botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে একটি মার্কেটের ১০ দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের আনন্দবাজারে এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদি মাল, খৈল-ভুষি, সেলুন ও মোবাইল ফোনের দোকান।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে আনন্দ বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগে। পরে মুহুর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে যায় পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় অগ্নিকা-ে বাজারের ১০টি দোকান পুড়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা সাকেরিন হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ১০ দোকান ভস্মীভূত

botvনিউজ:

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বেশীর ভাগই মনোনয়ন পেতে এখন ঢাকায় দলীয় নেতাদের সাথে লবিং করছেন।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যেই দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার গনভবনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের স্বাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৮১জন প্রার্থী। গত শুক্রবার থেকে গত রবিবার পর্যন্ত প্রার্থীরা ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ৮১ প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেকের মতো প্রার্থীর মাঠ পর্যায়ে কোন যোগাযোগ নেই। ছিলনা প্রচার-প্রচারণাও।

৬ টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে। এখানে প্রার্থী সংখ্যা ২৪জন। সবচেয়ে কম প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্চারামপুর) আসনে। এখানে প্রার্থী সংখ্যা ৭ জন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ১৩জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ১৯জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ১০জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-( কসবা-আখাউড়া) আসনে ৯জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থীদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডঃ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডঃ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডঃ ছায়েদুল হকের সহধর্মিনী দিলশাদ আরা বেগম চিনু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা এম.এ করিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ এহসান, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম আলমগীর, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষেদের নাসিরনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আদেশ চন্দ্র দেব, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক এমবি কানিজ, ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলা সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী আশরাফ, বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজন্মলীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ইখতেশামুল কামাল ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-( সরাইল-আশুগঞ্জ) ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডঃ ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জোবেদা খাতুন পারুল, ধানমন্ডি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমেদ দুলাল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডঃ নাজমুল হোসেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডঃ কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডঃ আশরাফ উদ্দিন মন্তু, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডঃ সৈয়দ তানবীর হোসেন কাউছার, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্ল¬াহ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক হানিফ মুন্সী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আনিছুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-সচিব ফরহাদ রহমান মাক্কী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মুজিবুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেত্রী সাদেকা বেগম ও সাংবাদিক জালাল মিয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর)ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারা আলম, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলমগীর, সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফ উদ্দিন লিমন, মোঃ শামসুদ্দোহা, জহিরুল ইসলাম রতন, ও মোছাঃ আসমা বেগম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪- (কসবা-আখাউড়া)ঃ
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডঃ আনিসুল হক এম.পি, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডঃ মোঃ শাহ আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নারায়ণ সাহা মণি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল কুমার রায়, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামসুল হক, অ্যাডঃ আবু আমজাদ, অ্যাডঃ আলমগীর, জি এইচ এম কাজল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫- ( নবীনগর)ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমবায় ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেন, মোঃ সাঈফুর রহমান, কবির আহমেদ ভূঁইয়া, মোঃ হেলাল উদ্দিন, অ্যাডঃ খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম টিপু, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক নুরুন্নাহার বেগম, যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদা আক্তার শিউলি, ইতালি ও সুইডেন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সিরাজরুল হক রানা, আওয়ামী লীগ সমর্থক খন্দকার এনামুল নাছির, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলামিনুল হক ও মাঈন উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম জাকারিয়া, রসুল-াবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা মুত্তাকিমা এবং কেন্দ্রীয় যুব মহিলালীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তাহরিমা হক সুক্তি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬- (বাঞ্ছারামপুর)ঃ
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল খায়ের দুলাল, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক সাঈদ আহমেদ বাবু ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল।

এদিকে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যেসব আসনে মনোনয়নপত্র বেশি কেনা হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব শূন্যতা রয়েছে, সেখানে যত বড় নেতাই হোক না কেন, তারা পার্টিকে অর্গানাইজ করতে পারে নাই। এটা তাদের নেতৃত্ব শূন্যতার প্রমাণ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষমতায় আসলে অনেক পদ ক্রিয়েট করা হবে, সেখানে সবাইকে একমোডেট করা হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জরিপ চালিয়েছি। এর ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। কোনো প্রার্থীর প্রতি ভোটারের সমর্থন আছে, সেটা বিবেচনায় নেয়া হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জরিপে যারা এগিয়ে থাকবেন তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেখানে ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না। যাকে মনোনয়ন দেব তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নইলে বিপদ হবে। ক্ষমতায় আসছি মনে করে নিজেদের মধ্যে যে আসন খাওয়া-খাওয়ির মনোভাব তা পরিহার করতে হবে।’ তিনি বলেন, যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রার্থীতা বিরোধিতা ও প্রার্থীর বিপক্ষে বিরোধিতা করা হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলের যারা ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়ে আছেন তাদেরকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে না। প্রার্থীর নিজ নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা, রাজনৈতিক ত্যাগ-তীতিক্ষা থাকতে হবে। জনসম্পৃক্ত হতে হবে।
###

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটযুদ্ধের আগে মনোনয়নযুদ্ধ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ হোসেনকে মনোনয়ন না দেয়ার আহবান জানানো হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগর প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহীন আক্তার খান, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি অঞ্জন কুমার দেব, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মীর বশির আহমেদ, রেজাউদ্দিন আহমেদ লিটন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এই আসনের সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম চলতি বছরের ১৩ মার্চ উপ-নিবার্চনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও বিএনপির লোকজনের সাথে তার সখ্যতা গড়ে তুলেন। একই সাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, নিজের পছন্দের লোকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছেন। বর্তমানে তার এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তাই বর্তমান এমপি বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে বাদ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১১ জনের মধ্য থেকে যে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। তারা বলেন,

নাসিরনগরের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ ১১ প্রার্থীর পক্ষে। তাঁদের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে সবাই মুখিয়ে আছে। বর্তমান এম.পিকে মনোনয়ন দেয়া হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে না।’

উল্লেখ্য, নাসিরনগরে বর্তমান এমপি বিরোধী ১১ প্রার্থীর বাইরেও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এ আসনের মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের ফরম জমা দিয়েছেন।
###

নাসিরনগরে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীগ নেতৃবৃন্দ বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সোমবার দুপুরে প্রকল্প কাজের অগ্রগতি দেখতে ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পরির্দশন করেছেন।

ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ডিএস (এসবি) শ্রী হিতেশ যুগেন্দ্র লাল রাজপাল, আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের উপদেষ্টা শ্রী তরুণ হরিয়া, কর্মকর্তা শ্রী গৌরব গান্ধি ও ইউএস (ডিপিএ-১) মিস সেলনি সাহাই নামে ৪জনের এই প্রতিনিধিদল আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের আখাউড়া গঙ্গাসাগর থেকে সীমান্ত গ্রাম শিবনগর পর্যন্ত এই প্রকল্পের ৭ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কাজের বিভিন্ন বিষয়ের খোজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এই প্রকল্পের পরিচালক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আরিফুল আমিনসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা।

পরির্দশন শেষে এই প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্প কাজে কোন জটিলতা নেই তবে ধানের ফসলের জন্য কিছু এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে তারপরও যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আখাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন এলাকা থেকে সীমান্ত গ্রাম শিবনগর পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ কিলোমিটার কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভারতের টেক্সমেকো। এই কাজের জন্য জন্য ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ অংশের পুরো ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

প্রকৌশল বিভাগ আরো জানায়, বাংলাদেশের দিকে প্রথম রেলস্টেশন হবে আখাউড়া গঙ্গাসাগর। ভারতের নিশ্চিন্তপুর হবে সীমান্ত স্টেশন ও রেল ইয়ার্ড। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ হবে ডুয়েল গেজ। বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার মূল রেলপথ ছাড়াও ৪ দশমিক ২৫ কিলোমিটার লুপ লাইন রাখা হবে। ৩টি মেজর ও ২০টি মাইনর ব্রীজ নির্মাণ হবে।

আখাউড়া, গঙ্গাসাগর ও নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থাও স্থাপন করা হবে। এই রেললাইন নির্মাণ কাজ তদারকি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতের ইরকন।
###

এগিয়ে চলছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ পরিদর্শন করলেন ভারতের প্রতিনিধিদল

botvনিউজ:

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম হারুনুর রশিদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা শিল্পী সংসদ ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে স্মরনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পৌর এলাকার শেরপুর কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পন ও সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষাচত্বরে কথা-কবিতায় অধ্যাপক এ কে এম হারুনুর রশিদকে স্মরণ করা হবে।
###

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক এ কে এম হারুনুর রশিদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

botvনিউজ:

আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মকসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ চৌধুরী। বুধবার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বরাবর লিখিত ভাবে পৃথক কপিতে স্বাক্ষর করে উপজেলা ছাত্রদলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তারা তিনজন। সেই সাথে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে অনুলিপি দেয়া হয়।

পদত্যাগ পত্রে মকসুদুুর রহমান উল্লেখ্য করেন, তিনি ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আশুগঞ্জ বন্দর ছাত্রদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় পদ পদত্যাগ করেছেন। সেই সাথে ছাত্রদলের সাধারন সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছেন। মকসুদুুর রহমান আগামীদিন বিএনপির কোন প্রকার কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করেন।

পদত্যাগ পত্রে সহ-সভাপতি মামুন মিয়া তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় বিধায় পদ পদত্যাগ করেছি। সেই সাথে ছাত্রদলের সাধারন সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছি। মামুন মিয়া আগামীদিন বিএনপির কোন প্রকার কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করেন।

শুভ চৌধুরী তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় বিধায় পদ পদত্যাগ করেছেন। সেই সাথে ছাত্রদলের সাধারন সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেছেন। শুভ চৌধুরী আগামীদিন বিএনপির কোন প্রকার কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করেন।
###

আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেছেন মকসুদুর, মামুন ও শুভ চৌধুরী॥

ফেসবুকে আমরা..