার জানান, যানজট যেন বড় আকার ধারণ না করে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ।
###

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সরাইলের শাহবাজপুর ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে যান চলাচলে বিঘিন্নত

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া প্রতিক) বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে নাছিমা মুকাই আলী পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৭৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তানবীর ভূইয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। নির্বাচনে ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের বে-সরকারি ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে।
###

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী বিজয়ী

সুুমন আহম্মেদঃ
দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়।প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট দিয়ে খুশী ভোটাররা।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলার ১৫/১৬টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়া নিয়ে ভাটারদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটাররা সকল নির্বাচনেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের দাবি জানান।

সকাল ৯টায় উপজেলার সিঙ্গারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই কেন্দ্রে উথারিয়াপাড়া গ্রামের ভোটার মোঃ আলমগীর জানান, তিনি খুব সহজেই ভোট দিতে পেরেছেন। কেন্দ্রটির বাইরে ভোট দেয়ার পদ্ধতির একাধিক ব্যানার দেখা যায়। সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল বাছেদ, শফিকুল ইসলামসহ অন্যদেরকে ভোট দেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটারদেরকে বুঝিয়ে দিতে দেখা যায়।

উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভোটার বৃদ্ধ আবুল কালাম বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে তিনি খুব খুশী। তিনি বলেন, এইবার ভোট দিয়া শান্তি পাইছি। টিপ দেয়ার পরই আমার ছবি আইছে। আমার ভোট আমি দিছি। ইভিএমএ কোনো চুরি সুযোগ নাই। ইভিএমএ তাঁদের আস্থার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা।

এমনকি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ পদ্ধতিতে ভোট দানে স্বস্থি ও আস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে কেউ কেউ কিছু জটিলতার কথাও উল্লেখ করেছেন। আঙ্গুলের ছাপ বারবার দিয়েও না মিল পাওয়া, আগে থেকে জানা না থাকায় ভোট প্রদানে বিলম্ব, ভোটার নম্বর না থাকায় বুথ খোঁজে না পাওয়ায় জটিলতা সৃষ্টির কথা বলেছেন অনেকে। আগে থেকে ইভিএম সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় এ ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে অনেকের মত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দান পদ্ধতি খুবই স্বচ্ছ ও সহজ। প্রথমে ভোটার যাচাই মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিবে। আঙ্গুলের ছাপ নিশ্চিত হওয়ার পর তার ছবি ও পরিচিতি স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। এরপর তিনি গোপন বুথে গিয়ে ভোট দিবেন। সেখানে তিন পদের প্রার্থীর জন্য তিনটি মেশিন রাখা। প্রার্থীদের প্রতীক বরাবর সাদা বাটনে চেপে নিশ্চিত করার জন্য সবুজ বাটনে চাপবেন। ভোটারের ভোটটি নিশ্চিত হওয়ার পর ভোট দেয়া সম্পন্ন হয়ে বলে লেখা উঠে। কেউ সঠিকভাবে ভোট না দেয়া পর্যন্ত লেখাটি উঠবে না।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ইভিএম’এর মনিটর নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এই কেন্দ্রে ১ ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিলো।
বিজয়নগরে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার ৩৬৩ জন। তবে গতকাল ৪০ ভাগের মতো ভোট পড়বে বলে ধারণা পাওয়া যায়।
এদিকে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো।
###

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএমএ ভোট দিয়ে খুশী ভোটাররা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের দুই সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

গত সোমবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র কনস্টেবল কিষাণ লাল (হেডকং/৬৯) ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল বিশ্বজিৎ সরকার (কং/৯০৩)।

জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যালয়ের পাশ থেকে কিষাণ লাল ও বিশ্বজিৎ সরকারকে আটক করেন বিজিবির সদস্যরা। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন। তবে কি উদ্দ্যেশে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির সাংবাদিকদের জানান, বিজিবি-বিএসএফ’র কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৈঠকে তারা তাদের ভুলের কথা স্বীকার করেছে।
###

আখাউড়ায় বিএসএফ ও ইমিগ্রেশন পুলিশের ২ সদস্য আটক

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির বিভিন্ন সিগারেটের সংকট নেই। কোম্পানির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশক মেসার্স ভগবান চন্দ্র পাল এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বেশি দাম না রাখার জন্য খুচরা দোকানদার প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর পর থেকেই বাজারে নানা রকম গুজব ছড়ানো হয়। বাজেটে যে দাম বাড়ানো হয়েছে এর চেয়ে বেশি উল্লেখ করে নানা রকম প্রচারণা চালানো হয়। বাজারে সিগারেটের সংকট আছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

মেসার্স ভগবান চন্দ্র পাল এর কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে বেনসন সিগারেট ১৩ টাকা, গোল্ডলিফ ১০ টাকা ক্যাপেস্টেন ১০ টাকা, স্টার ছয় টাকা, পাইলট চার টাকা, ডার্বি চার টাকা করে খুচরা বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১৫ জুন থেকে এ দাম কার্যকর করা হয়েছে। কোম্পানি নির্ধারিত দামের লিফলেটও বিতরণ করেছে এরই মধ্যে।

বাজারে সিগারেটের সংকট নেই উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ জানান, বিক্রির জন্য যে পরিমাণ সিগারেট ডিলার থেকে পাঠানো হয় তা কখনো কখনো ফেরতও আসে। খুচরা বিক্রেতারা যে পরিমাণ অর্ডার করছে তা দিতে কোনো ধরণের সমস্যা হচ্ছে না।
পরিবেশক মলয় পাল বলেন, ‘কোম্পানি থেকে আমরা চাহিদা মতো সিগারেট পাচ্ছি।

চাহিদা অনুযায়ি আমরা বিক্রিও করতে পারছি। তাই বাজারে সিগারেটের কোনো ধরণের সংকট নেই। কোনো দোকানী বেশি দাম রাখছে কি-না সে বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়তই খোঁজ রাখছি। খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা দাম বেশি রাখবেন না। সংশ্লিষ্ট কেউ সিগারেট সংকট আছে জানালে সরাসরি আমাদেরকে জানাবেন।
###

বাজারে কোনো ধরণের সংকট নেই সিগারেটের দাম বেশি না রাখার আহবান পরিবেশকের

botvনিউজঃ

আগামী ১৮ জুন মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২জন প্রার্থী।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানবীর ভূঁইয়া (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান ( ঘোড়া), সৈয়দ মাঈনুদ্দিন আহমেদ (আনারস), ফজলুল হক সরকার ( মোটর সাইকেল) এবং ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোসাহেদ দোয়াত কলম। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা রয়েছেন শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারণায়।

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহনে ব্যবহার করা হবে ইভিএম। তবে ইভিএম ব্যবহারে ধারণা নেই ভোটারদের। ইভিএম নিয়ে শঙ্কা রয়েছে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ধারণা, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হলে আওয়ামীলীগ কারচুপি করার সুযোগ পাবেনা। তাই তারা ‘বিকল্প’ হিসেবে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে না আসতে পারে সেজন্য বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারে।
শনিবার সকালে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে কাজল মিয়া ও হাটখোলা বাজারে মনা মিয়ার চায়ের দোকানের আলাপচারিতায় উঠে এলো নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক চিত্র। ওই দুই দোকানে আলোচনার সারমর্মটা ছিল এরকম, ‘সদর উপজেলা পরিষদের মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়নগরেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি হবে। অনেকেই বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থী জনগণের সাথে যোগাযোগ কম রেখেছেন।

প্রকারন্তরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান ব্যক্তিগত অর্থায়নে উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত থাকায় অনেকটাই এগিয়ে। এছাড়া ইভিএম পদ্ধতির ভোটে কোনো ধরণের কারচুপির সুযোগ নেই বলে সরকারি দল তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে ভোটার আসতে না দেয়ার মতো কিছু ঘটাতে পারেন সরকার দলীয় লোকজন।

কথা হয় সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সুজনের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ করি। তাই দলের প্রার্থীকেই ভোট দিবো। যদিও প্রার্থীর কিছু গ্যাপ ছিলো।’
নাসিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘জনগণের সাথে যোগাযোগ কম থাকাটা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বড় গ্যাপ। এছাড়া সব দিক থেকেই তিনি ভালো।’

রিকশাচালক হিরণ মিয়া বলেন, ‘নাছিমা লুৎফুর প্রার্থী হিসেবে ভালো। মানুষের খুব উপকার করছে। কোনো কাজের জন্য গেলে সাহায্য করেন।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান (ঘোড়া প্রতিক) অভিযোগ করে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার জয় নিশ্চিত। বিষয়টা আঁচ করতে পেরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানবীর ভূঁইয়ার লোকজন বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন। তারা আমার ভোটারদেকে চিহ্নিত করে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া, ভয়ভীতি দেখানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এমনকি ইভিএম যন্ত্রটিও নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিতে চায় তানবীর ভূঁইয়ার লোকজন।’

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমানের বক্তব্যকে কাল্পনিক বলে আখ্যায়িত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ও ইভিএম যন্ত্রের ভয় বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। বিজয়নগরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় লাভ করবে। উন্নয়নের কারণে মানুষ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিবে। তিনি বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে আমাদের ভয়ের কিছু নেই। এটা ভোটের আধুনিক একটা পদ্ধতি।

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মৃণাল চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, লিটন মুন্সি। সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ফয়জুন্নাহার টুনি ও সাবিত্রী রায়।
এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার ৩৬৩ জন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া প্রায় সম্পন্ন করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। পুরো এলাকাজুড়েই চলছে উৎসবের আমেজ। এখানে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে পরাজিত করেছিলেন। বিজয়নগরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানবীর ভূঁইয়ার সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমানের জোর লড়াই হবে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
###

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটার যাওয়া নিয়ে শঙ্কা!

ফেসবুকে আমরা..