সুমন আহম্মেদঃ
ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হককে প্রত্যাহার করার পর এবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে তাকে কারণ দর্শানোরও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এ কার্যালয়ের ১২/০৬/২০১৯ তারিখের ১০৩২ নং স্বারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা জবাব দাখিল করেন। জবাবটি সন্তোষজন ও যুক্তিগ্রাহ্য বিবেচিত না হওয়ায় এবং অভিযোগটি গুরুতর বিবেচনায় এতদ্বারা ্অদ্য ১৩/০৬/২০১৯ তারিখ বজলুল হক, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, নাসিরনগর,

ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(ঘ)(ই) উপধারার বিধান মোতাবেক তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক যাবতীয় সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন”।

এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ তদন্ত করে প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও তার শাস্তির দাবিতে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা। পরে ওইদিনই বজলুল হককে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
###

অবশেষে সাময়িক বরখাস্থ হলেন নাসিরনগরের সেই ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হক

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মহিষে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিঁতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপোটা ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আখিঁতারা গ্রামের ফহেত মিয়ার একটি মহিষ গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশি রাশেদ মিয়ার জমির ধান খেয়ে ফেলে। এ অবস্থায় রাশেদ মিয়া ওই মহিষটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

আহতদের মধ্যে রেজাউল-(২৬), জাশেদুল-(৪৩), ফয়সাল-(৩২), রুকন উদ্দিন-(৪২), আরিফ-(২৭), আশরাফুল-(৩৫), বোরহান-(২০), শেফাউল-(২৭), জিয়া-(৩৫), মুরশেদুল-(৫০), রাজু-(২২), আমিন-(২৮), শামীম-(২৫), ছুট্টু মিয়া-(৬০), আশরাফুল-(২০), মেরাজুল-(১৮), জহির-(১৮), খাদেম-(২৯), কামাল-(৩৪), আহাদ-(৩২) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষ থামাতে ২৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়তে হয়। সংঘর্ষে আহত তিন পুলিশ কনস্টেবল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয় নি। কাউকে গ্রেপ্তার করাও যায় নি বলে তিনি জানান।
###

মহিষে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সরাইলে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত-৩০

সুমন আহম্মেদঃ
পরিত্যক্ত ঘোষনার দীর্ঘ ৫ বছর পর সব ধরনের আইনি জটিলতা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একতলা বিশিষ্ট “পৌর সুপার মার্কেট” ভবনটি ভাঙ্গা শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ১জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি বুলডোজার দিয়ে মার্কেটের ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়। এর আগে মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পৌর সভার মালিকানাধীন এই মার্কেটটিতে ১১৩ টি দোকান রয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে শহরের পুরাতন কোর্টরোডে ৬৭ শতাংশ জায়গার উপর একতলা বিশিষ্ট “পৌর সুপার মার্কেট” টি নির্মান করা হয়। মার্কেটটিতে রয়েছে ১১৩টি দোকান। প্রায় ৬/৭ বছর আগে মার্কেটটির ছাদ ডেমেজ হয়ে যায়। এর পর থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই মার্কেটের ছাদের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়। পৌর সভার উদ্যোগে মার্কেটের ছাদ সংস্কারও করা হয়। এক পর্যায়ে মার্কেটের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গত ৫ বছর আগে মার্কেটটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

পরে পৌর কর্তৃপক্ষ পুরাতন মার্কেট ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে ছয়তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক শপিং মল করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদেরকে মার্কেট থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার জন্য কয়েক দফা তাগিদ দেয়া হলেও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেননি। পরে ব্যবসায়ীরা পৌরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেন।

মামলার কারনে পৌর সভার পক্ষ থেকে মার্কেটের ভবন ভাঙ্গা যায়নি। পরে উচ্চ আদালতে মামলার রায় পৌরসভার পক্ষে যায়। মামলায় হেরে যান ব্যবসায়ীরা।উপায়ন্তর না দেখে পরে ব্যবসায়ীরা সদর আসনের সাংসদ ও বেসাময়িক বিমান বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে যান। পরে মোকতাদির চৌধুরী এমপি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সময় দেন। গত বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে মার্কেট ভাঙার কাজ শুরু করে পৌরসভা।

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন, পৌরসভার সচিব আবুজর গিফারী, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমানসহ পৌর সভার প্রকৌশলী ও কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মার্কেট সংস্কার কমিটির আহবায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ ফেরদৌস মিয়া বলেন, আইনী জটিলতা শেষ করেই মার্কেটটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়। তিনি বলেন উচ্চ আদালত গত ৯ মাস আগে মার্কেটটি খালি করার রায় দিয়েছিলেন। পরে ব্যবসায়ীরা এমপির সাথে কথা বলে ঈদের সাতদিন পর চলে যাবে বলে সময় নিয়েছিলেন। সময় শেষ হওয়ায় আমরা মার্কেটের ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, এই জায়গায় ছয়তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক শপিং মল নির্মান করা হবে।
###

পরিত্যক্ত ঘোষণার ৫ বছর পর অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর সুপার মার্কেট ভবন ভাঙ্গা শুরু

সুমন আহম্মেদঃ
ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বজলুল হককে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন মনোরঞ্জন গোপ, সুমন গোপ, মিহির দেব, অলি মিয়া, আলাল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভবনে ডিজিটাল সাইবোর্ড রয়েছে- ‘দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন’। অথচ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ, অনিয়ন ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বক্তারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিচার ও শাস্তি দাবির করেন।

মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল কবীর কার্যালয়ে না থাকায় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ বিল্লাল মিয়ার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা নূন্যতম ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনো জায়গার খারিজ দলিল করেন না। আর কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি (ভূমি সহকারি কর্মকর্তা) পাঁচ গুন টাকা আদায় করেন। অথচ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভূমির খারিজের ফি এক হাজার ১৫০ টাকা। তাঁরা বলেন, চুড়ান্ত বিএস খতিয়ান আসার পরও দাগে সামান্য ভুল থাকলে জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন তিনি। টাকা না দিলে তিনি কোনো কাজ করেন না এবং কাগজপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। বক্তারা বলেন, দুইশত টাকার খাজনার চেকের জন্য তিনি ৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ভিপি জমির নামজারীর জন্য তাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত বজলুল হককে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

ঘুষ-অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে নাসিরনগরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক রোগীকে তার প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা বেগম-(৩২) নামে এক রোগী নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডেন্টাল সার্জন ডাঃ আবদুল্লাহ আল বারীর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি রোগীকে এই পরামর্শ দেন।

অসুস্থ খালেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দু’দিন ধরে দাঁতের ব্যাথায় অস্থির হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেন্টাল সার্জন ডাঃ আবদুল্লাহ আল বারীর (বিডিএস) কক্ষে যান।

চিকিৎসক তার কথা শুনে মোবাইলের টর্চ লাইট দিয়ে তার দাঁত দেখেন। পরে তিনি তাকে ( খালেদা বেগম) বিকেলে হাসপাতাল রোডে অবস্থিত গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে তাঁর ( চিকিৎসকের) প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ সময় ডাঃ আবদুল্লাহ আল বারী রোগী খালেদা বেগমকে বলেন, এটি সরকারি হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা করার মতো তেমন যন্ত্রপাতি নাই। বিকেলে আমার প্রাইভেট চেম্বারে আসেন। ভালো করে দেখে দেবো।

রোগীর স্বামী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি হাসপাতাল হলো গরীব ও সাধারণ রোগীদের জন্য। আর সেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যদি গরীব রোগীদের প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন, তাহলে গরীব রোগীরা যাবে কোথায় ?

এ ব্যাপারে ডেন্টাল সার্জন আবদুল্লাহ আল বারী (বিডিএস) সাংবাদিকদের বলেন, ওই রোগীর দাঁতের ভেতরে ছোট্ট একটি কাঠি দেখতে পাই। ওই কাঠি বের করার কোন যন্ত্র সরকারি হাসপাতালে নেই। তাই বিকেলে তাকে আমার প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাঃ সাইমুল হুদা বলেন, সরকারি হাসপাতালে কর্তব্য চলাকালীন কোন সরকারি ডাক্তার কখনো কোন রোগীকে প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না। ভুক্তভোগী রোগী আমাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
###

নবীনগরে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ! বিকেলে আমার চেম্বারে আসেন, ভালো করে দেখে দেবো


সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ইউএসএআইডি’র “মামনি” এমএনসিএসপি প্রকল্পের সহযোগিতায় মামনি মা ও নবজাতকের সেবা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার দুুপুর ১২ টায় স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর, এমএনসিএন্ডএএইচ ডাঃ শামসুল হক এবং মামনি এমএনসিএসপির চিফ অফ পার্টি জবি জর্জ।

বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহ আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করছে। সরকার গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে জনগনকে বিনামূল্যে ২৭ প্রকারের ঔষধ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রন দরকার। তিনি বলেন, সরকার চায় পরিকল্পিত জনসংখ্যা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিকল্পিত জনসংখ্যাকে বাকশাল কর্মসূচীতে অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের কারনে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। জনগনের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে দেশের ১০টি জেলায় মামনি প্রকল্প চালু হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে একটি তিনি বলেন, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মামনি প্রকল্প একটি নতুন প্রকল্প। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মা ও নবজাতকরা পর্যাপ্ত সেবা পাবে।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “মামনি” মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

botvনিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক কবি মারুফুল ইসলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা অমিত মোদকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গবেষক মুহাম্মদ মুসা, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম ও শাহাদৎ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।

অনুষ্ঠানে পিএসসির ১৪৫ জন, জেএসসির ৭০ জন এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৮২জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও একটি করে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মারুফুল ইসলাম বলেন, জীবনে স্বপ্ন দেখতে হবে। সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। স্বপ্নের অর্থ জীবনকে বুঝতে পারা। তিনি বলেন, জীবনে মা-বাবার গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। মা-বাবাকে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বাবা-মা ও শিক্ষকরা তোমাদের ১৬ বছর পর্যন্ত পড়াশুনা উপযোগী করে তুলেছে। কেননা গাড়ি চালানো লাইসেন্স পাওয়া মানে গাড়ি চালানো শেষ নয়। সবেমাত্র শুরু। মনে রাখতে হবে, শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় হলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি। এই দুটি বছর জীবনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ভূমিকা রাখে। তাই দুটি বছরকে অত্যন্ত যত্মসহকারে কাজে লাগাতে হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৯৭ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কাবিখা কর্মসূচীর (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ কর্মসূচী (টিআর) এর বরাদ্দ দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে শাহবাজপুর ফাস্ট গেইটে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া তার বরাদ্দকৃত কাবিখা কর্মসূচীর চাল থেকে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের জমাদ্দারপাড়ার বিএনপির সমর্থক জুনায়েদ-(২৮) কে কাবিখার চাল বরাদ্দ দেন।

জুনায়েদ উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এমপির সমর্থক।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থক শাহবাজপুর ইউনিয়নের ফাস্ট গেইট এলাকার যুবদল নেতা জুয়েল- (৩০)।
শনিবার বিকেলে যুবদল নেতা জুয়েল ফাস্ট গেইট এলাকায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞার সমালোচনা করলে সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক জুনায়েদ এর প্রতিবাদ করে।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকরা সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক ব্যবসায়ী বাবুল মিয়াকে মারধোর করে। এ ঘটনার জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে দু’দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যেই ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এসময় মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মহসড়কে বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা।

খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্প থেকে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মহাসড়ক থেকে দাঙ্গাবাজদের সরিয়ে দিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এমপি তার নির্বাচনী এলাকার জন্য ১৬৬ মেট্রিক টন চাল কাবিখা কর্মসূচীর জন্য এবং ৫০ লাখ টাকা গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী (টিআর) হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই এমপির নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানের জন্য প্রকল্প জমা দেয়া হলেও কাবিখা ও টিআর এর টাকা বা চাল এখনো ছাড় দেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুবই লজ্জার।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঞা বলেন, বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মহাসড়কে কিছু সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০/১২জন আহত হয়েছে।
###

টিআর এবং কাবিখার বরাদ্দ নিয়ে সরাইলে বিএনপির দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

botvনিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইমারী ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (পিটিআই) সংলগ্ন পরীক্ষন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনী পিটিআই চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট মু. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাহেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ. আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট কফিল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান ও জেসমিন খানম, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট উম্মে কুলসুম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক অনাচার, মাদক, সন্ত্রাস ও বাল্য বিয়ে রোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমাদের পূর্ব পুরুষরা ঢাকা বিশবািবদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঙ্গালী মুসলমানদের প্রথম ব্যারিষ্টার জন্ম দিয়েছে। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়বড় মানুষেরা ব্রিটিশকে এই দেশ থেকে তাড়িয়ে স্বাধীন দেশ গঠনে অনেক অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষেরা পাকিস্তানের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগনের বাংলাদেশ গঠনে অনেক অবদান রেখেছেন। এখন দূর্ভাগ্যবশঃত আমরা তার চেয়ে অনেক দূরে আছি। সুতরাং জনগনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, উন্নত ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঠনের জন্যে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বলেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন সেটি সম্ভব হবে। যদিও এরই মধ্যে এ লক্ষ্যে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষন বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ঐক্যফন্টের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে রাজনীতি করার দিন শেষ। ওনাদের (ড. কামাল) সাথে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এমন অনেকেই আছেন যারা ওনাদেরকে শুধু টিভিতে ও খবরের কাগজে দেখেন।

তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণের চেক বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণনের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেও তিনি ড. কামালের সমালোচনা করে বলেন, ‘তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নানা কথা বলে বেড়ান।

মন্ত্রী জানান, গত পাঁচ বছরে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার ১৭০০ জনকে চাকুরি দেয়া হয়েছে। চাকরি দেয়ার এ ধারা বর্তমান সরকারের আমলেও অব্যাহত থাকবে। জনগণের সেবক হিসেবে আগামী দিনেও সকলের সুখে-দু:খে তিনি পাশে থাকতে চান। মন্ত্রী ওই দিন দুই উপজেলার দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারন মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

কসবার অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
###

ড. কামালকে উদ্দেশ্য করে আইনমন্ত্রী ঢাকায় বসে রাজনীতি করার দিন শেষ

ফেসবুকে আমরা..