স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণটিকা কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। জেলার ৩০৬টি বুথে শনিবার সকাল ৯টা থেকে গণটিকা দেয়া শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। তবে বেশীর ভাগ বুথে দুপুর ১২টার মধেই শেষ হয়ে যায় টিকাদান।

এদিকে জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক মহিলাকে দুইবার টিকা দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গণটিকাদান কর্মসূচী চলার সময় বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া প্রমুখ। প্রতিটি কেন্দ্রে নিবন্ধনকৃত ২০০জনকে টিকা দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১১০টি কেন্দ্রের ৩০৬টি বুথে শনিবার সকাল ৯টায় একযোগে টিকা দেয়ার কাজ শুরু হয়। প্রতিটি বুথে টিকা দেয়ার জন্য দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী, তিনজন স্বেচ্ছাসেবক ও ১জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও প্রতিটি বুথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিলো।

সরজমিনে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ, ২ নং ওয়ার্ডের মেড্ডা (পশ্চিম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ডের সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০ নং ওয়ার্ডের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভীড়। আলাদা লাইনে দাড়িয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নারী-পুরষসহ ২৫ বছরের বেশি বয়সি লোকেরা টিকা নিচ্ছেন।

৪নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা পূর্ব পাইকপাড়ার বাসিন্দা বেবি রাণী সাহা বলেন, সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে এটা ভাবা যায়না। তিনি টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

একই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা লক্ষণ সাহা নামক এক ব্যক্তি বলেন, দেরিতে হলেও নিজের এলাকায় টিকা দিতে পেরেছি, এটাই বড় কথা। তিনি বলেন, এভাবে যদি সারা দেশে টিকা গণটিকা কার্যক্রম চালানো হয় তাহলে হয়তো আমরা সহসাই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারবো।

টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, প্রথম দিনেই টিকার দেয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই টিকা দিতে এসেছেন তবে যাদের নিবন্ধন আছে শুধু তাদেরকেই টিকা দেয়া হয়েছে।

এদিকে পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় টিকা দেয়ার জন্য মানুষের ভীড়। ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, কেন্দ্রে আসা সবাই টিকা দিতে পারেনি। দুইশত টিকা সাড়ে ১১টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মুসলিম খাঁর স্ত্রী রোজিনা বেগম দুইবার টিকা গ্রহণ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই মহিলার স্বামীর সাথে তার কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই মহিলা সকালে একবার টিকা দিয়ে সাথে থাকা কার্ডটি টিকাদান কেন্দ্রের টেবিলে রেখে বাড়ি চলে যান। পরে প্রায় ১ ঘন্টার ব্যবধানে ওই মহিলা আবার কেন্দ্রে এসে তথ্য গোপন করে আবার টিকা নেন। দুইবার টিকা নেয়ায় ওই মহিলার কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, আশাকরি কোন ধরণের অসুবিধা হবেনা। তিনি বলেন, ওই মহিলা তথ্য গোপন করে নিজেই দুইবার টিকা নিয়েছেন। এতে অন্য কারো দোষ নেই।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরামউল্লাহ বলেন, সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে জেলার ৩০৬টি বুথে গনটিকা দেয়া হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের ঝামেলা হয়নি। সরাইলের এক মহিলার দুইবার টিকা নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। সিভিল সার্জন ডাঃ একমরাম উল্লাহ আরো বলেন, এভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৬১ হাজার ২শ লোককে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী টিকা আগামী ১৪ আগষ্ট দেয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, টিকা নিয়ে দুঃচিন্তার কোন কারণ নেই। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে র‍্যাব-১১ সদস্যদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নয়জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে, এরা হলেন ক্যাপ্টেন তৌফিক আহমেদ, কর্পোরাল জাহিদুল ইসলাম, নায়েক বেলাল হোসেন ও কনস্টেবল আক্কাস আলী।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজালাল আলম বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে র‍্যাব-১১ সদস্যদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস হবিগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে শাহবাজপুর এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হঠাৎ করে মহাসড়কে উঠে পড়লে অটোরিকশাটিকে রক্ষা করতে গিয়ে র‍্যাব সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

এতে গাড়িতে থাকা ৯জন কমবেশী আহত হন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সরাইলে দুর্ঘটনার কবলে র‍্যাবের মাইক্রোবাস


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস মহামারিকালে চিকিৎসা সংকটের কথা চিন্তা করে রোগীদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার লক্ষ্যে চালু হয়েছে “টেলি মেডিসিন সেবা”। ফোন করলেই রোগীরা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের সেবা পাবেন।
মানবিক সেবামূলক সংগঠন “বাতিঘর” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ১০ সদস্যের একটি চিকিৎসক টিম নিয়ে শনিবার সকাল থেকে এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়।

“বাতিঘর” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রোগীরা তাদের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টাই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে রোগীদের সুবিধার্থে ১০টি হটলাইন নাম্বার ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে। ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টে ভোগা ও মুমুর্ষ রোগীদেরকেও সেবা দেয়া হবে।

এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামাদের মরদেহ কবর ও শেষকৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থাও আছে তাদের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সদ্য অবসরে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ. শওকত হোসেন চিকিৎসক টিমের সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন। টেলিমেডিসিন চিকিৎসক টিমে আরো রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ খোকন চন্দ্র দেবনাথ, ডাঃ সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডাঃ শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ, ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপি, ডাঃ ইনজামামুল হক সিয়াম, ডাঃ আকিব জাবেদ রাফি, ডাঃ শাখাওয়াত তানভীর তানিম ও ডাঃ তানভীর চৌধুরী।

এ ব্যাপারে বাতিঘরের চিকিৎসক টিমের সমন্বয়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন বলেন, করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে আমরা এই সেবার ব্যবস্থা করেছি। করোনাকালে ঘরে বসেই সাধারণ মানুষ বিনামুল্যে আমাদের সেবা পাবেন। এই উদ্যোগের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দারা ফোন করে ঘরে বসে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হয়েছে বিনামূল্যে টেলি মেডিসিন সেবা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পিকআপ ও ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোঃ আবদুল হাই (২৫) নামের পিকআপের চালক নিহত এবং অপর দুইজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালক আবদুল হাই হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দুবাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মাছবাহী একটি পিকআপ ( ঢাকা মেট্টো -১৭-৮৮০২) সিলেট যাওয়ার পথে বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর আলহাজ্ব আমেনা বেগম দারুল কোরআন টাইটেল মাদরাসার সামনে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবাহী একটি ট্রাক (ঢাকা- মেট্টো-১৮-৩০৬৬) এর সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক মোঃ আবদুল হাই মারা যান ও পিকআপে থাকা দুই মাছ ব্যবসায়ী আহত হন।

খবর পেয়ে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজালাল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে “করোনা প্রতিরোধ বুথ” চালু করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ের পাশে স্থাপিত বুথটি উদ্বোধন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসাইন রিমন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, কসবা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সৈকত হোসেন, কসবা টি.আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিউর রহমান সাগর প্রমুখ।

উদ্বোধন শেষে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসাইন রিমন বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনগণকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

আইনমন্ত্রীর নির্দেশে ও জেলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সৌজন্যে এই বুথটি নির্মাণ করা হয়েছে। বুথটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই বুথ থেকে প্রতিদিন জনগণকে ৫০০ মাস্ক দেয়া হবে। পাশাপাশি বুথটিতে থাককে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সুবিধা।

তিনি বলেন, জাতির দুর্দিন ও দুর্যোগে সব সময় ছাত্রলীগ পাশে থাকে। ছাত্রলীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। যতদিন পর্যন্ত এই মহামারি করোনা থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ছাত্রলীগ জনগণের পাশে থাকবে।

কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে “করোনা প্রতিরোধক বুথ” চালু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, “১৫ আগস্টকে সামনে রেখে আমাদেরকে শুধুমাত্র শোক পালন করলে চলবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আদর্শ পৌঁছে দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় যোগ দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সামদানী ফেরদৌস, আতাউর রহমান নাজিম, আবদুল মমিন বাবুল, মোঃ জালাল উদ্দিন, আবুল হাসেম নোয়াব মিয়া, খোকন খান, শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু, শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, যতই সময় লাগুক না কেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রায় কার্যকর করা হবে। তাদেরকে ধরে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের পরনে কালো ব্যাজ না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন ও দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে কালো ব্যাজ ধারণের নির্দেশ দেন।

এ সময় মন্ত্রী ১৫ আগস্ট উপলক্ষে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কাঙ্গালিভোজ না করার পরামর্শ দিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া সেলুন কর্মী ও চায়ের দোকানের কর্মীদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার কথা বলেন।

সভায় মন্ত্রীর ঘোষণা দেয়া পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট ১০ লাখ টাকায় এক হাজার প্যাকেটে খাদ্য সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আখাউড়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে সহায়তা পেয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ৪০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম ইয়াসির আরাফাত উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার করে তেল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন, ১কেজি ডাল, ২টি সাবান ও ২টি মাস্ক দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলি), উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহানুর জাহান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা আফরিন, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তার জন্য আবেদন করলে ৪০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।

বিজয়নগরে খাদ্য সহায়তা পেল ৪০টি পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু হয়।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাসেম ভূঁইয়া।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আতাউর রহমান ভূঁইয়া নাজিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মোসলেহ উদ্দিন।

আখাউড়ায় শেখ কামালের জন্মদিন পালন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে আবদুর রহমান (৩৮) নামের এক ডিলারকে ৬ মাসের কারাদন্ড, পাশাপাশি ৭ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবদুর রহমান শহরের উত্তর পৈরতলার কাঞ্চন মোল্লার ছেলে মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি টিসিবির ডিলার।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে টিসিবির ডিলার মাইশা এন্টার প্রাইজের পণ্য বিক্রয়ের সময় ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ বরাদ্দ ডিলারদের দেয়া হয় এর মধ্যে ৭০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি ডাল, ৫০০লিটার তেল ট্রাক সেলের মাধ্যমে বিক্রয় করার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে পণ্য বিক্রয়ের ট্রাকে আমরা খোঁজে ৪৫৯ কেজি চিনি, ১০৯ কেজি ডাল ও ১১২লিটার তেল ঘাটতি পেয়েছি। কম পণ্য কেন বিক্রয় করা হচ্ছে, তা আমরা ডিলারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন বেআইনীভাবে পণ্যগুলো অন্য জায়গায় সংরক্ষণ করেছেন।

তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৫ধারা মতে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় না করায় ডিলার আবদুর রহমানকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৭হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।পাশাপাশি তার ডিলারশীপ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হবে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে পরে ডিলারের নিজস্ব গুদামে লুকিয়ে রাখা বাকী পণ্যগুলোও টিসিবির ট্রাকে এনে বিক্রয় করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির ডিলারকে ৬ মাসের জেল

ফেসবুকে আমরা..