২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন টিএ রোড এলাকায় তান্ডবে জড়িত সাদেকপুর ইউনিয়ন ছাত্র ওলামা ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী, ক্বারী মোঃ মোজাম্মেল হক এবং আশুগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং এ জড়িত আশুগঞ্জ উপজেলার হেফাজত ইসলাম ও  ইমাম পরিষদ সেক্রেটারী, মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সহকারি প্রচার সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক মুফতি জাকারিয়া খান-(৪৩)সহ আরো ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গত রোববার রাতে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এনিয়ে জেলায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ৩৬৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে মুফতি জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চালানো তান্ডবের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে গতকাল সোমবার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মুফতি জাকারিয়া খান জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদের নির্দেশে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগন জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুরও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত  ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের প্রচার সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার-১০


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের এক মাসের মাথায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রেরিত এক আদেশে তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন ওসি রহিমের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে হঠাৎ করে তাকে বদলি করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলেন নি।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা। ২৮ মার্চ শহরে তান্ডব চলাকালে আন্দোলনকারীদের পুলিশ কোন ধরনের বাঁধা না করে সদর থানা থেকে মাইকে বলা হয়, “আন্দোলনকারী ভাইয়েরা আপনার সদর থানা আক্রমন করবেন না, পুলিশ আপনাদেরকে কিছু করবে না। এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

সদর থানা থেকে মাইকে ঘোষনার বিষয়টি শহরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে সূধি সমাজের মধ্যে। এদিকে তান্ডেবের ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ ৩৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।

আব্দুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলির আদেশ

২৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানাধীন উত্তর শেরপুর এলাকা হতে  তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১। মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৮), পিতা-মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, সাং-উত্তর শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ ফাহিম (২৫), পিতা-মৃত সঞ্জব আলী, সাং-বামই কাটিয়ারা, থানা-নাকাই, জেলা-হবিগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-উত্তর শেরপুর, মাহবুব মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটক করেছে র‌্যাব-১৪


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া পাঁচশত পরিবহন শ্রমিকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন শ্রমিকদের মধ্যে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, তেল, চিনি, ডালসহ বিভিন্ন উপকরণ।

খাদ্য সহায়াতা বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে ইমামা বানিন ও ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জমসেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ মিয়াসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচশত পরিবহন শ্রমিকের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গতকাল রোববার লাল তীর হাইব্রিড সুবজসাথী জাতের ধানের নমুনা শস্য কর্তন উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের কৃষক আবুল কালামের জমিতে লাল তীর হাইব্রিড সুবজসাথী জাতের ধানের কর্তন উদ্বোধন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তোফায়েল মুন্সি, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সরকার নাসির উদ্দিন, লাল তীর সীড লিমিটেডের রিজিওন্যাল ম্যানেজার কৃষিবিদ জহিরুল ইসলাম, লাল তীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী, টেরিটরি ম্যানেজার ওমর ফারুক, কৃষক আবুল কালাম প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তোফায়েল মুন্সি বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষি করোনা কালীন প্রনোদনা আওতায় কর্মসূচীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় লাল তীর হাইব্রিড ধান বীজ সুবজসাথী তিন হাজার ৪শ ৫০জন কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হয়।


জেলায় ৪২০ হেক্টর জমিতে এ ধানের জাত রোপন করা হয়। এই ধান রোপন করে কৃষকরা খুব লাভবান। বিঘা প্রতি ৩০মন ফলন পাওয়া গেছে। কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে এ ধান চাষ করা জন্য। আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিবিড় পযবেক্ষণ করেছি নতুন জাত হিসেবে কৃষকরা ভালো ফলাফলে দেখা জন্য এবং এর খুবই ভাল ফলাফল পয়েছি। করোনাকালীন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এই হাইব্রিড ধান সুবজসাথী ব্যাপক সাড়া জাগাবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাল তীর হাইব্রিড সুবজসাথী জাতের ধানের নমুনা শস্য কর্তন উদ্বোধন

গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে স্থানীয় মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা থেকে নন্দনপুর এলাকায় ব্যাপক ভাংচুরসহ তান্ডব চালানোর অভিযোগে ঘাটুরা বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন @ বেলালি ও ঘাটুরা হরিনাদি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন’কে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে
মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের
প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তান্ডব চালানো দুই ইমামসহ হেফাজতের ০৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জড়িত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা মোবারক উল্লাহকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
শুক্রবার রাতে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি হেফাজত থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি তান্ডবের ঘটনায় জড়িত হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিচার দাবি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত হয় যে, গত ২৬ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত তান্ডবের ঘটনার সাথে হেফাজত এবং তাদের নেতা মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং মাওলানা মোবারক উল্লাহ জড়িত ছিলেন। তাই হামলাকারী এবং হামলার নির্দেশ দাতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠাবার কথা স্বীকার করে অবিলম্বে মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ তান্ডবের ঘটনায় দায়ী সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

হেফাজতের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবি ছাত্রলীগের

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রামরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদৎ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু কালাম ভূইয়া, সাধারন সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহাবুব আলম, বাসুদেব ইউপি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের আলম ভূইয়া, সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ উমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহীন ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাদৎ হোসেন শোভন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
বক্তারা এসব হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব ঘটনায় জড়িত হেফাজত নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
পাশাপাশি বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কুটুক্তি প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ভিডিওফুটেজ দেখে প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

ফেসবুকে আমরা..