স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত ৭দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে গত বুধবার (৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন-সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, লকডাউন চলাকালে গত ৭ দিনে (১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলায় সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অপরাধে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত বুধবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৫১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ্য হয়েছেন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ৬৯জন করোনায় মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লকডাউনে ৭দিনে ২ হাজার ১৭৩ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় ওইসব গ্রামের ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সমাগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভুইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর ভূইয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া প্রমুখ।

কসবায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরিপ-২- মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ২৫০ জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল-আলম প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুন্নাহার প্রমুখ।

কসবায় ২৫০জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কসবা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় মাফে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এই অর্থ বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা সমবায় কমকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, পৌর কাউন্সিলর হেলাল সরকার, মহিলা কাউন্সিলার লুৎফুর নাহার রিনা, দিল শাহানা আক্তার মিনা, মাহমুদা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে অনেক পরিবারের উপার্জন করার মানুষটি কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোন পরিবারের খাদ্য সমস্যার কথা শুনলেই সেখানে খাবার পৌছে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বুধবার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ৩শত অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে ৫শত টাকা করে ১লাখ ৫০হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে।

কসবায় কর্মহীন ও অসহায়দের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা ভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও পথচারী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কসবা পৌর এলাকার নতুন ও পুরাতন বাজারে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য জনগনকে পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দেশ ও সমাজকে রক্ষা করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।

কসবায় পথচারীদের মধ্যে এসিল্যান্ডের মাস্ক বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কসবা পৌর সভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর ভুঁইয়া, ডাঃ অরূপ পাল, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশিদ ঢালী, ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ খান, ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া, এস.এম মান্নান জাহাঙ্গীর, কসবা পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি আঃ রহিম ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কসবায় টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যাত্রী আসা অব্যাহত রয়েছে। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি যাত্রীরা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ও পড়াশুনা করতে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ফিরছেন।

আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে যাত্রীরা ভারত থেকে ফিরতে পারছেন। গত বৃহস্পতিবার নাগাদ এক হাজার ৯৩৮ জন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৪৭২ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়। ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৫৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এর মধ্যে অনেকেই নেগেটিভ সনদ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারত ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টিন মানতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার ব্র্যাক লানিং সেন্টারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আখাউড়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ জেলায় কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৫৪ জন।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ১৯৩৮ জন বাংলাদেশি যাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাজার জিয়ারতগামী যাত্রীবাহি একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে খোদেজা বেগম-(৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার মনকশাইর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত খোদেজা বেগম নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মরহুম মনজুরুল আলমের স্ত্রী।

খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ৫ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও বাকীদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫ জন হলেন, নয়ন মিয়া-(৪৯), মদিনা বেগম-(২৭), তিশামনি-(৬), রিনা বেগম-(৩৭) ও সাইদুর রহমান–(৫২)। তাদের সবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে। তারা সবাই দিন-মজুর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাইদুর রহমান জানান, চট্টগ্রামের মাইজভান্ডারীর মাজারে যাওয়ার জন্য তারা ৪৩ জন নেত্রকোনা থেকে একটি ট্রাকে করে রওয়ানা দেন। ট্রাকটি শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কসবা উপজেলার মনকশাইর এলাকায় পৌছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধা খোদেজা বেগম মারা যান। আহত হন ৩৫ জন।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজালাল আলম বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানার এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

কসবায় গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কা বৃদ্ধা নিহত, আহত ৩৫


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দায়িত্ব পালনকালে পিকআপের ধাক্কায় মোস্তফা কামাল-(৫৭) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। গতকাল (১৭ জুন) ১১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তফা কামাল ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পৈহারা গ্রামের মরহুম হাজী আলী আজমের ছেলে। তিনি কসবা থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত মোস্তফা কামাল দুই সন্তানের জনক। তার ছেলে রিফাত উল্লাহ সৈকত-(২২) ঢাকায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে এবং মেয়ে মাহফুজা ইয়াসমিন চম্পা-(২৫) বিবিএ অধ্যয়নরত।

জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস.আই মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় ফোর্স নিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করার সময় দ্রুতগামী একটি পিকআপ এস.আই মোস্তফা কামালকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পান।
আহতবস্থায় সাথে থাকা কনস্টেবলরা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাত ১২টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মোহাম্মদ সাঈদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত এসআইয়ের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আছে। তিনি বলেন ঘাতক পিকআপটি চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, এসআই মোস্তফা কামাল দায়িত্ব পালন কালে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব।

কসবায় পিকআপের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত

ফেসবুকে আমরা..