ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।

গতকাল (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ ও রাত ৮:৩০ এ পৃথক অভিযান চালিয়ে সদর থানাধীন বিশ্বরোড ও শেরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এরশাদ মিয়া (৩৩), পিতা-মৃত জিলু মিয়া, সাং-গোকর্ণ, থানা- নাসিরনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মোঃ সাইফ খান (২৫), পিতা-মোঃ কাওছার খান, সাং-শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে দুই যুবক গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর তান্ডব ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃত মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারনে গত বছরের ১ ডিসেম্বর তাকে জামিয়ার শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এমনকি তাকে মাদরাসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর গত ২৩ এপ্রিল তিনি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বিবৃতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে যান মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি।
মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে কাশেমিকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন মুফতি আবদুর রহিম কাসেমিকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী বিগত ২০১৬ সালে ও গত ২৬,২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনার মূলহোতা। তিনি তান্ডবের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি স্বীকার করেছেন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাশেমী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র- শিক্ষককে নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। এ সময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, মুফতি আবদুর রহিম কাসেমিকে ২০১৬ সালের মামলাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামী করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত এসব মামলায় ৪১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন হেফাজত নেতা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৩৭ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ৪ হাজার টাকাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে গত সোমবার রাতে পৃথক অভিযানে সদর উপজেলার নন্দনপুর, আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর ও আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গাঁজাবহনকারী একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে র‌্যাব অফিস থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর থেকে মাদক ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন-(৩২) কে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ৪ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কুতুব উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে।


অপর অভিযানে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় র‌্যাব সদস্যরা আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে একটি প্রাইভেট কার আটক করে। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শহিদ মিয়া-(৩০) ও মোঃ ইব্রাহীম-(৪০) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়।

অপরদিকে মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা সদর উপজেলার নন্দনপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রনি খন্দকার-(২৫), মোঃ রুবেল-(২৫) মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব ঘটনায় সদর ও আশুগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার উদ্যোগে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় পৌর এলাকার অসহায় ও অতিদরিদ্র ৪৬২১জনের মাঝে সাড়ে ৪হাজার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নগদ টাকা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম, পৌর সভার সচিব মোঃ শামসুদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সংবাদপত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, প্যানেল মেয়র হোসনে আরা বাবুল, মীর মোঃ শাহীন, হিসাব রক্ষক গোলাম কাউসার প্রমুখ।
পরে অতিথিগন অসহায় ও অতিদরিদ্রদের মাঝে নগদ ৪৫০ টাকা করে প্রদান করেন। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকা ১২টি ওয়ার্ডের ৪হাজার ৬২১জনের মাঝে ৪৫০ টাকা করে উপহার হিসেবে দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নগদ অর্থ বিতরণ

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাট ফর্মে অনুষ্টিত হয়েছে জেলা পর্যায়ের কর্মশালা।মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভুমিকা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব শ্রী প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ও হিন্দু ধমীয় কল্যান ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাস্টি শ্রী অশোক মাধব রায়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্রী মনি শংকর কীর্তনীয়া, সুপারিশ মালা উপস্থাপন করেন ড.সৌরেন্দ্র নাথ সাহা (উপসচিব)।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্রী রঞ্জিত কুমার দাস।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,জেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:রইচ উদ্দিন।
বিশেষজ্ঞের বক্তৃতা করেন সাবেক অধ্যক্ষ অমৃত লাল সাহা,বীর মুক্তিযোদ্বা মিন্টু ভৌমিক,প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি,ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য।

সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন শিশুদের শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দিলেই চলবে না,তাদের নৈতিক শিক্ষা দিয়ে দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পরে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটে।

 

 

শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে-সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসিয়ে তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বে-সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, তেল, চিনি, ডাল, সেমাইসহ বিভিন্ন উপকরণ।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সঞ্চালানায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ে আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ কর্মসূচীর আওতায় মানবিক খাদ্য সহয়াতার কার্যক্রমের অধীনে আপনাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া হচ্ছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।


তিনি বলেন, সামনে ইদ-উল-ফিতর। নিজের আত্মীয় স্বজনদের অভুক্ত রেখে, প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে আপনারা যদি অন্য জায়গায় দান-খয়রাত করেন কোন লাভ হবেনা। হাদিস শরীফে আছে, যার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে আর নিজে খুব ভাল ভাবে খাওয়া দাওয়া করে সে প্রকৃত মুসলমান নয়। তিনি বলেন, আমি ধনী ব্যক্তিদের বলবো প্রতিবেশীদের অভুক্ত রেখে মাদরাসায় জাকাত দিয়ে আপনারা জাকাতটাকে নষ্ট করবেন না। মানুষের হক কে আপনারা নষ্ট করবেন না। তিনি সকলকে মাস্ক পড়া ও বার বার হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক হাজার কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা বিতরন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবের সময় ফেসবুকে সরকার বিরোধী প্রচারণা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মোঃ শরীফ ভূইয়া-(৩৬) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁপুইর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত শরীফ ভূইয়া মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ও চাঁপুইর গ্রামের মোঃ রুস্তম ভূইয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের সময় শরীফ ভূইয়া তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে। এ সব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শনিবার রাত পর্যন্ত ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

ফেসবুকে সরকার বিরোধী প্রচারণা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। তিনি আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

এ সময় ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে যেন পিছিয় দেওয়া যায়- এটি সে ধরনের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কাজ বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, কোন সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ন স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। যারা এই ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী, তারা ঘটনাস্থলে থাক বা না থাক, অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআই সম্মিলিতভাবে মামলাগুলো তদন্দ করছে। আমরা সবাই সমন্বয়ের মাধ্যমে তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে মামলাগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি।

ভিডিও ফুজে থেকে আসামীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই অনেককেই শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো মামলাই ঝুলে থাকবেনা, যত দ্রুত সম্ভব আমরা সব মামলা নিস্পত্তির দিকে যাব।
তিনি বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৬টি মামলার মধ্যে ৯টি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়াও ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে মাদরাসার ছাত্রদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা গুলোর মধ্যে ৫টি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ডিআইজি হাবিবুর রহমান হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ শাহরিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে। এ সব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ

ফেসবুকে আমরা..