সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিতাস নদীতে গতকাল রবিবার ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছাসে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি শ্মশান ঘাট থেকে মেড্ডা কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত এলাকায় তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয় এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, সরাইল, নাসিরনগর, বিজয়নগর এবং কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা থেকে মোট ১৩টি দল প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং বে-রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাত ছলাত আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি শ্বশ্মান ঘাট এলাকায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় মেড্ডা কালাগাজির মাজার এলাকায় পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও,

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুর রহমান ( নাসিমা মুকাই আলী), জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।-নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে সরাইল উপজেলার ওসমান উল্লাহর নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখির নৌকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে নবীনগর উপজেলার মোর্শেদুল ইসলাম লিটনের নৌকা। পরে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ১৩ সেফটিক ফ্রিজ ও নগদ ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৪০ ইঞ্চি সনি এলইডি টিভি এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ২০ ইঞ্চি এলইডি টিভি উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

এছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি করে ওভেন প্রদান করা হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ এলাকা থেকে হাজার-হাজার মানুষ তিতাসের দু’পাড়ে, বিভিন্ন ভবনের ছাদের উপর ভীড় জমায়। অনেকেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইলকান্দি শ্বশ্মান ঘাট এলাকা থেকে মেড্ডা কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত এলাকায় ১৪০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও নৌ-পুলিশের কয়েকটি টীম নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও ছিল ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। নিরাপত্তার জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশি বাঁধার মুখে নির্ধারিত স্থানে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে পারেনি জেলা বিএনপি।

বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকালে শহরের স্বপ্নীল কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। কিন্তু ভোরে ওই কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।

এছাড়া ও রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে সেখানেও পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাঁধা দেয়।

পরে পৌর এলাকার মৌড়াইলে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির বাসভবনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাঁটা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এমপি।

জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সহ- সভাপতি জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, হেজবুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, এবিএম মোমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।

এ সময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
###

পুলিশী বাঁধার মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্ধারিত স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা করতে পারেনি বিএনপি

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক সংগঠন “মানুষ রতন” সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলায় সাদেকপুর ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া। এতে সংগঠনের সভাপতি নাজাত মোঃ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ৯ নং নাটাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক,

বড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হক, সাদেকপুর এন্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক এবিএম শফিকুল ইসমলাম । এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সাবেরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামমুরাদ, সহ-সভাপতি রোস্তম ইউনুছ উপ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক ,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, মামুন,ইমরান,আশিক, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন , জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে বনায়নের কোন বিকল্প নেই ।

ইভটিজিং,জঙ্গিবাদ,মাদকমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের উজ্জল ভব্িযষৎ গড়তে পড়াশোনার পাশাপশি সমাজসেবামূলক কাজ করার আহবান জানানো হয় । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক তৌহিদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রাসেল চৌধুরী। পরে অতিথিবৃন্দ সাদেকপুর স্কুল এন্ড কলেজর ১৫শ শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের বাসিন্দা, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক ভুইয়া ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধান অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না–রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে, ২ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

বুধবার বাদ জোহর কসবা উপজেলার কুটিতে তাঁর প্রথম নামাজে জানাযা এবং বাদ আছর শিমরাইল গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ শিমরাইল পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
###

শোক সংবাদ মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ভুইয়া

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন জসিম হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মেয়ে জিদনী আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে জিদনী বলেন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ও আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী মোশারফ হোসেন র্মোশেদের নেতৃত্বে তাদরে গুন্ডাবাহিনী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গত ৫ জুলাই শওকত হোসেন জসিমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের দুই মাস পেরিয়ে গেলে ও মূল আসামি জাকির ও র্মোশেদকে ধরতে পারেনি পুিলশ।

তিনি আরও বলেন, খুিনরা আমাদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মামলার বাদী আমার চাচা আলাউদ্দিন, আমার দাদা শফিকুল ইসলাম এবং আমার আত্মীয় জাফরুল হোসেনরে বিরুদ্ধে মিথ্যা মানবপাচার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ সময় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন জিদনী আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত শওকত হোসেন জসিমের মা নাজমা বেগম, স্ত্রী শিউলি আক্তার, ছেলে বায়জিদ ও মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
###

বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন মেয়ে

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বুলডোজার দিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আল্লাহর উপর বিচার ছেড়ে দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হারুণ-আল-রশিদ।

সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করছি না। আমি আল্লাহ ও আইনের উপর বিচার ছেড়ে দিলাম।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ক্লিনিকের জায়গাটি ১৯৫৬ সালের ৩১ মার্চ তাঁর মা ক্রয়সূত্রে মালিক হন। ওই বাড়ির ভেতর দিয়ে হাসপাতালের ময়লা যাওয়ার ড্রেনটি পাকা করে দেয়ার শর্তে ১৯৬৯ সালের ৮ অক্টোবর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় পৌরসভা। ১৯৮৮ সালে মায়ের কাছ থেকে দান সূত্রে তিনি মালিক হন। এখানে জেলা পরিষদের কোনো জায়গা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য শেষে হারুণ অর রশিদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শহরের চিহ্নিত ও প্রভাবশালী ভুমিদস্যু। ভাঙচুর ও লুটপাটে যে ক্ষতি হয়েছে আমি এর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’ ঘটনার পর বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশ করায় তিনি সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য গত ১৩ আগস্ট গভীর রাতে বুলডোজার দিয়ে সদর হাসপাতালের সামনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হারুণ আল রশিদের মালিকানাধীন ভবনের ভাড়াটিয়া প্রতিষ্ঠান মডার্ণ এক্সরে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়া হয়। লুটপাট চালানো হয় ওই ক্লিনিকে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু চিকিৎসক মো. জাকারিয়া গত ৩ জুলাই পৌরসভার কাছে আবেদন করার পরই এ ঘটনা ঘটে। হারুণ-আল-রশিদের জায়গার পিছনেই ডাঃ জাকারিয়ার তত্ববধানে ডাঃ জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল নির্মান হওয়ার কথা রয়েছে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমানা প্রাচীরে বুলডোজার আল্লাহর উপর বিচার ছেড়ে দিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী

সুমন আহম্মেদঃ
গুরুতর অসুস্থ বাংলানিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মেহেদী নূর পরশ’র সুস্থ্যতার জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুিষ্ঠত হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির সম্পাদক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মধ্যপাড়া শান্তিবাগ ‘মসজিদে আমীর’র খতিব মাওলানা এরশাদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিতে দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির প্রকাশক রোকন আমিন খান মিশু, দ্য ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়, এটিএন নিউজের চিত্র সাংবাদিক সুমন রায়, আবরণি আবৃত্তি র্চচা কেন্দ্রের প্রশিক্ষক শারমিন সুলতানা, দৈনিক আমার সময়’র প্রতিনিধি সুমন আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির হেলাল আহমেদ, জুবায়ের আহমেদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিল্পব হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জ্বর ও ফুসফুসে সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে র্বতমানে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিবিড় পরির্চযা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাংবাদিক মেহেদী নূর পরশ। এর আগে ১৬ আগস্ট তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২০ আগস্ট তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে র্ভতি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে ঢাকায় এনে প্রথমে একটি ক্লিনিকে এবং পরে কাকরাইলস্থ ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে র্ভতি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার ডেঙ্গু জ¡েরর আলামত পরিলক্ষিত হয়েছে, তাছাড়া তার ফুসফুসে পানি জমেছে, কিডনী ও প্রস্রাবে ইনফেকশানসহ তার শ্বাসকষ্টও রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পরশের আরোগ্য কামনা করে শুক্রবার বাদ জুমা জেলা জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে দোয়ার আয়োজন করেছেন তার সহর্কমীরা।
###

বাংলানিউজের মেহেদীর শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য বিশেষ মোনাজাত

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক তিনটি ধর্ষনের ঘটনায় তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া, সদর উপজেলার ঘাটুরা এবং আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামে পৃথক তিনটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গনধর্ষণ, কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং দুধ বিক্রি করতে গিয়ে ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়। পৃথক তিনটি ঘটনায় পুলিশ তিনজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেন্সিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের এইচ. এস. সি প্রথম বর্ষের ছাত্রী গত ২০ আগস্ট বিকালে তার প্রেমিকের সাথে পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে ঘুরাফেরা করে বাড়িতে ফেরার পথে পৈরতলা এলাকার মোখলেছ মিয়া-(৩৫) নামে এক যুবক তার সহযোগীদের নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া গ্রামের একটি প্রজেক্ট এলাকায় নিয়ে মোখলেছ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

অপর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় একই গ্রামের ঠিকাদার কাজী পাভেলের বাড়িতে দুধ বিক্রি করতে গেলে কাজী পাভেল তাকে ধর্ষণ করে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ ধর্ষক কাজী পাভেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদি হয়ে কাজী পাভেলের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কাজী পাভেল ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির মরহুম আনু মিয়ার ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ কাজী পাভেলকে আদালতে সোপর্দ করে।

অপরদিকে আশুগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশার গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে ইমন বুধবার রাতে তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার বগৈর এলাকার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধুরাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকালে তারা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে রিকশায় তুলে দেয়। পরে তাকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ আলম জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানান, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তর পৈরতলা গ্রামের মুখলেছকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান জানান, ঘাটুরা গ্রামে শিশু ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত কাজী পাভেলকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সদর হাসপাতালে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ধর্ষনের ঘটনায় তিন ধর্ষক গ্রেপ্তার ॥ থানায় মামলা দায়ের


সুমন আহম্মেদঃ
বাংলা নিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি তরুণ সাংবাদিক মেহেদী নূর পরশ ফুসফুসে সংক্রমন ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে সে কাকরাইলস্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)তে রয়েছে। পরশ শহরের পীরবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী নূর মিয়ার ছেলে।

তাঁর দ্রুত সুস্থতা কমানায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছে তার পরিবার ও স্বজনরা। এদিকে তার আরোগ্য কামনা করে আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা জেলা জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তার সকল শুভাকাঙ্খীকে উপস্থিত থেকে তার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়ার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও পরশের রোগমুক্তি চেয়ে শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
###

সাংবাদিক পরশের রোগমুক্তি চেয়ে দোয়া কামনা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শুক্রবার সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের প্রধান মন্দির আনন্দময়ী কালীবাড়ী থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আনন্দময়ী কালীবাড়ীতে এসে শেষ হয়।

র‌্যালিতে রঙ-বে-রঙের পোষাক পড়ে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

র‌্যালিতে অংশ গ্রহণকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া কালভৈরব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত নারায়ন চক্রবর্তী ও ইস্কন ভক্তিবৃক্ষ নাম হট্টের সভাপতি প্রবীর দাস জানান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দাপর যুগে ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন সহ সকলের মঙ্গল কামনা করার জন্যেই এই ধরাধামে অবতার রূপে অবতীর্ন হয়ে ছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সোমেষ রঞ্জন রায় বলেন, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করেছি। তিনি শান্তিপূর্ন পরিবেশে র‌্যালিসহ উৎসব পালন করতে পারায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত

ফেসবুকে আমরা..