স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া অটোরিকশা চালক তোবারক হোসেন (৪০) এর পাশে দাড়িয়েছে ‘মানবিক সরাইল’ নামের সংগঠনটি। তোবারক হোসেন সরাইল সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্দা। পঙ্গু হয়ে যাওয়ার পর তিনি বেকার হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে তিনি শেষ সম্বলও খুঁইয়েছেন। এখন একেবারেই নিঃস্ব।
তোবারকের এই দুঃ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘মানবিক সরাইল’ নামের সংগঠনটি। কঠিন এই দুঃসময়ে তারা প্রতিবন্ধী তোবারকে দিয়েছেন একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক।
বুধবার বিকেলে সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে তাঁর হাতে অটোরিকশাটি তুলে দেন ‘মানবিক সরাইল’ নামের সংগঠনের আজীবন দাতাসদস্য কানিজ ফাতেমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসের সাবেক কমান্ডার মোঃ ইসমত আলী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক শফিকুর রহমান ও নারায়ণ চক্রবর্তী প্রমূখ।

সরাইলে প্রতিবন্ধী তোবারককে মানবিক সরাইলের ইজিবাইক প্রদান

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল (২৮ এপ্রিল) রাত এগারোটায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তারা তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ আতাউর রহমান (৩৪), পিতা-মৃত সিরাজ মিয়া, মোঃ আল আমিন (৩৩), পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, উভয় সাং-চৌয়া, থানা-মাধবদী,  মোঃ নাইম মিয়া (২৬), পিতা-সিরাজ মিয়া, সাং-দক্ষিন উত্তর চন্দন, থানা-পলাশ,সর্বজেলা- নরসিংদী। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২৩৬টি বোতল ফেন্সিডিল, ০১ টি পিকআপ ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ৯৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক  ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট করার দায়ে ৩ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়া রামঠাকুর মন্দির এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুকুর ভরাটের অভিযোগে পুকুরের তিনজন অংশীদরকে (মালিক) গ্রেপ্তার করেন।
দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পৌর এলাকার কাজীপাড়ার মোঃ বশির চৌধুরীর ছেলে মোঃ শিহাব চৌধুরী (৩৯) কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং পূর্ব পাইকপাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম-(৫৬) ও একই এলাকার ননী গোপাল পালের ছেলে শেখর পালকে-(৫৫) কে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।


এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব পাইকপাড়ার রামঠাকুর মন্দিরের পুকুরটি কয়েকজন ব্যক্তি মাটি দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদশর্নে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট করার দায়ে পরিবেশ আইন ১৯৯৫ শংশোধন আইনের ১০ এর ৬(ঙ)ধারায় একজনকে ৬ মাস ও ২ জনকে তিনমাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনাকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হুমায়ূন রশিদসহ সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর ভরাটের দায়ে তিন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের ঘটনার ১ মাসের মাথায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করার পর এবার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলাউদ্দিন চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেট রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) বদলি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, এটি পুলিশের নিয়মিত বদলির অংশ। তবে বুধবারের মধ্যেই তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। এর আগে গত সোমবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলী করা হয়।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।
এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
এদিকে এসব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ৩০থেকে ৩৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসবির শীর্ষ কর্মকর্তাকে সিলেটে বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের ১২টি পয়েন্টে একযোগে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্ত্বর, কাউতলী মোড়, কুমারশীল মোড়সহ শহরের ১২টি পয়েন্টে এসব মাস্ক বিতরণ করা হয়। মাস্ক বিতরনের সময় সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করা হয়।


মাস্ক বিতরণকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে তৃতীয়বাবের মত দেশে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনামতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনগনের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ১২ টি পয়েন্টে মাস্ক বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভেজাল জুস ও লাচ্ছি তৈরীর দায়ে একটি কারখানাকে সিলগালা এবং কারখানা মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে “জি বি হলিষ্টিক ফুডস্্ এন্ড এন্ড বেভারেজ” নামক কোম্পানীর মালিক জাকির হোসেন মোবারক-(৫৫) কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।


অর্থ জরিমানা দেয়া জাকির হোসেন মোবারক সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, উপজেলার বিজেশ্বর গ্রামে “জি বি হলিষ্টিক ফুডস্ এন্ড বেভারেজ” নামে একটি কারখানায় অবৈধভাবে চার ধরনের ভেজাল জুস ও লাচ্ছি তৈরী করে আসছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানাকে সিলগালা ও কারখানার মালিক জাকির হোসেন মোবারককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। তিনি বলেন, অবৈধ এই কারখানাটিতে জুস ও লাচ্ছি তৈরির ক্ষেত্রে তাদের বিএসটিআইয়ের কোন ধরনের অনুমতি ও কোম্পানিতে কোন ক্যামিষ্ট নেই। কোনো ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কারখানায় ভেজাল জুস ও লাচ্ছি তৈরী করছে। এ ছাড়া তারা যে সব মেটারিয়াল ব্যবহার করছে তা মানবদেহের জন্যে ক্ষতিকারক। তাই কারখানার মালিক জাকির হোসেন মোবারকে ২ লাখ টাকা অর্থদন্ড জরিমানা ও কারখানাকে সিলগালা করা হয়।
অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শরীফ নেওয়াজ, ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসানসহ সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক কারখানাকে সিলগালা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মোঃ বাছির মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া-(২৫) একই এলাকার মোঃ কাউছার মিয়ার ছেলে মোঃ বাছির মিয়া এবং সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জামিল হোসেন (১৬)।


বুধবার র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে তিন যুবক গ্রেপ্তার

গত ২৬ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চলাকালে আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যালয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোঃ ফারুকমিয়া (২৪) ও মোঃ ইয়াছিন মিয়া (২০)।

জানা যায়, গত ২৬মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের দিন হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। এসময় অনুমান ৪০০/৫০০ জনের একটি  দুষ্কৃতিকারীর দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুুনিয়াউটস্থ আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট এর কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সংক্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা নং-৪৫, তারিখ-২৮/০৩/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/১৮৬/৩৪১/৩৩২/৩৫৩/৪২৭/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড রুজু করাহয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১টি কম্পিউটার মনিটর, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি টিভি উদ্ধার করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআই।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশ মোতাবেক মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়া হয়।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার সঠিক তদন্তকরে নিশ্চিত হয়ে উক্ত ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পলাতক আসামী মোঃফারুকমিয়া (২৪) কে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামীর দেয়া তথ্য মতে তার সহযোগী আসামী মোঃইয়াছিন মিয়া (২০) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

গ্রেফতারকৃত আসামী ইয়াছিন মিয়ার দেয়া তথ্য মতে তার হেফাজতে থাকা লুণ্ঠিত ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। উভয় আসামীর দেয়া তথ্য মতে উক্ত ঘটনার সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পলাতক অন্য এক আসামীর ঘর তল্লাশী করে ১টি ৪০ইঞ্চি এলইডি টিভি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃফারুক মিয়া এবং মোঃ ইয়াছিন মিয়া গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা স্বীকার করেছেন ঘটনার দিন তারা এই নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার ও আরো লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

প্রেস রিলিজ

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটক করেছে পিবিআই

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৮ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৬ শে মার্চ হেফাজতের কর্মসূচিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানারে অগ্নি সংযোগকারী মোঃ মাহমুদুল হাসান @ শান্ত এবং ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ঘাটুরা হতে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড জ্বালাও পোড়াও করে তান্ডব ও পুলিশ লাইনে আক্রমনে জড়িত ঘাটুরা হরিনাদী জামে মসজিদ এর ইমাম হাফেজ আব্দুর রাকিব’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৮ জন গ্রেফতার

ফেসবুকে আমরা..