স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ জুনায়েদ-(৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর দক্ষিণ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

মৃত জুনায়েদ বিষ্ণুপুর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে।

মৃতের চাচা আলমাস মিয়া বলেন, দুপুরে জুনায়েদ স্থানীয় একটি মাদরাসার পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় একজন দেখে তার পরিবারের লোকদের খবর দিলে পরিবারের লোকজন গিয়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারহানা নূর স্বর্ণার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জুনায়েদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা যায়।

বিজয়নগরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যাত্রী আসা অব্যাহত রয়েছে। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি যাত্রীরা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ও পড়াশুনা করতে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ফিরছেন।

আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে যাত্রীরা ভারত থেকে ফিরতে পারছেন। গত বৃহস্পতিবার নাগাদ এক হাজার ৯৩৮ জন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৪৭২ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়। ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৫৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এর মধ্যে অনেকেই নেগেটিভ সনদ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারত ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টিন মানতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার ব্র্যাক লানিং সেন্টারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আখাউড়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ জেলায় কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৫৪ জন।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ১৯৩৮ জন বাংলাদেশি যাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি বছর কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কাঁঠাল চাষীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এর বিশেষ কদর। জেলায় নরম, রসালো ও চাওলা এই ৩ ধরনের কাঠাল চাষ করা হয়। চলতি বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি বছর ৯৪৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ৩১৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২২৫ হেক্টর ও আখাউড়া উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান রয়েছে। জেলার বাকী ৬ উপজেলার রয়েছে ২৯৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের বাগান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৪২৫টি কাঁঠালের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিজয়নগর উপজেলাতেই রয়েছে তিন শতাধিক কাঁঠালের বাগান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুইশত বছর আগে বিজয়নগরে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের চাষ শুরু হয়। উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় আস্তে আস্তে কাঁঠাল চাষে উদ্ধুদ্ধ হয় এখানকার চাষীরা।
বর্তমানে উপজেলার কালাছড়া, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, মেরাশানী, কামালমোড়া, নুরপুর, কাশিমপুর, হরষপুর, ধোরানাল, মুকুন্দপুর, সেজামুড়া, নোয়াগাঁও এবং পত্তন এলাকায় রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক কাঠাল বাগান।

চাষীরা জানান, বাগান থেকে দুই-দফায় কাঁঠাল বিক্রি হয়। প্রথম দফায় গাছে মুকুল ও গুটি আসার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে গাছ কিনে নেয়। পরবর্তীতে গাছে কাঁঠাল মাঝারি হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে গাছের কাঁঠাল বিক্রি করেন।

উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক বাগান ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই প্রত্যেকের বাড়িতেই রয়েছে ৪ /৫টি করে কাঁঠাল গাছ। যাদের বাড়িতে সামান্য জায়গা আছে তারাই বাড়িতে কাঁঠাল গাছ রোপন করেন।

উপজেলার সবচেয়ে বড় কাঠালের বাজার বসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাংকইরা বাজার, সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজারে। এছাড়াও উপজেলার মুকুন্দপুর, চম্পকনগর, ছতরপুর বাজারে পাইকারীভাবে কাঠাল বেচা-কেনা হয়। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা¬, নরসিংদী, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভী বাজার, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন কাঠাল কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ টাকার কাঠাল বেচা-কেনা হয়।

উপজেলার হরষপুরের কাঁঠাল চাষী রেনু মিয়া বলেন, তার বাগানে ৬০টি কাঠাল গাছ আছে। তিনি প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ টাকার কাঠাল বিক্রি করেন।
চম্পকনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কাঁঠাল বাগানের মালিক কাউছার মিয়া বলেন, এ বছর কাঠালের দাম ভালই তবে কাঁঠালের সাইজ অন্যান্য বছরের চাইতে একটু ছোট। উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আমির আলী ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা বাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন জানান, তারা ফলের মৌসুমে ফলের ব্যবসা করেন। কাঁঠালের সময় বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, পাহাড়পুর ও সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাগান থেকে কাঁঠাল কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।

বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের কাঁঠাল ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলেন, বিজয়নগরের কাঁঠালের স্বাদই আলাদা। ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও বেশী। তিনি বলেন, তিনি বিজয়নগর থেকে কাঁঠাল কিনে সরাইল, বিশ্বরোড, মাধবপুর, ভৈরব সহ বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার খিজির হোসেন বলেন, এবছর উপজেলার মোট ৩১৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ করা হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ ও সঠিক পরিচর্ষা করায় এবছর কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলার নরম, চাওলা ও রসালো এই ৩ ধরনের কাঠাল চাষ হয়। প্রতিদিন বিজয়নগরের বিভিন্ন বাজারে প্রায় দুই লাখ টাকার কাঁঠাল বেচা-কেনা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,, আশাকরি এ বছর বিজয়নগরে প্রায় ৪ কোটি টাকার কাঠাল বিক্রি করা হবে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৪৫ হেক্টর জমিতেহ কাঁঠালের চাষ করা হয়েছে। কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন ২৫ কোটি টাকা বিক্রির আশাবাদ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন আরো ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

“ আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমি নেই, ঘর নেই তাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হচ্ছে এসব ঘর।

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পাবেন সরকারি এই ঘর। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘরগুলোর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০ জুন ৬৮১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার এসব পাকা ঘর।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণ কাজ ও নির্মাণের কাজের গুনগত মান তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্মান কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির উপর আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সবগুলো ঘরই একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে জেলায় ১ হাজার ৯১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা তথ্য আপা অফিসের উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার নিদারাবাদ গ্রামে ২৫ জন নারীর উপস্থিতিতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম।
উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের তথ্যসেবা কর্মকর্তা মেহের নওরীন খান। উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস.এম. জহিরুল আলম চৌধুরী (টিপু), তথ্যসেবা সহকারী সুস্মিতা সরকার প্রমুখ।

উঠান বৈঠকে শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্মনিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী ও শিশুর সচেতনতা, জেন্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, মাদক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে বিজয়নগরে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের দীর্ঘ ৮০ দিন পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে শুরু করেছে ট্রেন। মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে চার জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনে পুনরায় ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়েছে। আজ থেকে একটি আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। হামলাকারীরা স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তারা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন অথবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে চড়তে হতো। আবার অনেকেই বাসে করে যাতায়ত করতো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেশনটির সংস্কার করে পুনরায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ জুন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা না করলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় ।

এদিকে গত ১৩ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটিকে ‘বি’গ্রেড থেকে ‘ডি’গ্রেডে রুপান্তর করে সনাতনি পদ্ধতিতে সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশন থেকে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রাবিরতিতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে কিছুটা সন্তোষ ফিরে আসলেও তারা স্থগিতকৃত অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর দ্রুত যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যদি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও চালানো যাবে। তাই একই পদ্ধতিতে বাকি আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

একই দাবি জানান সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না হলে যাত্রীরা ট্রেন থামার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন না। তিনি দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে পূর্বে যাত্রা বিরতি দেয়া সকল ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৪ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেনে। যাত্রা বিরতর খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসট্রেন যাত্রাবিরতি করেছে। বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।

সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাশ্ববর্তী তালশহর ও পাঘাচং স্টেশনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শোয়েব জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

অবশেষে আগামী ১৫ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি। মঙ্গলবার থেকে তিনটি মেইল ট্রেন, একটি কমিউটার ট্রেন ও পরদিন বুধবার থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশান শাখার উপ-পরিচালক (অপারেশন) মোঃ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত একটি পত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি ক্লাশ’ স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ের চিঠি থেকে জানা যায়, ১৫ জুন ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পথের সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথের নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, আখাউড়া-ঢাকা-আখাউড়া, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা পথের তিতাস কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে। ১৬ জুন (বুধবার) থেকে যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের পারাবত এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ হেফাজতের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। পরদিন ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিরত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে সংস্কার করে পূর্ব নির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি সংগঠনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

আগামী মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রা বিরতি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্রের মধ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রথম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করা ৫০টি মডেল মসজিদের মধ্যে বিজয়নগরের মডেল মসজিদটি রয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানবীর ভূইয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণীসহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মুসলিম জনগোষ্ঠীর যে ধর্মীয় কর্মকান্ড আছে, ধর্মীয় যে আচার-আচরণ আছে, তার একটি কেন্দ্র হিসেবে এই মসজিদটিকে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। আমরা আশা করছি এখান থেকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হবে। ৪৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মসজিদটির নির্মানে ব্যায় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মডেল মসজিদের উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে ভার্চুয়ালি চারটি ভবন উদ্বোধন করেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন গুলো হচ্ছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, চাঁদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থতলা বিশিষ্ট “অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন একাডেমিক ভবন”, মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলা বিশিষ্ট “যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরি একাডেমি ভবন” ও উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলী), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানবীর ভূইয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণী প্রমুখ।

বিজয়নগরে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন উদ্বোধন করলেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি

ফেসবুকে আমরা..