স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়৷

এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন্নিসা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. মোতকাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা এবং দূরদর্শি নির্দেশক। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনিই বিভিন্ন আন্দোলনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাই এই মহিয়সী নারীকে বাঙ্গালি জাতি সর্বদা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা সিবগাতুল্লাহ নূর।

পরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬২ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী পালিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার রোগীদেরকে অক্সিজেন সেবা দিকে মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” এর পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনের কাছে আরো ৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহর কাছে এই সিলিন্ডারগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ও পাশে আছি আমরা সংগঠনের সমন্বয়কারী এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব, জেলা কারাগার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইনজামামুল হক সিয়াম ও জেল সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন।

এ ব্যাপারে সংগঠনের সমন্বয়ক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব বলেন, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” সংগঠনটি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট থাকায় গত ২ আগষ্ট আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে হাসপাতালের রোগীদের জন্য ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। রোববার সিভিল সার্জনের কাছে আরো ৪টি সিলিন্ডার হস্তান্তর করেছি।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গত জুলাই মাস থেকে করোনা মহামারী সংক্রমণ অনেকাংশে বেড়েছে। এতে করে আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্তমানবতার সেবায় “পাশে আছি আমরা” সংগঠন যেভাবে এগিয়ে এসেছে। এভাবে যদি সবাই এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা করোনা মোকাবিলা সহজেই করতে পারব।

“পাশে আছি আমরা” পক্ষ থেকে আরো ৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার জন্য ২৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ। রোববার সকাল ১০টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কনসেন্ট্রেটরগুলো হস্তান্তর করা হয়।
এরপর দুপুরে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়ে অক্সিজেন সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ ওয়াহীদুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হিমেল খান, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ ও ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা.  সৈয়দ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, প্রতিটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়ে একসাথে দুইজন মিনিটে ১০ লিটার করে অক্সিজেন নিতে পারবে। এগুলো নিজ থেকেই অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারে। সেজন্য রিফিলের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে বড় সিলিন্ডার ৭৬টি এবং ছোট সিলিন্ডার আছে ১৬৮টি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের জন্য ২৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিল ইউনিসেফ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণটিকা কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। জেলার ৩০৬টি বুথে শনিবার সকাল ৯টা থেকে গণটিকা দেয়া শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। তবে বেশীর ভাগ বুথে দুপুর ১২টার মধেই শেষ হয়ে যায় টিকাদান।

এদিকে জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক মহিলাকে দুইবার টিকা দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গণটিকাদান কর্মসূচী চলার সময় বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া প্রমুখ। প্রতিটি কেন্দ্রে নিবন্ধনকৃত ২০০জনকে টিকা দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১১০টি কেন্দ্রের ৩০৬টি বুথে শনিবার সকাল ৯টায় একযোগে টিকা দেয়ার কাজ শুরু হয়। প্রতিটি বুথে টিকা দেয়ার জন্য দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী, তিনজন স্বেচ্ছাসেবক ও ১জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও প্রতিটি বুথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিলো।

সরজমিনে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ, ২ নং ওয়ার্ডের মেড্ডা (পশ্চিম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ডের সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০ নং ওয়ার্ডের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভীড়। আলাদা লাইনে দাড়িয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নারী-পুরষসহ ২৫ বছরের বেশি বয়সি লোকেরা টিকা নিচ্ছেন।

৪নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা পূর্ব পাইকপাড়ার বাসিন্দা বেবি রাণী সাহা বলেন, সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে এটা ভাবা যায়না। তিনি টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

একই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা লক্ষণ সাহা নামক এক ব্যক্তি বলেন, দেরিতে হলেও নিজের এলাকায় টিকা দিতে পেরেছি, এটাই বড় কথা। তিনি বলেন, এভাবে যদি সারা দেশে টিকা গণটিকা কার্যক্রম চালানো হয় তাহলে হয়তো আমরা সহসাই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারবো।

টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, প্রথম দিনেই টিকার দেয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই টিকা দিতে এসেছেন তবে যাদের নিবন্ধন আছে শুধু তাদেরকেই টিকা দেয়া হয়েছে।

এদিকে পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় টিকা দেয়ার জন্য মানুষের ভীড়। ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, কেন্দ্রে আসা সবাই টিকা দিতে পারেনি। দুইশত টিকা সাড়ে ১১টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মুসলিম খাঁর স্ত্রী রোজিনা বেগম দুইবার টিকা গ্রহণ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই মহিলার স্বামীর সাথে তার কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই মহিলা সকালে একবার টিকা দিয়ে সাথে থাকা কার্ডটি টিকাদান কেন্দ্রের টেবিলে রেখে বাড়ি চলে যান। পরে প্রায় ১ ঘন্টার ব্যবধানে ওই মহিলা আবার কেন্দ্রে এসে তথ্য গোপন করে আবার টিকা নেন। দুইবার টিকা নেয়ায় ওই মহিলার কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, আশাকরি কোন ধরণের অসুবিধা হবেনা। তিনি বলেন, ওই মহিলা তথ্য গোপন করে নিজেই দুইবার টিকা নিয়েছেন। এতে অন্য কারো দোষ নেই।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরামউল্লাহ বলেন, সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে জেলার ৩০৬টি বুথে গনটিকা দেয়া হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের ঝামেলা হয়নি। সরাইলের এক মহিলার দুইবার টিকা নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। সিভিল সার্জন ডাঃ একমরাম উল্লাহ আরো বলেন, এভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৬১ হাজার ২শ লোককে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী টিকা আগামী ১৪ আগষ্ট দেয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, টিকা নিয়ে দুঃচিন্তার কোন কারণ নেই। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস মহামারিকালে চিকিৎসা সংকটের কথা চিন্তা করে রোগীদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার লক্ষ্যে চালু হয়েছে “টেলি মেডিসিন সেবা”। ফোন করলেই রোগীরা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের সেবা পাবেন।
মানবিক সেবামূলক সংগঠন “বাতিঘর” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ১০ সদস্যের একটি চিকিৎসক টিম নিয়ে শনিবার সকাল থেকে এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়।

“বাতিঘর” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রোগীরা তাদের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টাই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে রোগীদের সুবিধার্থে ১০টি হটলাইন নাম্বার ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে। ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টে ভোগা ও মুমুর্ষ রোগীদেরকেও সেবা দেয়া হবে।

এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামাদের মরদেহ কবর ও শেষকৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থাও আছে তাদের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সদ্য অবসরে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ. শওকত হোসেন চিকিৎসক টিমের সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন। টেলিমেডিসিন চিকিৎসক টিমে আরো রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ খোকন চন্দ্র দেবনাথ, ডাঃ সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডাঃ শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ, ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপি, ডাঃ ইনজামামুল হক সিয়াম, ডাঃ আকিব জাবেদ রাফি, ডাঃ শাখাওয়াত তানভীর তানিম ও ডাঃ তানভীর চৌধুরী।

এ ব্যাপারে বাতিঘরের চিকিৎসক টিমের সমন্বয়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন বলেন, করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে আমরা এই সেবার ব্যবস্থা করেছি। করোনাকালে ঘরে বসেই সাধারণ মানুষ বিনামুল্যে আমাদের সেবা পাবেন। এই উদ্যোগের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দারা ফোন করে ঘরে বসে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হয়েছে বিনামূল্যে টেলি মেডিসিন সেবা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে আবদুর রহমান (৩৮) নামের এক ডিলারকে ৬ মাসের কারাদন্ড, পাশাপাশি ৭ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবদুর রহমান শহরের উত্তর পৈরতলার কাঞ্চন মোল্লার ছেলে মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি টিসিবির ডিলার।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে টিসিবির ডিলার মাইশা এন্টার প্রাইজের পণ্য বিক্রয়ের সময় ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ বরাদ্দ ডিলারদের দেয়া হয় এর মধ্যে ৭০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি ডাল, ৫০০লিটার তেল ট্রাক সেলের মাধ্যমে বিক্রয় করার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে পণ্য বিক্রয়ের ট্রাকে আমরা খোঁজে ৪৫৯ কেজি চিনি, ১০৯ কেজি ডাল ও ১১২লিটার তেল ঘাটতি পেয়েছি। কম পণ্য কেন বিক্রয় করা হচ্ছে, তা আমরা ডিলারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন বেআইনীভাবে পণ্যগুলো অন্য জায়গায় সংরক্ষণ করেছেন।

তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৫ধারা মতে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় না করায় ডিলার আবদুর রহমানকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৭হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।পাশাপাশি তার ডিলারশীপ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হবে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে পরে ডিলারের নিজস্ব গুদামে লুকিয়ে রাখা বাকী পণ্যগুলোও টিসিবির ট্রাকে এনে বিক্রয় করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির ডিলারকে ৬ মাসের জেল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন পেয়ে অসহায় ৮৩টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌছে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।
সোমবার বিকেলে তিনি পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আটা, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, দুটি সাবান, দুটি মাস্ক ও ১ কেজি লবণ দেয়া হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজন খাদ্য সহায়তার জন্য “৩৩৩” নম্বরে মোবাইল ফোনে আবেদন করলে আমরা তাদের বাড়ি খাবার পৌছে দিচ্ছি।

সোমবার বিকেলে ১০৭টি আবেদন যাছাই-বাচাই করে ৮৩ জনের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।

৩৩৩ ফোন পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮৩ পরিবারে খাদ্য খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।

ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ৬ জনের মৃত্যু

ফেসবুকে আমরা..