স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় ওইসব গ্রামের ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সমাগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভুইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর ভূইয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া প্রমুখ।

কসবায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।

লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ একাধিক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন কাজ করছেন। তিনি বলেন জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করেনাভাইরাসের উর্ধ্বগতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে সরকার ঘোষিত সর্বাত্বক লকডাউন। লকডাউন কার্যকর করতে গতকাল শুক্রবারও সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা শহরে টহল দিচ্ছেন।

জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন মাঠে রয়েছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যগন মানুষকে দাঁড় করিয়ে শহরে ঢোকার কারন জানতে চাইছেন। প্রথমদিনের তুলনায় শুক্রবার শহরে মানুষের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।
মহাসড়কগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে শহরে সীমিত সংখ্যক রিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে। পন্যবাহি কয়েকটি ট্রাককে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। শহরের সকল শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রয়েছে।

লকডাউনের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলার দায়ে ২টি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অহেতুক মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরাফেরা ও অকারনে রাস্তায় ঘুরাফেরার জন্য ৩ জনকে ১ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম. ইয়াসির আরাফাত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনার সংক্রমণরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে কঠোর লকডাউন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। তবে জরুরী সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা রয়েছে। সড়কগুলোতে পন্যবাহি ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করছে। লকডাউনের কারনে শহরের মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।

জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বিনাকারণে কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। শহরে প্রবেশকারীদেরকে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনানুগ ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।

দুপুর ১টার দিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের নেতৃত্বে আইন-শৃংখলাবাহিনী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য বাহিনীর আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগন।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও তিন প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, ৫ শতাধিক পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৩টি টীম কাজ করছেন। যারা বিনা কারণে সরকারি আইন অমান্য করে বাড়ি থেকে বের হবেন তাদের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর ভাবে সেটি প্রয়োগ করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু কঠোর লকডাউন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা ও মোটর সাইকেল নিয়ে বের হওয়ায় ১৫ জনকে ৫৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে. এম. ইয়াসির আরাফাত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আসফার সায়মা পৃথক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম. ইয়াসির আরাফাত জানান, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে ১৫ জনকে ১৫টি মামলায় ৫৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য উপজেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল দেয়া হচ্ছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

বিজয়নগরে মাস্ক পরিধান না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরিপ-২- মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ২৫০ জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল-আলম প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুন্নাহার প্রমুখ।

কসবায় ২৫০জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কসবা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় মাফে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এই অর্থ বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা সমবায় কমকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, পৌর কাউন্সিলর হেলাল সরকার, মহিলা কাউন্সিলার লুৎফুর নাহার রিনা, দিল শাহানা আক্তার মিনা, মাহমুদা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে অনেক পরিবারের উপার্জন করার মানুষটি কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোন পরিবারের খাদ্য সমস্যার কথা শুনলেই সেখানে খাবার পৌছে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বুধবার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ৩শত অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে ৫শত টাকা করে ১লাখ ৫০হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে।

কসবায় কর্মহীন ও অসহায়দের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর বিল থেকে হোসাইন মিয়া (৭) ও মোরসালিন (৬) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ডালপা গ্রামের কোইলার বিল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত হোসাইন মিয়া ডালপা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও মোরসালিন একই গ্রামের তৌহিদ মিয়ার ছেলে।
শিশুদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত সোমবার সকালে হোসাইন ও মোরসালিন গ্রামের অন্যান্য শিশুদের সাথে বাড়ির কাছে বিলের পাশে খেলতে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফিরেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে কোইলfর বিলে ওই দুই শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বিল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার চলতি দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজয়নগরে বিল থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা ভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও পথচারী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কসবা পৌর এলাকার নতুন ও পুরাতন বাজারে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য জনগনকে পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দেশ ও সমাজকে রক্ষা করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।

কসবায় পথচারীদের মধ্যে এসিল্যান্ডের মাস্ক বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পাঁচ শতাধিক পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহড়ার মাধ্যমে শহরের দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য কাজ শুরু করেন। পরে পর্যায়ক্রমে শহরের বাণিজ্যিক বিতান, শপিংমলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং ঔষধের ফার্মেসী ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে চলাফেরা করতে দেয়া হচ্ছেনা।

শহরে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রন করার জন্যে প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়ক গুলোতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকসা, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, ট্রাকসহ পন্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিক নিয়মে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, আগামী বুধবার পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সীমিত পরিসরে লকডাউনে আমরা কাউকে অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে দেব না। পুলিশের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মুহাম্মদ শাহীন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার ১১৬টি পয়েন্টে ৫ শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো মূল্যে সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়ন করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে পুরো জেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২টি মোবাইল কোর্ট বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ৬জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৭ হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬২ জন মারা গেছেন।

বর্তমানে জেলায় সেভ আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩শ ৬৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ২০ জন। তাদের সকলেই হালকা এবং মাঝারি আকারের সর্দি-জ্বর, সাধারন উপসর্গে আক্রান্ত। তিনি জেলার সকল নাগরিকদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহবান জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে ৫ শতাধিক পুলিশ

ফেসবুকে আমরা..