গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১১ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ১১ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার প্রতিবাদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার আউলিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অলি আহমেদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক ফকির, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম.মাহাবুব হোসাইন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বক্তারা বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতিদের তান্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কুটুক্তি প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতি তান্ডবের প্রতিবাদে বিজয়নগরে আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সভা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোববার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বসন্তকালীন পূজা “বাসন্তী পূজা”। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির আনন্দময়ী কালী বাড়িতে পাচঁদিনব্যাপী বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাসপ্তমী পূজা। সপ্তমী পূজায় ভক্তরা মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করেছেন। অঞ্জলী প্রদানকালে ভক্তরা করোনা মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ৫দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বাসন্তী দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকালে সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহাসপ্তমীতে দেবীকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, চক্ষুদান, ঘট স্থাপন সহ ষোড়শ উপাচারে পূজা করাহয়। দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান করা হয়।
অঞ্জলী প্রদান কালে ভক্ত বনশ্রী দেবনাথ জানান, নিজের এবং পরিবারের সমৃদ্ধির পাশাপাশি চলমান মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছি। মা-দূর্গা শরৎকালে শারদীয় দেবী, বসন্তকালে মা বাসন্তীরূপে বিরাজিতা। তিনি যেন সবাইকে সুস্থ রাখে, সকলের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দেয় সেই প্রার্থনা করেছি।
অপু দেব নামে অপর এক ভক্ত জানান, মা-সকল ভক্তের মাঝে বিরাজিতা। তিনি পরম মমতাময়ী। মায়ের রাতুল চরণে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলকে যেন ভাল রাখেন সুস্থ রাখেন মহামারী করোনা থেকে সুস্থ রাখেন সেই প্রার্থনা করছি।
অঞ্জলী প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাতে দেবীর অর্ধরাত্রী বিহিতপূজা (শ্রী শ্রী কালিপূজা) অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকালে অষ্টমী পূজা ও দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান করা হবে। সন্ধ্যায় সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার সকালে নবমী পূজা ও দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার দশমীতে রাত ১০টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীর প্রধান পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী জানায়, দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী বাংলার প্রথম দূর্গাপূজার প্রচলন করেন রাজা সুরথ। তিনি রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য বসন্তকালে দেবী দূর্গাকে বিশেষ উপাচারে পূজা করে রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। এর পর থেকে ভক্তরা বাসন্তী পূজা করে আসছে।
অন্য দিকে ত্রেতাযুগে প্রভু রামচন্দ্র রাবণকে পরাজিত করার জন্যে দেবি দূর্গার আরাধনা করে পূজা করেছিলেন। এর পর থেকে শরৎকালে দেবীর অকাল বোধন শারদীয় দূর্গোৎসব হয়ে আসছে।
তিনি জানান, এবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী জানান, এবার দেবী গজে আগমন ও দোলায় গমন করবেন। এর মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ যেন হয় পুরো পৃথিবী এই প্রার্থনা করা হয়।

 

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসন্তি পূজার মহাসপ্তমী অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রবিউল হক মজুমদার, কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমসহ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ ও উপকারভোগী কৃষকরা।
উদ্বোধনী দিনে সৈয়দাবাদ গ্রামের ৫০ একর জমিতে চাষ করা সূবর্ণ-৩ হাইব্রিড বোরো কাটা হয়।

কসবায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা উদ্বোধন

 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৫টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়িতে থাকা ১৫জন রোগীর কাছে ফলভর্তি ঝুঁড়ি প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ৫জন করোনা রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলে ভরা ৫টি ঝুঁড়ি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মোমেন এবং ডাঃ নাজমুলের হাতে তুলে দেন।
এ ছাড়া হোম আইসোলেশনে থাকা ১০ জন রোগীর বাড়িতে গিয়ে ১০ ঝুঁড়ি বিভিন্ন ধরনের ফল পাঠান।
প্রতিটি রোগীর বাড়িতে গিয়ে তাদের নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে তাদের বাসায় ফল পৌছে দেয়া হয়।
প্রতিটি ঝঁড়িতে ছিলো ১ লিটার গরুর দুধ, ১ টি তরমুজ, ২ টি আনারস, ১ কেজি মাল্টা, ১ ডজন কলা, ১ কেজি আপেল এবং ১ কেজি পেয়ারা।


ফল বিতরনের সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা করোনা আক্রান্তদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সোমবার তাদের জন্য শুভেচ্ছা হিসেবে ১৫ ঝুঁড়ি বিভিন্ন ধরনের ফল তাদের কাছে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, তাদের যে কোন সমস্যায় আমরা তাদের পাশে আছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের জন্য প্রশাসনের ফল উপহার

আজ ১৯ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ বেলা আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার  ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১. মোঃ শেখ ফরিদ (২৬), পিতা-মৃত গোলাম মোস্তফা, সাং-চরপাড়া, থানা ও জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা-ধোলাইখাল, নারিন্দা কাঁচাবাজার, শামীম এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-ওয়ারি, ডিএমপি-ঢাকা, ২. মোঃ বাবুল মিয়া (২১), পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া, সাং-কমলপুর, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ।

এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ২৫ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি পিকআপ ভ্যান, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৩০০০/- টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে গাঁজা পিকআপ সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে মনির-(৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে পৌর এলাকার গোর্কণঘাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত মনির গোর্কণঘাট গ্রামের আল-আমিন মিয়ার ছেলে।
শিশুর মা খাদিজা বেগম জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে মনির বাড়ির পুকুর পাড়ে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করার এক পর্যায়ে সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা মনিরকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, শিশুটির শ্বাসনালী ও ফুসফুসে পানি যাওয়ার কারণে শিশুটি মারা গেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটি মারা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি
স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে
মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩০ জন হেফাজত কর্মী ও
সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র
ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য
হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল
থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি
মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য
অনুযায়ী সর্বমোট ২৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ৩০ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সির ছোট ভাই মোঃ জামাল মুন্সী নিহত হওয়ার পর গ্রামজুড়ে চলছে তান্ডব। পুলিশী গ্রেপ্তার এড়াতে ও প্রাণের ভয়ে অভিযুক্তরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ওইসব ফাঁকা বাড়ি-ঘর প্রতিদিন ভাংচুর ও লুটতরাজ করা হচ্ছে।
গত ২২ জানুয়ারি চর-চারতলা গ্রামের লতিফ বাড়ি ও খন্দকার বাড়ির লোকজনের হামলায় নিহত হন জামাল মুন্সী-(৫৫)। নিহত জামাল মুন্সী আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হানিফ মুন্সীর ছোট ভাই।

অভিযোগকারীরা জানান, জামাল মুন্সী নিহত হওয়ার পর হানিফ মুন্সীর পরিবার ও গোষ্ঠীর লোকজন প্রতিপক্ষ লতিফ বাড়ি ও খন্দকার বাড়ির ফাঁকা ঘর-বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। শুধু তাই নয়, আশুগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। তাঁদের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখে কলুপ এটেছেন।
এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো আশুগঞ্জ থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করেছেন। প্রতিটি মামলাতেই হানিফ মুন্সিকে প্রধান আসামী করা হয়।
বর্তমানে চর-চারতলা গ্রামে এখন বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। যে কোন সময় গ্রামে আরো খুনসহ বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন গ্রামের নিরীহ লোকজন। তবে হানিফ মুন্সির দাবি, লুটপাটের ঘটনা প্রতিপক্ষের নিজেদের সাজানো।


এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি রাতে চর-চারতলা গ্রামের লতিফবাড়ি ও খন্দকার বাড়ির লোকজনের হামলায় নিজ বাড়িতে খুন হন জামাল মুন্সী।
হত্যাকান্ডের পরদিন নিহতের অপর ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর মুন্সী বাদি হয়ে চর-চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকারসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের পর পরই গ্রেপ্তার এড়াতে ও প্রাণের ভয়ে লতিফ বাড়ি ও খন্দকার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ির অন্তত ৫০-৬০টি পরিবারের হাজার খানেক নারী-পুরুষ গ্রাম থেকে চলে যায়।

অভিযোগকারীরা জানান, জামাল মুন্সী খুন হওয়ার পর থেকে হানিফ মুন্সীর পরিবারের লোকজন প্রতিদিনই প্রতিপক্ষের ফাঁকা বাড়িতে ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করছে। বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন চরচারতলা গ্রামের লতিফ বাড়ির মোঃ আবদুল লতিফ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ রওশন আরা বেগম।
মামলার আরজিতে তিনি বলেন, জামাল মুন্সির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হানিফ মুন্সীর অপর ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সী তার স্বামী (বাদির), স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ আশপাশের বাড়িঘরের লোকজনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশের ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে এসব বাড়ি ঘর। এ সুযোগে হানিফ মুন্সির নির্দেশে তার পরিবারের সদস্যরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত তার বাড়িতে লুটপাটের মহোৎসব চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তার বাড়ির প্রধান গেইট ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির দরজা জানালা আসবাবপত্র বিছানাপত্র, নগদ টাকা স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল পিকআপ ভ্যানে করে প্রকাশ্যে লুটে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।


একই দিনে ভাংচুরের ঘটনায় আদালতে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন চরচারতলা গ্রামের আতিক বাড়ির আবু শহীদ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম।
মামলার আরজিতে তিনি বলেন, জামাল মুন্সী হত্যাকান্ডের পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির নির্দেশে তার পরিবারের সদস্যরা গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত ওই গ্রামের আতিক বাড়ির আবু শহীদ মিয়ার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে লুটপাটে তান্ডব চালিয়ে গরুর খামার থেকে ৬টি ফ্রিজিয়ান গাভী (বাছুরসহ), স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় ৬৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র শত শত মানুষের সামনেই পিকআপে ভরে লুটে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ বাঁধা দেয়ার সাহস করেনি।

একই কায়দায় গত ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে চর চারতলা গ্রামের নয়াহাটির খন্দকার বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রবাসী মোঃ সালাহ উদ্দিন খন্দকার এবং মোঃ জিয়াউদ্দিনের বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে বাড়ির গেইট, দরজা জানালা, আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ যথাক্রমে ২৩ লাখ এবং ২৭ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় হামলাকারীরা।
এ সব লুটপাটের ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই দুই বাড়ির গৃহকর্ত্রী মোছাঃ নিপা আক্তার এবং ফরিদা বেগম বাদী হয়ে হানিফ মুন্সিসহ অপরাপর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, শুধু বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুরই নয়। প্রতিপক্ষের বিভিন্ন বাড়ির নলকূপের পাম্প খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাদের জমির ফসলও জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে হানিফ মুন্সীর লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন বয়সের একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রামে এখন সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। কেউ ভয়ে কোন কথা বলছেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে গ্রামে আবার খুন-খারাপিসহ বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার বলেন, জামাল মুন্সী খুনের পর হানিফ মুন্সির নির্দেশে তার গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামের লতিফবাড়ি ও খন্দকার বাড়ির লোকজনের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটতরাজ শুরু করেছে। হামলা-ভাংচুর এখনো অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, শুধু বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুরই নয়, আশুগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। আমরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তী জামিন নিয়েও তাদের ভয়ে গ্রামে যেতে পারিনি। তিনি বলেন, হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের (ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার) পক্ষ থেকে আদালতে পৃথক ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো সিআইডি, ডিবি ও পিবিআই তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে নিহত জামাল মুন্সীর বড় ভাই ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার আসামী জিয়াউদ্দিন খন্দকার, সেলিম পারভেজসহ অন্যান্যরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাদের বাড়ির মালামাল ট্রাকে করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও আমার কাছে আছে। তিনি বলেন, হত্যা মামলাকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য আসামীপক্ষ আমি ও আমার গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাবেদ মাহমুদ বলেন, জামাল মুন্সী হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৫জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তিনি বলেন, মামলার আসামীপক্ষ বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করতে আসে নাই। শুনেছি তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে কয়েকটা মামলা করেছে। তারা থানায় আসলে আমরা অবশ্যই মামলা নিতাম। তিনি বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ ভালো আছে।

আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা- ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া করার জন্য ইমামদেরকে অনুরোধ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) এর সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সাথে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবার। একমাত্র আল্লাহই আমাদেরকে এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। আল্লাহই আমাদের ভরসা। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করতে পারেন, মাফ করতে পারেন।
আমরা নিশ্চয় কারণে অকারনে অন্যায় করেছি। সময় এসেছে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করে বলি আল্লাহ তুমি আমাদেরকে এই মহামারি থেকে পরিত্রাণ দাও। আল্লাহ আমরা সঠিক ভাবে তোমার পথে চলব। তুমি আমাদেরকে সুযোগ দাও।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর ২৫ মার্চ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। সে ছুটির কারণে আমরা করোনা মহামারির যে আঘাত সেটা বুঝতে পারি নাই। আমাদের করোনা সংক্রমণের হার ছিল কম। মৃত্যুর হার ছিল কম। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দুরদর্শিতার সাথে করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন। ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু হলে আমাদের ধারনা হয়েছিলো এ মহমামারি হয়তো পিছনে ফেলে এসেছি। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য আজকে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং আরও দুঃখের বিষয় গত শুক্রবার এক বছর এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মৃত্যু হার আমরা দেখেছি।

এ সময় আইনমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে প্রতিটি ওয়াক্তের নামাজে মসজিদে মসজিদে করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতে বলেন।


এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দীন শাপলু, জালাল উদ্দীন চেয়ারম্যান, মাওলা আসয়াদ আল হাবিব, মুফতি আসয়াদুজ্জামান, মুফতি কাজী কেফায়েত উল্লাহ মাহমুদী প্রমুখ।

আখাউড়ায় ইমাম ও খতিবদের সাথে ভার্চুয়ালি মত বিনিময়কালে আইনমন্ত্রী

ফেসবুকে আমরা..