botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু কিশোর সংগঠন “শিশু নাট্যম” এর উদ্যোগে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সিতানগর গ্রামের তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী শীতকালীন চিত্রাংকন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শনিবার দুপুরে সমাপ্ত হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম।

শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটুর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চারুকলা প্রশিক্ষক দীপ্ত মোদক। সাংবাদিক, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হয়। ক্যাম্পে শিশুদেরকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে ছবি আঁকা, সংগীত, শুদ্ধ উচ্চারন, আবৃত্তি ও ফটোগ্রাফি বিষয় শেখানো হয়।

শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু জানান, তিনদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
###

শিশু নাট্যমের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সমাপ্ত

botvনিউজ:

কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক আল মাহমুদ (৮২) মারা গেছেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কবির পারিবারিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রখ্যাত কবি আল মাহমুদের মৃতুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব। জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান আলী রেজা দোজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ গভীর শোক প্রকাশ করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন- কবি আল মাহমুদ ছিলেন এপার ও ওপার বাংলার বর্তমান শ্রেষ্ঠ কবি। তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল।

###

কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের শোক

botvনিউজ:

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলায় অনুষ্ঠিতব্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) ইজতেমা বন্ধ ও তাদেরকে অ-মুসলিম ঘোষনার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কওমী ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর এলাকার কাউতলী মোড়ে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা আব্দুর রহিম কাশেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী পঞ্চগরে অনুষ্ঠিতব্য কাদিয়ানীদের ইজতেমার নামে সমাবেশ বন্ধ ও অমুসলিম ঘোষনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এ ঘটনায় দায়ী রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকেও মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগও দাবি করেন বক্তারা। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারী দেয়া হয়।
###

আহমদিয়াদের ইজতেমা বন্ধের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

botvনিউজ:

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন যে একটি এলাকার মানুষের জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে তার প্রকৃত উদাহরণ আমাদের গ্রাম পানিশ্বর। জেলার সরাইল উপজেলার মেঘনা-নদীর তীর ঘেষা গ্রাম এটি। আমার গ্রামটি আমার প্রাণ। আমার গ্রামকে আমি খুবই ভালোবাসি।

আমাদের গ্রামের আগের নৈসর্গিক পরিবেশ এখন আর নেই। মেঘনা নদীর ক্রমাগত ভাঙ্গনে প্রতি বছরই বদলে যাচ্ছে পানিশ্বরের মানচিত্র। মেঘনার ভাঙ্গন এখনো অব্যাহত রয়েছে। ক্রমাগত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই গ্রামের অনেকেই বসত-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ইতিমধ্যেই নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে পানিশ্বর বাজার সংলগ্ন পালপাড়া। আমি অবিলম্বে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে পানিশ্বরকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি পুরাতন ও প্রসিদ্ধ বাজার হচ্ছে পানিশ্বর বাজার। ভাটি এলাকার এটি একটি বৃহৎ বাজার এটি। এক সময় পানিশ্বর বাজারে দেখা যেতো ধান-চালের বড় বড় আড়ৎ। তবে আগের অবস্থা এখন আর নেই। এখন পানিশ্বর বাজারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মার্কেট ও চাতাল কল।

ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র-বিন্দু হলেও এক সময়ে পানিশ্বরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো খুবই নাজুক। বর্ষাকালে নৌকা এবং লঞ্চই ছিল ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন। গ্রীষ্মকালে পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা গ্রামের মানুষের। গ্রামের ভেতরের রাস্তা-ঘাটগুলোও ছিলো কঙ্কালসার অবস্থা। রাস্তা বলতে ছিল মাটির গোপাট।
অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এক সময় শিক্ষা-দীক্ষাসহ সব দিকদিয়েই পিছিয়ে ছিলো আমাদের এলাকার মানুষ। শিক্ষার হার ছিলো খুবই নগন্য।

গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা ছিলো ব্যবসা। বিশেষ করে ধান-চালের ব্যবসা। প্রতিদিন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এলাকার মানুষ নৌকা ও লঞ্চে করে যাতায়ত করতো আশুগঞ্জ ও ভৈরবে। বর্ষাকাল ছাড়া সরাইল উপজেলা সদরে যেতে হতো প্রায় ৫ কিলোমিটার পায়ে হেটে। বর্ষাকালে তিন মাস জাফর খালে নৌকা চলতো। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এলাকার মানুষের দুদর্শার শেষ ছিলোনা।

ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েও প্রতিদিন পানিশ্বর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার হেটে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করতেন আমার আব্বা মোঃ নজরুল ইসলাম ও আমার ছোট চাচা মোঃ সাইকুল ইসলাম। পানিশ্বর থেকে জমির আইল দিয়েই হেটে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন আমার আব্বা ও চাচা। কষ্ট করে লেখাপড়া করায় আমার আব্বা ও আমার ছোট চাচা হতে পেরেছিলেন সরকারি চাকুরীজীবি।

ছোট বেলা স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আমরা পরিবার-পরিজনসহ গ্রামে বেড়াতে যেতাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে করে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। তার পর রিকসা নিয়ে আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট। সেখান থেকে লঞ্চে পানিশ্বর বাজার। কখনো কখনো লঞ্চের জন্য দুই আড়াই-ঘন্টা বসে থাকতে হতো লঞ্চ ঘাটে। এক সময় আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে পানিশ্বর বাজার পর্যন্ত ইঞ্জিনের নৌকা চলাচল শুরু হয়। বর্ষাকালে বিকল্প পথে সরাইল থেকে গয়না নৌকা দিয়ে জাফর খাল দিয়ে পরিবার-পরিজনসহ যেতাম গ্রামের বাড়িতে।

যাক সে কথা, গ্রামের সেই অবস্থা এখন আর নেই। বদলে গেছে আমাদের গ্রাম। বদলে গেছে গ্রামের মানুষের জীবনধারা। এক সময় গ্রামে ছনের ঘর থাকলেও গ্রামে এখন আর কোন বাড়িতে ছনের ঘর নেই। গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে নির্মিত হয়েছে দোতালা, তিনতলা বিল্ডিং। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এখন স্কুল মুখী। শহর থেকে রাতের বেলাও অল্প সময়ে গ্রামে যাওয়া যায়।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিশাল বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু তনয়া, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দ্রুত বদলাতে থাকে পানিশ্বরের চিত্র। গ্রামের কঙ্কালসার রাস্তাগুলো উচু ও প্রশস্থ করে সংস্কার করা হয়। নতুন করে নির্মান করা হয় বেশ কয়েকটি রাস্তা ও কালভার্ট। গ্রামের প্রায় প্রতিটি রাস্তাই এখন মানুষের চলাচলের উপযোগী। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমাদের গ্রামের উন্নয়নের চাকা ঘুরতে থাকে জোরেসোরে। গ্রামের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলো কার্পের্টিং করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়। পানিশ্বরের দুই বাজারের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া জাফর খালের উপর গ্রামবাসী তাদের নিজস্ব অর্থায়নে একটি দৃষ্টিনন্দন বেইলী ব্রীজ নির্মান করে। বেইলী ব্রীজটি নির্মানের ফলে এক বাজার থেকে অন্য বাজারে যেতে লোবজনকে আর গুদারার জন্য অপেক্ষা করতে হয়না।

বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা ও বগুইর থেকে শতশত অটোরিকসা পানিশ্বর বাজার পর্যন্ত চলাচল করে। গ্রামের লোকজন এখন খুব সহজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে অটোরিকসা দিয়ে যাতায়ত করতে পারে। এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত বাড়তে থাকে এলাকায় শিক্ষার হার। আমাদের গ্রামের মেয়েরা এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর, আশুগঞ্জ, ভৈরবের বিভিন্ন কলেজে গিয়ে লেখাপড়া করে। গত ১০ বছরে গ্রামে বেড়েছে শিক্ষিতের হার।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এলাকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাগে উন্নয়নের ছোয়া। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয় শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ। পানিশ্বর বাজারে প্রতিষ্ঠিত পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়টি এখন দৃষ্টি নন্দন। চারতলা ভবন বিশিষ্ট এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সব সময় শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। পানিশ্বর মাদিনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদরাসাটিও এখন বেশ উন্নত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে এলাকায় সামসুল আলম উচ্চ বিদ্যালয় নামে আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীদেরকে আর সরাইল-আশুগঞ্জে যেতে হয়না। পানিশ্বরেই আছে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার উন্নয়নে এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করার দাবি এখন সবারই মুখে মুখে।

রাস্তা-ঘাট সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা যেকোন সময় যেতে পারছে শহরে। এলাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হওয়ার পর আমিও সুযোগ পেলে এখন গ্রামে যাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অটোরিকসা নিয়ে পানিশ্বর বাজার। রাস্তায় কোন ভোগান্তি নেই।

এদিকে সরাইল থেকেও পানিশ্বর বাজার পর্যন্ত একটি রাস্তার নির্মান কাজ চলছে। সরাইল-পানিশ্বর রাস্তাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিশ্রুত প্রকল্প। এই রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ হলে পানিশ্বর গ্রামটি হয়ে যাবে অনেকটাই শহরের মতো। আমরা রইলাম সেদিনের অপেক্ষায়। এছাড়াও সরাইল থেকে জাফর খালের পাড় দিয়ে এখন পানিশ্বরে যাতায়ত করা যায়।

একটি অবহেলিত এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে ওই এলাকাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি পানিশ্বরকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে মেঘনা নদীর তীরে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মান, পানিশ্বর লঞ্চঘাটে একটি জেটি নির্মান এবং পানিশ্বরের শিশুদের চিত্র বিনোদনের জন্য একটি খেলার মাঠ নির্মান করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।
লেখকঃ-সাংবাদিক ও সমাজকর্মী।

আমার গ্রাম, আমার প্রাণ -মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা

botvনিউজ:

খালাতো ভাইকে সহযোগিতা করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার রোষানালে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী কাজী মোবারক হোসেন। পুলিশ কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন ও তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা কাজী মোবারক হোসেন দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কাজী মুকসুদ আলীর ছেলে কাজী মোবারক হোসেন বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে গোলাম ছামদানী প্রকাশ রাসেল-(২৮) তার আপন খালাতো ভাই।

২০১৬ সালে রাসেল স্টুডেন্ট ভিসায় মালেশিয়ায় যান। সেখানে একই ভবনে থাকার সুবাদে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের আবুল বাশারের সাথে রাসেলের পরিচয় হয়। ২০১৭ সালের শেষে দিকে বিদেশে লোক নেওয়ার কথা বলে রাসেল আবুল বাশারের কাছ থেকে এক লাখ ৮০হাজার টাকা গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি রাসেল দেশে ফিরে আসেন।

এদিকে রাসেলের কাছে ৭ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আবুল বাশারের স্ত্রী আছমা আক্তার।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এসআই গোবিন্দের নেতৃত্বে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে খালাতো ভাই রাসেলের পক্ষে উপস্থিত হন কসবা উপজেলা যুবলীগ নেতা কাজী মোবারক হোসেন। সভায় তিন মাসের মধ্যে রাসেল আছমা আক্তারকে ১ লাখ ৮০হাজার টাকা ফিরিয়ে দিবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই গোবিন্দ ১০০টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল অলিখিত স্টাম্পে গোলাম ছামদানী প্রকাশ রাসেল, কাজী মোবারক হোসেন ও উজ্জল ভূঁইয়ার স্বাক্ষর নেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাজী মোবারক হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি জানতে পারেন এসআই গোবিন্দের কাছ থেকে তাদের স্বাক্ষর করা ১০০টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল অলিখিত স্টাম্প নিয়ে অভিযোগকারী আছমা আক্তার তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম ২নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারের সাথে দেখা করেন তিনি।

মানবাধিকার সংগঠন ইউনিট ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, গোলাম ছামদানী রাসেল ও কাজী মোবারক ডিবি অফিসে গিয়ে এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারকে ঘটনা খুলে বলেন। এসময় নুরুউদ্দীন এক লাখ ২০হাজার দিলে বাদী আছামার সাথে মামলাটি শেষ করে দিবে বলে হাবিবুর রহমানকে জানান। ঘটনার দুইদিন পর ডিবির এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারকে এক লাখ ১০হাজার টাকা দেন তারা। এ ঘটনার দেড়মাস পর ডিবির এসআই নুরুউদ্দীন রাসেলকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি অলিখিত চেক ও ২০হাজার টাকা রেখে ছেড়ে দেন।

মোবারক অভিযোগ করে বলেন, এভাবে হয়রানি করার বিষয়টি জানতে চাইলে এসআই নুরুউদ্দীন তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এঘটনার ১০/১২ দিন পর কুমিল্লার কতোয়ালি থানা থেকে তার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলার কাগজ কসবা থানা পাঠান এস আই নুরুউদ্দীন। পুনরায় ডিবির এই এসআইয়ের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আরো মামলা দিবেন বলে হুমকি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম ছামদানী রাসেলের পিতা মিজানুর রহমান বলেন, তার ছেলে বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে আসে। আর আদালতে মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। মামলায় তার ছেলে, তাকে, আত্মীয় উজ্জল মিয়া ও মোবারক হোসেনকে আসামী করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদী আছমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, থানায় সকল স্বাক্ষীদের সামনে তাঁরা ১০লাখ টাকায় দেবেন বলে রাজী হয়েছেন। পরে থানায় তিনটি স্ট্যাম্পে তাঁরা স্বাক্ষর দিয়েছেন। টাকা না দেওয়ায় মামলা করেছি। তারা আমাদের লোকজনের চারটি পাসপোর্ট নিয়ে দুটি ফেরত দিয়েছে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই নুরুউদ্দীন তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল স্বাক্ষী প্রমাণ ও দলিলে বাদী ১৬ লাখ টাকা পাবেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। গোলাম ছামদানী রাসেল টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। গত মাসে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। উভয়পক্ষকে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে বলেছি। তিনি বলেন, একাধিকবার ডাকা হলেও মোবারক আসেননি। ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব কিছু না। একটা মামলায় তিনি জড়িত কি না বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য কসবা থানায় ইনকোয়ারি স্লিপ পাঠিয়েছি।
###

খালাতো ভাইকে সহযোগিতা করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার হয়রানির শিকার যুবলীগ নেতা মোবারক

 

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নের রূপকার,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,আজকের শিশু কিশোরদের নিয়ে আমাদের নানা স্বপ্ন, এই শিশু কিশোরদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমী নাগরিক ও দেশের উন্নয়ন যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিশু কিশোর উদ্দেশ্যে বলেন, যা কিছু সুন্দর কল্যাণকর সেই কাজ করতে হবে ,দেশকে ভালবাসতে হবে এবং সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্কাউটস এর আয়োজনে বিরাসারস্থ বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কাউট পল্লীতে ৪ র্থ জেলা কাব ক্যাম্পুরীর সমাপনী দিনে মহা তাঁবু জলসায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্কাউটস এর সভাপতি জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেীর সভা মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জেলা স্কাউস এর সহ সভাপতি কামাল মোহাম্মদ রাশেদ.জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্র,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক,লায়ন্সের সাবেক জেলা গভর্ণর লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ। স্কাউটস এর সহকারী কমিশনার আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্যরাখেন জেলা স্কাউটস এর সম্পাদক অধ্যক্ষ নিয়াজ মোঃ কাজল।

প্রধান মহা তাঁবু জলসায় অগ্নি প্রজ্জ্বলন করেন এবং শিশু কিশোরদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটান । অনুষ্ঠানে কাব স্কাউটসরা সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিবেশন করেছে।

###

প্রত্যেক শিশু কিশোরকে দেশের সুন্দর মানুষ হতে হবে- মোকতাদির চৌধুরী এমপি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে বহু দিন ধরে সাধারন মানুষের প্রচুর অভিযোগ থাকলেও কোন আমলে তা সমাধান করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের বন্ধ থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে সাধারন জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিচ্ছে। সেই সকল দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের বহুমূখি উন্নয়ন করা সম্বব।
তিনি গতকাল  মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডা. মিলন সভা কক্ষে সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে ডাক্তারদের মানব সেবার ভূমিকায় কাজ করতে হবে। প্রাইভেট রোগি না দেখে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভতি রোগিদের সেবা দানে সকল ডাক্তারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন বহিরাগত দালাল ও দালালচক্রের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা করা হবে এবং সদর হাসপাতালের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দালাল নির্মূল করা হবে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির , বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ ফখরুজ্জামান ভূইয়া, সাধারন সম্পাদক ডা: মো আবু সাঈদ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ ইফতেহার মাসুম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন,
মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নন্দিতা গুহ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জায়েদুল হক, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ বজলুর রহমান প্রমূখ।
                                                          ###

হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে ডাক্তারদের ভূমিকায় রাখতে হবে,মোকতাদির চৌধুরী এমপি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসএসসির ভূয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায়ে মোঃ সোহাগ মিয়া-(১৫) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আখাউড়ার শিবনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ মিয়া ওই গ্রামের মোঃ মনির হোসেনের ছেলে। সোহাগ আখাউড়া দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

সোমবার বিকেল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারি পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক চন্দন দেবনাথ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সোহাগ ভূয়া আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসএসসির অগ্রিম প্রশ্নপত্র বিক্রয়ের স্ট্যাটাস দেন। পরে তার মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে তারা তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ সাংবাদিকদের জানায়, গত বছরের জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় সে এভাবে প্রতারিত হয়েছিল। কৌতুহল ও প্রলোভন থেকেই সে এই কাজ করেছে বলে সে স্বীকার করেছে। সোহাগ জানায়, প্রশ্নপত্র বিক্রি করে সে দুই হাজার ৫শত টাকা পেয়েছে।
###

এসএসসির ভূয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায়ে,আখাউড়ায় কিশোর গ্রেপ্তার

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালিমা আক্তার-(৩) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শিশু হালিমা হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

সাংসারিক কাজ নিয়ে শিশু হালিমার মা খাদিজা বেগমের সাথে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরোধ ও দেবর হেলালের কুপ্রস্তাবে খাদিজা বেগম রাজী না হওয়ায় চাচা হেলাল মিয়ার হাতে শিশু হালিমা খুন হয়। শিশু হালিমা ভাদুঘর গ্রামের মুন্সিহাটির রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের মেয়ে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় হালিমার চাচা হেলাল মিয়া-(২৬) এবং তার সহযোগী রুবেল মিয়াকে -২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত হেলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মুন্সিহাটির ফরিদ মিয়ার ছেলে এবং রুবেল একই গ্রামের ভূইয়াপাড়ার আরফুজ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারকৃত হেলাল হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। তিনি জানান, হালিমার লাশ উদ্ধারের পরপরই আমরা হত্যা রহস্য উদঘাটনের তদন্ত শুরু করি। তদন্তের প্রধান বিষয় ছিল হালিমার মায়ের সাথে কারো সম্পর্ক আছে কি না। সেটি তদন্ত করতে গিয়েই আমরা জানতে পারি হালিমার মাকে তার চাচা হেলাল মিয়া মাস খানেক আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের ঝগড়াও হয়েছে। এর পর থেকেই হেলাল প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। শিশু হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। গত ১২/১৫দিন আগে হালিমাকে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে হেলাল, কিন্তু পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল জানিয়েছে, হালিমাকে হত্যার প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর সে হত্যার বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে তার সহযোগী রুবেলকে সাথে নিয়ে ৪/৫ দিন আগে হত্যাকা-ের ঘটনাস্থল পরির্দশন করে।

ঘটনার দিন (২ ফেব্রুয়ারি) হালিমাকে কোলে করে হেলাল বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। হালিমাকে এক প্যাকেট চিপস্ কিনে দিয়ে বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি বহুতল ভবনের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলাল। এ সময়  নির্বিঘ্নে হত্যাকান্ড- সংগঠিত করার জন্য রুবেল পাহারা দিয়েছিল।

এর আগে গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাদুঘর গ্রামের ভূইয়াপাড়া মহল্লার একটি বহুতল ভবনের পাশ থেকে হালিমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় হালিমা।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবির, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু হালিমা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ॥ চাচার দায় স্বীকার

botvনিউজ:

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পরিচালক ( অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) ও যুগ্ম সচিব মোঃ ইলিয়াছ ভূইয়া বলেছেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সংবাদ পরিবেশন, সাংবাদিক হচ্ছে সমাজের বিবেক। তিনি সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পিআইবির উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের অনুসন্ধ্যানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ইলিয়াছ ভূইয়া আরো বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই, বিচ্যুত হলে সাংবাদিকতার জীবনের মৃত্যু হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা থাকতে হবে, আবার সৃজনশীলতা থাকতে হবে।

সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা, টার্গেট গ্রুপকে নাড়া দেয়া সাংবাদিকদের কাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোঃ ইলিয়াছ ভূইয়া আরো বলেন, নদীতে পানি বয়ে যায়, সেখানে কচুরীপানা থাকবেই তাই বলা যাবেনা নদীতে কচুরী পানা বয়ে যাচ্ছে। যেনতেন কাজ করার পেশা সাংবাদিকতা নয়।

প্রথম দিনে আরো প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম। সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির সহকারি প্রশিক্ষক তানিয়া পারভীন। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলোক্ট্রনিক মিডিয়ার ৩৫জন অংশ নেন।
###

সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই

ফেসবুকে আমরা..