স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেছেন, করোনার পরিস্থিতিতে ভারতে লকডাউনের কারণে রেললাইনের স্লিপার আনতে সময় লাগছে। তবে দ্রুতই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর ২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আজ ঢাকা থেকে মহানগর ট্রেনে রওয়ানা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় রেলসচিব আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছেন।
আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতেই রেলসচিব আখাউড়ায় আসেন। পরে তিনি একই ট্রেনে লাকসামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগে সাংবাদিকের সাথে তিনি কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে রেললাইনের স্লিপার আনতে হয়। ভারতে এখন লকডাউন শুরু হয়েছে। ভারতের সাথে কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য স্লিপার আনতে সময় লাগছে। করোনার পরিস্থিতির কারণেও সময় লাগছে। সবগুলো প্রকল্পই দ্রুততার সাথে শেষ করতে সবাই চেষ্টা করছে ।

রেলসচিব বলেন, করোনার পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের মতো আমরাও অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ ও আখাউড়া লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণসহ রেলের সকল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আমরা শেষ করতে পারবো।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রেল সচিব বলেন, দ্রুত আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করব। ইতিমধ্যেই আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেওয়া শুরু করেছি। পুরো উদ্দ্যোমে কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, রেল সম্পূর্ণ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সরকারি যে বিধি-বিধান আছে সেই অনুযায়ী চলতে হয়। আমাদের স্বাস্থ্যের দিকটি আগে ভাবতে হবে। আপনারা জানেন করোনার কারণে সারা বিশ্বে কি অবস্থা হয়েছে। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি আসন ফাঁকা রেখে আরেকটা আসনে বসে যাত্রীদের যাতায়ত করতে হয়। কেউ যদি নিয়ম না মানে তাহলে রেলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মাঠ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। করোনার এই সময়ে অন্য যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে রেলবিভাগ অনেক ভালোভাবে নিয়ম-কানুন মেনে চলছে।
তিনি বলেন, আমি চলন্ত ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তাঁরা আরামদায়কভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী রেলকে একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে গড়ে তুলতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।

এসময় রেলসচিবের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর আলম, রেলওয়ের ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান, ডিটিও মোঃ খায়রুল কবির, ডিসিও মোঃ সৈকত জামিল, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে স্টেশন সুপার মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের দীর্ঘ ৮০ দিন পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে শুরু করেছে ট্রেন। মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে চার জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনে পুনরায় ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়েছে। আজ থেকে একটি আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। হামলাকারীরা স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তারা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন অথবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে চড়তে হতো। আবার অনেকেই বাসে করে যাতায়ত করতো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেশনটির সংস্কার করে পুনরায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ জুন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা না করলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় ।

এদিকে গত ১৩ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটিকে ‘বি’গ্রেড থেকে ‘ডি’গ্রেডে রুপান্তর করে সনাতনি পদ্ধতিতে সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশন থেকে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রাবিরতিতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে কিছুটা সন্তোষ ফিরে আসলেও তারা স্থগিতকৃত অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর দ্রুত যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যদি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও চালানো যাবে। তাই একই পদ্ধতিতে বাকি আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

একই দাবি জানান সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না হলে যাত্রীরা ট্রেন থামার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন না। তিনি দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে পূর্বে যাত্রা বিরতি দেয়া সকল ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৪ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেনে। যাত্রা বিরতর খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসট্রেন যাত্রাবিরতি করেছে। বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।

সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাশ্ববর্তী তালশহর ও পাঘাচং স্টেশনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শোয়েব জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

অবশেষে আগামী ১৫ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি। মঙ্গলবার থেকে তিনটি মেইল ট্রেন, একটি কমিউটার ট্রেন ও পরদিন বুধবার থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশান শাখার উপ-পরিচালক (অপারেশন) মোঃ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত একটি পত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি ক্লাশ’ স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ের চিঠি থেকে জানা যায়, ১৫ জুন ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পথের সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথের নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, আখাউড়া-ঢাকা-আখাউড়া, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা পথের তিতাস কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে। ১৬ জুন (বুধবার) থেকে যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের পারাবত এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ হেফাজতের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। পরদিন ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিরত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে সংস্কার করে পূর্ব নির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি সংগঠনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

আগামী মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রা বিরতি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পিকআপ চাপায় জাহাঙ্গীর আলম-(৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটো রিকশার যাত্রী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।

গতকাল (১০ মে) বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার ধরখার সাতপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে। আহতরা হলেন, হারিছ মিয়া- (২৮), জুমেল মিয়া- (২৬) ও আশিকুর রহমান- (৩০)।

নিহতের মামা সুজন মিয়া জানান, জাহাঙ্গীর আলম আলম রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। কসবা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে রঙয়ের কাজ করতে সহযোগীদের নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকসা দিয়ে যাওয়ার পথে ধরখারের সাতপুকুর এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ অটোরিকসাটিকে চাপা দিলে জাহাঙ্গীর সহ ৪জন আহত হয়।

আহতবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, পিকআপটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যায়। তার লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। আজ দুপুরে পুলিশ সদর দফতর থেকে দুই ওসির বদলি সংক্রান্ত আদেশ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌছে। এর মধ্যে জেলার বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমানকে রংপুর এবং নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হককে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই দুইজন ওসির বদলিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অপরাধ), জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ২৪জন কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের পর সর্বপ্রথম গত ২৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের আদেশে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে, ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জে বদলী, সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে গাজীপুরে বদলি করা হয়।

গত ৯ মে পুলিশ সদর দফতরের আরেকটি আদেশে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমদেকে বরিশাল রেঞ্জে, ১১ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদকে নাসিরনগর থানার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে, ১৯ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পদায়ন করা হয়।

গত ২৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করা হয়। আদেশে ১০ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও বাকি তিনজন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বদলির আদেশ হওয়া ১৩জন উপপরিদর্শকের (এসআই) মধ্যে ছয়জনকে রাঙ্গামাটি, দুইজনকে বান্দরবন, দুইজনকে খাগড়াছড়ি, একজনকে লক্ষীপুর, একজনকে চাঁদপুর ও একজনকে নোয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়েছে।
গত ২৭ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলী করা হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো দুই থানার ওসি বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অপরাধে আব্দুল লতিফ (৫২) নামে এক ইজিবাইক চালককে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল (১ জুন) দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মইনর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। বর্তমানে সে আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে যান। কেনাকাটা শেষে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরী আব্দুল লতিফের ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে উঠে। ইজিবাইকটি গ্রামের রাস্তা ধরে কিছু দুর যাওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এই সুযোগে ফাঁকা রাস্তায় চালক লতিফ ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার শুরু করলে লতিফ দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে ওই কিশোরীর আরেকটি অটোরিকসা ভাড়া করে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি তার পরিবারকে খুলে বললে কিশোরীর পিতা ইজিবাইক চালক আব্দুল লতিফকে কলেজপাড়া থেকে আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে উপজেলা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। পরে আবদুল লতিফ দোষ শিকার করায় তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আব্দুল লতিফকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন।

আখাউড়ায় কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অটোরিকসা চালকের কারাদন্ড

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত ১ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন ১ হাজার ৭৪জন যাত্রী। গত ২৬ এপ্রিল থেকে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) পর্যন্ত তারা আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার দেশে এসেছেন ৩৪ জন। এদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৭৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২৫৯ জনকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য কুমিল্লা জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন ৩১৬ জন।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোটেল অবকাশে ২৮ জন, হোটেল তাজ এ ৩০ জন, হোটেল গ্র্যান্ড মালেকে ২৮ জন, হোটেল আশিক প্লাজায় ৩২ জন, হোটেল তিতাস ভিউতে ৪৬ জন ও হোটেল নিউ ইন্টারন্যাশনালে দুইজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৬ জন, আখাউড়ার হোটেল নাইন স্টারে ২০ জন, হোটেল রজনীগন্ধায় ২৩ জন অবস্থান করছেন।
এছাড়া ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে ৪৫৩ জন যাত্রীকে অবমুক্ত করা হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ৪৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারতফেরত যাত্রীদের বিষয়ে সরকারি যে নির্দেশনা দেয়া আছে সেগুলো কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ মাসে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ১০৭৪ জন যাত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম বশির উদ্দিন-(৪৪)। তিনি রাজাপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান ওরফে জামাই শাহজাহানের ছেলে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে বশিরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় তিনটি মাদকের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ রয়েছে এবং গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আখাউড়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

ফেসবুকে আমরা..