স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, সাংবাদিক জুলকার নাঈন, সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ, শেখ মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ শাহাগীর মৃধা, মো. জাকির হোসাইন, ফকির হাকিম ও আব্দুল মোমিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করেছেন যুগ্ম সচিব জেবুন্নেছার নেতৃত্বে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে রোজিনার গলায় চেপে ধরে। পরে রোজিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া ও যুগ্ম সচিব কাজী জেবুন্নেছা রোজিনাকে হত্যা চেষ্টার মাধ্যমে সাংবাদিকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
বক্তারা অবিলম্বে রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া-(৩৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম-(২৮) এবং প্রাইভেটকার চালক কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন-(৩২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে একটি পন্যবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২- ৮৭৭৯) মহাসড়কের আমতলা এলাকায় পার্কিং করা ছিলো। এসময় সিলেট অভিমুখী একটি প্রাইভেটকার-(ঢাকা মেট্রো-গ- ২৯-৪২৪৪) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্কিং করা ট্রাকের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটি সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সাগর মিয়া ও শিরিন বেগম দম্পতি নিহত ও চারজন আহত হন।


খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাইভেটকারের চালক বিল্লাল হোসেন মারা যান।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজালাল আলম দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট অভিমুখী একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমতলা এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা স্বামী-স্ত্রী নিহত ও চারজন আহত হন। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাইভেটকার চালক মারা যান।
তিনি বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজন নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোঃ সোহেল হোসেন-(৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সোহেল হোসেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন রেললাইনের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে সোহেল হোসেন কোন মালবাহী ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহাজাদার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য।

বক্তব্য রাখেন রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অনুসন্ধ্যানী সাংবাকিকতার পথিকৃৎ রোজিনা ইসলাম। তিনি করোনার এই মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অবস্থাপনা নিয়ে একাধিক অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন করেছেন। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রতিবেদন করেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজনের ব্যক্তিগত অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লোকেরা রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় আটকে রেখে তাকে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্থা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের মতো এক অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিককে গলা চেপে ধরেছে। তিনি রোজিনা ইসলামের নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন।
বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ এখন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বক্তারা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে সাংবাদিক সমাজ। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে অভিযান চালিয়ে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল (১৮ মে) ভোরে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার সাতবর্গ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন গৌছ আলী (৩৫), পিতা-মৃত তালেব আলী, সাং-কামরাঙ্গী, থানা-ছাতক, জেলা-সুনামগঞ্জ। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা ও ১টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি সুনামগঞ্জের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

বিজয়নগরের সাতবর্গ এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্থা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাংবাদিক আবদুন নূর ও আল-আমিন শাহীন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অনুসন্ধ্যানী সাংবাকিকতার পথিকৃৎ রোজিনা ইসলাম। তিনি করোনার এই মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অবস্থাপনা নিয়ে একাধিক অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন করেছেন। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রতিবেদন করেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজনের ব্যক্তিগত অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লোকেরা রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় আটকে রেখে তাকে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্থা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের মতো এক অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিককে গলা চেপে ধরেছে। তিনি রোজিনা ইসলামের নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন।

বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ এখন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
বক্তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। বক্তারা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে সাংবাদিক সমাজ। প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে জড়ো হন। মানববন্ধন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, সরাইল প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা অংশ নেন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলা টিভির ৫ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কর্মসূচীতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়। আজ বেলা সাড়ে এগারোটায় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু , খ. আ. রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, সিনিয়র সহ সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বাংলা টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি আল আমীন শাহীন এবং সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাবেক সভাপতি হাফেজ খ আ ম রশিদুল ইসলাম।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংল টিভি নান্দনিক অনুষ্ঠান মালা সহ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে মানুষের মন জয় করেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে দেশকে উপস্থাপনে এ টিভির ভুমিকা প্রসংশনীয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলা টিভির ৫বর্ষ উদযাপন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অধুনাবিলুপ্ত বিলুপ্ত জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম দুলাল নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গত সোমবার বিকেল তিনটায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ার বাসা থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে বের হন। আর বাসায় ফেরেননি। রাত ১টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক দুলালের স্ত্রী হোসনাহার বেগম আজ মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পারিবারিক সূত্র ও থানায় দায়েরকৃত জিডি থেকে জানা গেছে, তারিকুল ইসলাম দুলাল সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি অধুনালুপ্ত জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি একটি অনলাইন পোর্টালে কাজ করেন। এছাড়া তিনি একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী। গত সোমবার বিকেল তিনটার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পূর্বপাইকপাড়ার বাসা থেকে সরাইলের উদ্দেশ্য বের হন। আর বাসায় ফিরেননি।

তারিকুল ইসলামের বড় ভাই এম এম মুসা বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দুলালের কাছে ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট ছিল। সোমবার রাত একটা পর্যন্ত তাঁর একটি মোবাইল ফোন সচল ছিল।
এদিকে সাংবাদিক দুলাল নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে সরাইল প্রেসক্লাব জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুলালকে দ্রƒত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক দুলালের স্ত্রী থানায় জিডি করেছেন। আমরা তাকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

উদ্ধার হয়নি সরাইলের সাংবাদিক দুলাল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদের ছুটিতে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপুল-(৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার পাওয়ার হাউজ রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইফুল ইসলাম নারায়নগঞ্জ জেলার গলাচিপা এলাকার হেলাল আলমের ছেলে। সাইফুল নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন। নিহতের স্ত্রী হাবিবা আক্তার শায়লা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সাইফুল ইসলাম বিপুলের সাথে তার বিয়ে হয়। ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করতে গত ২৮ রমজান তিনি তার স্বামীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবার বাড়িতে আসেন।

সোমবার রাতে বিপুল পাঁচতলা ভবনের ছাদে আত্মীয় স্বজনদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার সময় বিপুল ছাদের রেলিংয়ের দু’পাশে পা রেখে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় অসাবধানতাবশত ৫তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান।
আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। তার মাথার পেছনে আঘাত লাগার কারণে মস্তিস্কে রক্তক্ষরন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের না করায় ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিপুলের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিভিন্ন সময়ে বিজিবি সদস্য ও কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হওয়া বিভিন্ন ধরনের মালামাল ধংস করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশক্রমে আজ দুপুর ১২টায় কাস্টমস কম্পাউন্ডের ভেতরে এসব মালামাল ধ্বংস করা হয়। ধংসকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে বিড়ি, সিগারেট, বাজি, কসমেটিকস্ সামগ্রী, কয়েল, কারেন্ট জাল, তামাকের গুড়া, বিস্কুট, প্লাস্টিক সামগ্রী, কার্পেট, শাড়িসহ প্রায় ৯শ প্রকারের বিভিন্ন পণ্য।

এসব মালামাল গত প্রায় ২০ বছর ধরে কাস্টম্স এর গুদামে রক্ষিত ছিল। ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিভিন্ন সময়ে বিজিবি সদস্য ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব মালামাল আটক করে। পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়ের হলে জব্ধকৃত মালামাল আলামত হিসেবে কাস্টম্স এর গুদামে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব মালামাল গুদামে থাকায় নস্ট হয়ে যাওয়া এবং গুদামের স্থান সংকুলান না হওয়ায় গুদামের পরিচ্ছন্নতার জন্য এগুলো ধংস করা হয়েছে।

মালামাল ধংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস ভ্যাট ও কমিশনারেট কুমিল্লার অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ আব্দুল হাকিম, সহকারী কমিশনার মোঃ ছালাউদ্দিন রিপন, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাহিদ হাসান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-কমিশনার মোঃ ফখরুল আমিন চৌধুরী, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এ ব্যাপারে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-কমিশনার মোঃ ফখরুল আমিন চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব পণ্যসামগ্রী আটক করে। আদালতের আলামত হিসেবে পণ্যগুলো কাস্টম্স এর গুদামে রাখা হয়। সম্প্রতি আদালতের আদেশক্রমে গুদাম পরিস্কার করার জন্য এগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

আখাউড়ায় কাষ্টমসের এর মালামাল ধংস

ফেসবুকে আমরা..