স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি এই ঘোষণায় স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় সরকারি ঘোষণায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐহিত্যবাহি অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শ্রেণীকক্ষের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চ এবং দেয়ালে জমে থাকা মাকড়াসার জাল অপসারণ করা হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বস্থি প্রকাশ করেছে। নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রভাতি চৌধুরী বর্ষা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর আমাদের স্কুল খুলবে। আমরা খুব খুশি। অনেকদিন পরে আবার স্কুলে আসতে পারব। ক্লাস করতে পারব, আমাদের পড়ালেখাও ভালো হবে। স্কুল খুলে দেওয়াতে আমাদের অনেক ভাল লাগছে।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর আমাদের স্কুল খুলবে। আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হবে। সবাই এক সাথে ক্লাস করতে পারবো।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আলহামদুল্লিাহ অবশেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলেটাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলেটা বাসায় তেমন পড়াশুনা করেনা। স্কুলে গেলেতো পড়াশুনা হবে।

শ্রেনীকক্ষ পরিষ্কার কার্যক্রম সর্ম্পকে নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের একটি অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পর আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা পেয়েছি। এই নির্দেশনার আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আড়াই শতাধিক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। তাই আমরা শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হবে।

তিনি আরও বলেন, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাশ করানো হবে। স্কুলে রুটিন করে অন্যান্য ক্লাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। শ্রেণীকক্ষগুলোতে চলছে ধোঁয়া মোছার কাজ। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন এস.এস.সি পরীক্ষার্থী, দশম শ্রেণী, নবম শ্রেণী, পঞ্চম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাবো। অন্যান্য ক্লাশের বিষয়ে রুটিন করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম বেঞ্চে ২জন, দ্বিতীয় বেঞ্চের মাঝখানে ১জন ও তৃতীয় বেঞ্চে ২জনকে বসানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি


স্টাফ রিপার্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণর শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের উদ্যােগে শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ী প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

বাংলাদশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি সামশ রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হাসান রাজা, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিতােষ রায় প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, করােনাভাইরাসের কারণে এ বছর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছ। আপনাদের অনুষ্ঠানে আমরা এসেছি আনন্দ ভাগ করার জন্য। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তাই আমরা সকলে মিলে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভক্ষণ প্রার্থনা করব আমরা যেন এই মহামারী থেকে মুক্ত হতে পারি।

এদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শহরের রাধামাধব মন্দির ইসকন এর উদ্যােগ আলোচনা সভা, অভিষেকসহ নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মের লােকজন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপবাস করেন। এরপর পূজা অর্চনা শেষে ফলমূল, মিষ্টি, প্রসাদ গ্রহণ করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১২০জন কৃষকের মধ্যে ২০ কেজি করে সার, ৫ কেজি বীজ ও নগদ ১ হাজার করে টাকা দেয়া হয়। এছাড়া ১১জনের মধ্যে ৩ বান্ডিল করে টিন ও নগদ ৯হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়। শনিবার দুপুরে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন , থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর ভুইয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম প্রমুখ।

কসবায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১২০জন কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।

লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ একাধিক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন কাজ করছেন। তিনি বলেন জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ লক্ষাধিক শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ  সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে সাংবাদিকদের এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ।

উক্ত কর্মশালায় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমূখ।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইতিপূর্বে দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা বাড়িয়ে এখন ৮ কর্মদিবস করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার ২ হাজার ৪০২টি কেন্দ্রে আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে।

চলতি বছর ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৫৪৬ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৮ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লক্ষাধিক শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদর হাসপাতাল মোড়ে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের হাতে নাজেহাল সাধারণ রোগী।  অফিস সময়ে হাসপাতাল কোয়াটারে রোগী দেখেন ডাক্তার এমন অভিযোগ জনতার।সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল ও কলেজ মোড়ে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক,ডায়াগনষ্টিক ও কনসালটেন্ট সেন্টার।

এর মধ্যে রয়েছে যেমন,আধুনিক,বন্ধন,দি মর্ডান, মেডিফেয়ার,ডিজিটাল,নিউ মর্ডান ইত্যাদি। দু একটির বৈধ কাগজ পত্র থাকলেও অন্যটির নেই প্রয়োজনীয় কোন কাগজ পত্র। মেডিফেয়ার ও দি মর্ডানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। দুটি ক্লিনিকের লোকজন সরকারী অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রবেশ করে রোগীদের টেনে নিয়ে যায় তাদের ক্লিনিকে। অপরদিকে ডাঃ শোয়েব শাহারিয়ারকে ব্রহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে হাসপাতালে বদলী করা হলেও এখনো তিনি নাসিরনগর সরকারী কোয়াটারে অফিস চলাকালীন সময়ে রোগী দেখার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে তার সহকারী আদনাদ হোসেন রবিন সরকারী অফিস চলাকালীন সময়ে রোগী নিয়ে ডাঃ শোয়েব শাহারিয়ারের হাসপাতালের ভিতরে সরকারী কোয়াটারের তার চেম্বারে রোগী নিয়ে বসিয়ে রেখে ফোন দিলে ডাক্তার এসে রোগী দেখে যায়। এমন অভিযোগ অবশ্য দীর্ঘ দিনের। এ সমস্ত অনিয়ম বন্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডাঃ অভিজিৎ রায়ের ভুমিকা কি জানতে চায় সচেতন মহল।

নাসিরনগরে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের হাতে নাজেহাল সাধারণ রোগী

প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তার তালিকায় অনিয়ম থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (কসবা-আখাউড়া) সংসদ সদস্য, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিকেলে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে হওয়া টেলিকনফারেন্সে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী ঢাকার বাসভবন থেকে টেলিকনফারেন্সে অংশ নেন।

টেলিকনফারেন্সে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেনসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জনপ্রতিনিধিরাও মন্ত্রীর নির্দেশনা মতো কাজ করবেন বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলা পৌণে চারটার দিকে মন্ত্রী টেলিফেরারেন্স এ যোগ দেন। প্রায় আধা ঘন্টার আলোচনার তিনি এলাকার মানুষের খোঁজ নেন। করোনা পরিস্থিতি ত্রান বিতরণের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। এখনো যদি কেউ ত্রান পাওয়ার বাকি থাকে তাহলে তালিকা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ১৮৯৬ জনের যে তালিকা হয়েছে সেটাতে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। সেই সব ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করে প্রয়োজনে আবার যাচাই বাছাই করে প্রকৃত গরীবদের তালিকা করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
করোনাকালীন সময় নিজের সংসদীয় এলাকায় আসতে না পারার বিষয়েও ব্যাখা দেন তিনি। ঢাকায় থেকে রাষ্ট্রীয় অনেক কাজ করতে হয় বলে নিজের ব্যস্ততার কথা জানান তিনি। এমন পরিস্থিতি এখন থেকে সপ্তাহের প্রতি শনিবার তিনি জন প্রতিনিধিসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তায় অনিয়মে আইনমন্ত্রীর ক্ষোভ, প্রয়োজনে আবার তালিকা করার নির্দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকা পড়া ২৪ জন বাংলাদেশি। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ২৪ জন বাংলাদেশি নিজ দেশে ফিরে আসেন। তাদের সবাইকে জেলার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মোরশেদুল হক।
সংশিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমনরোধে লকডাউন চলায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে ওই বাংলাদেশিরা আটকা পড়েছিলেন। পরবর্তীতে তারা আগরতলায় এসে আবারও আটকা পড়েন। আগরতলায় কর্মরত কয়েকজন বিএসএফ সদস্যসহ অন্যান্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় গত ৭ জুন থেকে যাত্রী আসাও বন্ধ রাখা হয়।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আবার যাত্রী আসতে দেয়ায় দুপুর নাগাদ ২৪ জন বাংলাদেশি নিজ দেশে ফিরে আসেন।
###

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতে আটকা পড়া ২৪ বাংলাদেশি

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ায় পুকুর পাড়ের দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাং-চুর করে, ফ্যান-লাইট চুরি করে নিতে ব্যার্থ হয়েছে। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে ।

আজ সোমবার সকাল ৮টায় মন্দিরে পূজার জন্য গেলে দেখা যায় মন্দিরের প্রতিমা ভাং-চুর অবস্তায় পরে আছে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

স্থানীয়রা জানায় মন্দিরের ফ্যান-লাইট,ইলিকট্রিক ওযার ও অনান্য জিনিস পএ খুলে কাগজের কাটুনে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি সেলিম উদ্দিন জানায়,আমি ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেছি মন্দিরের প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলে রেখেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি কোন দুরবৃত্ত কে এই বিষযে ছার দেওয়া হবে না।

###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ায় মন্দিরের প্রতিমা ভাং-চুর ,থানায় মামলা

BOTV নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার নাটাই(দ:) ইউনিয়নের পয়াগ-নরসিংসার বোর্ড অফিস বাজারে দিন দিন অনিয়মের পাল্লা ভারী হচ্ছে। প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি আর জবর-দখল। পরিষদের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বে-আইনী ভাবে সেন্ডিকেট বানিয়ে এসব অনিয়ম করছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

এলাকার খোজ নিয়ে জানা যায়, এই নব্য আওয়মীলীগনেতা পরিচয়দারী সেন্ডিকেট বাহীনি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সরকারি জায়গা দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান-ঘর করে ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিষদের রাস্তার দুই পাশে সরকারি ভূমিতে অবৈধ স্থাপনার জন্য যানবাহন সহ জন সাধারণের চলাফেরা চরমভাবে বিঘ্ন হচ্ছে।

 

এই ব্যাপারে ৮-৪-১৮ইং তারিখে সচেতন ব্যাক্তি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পয়াগ-নরসিংসার বোর্ড অফিস বাজারের দোকানদার জাবেদ মিয়া জানান, বাজারের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রতিমাসে আমার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া নেই। এমন প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান রয়েছে। যার সবগুলোর ভাড়া কমিটি নামক কথিত সেন্ডিকেটের পকেটে যায়।

###

 

পয়াগ-নরসিংসার বাজারে জবর-দখল ও চাঁদাবাজি অভিযোগের ৬ মাসেও প্রশাসন নিরব

ফেসবুকে আমরা..