নির্মান কাজ অসমাপ্ত রেখেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে শাহবাজপুরের নতুন ব্রীজ

সুমন আহম্মেদঃ
নির্মান কাজ পুরোপুরি শেষ না করেই ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর নির্মিত নতুন ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। ব্রীজের অনেক কাজ বাকী ও ব্রীজের এ্যাপ্রোচ না করেই ব্রীজটি খুলে দেয়া হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাবি পুরানো ব্রীজের ঝুঁকি এড়াতেই পুরো কাজ শেষ না করে নতুন ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে নতুন ব্রীজটি খুলে দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা।

নব-নির্মিত ব্রীজের উপর দিয়ে আসা মোটর সাইকেল চালক শাকিল মিয়া বলেন, ব্রীজটি চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে পুরানো ব্রীজটি বিকল হওয়ায় আমরা খুবই দুর্ভোগে পড়েছিলাম।

সিলেট থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস চালক শাহআলম জানান, নতুন ব্রীজটি চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। তিনি বলেন, ব্রীজের এ্যাপোচ এখনো তৈরী না হওয়ায় ব্রীজে চলাচলকারী যানবাহনকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

এনা পরিবহনের বাস চালক আব্দুল সালাম বলেন, ব্রীজটি চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশী হয়েছি। তিনি বলেন, এতোদিন ঝুঁকিনিয়েই পুরাতন ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতাম।

বাসযাত্রী মনির হোসেন বলেন, নতুন ব্রীজটি চালু হওয়ায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি ও ভোগান্তি কমেছে। তিনি বলেন, এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মান কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হোসেন সরকার বলেন, পুরাতন ব্রীজের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই সড়ক বিভাগ পুরো কাজ শেষ না করেই নতুন ব্রীজটি যান চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বলা যায় এটা পরীক্ষামূলক।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামীম আল-মামুন বলেন, নতুন ব্রীজের মূল অবকাঠামোসহ প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন ব্রীজের এ্যাপোচসহ অন্যান্য কাজ চলমান। তিনি বলেন, পুরাতন ব্রীজের ঝুঁকি কমাতে ও যাত্রী এবং যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার সন্ধ্যার পর নতুন ব্রীজটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ব্রীজের পুরো কাজ শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন পুরাতন ব্রীজের চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেলে সারাদেশের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় বিকল্প দুটো সড়ক দিয়ে কোন রকমে যান চলাচল চালু রাখা হয়। পুরাতন ব্রীজটির মেরামত শেষে ১ সপ্তাহপর পুরাতন ব্রীজটি পুনরায় চালু করা হয়। তবে ব্রীজের উপর দিয়ে ২২টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উল্লেখ শাহবাজপুর তিতাস নদীর উপর নির্মিত নতুন ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ২৫৪ মিটার এবং প্রস্থ ১৬ মিটার। ২০১৮ সালে ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু হয়।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..