সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পৌর এলাকার ভাদুঘর ডিএস কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট হাজী সামসুল হক ভূইয়া ওরফে কনু ভূইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—-রাজিউন)।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় কাজীপাড়ার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ৪ ছেলে ৩ মেয়ে নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

বুধবার বাদ জোহর কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর পৌর এলাকার ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

জেলা ঈদগাহ মাঠের নামাজে জানাযায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সর্ংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি প্রমুখ। শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
###

শোক সংবাদ হাজী সামছুল হক ভূইয়া

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে পৌর কাউন্সিলের আত্মীয়দের দু’দফা হামলায় একটি জেলে পরিবারের নারী ও শিশু সহ ৮জন আহত হয়েছে।
বুধবার পৌর এলাকার ভাদুঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা জেলে পরিবারের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

হামলায় আহতরা হলেন, কার্তিক বর্মণ-(৬৫), কৃষ্ণ বর্মণ-(৪৫), সাবিত্রী বর্মণ-(৪০), সেতু বর্মণ-(৪০), নুপুর বর্মণ-(১২), জবা বর্মণ- (১০), ইতি বর্মণ-(৬) ও পূজা বর্মণ-(৫)। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে সন্ধ্যা নাগাদ এ ঘটনায় থানায় মামলা হয় নি।

বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হাজির হয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার ভাদুঘর এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারের নিকটাত্মীয় নুরুল হুদার সাথে বাড়ির সীমানায় খুঁটি কোপা নিয়ে বুধবার সকাল সাতটার দিকে কার্তিক বর্মণের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নূরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা কার্তিক বর্মণকে মারধর করে। এ সময় তার ছেলে কৃষ্ণ বর্মণ এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পুনরায় বিকেলে নুরুল হুদার লোকজন কার্তিক ও তার পরিবারের লোকদেরকে মারধোর করে ও ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রফিকুল ইসলাম নেহার বলেন, ‘ঘটনাটি তেমন কিছু নয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করে মীমাংসা করে দিবো। হামলার শিকার পক্ষটি তাঁর কাছে আসেন নি বলে জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন সন্ধ্যায় জানান, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায় নি। আমার জানা্ নেই। তবে এ ধরণের অভিযোগ এলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে পরিবারের উপর দু’দফা হামলায় আহত-৮

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে শহরের প্রাণকেন্দ্র কোর্ট রোডের গোলাপ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন পুকুর ভরাট করে নির্মিত মার্কেটটি (অস্থায়ী সুপার মার্কেট) অবশেষে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়। প্রায় আড়াইঘন্টাব্যাপী চলা এই উচ্ছেদ অভিযানের কারণে কোর্ট রোড দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে বাঁধা দেয়া সত্বেও গত এক মাস ধরে রাতের আঁধারে কোর্ট রোডের গোলাপ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন পুকুরটি ধাপে ধাপে ট্রাকে করে বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে শহরের একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা।

পরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অস্থায়ী সুপার মার্কেটটি উচ্ছেদ করেন। এ সময় সদর মডেল থানার পুলিশ ছাড়া র‌্যাব-১৪ এর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে শতশত উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় জমান।

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, পুকুর ভরাট করে স্থাপনা তৈরির মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। অবৈধ এই স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি পুকুরে ফেলা বালু অপসারণের ও ব্যবস্থা করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে পুকুরের মালিকরা পুকুর থাকাবস্থাতেই এর শ্রেণী পরিবর্তন করে কাগজপত্রে এটিকে ভিটি বানিয়ে ফেলে। বিএস রেকর্ডে পুকুরটির মালিক পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলা গ্রামের মরহুম বজলুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান আনিস, ফারুক আহমেদ ও গোলাপ মিয়াসহ তাদের চার ভাইয়ের নামে।
###

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর ভরাট করে নির্মিত মার্কেট উচ্ছেদ

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় উলামা সমন্বয় পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার বাদ জুমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুরাতন কাচারী মসজিদে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জাতীয় পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ শাহআলম (আলম),

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মিলাদ মাহফিল শেষে ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করেন জেলা উলামা সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবদুল্লাহ। পরে মুসল্লীদের মধ্যে তাবারক বিতরণ করা হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
###

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উলামা সমন্বয় পরিষদের মিলাদ মাহফিল

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার বাসিন্দা ও পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবনের পিতা, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও দক্ষিণ পৈরতলা শেখ জালাল (রঃ) মাজার শরীফের খাদেম মোঃ শাহজাহান মিয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—রাজিউন)। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় নিজবাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

রবিবার বাদ জোহর দক্ষিণ পৈরতলা ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। নামাজে জানাযায় সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ এমরানুর রেজা, পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা, পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

শোক সংবাদ শাহজাহান মিয়া

সুমন আহম্মেদঃ
দিন যত যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তত বাড়ছে । ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী র্ভতি হয়েছে, চিকিৎসাধীন আছে র্সবমোট- ৫১ জন ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত দুই শতাধিকের উপরে। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- ৩৪ জন রোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়েছে তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে আরো ২০ জনের মত ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে ।

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আরোও ২৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী র্ভতি হয়েছে । আজ ১০ই আগস্ট খোঁজ নিয়ে জানা যায়- এখনো হাসপাতালের মেডিসিন ওর্য়াডে ৩৭ জন, পেয়িং ওর্য়াডে ৬ জন, কেবিন ওর্য়াডে ৫ জন ও শিশু ওর্য়াডে ৩ জন র্ভতি আছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ডেঙ্গু র্কনার রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। প্রতিদিন জেনারেল হাসপাতালে র্অধশতাধিক রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, জেনারেল হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডেঙ্গু র্কনার গঠন করা হয়েছে । হাসপাতালে র্ভতি সবাই শংকা মুক্ত তবে ঈদুল আজহার কারনে ঢাকার সবাই জেলামুখি হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছে এবং আতঙ্কিত না হয়ে জেনারেল হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে বলেন ।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু আতংক বিরাজ করছে- ২ শতাধিকের উপর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া-(৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল মিয়া ওই গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে।

নিহতের বড় ভাই মুছা মিয়া জানান, বাবুল মিয়া চট্টগ্রামে চাকুরী করেন। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তিনি বাড়িতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাবুল মিয়া বাড়ির একটি গাছের ঢাল কাটতে গাছে উঠলে হঠাৎ গাছ থেকে নিচে পড়ে আহত হন। আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই বাবুল মিয়া মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যরা তার লাশ নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শোক র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে একটি শোক র‌্যালি স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোঃ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

পরে পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে বাদ জোহর জেলা জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
###

বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি বড় পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে র‌্যাব। ওই মেশিনের মাধ্যমে কোরবানীর পশু ক্রেতা-বিক্রেতারা বিনামূল্যে জাল নোট শনাক্ত করতে পারবে। এ মেশিনকে কেন্দ্র করে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

র‌্যাব-১৪-এর কিশোরগঞ্জের ভৈরব ক্যাম্প সূত্র জানায়, শুক্রবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর, সুহিলপুর, নবীনগরের শিবপুর ও সরাইলের দুইটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দেয়া হয়েছে। হাটের পাশেই জাল নোট শনাক্ত করার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় একই ধরণের মেশিন দিয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জাল নোট শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, কোনো চক্র যাতে বাজারে কোনোভাবেই জাল নোট ছড়াতে না পারে সে জন্য কড়া নজরদারি রয়েছে। প্রতিটি পশুরহাটে র‌্যাবের নজরদারি রয়েছে। ঈদের পূর্বরাত পর্যন্ত পশু ক্রেতা বিক্রেতাদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন দিয়েছে র‌্যাব

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে শহরতলীর বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানী লিমিটেড (বিজিএফসিএল) এর প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজিএফসিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম তপু।

বিজিএফসিলের মহাব্যবস্থাপক (কম্প্রেসার ও জেনারেটর) আমির ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, বিজিএফসিলের অফিসার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আলী মোক্তেজার, জিএম (এডমিনিস্ট্রেশন) এটিএম শাহ আলম, বিজিএফসিলের এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন সভাপতি তৌফিক বেলাল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাৎ বরণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট এদেশের বিদেশী মালিকানাধীন শেল ওয়েল কোম্পানির ৫টি গ্যাস ফিল্ড নামমাত্র ১৭.৮৬ কোটি টাকায় ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন। জাতির পিতার এই যুগান্তকারী দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে আজ অবধি আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশে ও জ্বালানী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্যাস ক্ষেত্র গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। জ্বালানি খাতে জাতির পিতার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রথম বারের মতো ২০১০ সালের ৯ আগস্টকে “জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস পালিত

ফেসবুকে আমরা..